স্বামী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন, স্ত্রী আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম হাসান মিয়া (২৮)। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি নববধূ জান্নাত আক্তারকে (২৩) নিয়ে আখাউড়া মসজিদ পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। জান্নাতের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগরের।
ঘটনার পর অভিযুক্ত জান্নাত আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং হত্যার পেছনে দুটি কারণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে দুর্ঘটনার ৩ দিন পরেও উদ্ধার হয়নি লঞ্চ-বাল্কহেড
শনিবার (১৭ মে) ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে শনিবার দুপর ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, ‘গত ৯ মে হাসান ও জান্নাতের বিয়ে হয়। তবে, অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’
ওসি বলেন, ‘বিয়ে পর স্বামী বারবার ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে চাইতেন, কিন্তু এ ব্যাপারে জান্নাতের আপত্তি ছিল। ঘটনার রাতেও তিনি এ বিষয়ে স্বামী হাসানকে আপত্তি জানান। তবে স্বামী জোরাজুরি করার পর কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেন জান্নাত।’
২০২ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে ‘স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর’ পালিয়েছেন স্বামী
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সেলিনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সুজন মোল্লার (৫০) বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সুজন মোল্লা।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চিতলিয়া দেওয়ানকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঝগড়া-মারামারির একপর্যায়ে সেলিনা অন্য ঘরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও পেছন থেকে তার ঘাড়ে কোপ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন সুজন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম জানান, নিহত সেলিনা বকুলতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। ৯ মাস আগে সুজন মোল্লার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রথম তিন মাস সংসার ভালো চললেও গত ছয় মাস ধরে সুজন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করে প্রায়ই নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত গৃহবধূ সেলিনার মা সুফিয়া বেগম বলেন, সুজ ন একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। সন্দেহের বশে সে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করত। এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশও হয়েছে, কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি সে।
তিনিও আরও জানান, সেলিনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। আগের ঘরের মেয়ে সোহানা আক্তারের বকচরে বিয়ে হয়। মেয়েটির সন্তান হয়েছে, আর সেই সন্তান দেখতে যাওয়া নিয়েই প্রাণঘাতী এই ঝগড়া বাঁধে।
২০২ দিন আগে
নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, পলাতক স্বামী-সতীন
যশোরে ঘরের ভেতর থেকে স্বরুপজান ওরফে সাথী (৩৩) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৯টার দিকে মনিরামপুর থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে এই ঘটনার পরপরই পলাতক রয়েছে স্বামী ও নিহতের সতীন।
নিহত সাথী উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মিন্টুর ধানের চাতালে কাজ করতেন সাথী। তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠলে মিন্টুকে বিয়ে করেন সাথী। কিন্তু বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন মিন্টুর প্রথম স্ত্রী সুমা পারভীন। ফলে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলে আসছিল। এদিকে মিন্টুর চাতালের একটি ছোট ঘরে বসবাস করতেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। রবিবার রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ ফেলে রেখেছে। সকালে সতীনের মেয়ে ফাতেমা রক্তাক্ত অবস্থায় সাথীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বরকে জানান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মিন্টু ও সতিন সুমা পারভীন মিলে সাথীকে হত্যার পর পালিয়ে গেছে বলে অনেকে জানান।
আরও পড়ুন: ২ কিশোরীকে কক্সবাজারে হোটেলে আটকে নির্যাতন, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মিন্টু ও তার অপর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তাদের আটক করা গেলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানা যাবে বরেও জানান তিনি।
২২১ দিন আগে
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ নিতে পুলিশকে কল স্বামীর
সাভারে স্ত্রীকে হত্যা করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে লাশ নিয়ে যেতে বলেছেন এক ঘাতক স্বামী।
বুধবার(২৩ এপ্রিল) দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হত্যার শিকার ওই নারীর নাম রুমানা আক্তার (২০)। এ ঘটনার পর স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মানিক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে নওগাঁ থেকে সাজ্জাদ হোসেন মানিক স্ত্রীকে নিয়ে সাভারে তার ভাইয়ের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। পরবর্তীতে পারিবারিক কলহের জেরধরে সাজ্জাদ হোসেন মানিকের ভাই সকালে গার্মেন্টসে কাজে গেলে বেড়াতে আসা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ কল দিয়ে লাশ নিয়ে যেতে বলেন পুলিশকে।
আরও পড়ুন: প্রাইম এশিয়া ছাত্র পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ি ও সাভার মডেল থানার (এসআই) আমির হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। স্বামীকে আটকে অভিযান চলছে।
২২৬ দিন আগে
স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা
নরসিংদীর মাধাবদীতে স্ত্রী মানসুরাকে (২৫) শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী রাজু মিয়া (৩৮) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বাবুরহাট বাজারের ধুমকেতু সংঘ মাঠ-সংলগ্ন একটি ভবনের কার্নিশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বামী রাজু মিয়ার লাশ।
এর আগে, নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মানসুরার লাশ উদ্ধার করে মাধবদী থানা পুলিশ। পরে লাশদুটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রাজু মিয়া বালুসাইর গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে এবং মানসুরা বেগম একই গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে। দীর্ঘ ১৫ বছর সংসারে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখে অ্যাসিড: অপরাধীদের সবাই কিশোর
পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসুরা-রাজু দম্পত্তির পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কলহের জের ধরেই গতকাল (শুক্রবার) মানসুরা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যান রাজু। পরে শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয় তার লাশ।
পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করে শোক সইতে না পেরে রাজু নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
২৩০ দিন আগে
