নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত পাভেল কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে।
পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজীদ মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে গালাগালিসহ হত্যার হুমকি দেয় বায়েজীদ মিয়া। এরপর স্বপন বাড়ি চলে গেলে পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল মিয়াকে পেয়ে আটক করেন বায়েজীদ ও তার সহযোগিরা। তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পাভেল মিয়াকে হত্যা করেন তারা।
তিনি বলেন, কাঞ্চন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজীদ মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেকিম মিয়া, স্থানীয় সন্ত্রাসী লিটু বাহিনীর সদস্য ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ, তার ভাই আকাশ, যুবদল নেতা দোলনসহ ১০-১২জন পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে কুপিয়ে বায়েজীদ মিয়াকে হত্যা করে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পাভেলের ভাই শাহিন মিয়া বলেন, কাঞ্চন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শিমুলকে আটক করে বায়েজীদ ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আমিনুল ইসলাম স্বপন জিজ্ঞাসা করায় ক্ষিপ্ত হয়। পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌর কার্যালয