বরিশালে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকায় পিতা-মাতার অত্যাচার থেকে রক্ষায় স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন অটোচালক রাহাত ও তার স্ত্রী লামিয়া। এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাহাত ও লামিয়ার মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে শ্বশুড়-শাশুড়ির সঙ্গে লামিয়ার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। এ কারণে লামিয়ার উপর শ্বশুড়-শাশুড়ি নির্যাতন চালাতো। এমনকি তারা দুইজনই তার গায়ে হাত তুলতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব বিষয় নিয়ে সালিশী হলেও শ্বশুড়-শাশুড়ি কারণে-অকারণে তাদের নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। পিতামাতা হওয়ায় রাহাতও তাদের কিছু বলতে পারতো না। সকলের ধারণা এসব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাহাত তার স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি করে দুজনকে হত্যা
আজ সকালে কক্ষের দরজা না খোলায় গ্রামবাসী এসে দরজা ভেঙ্গে বিছানার উপর লামিয়া এবং ফ্যানের সঙ্গে রাহাতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
২৩৫ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন স্বামীও
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মা ও মেয়ের পর এবার মারা গেলেন বাবা সোহাগ। এ নিয়ে এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ (পোশাক শ্রমিক)।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
এর আগে রবিবার তার স্ত্রী পোশাকশ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে যুবক খুন, আহত ৩
ডা. শাওন বলেন, ‘এ ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান শনিবার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া হান্নানের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি, তাদের সন্তান জান্নাত, সামিয়া ও সাব্বির এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।’
গত ৩ মার্চ ভোরে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দুটি পরিবারের আট সদস্য দগ্ধ হন।
২৬৯ দিন আগে
মেহেদির রং শুকানোর আগেই নববধূর মৃত্যু, স্বামী আটক
মেহেদির রং শুকানোর আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের মাত্র চারদিনের মাথায় তানিয়া আক্তার নামে ওই নববধূর মৃত্যু হয়।
রবিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যাকারী সন্দেহে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাকে আদালতে তোলা হবে।
ভুক্তভোগী তানিয়া আক্তার (১৮) পার্বতীপুরের কুড়িয়াইল গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে। আটক স্বামী আব্দুর রহিম চিরিরবন্দরের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিকভাবে গত বৃহস্পতিবার রাতে তানিয়ার সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ে হয়। শনিবার রাতে বাবার বাড়িতে ফিরে যান তানিয়া। পরদিন রবিবার স্ত্রীকে আবার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন আব্দুর রহিমের স্বজনরা। পরে রাত ৩টার দিকে তানিয়ার পরিবারের কাছে তার মৃত্যুর খবর পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বন্দির মৃত্যু
এদিকে তানিয়ার পরিবারের দাবি, তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে তারই স্বামী।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শারীরিক চাহিদা পূরণের জের ধরে রাগের বশে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।’
২৭০ দিন আগে
ঝগড়া করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
যশোর চৌগাছায় ঝগড়া করায় রোকসোনা খাতুন নামে এক নারীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সিজার ওরফে রাকিবের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রাকিবের সঙ্গে ১০ থেকে ১২ বছর আগে পেটভরা গ্রামের নাজমা খাতুনের বিয়ে হয়। সেই ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে। কিন্তু বিয়ের ৭ থেকে ৮ বছর পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে আসে। বর্তমানে নাজমা খাতুন ঢাকায় থাকেন।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে রাকিব কয়েক বছর আগে উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রোকসানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সংসার ভালো চললেও পরবর্তীতে প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রেকসোনার সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটি ও কথাকাটাকাটি হতো। এতে পরিবারে দেখা দেয় অশান্তি। এর জেরে সোমবার সকালে স্বামীর সঙ্গে রোকসানার ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায় দুজনের মধ্যে কথাকাটির জেরে স্বামী বাঁশ দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। বাঁশের আঘাতে স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই রোকসানার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে পুলিশে খবর দিলে তারা নিহতের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত স্বামী সিজার ওরফে রাকিব পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ‘যতদূর জেনেছি, পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তবে তাকে দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।’
২৭০ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী-শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সামিউল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার(২ মার্চ) দিবাগত রাতে জেলার কসবায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে যুথি আক্তার (২২) ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার (১২)।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামিউল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেঁচে নেই। তাদের মা মামলার কারণে জেল হাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। যুথি এক মাস আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এর মাঝে সামিউল স্ত্রী যুথিকে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু যুথি যেতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে গত সপ্তাহে সামিউল তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান।
রবিবার রাতে খাবার শেষে যুথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শ্যালক জাহিদ হোসেন অন্য কক্ষে ঘুমিয়েছিল।
রবিবার গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুথি ও স্মৃতির লাশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের অভিযোগ
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশসহ কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই জাহিদ হোসেন বলেন, দুলাভাই আমার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি তিনি নেই। ঘরের দরজা খোলা। আমার দুই বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার বোনদের খুনের বিচার চাই।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, তাদেরকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। কি কারণে খুন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি ধারণা করছেন তাৎক্ষণিক কোনো দ্বন্দ্বের কারণে হয়তো তাদের খুন করা হয়েছে।
নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন!
২৭৭ দিন আগে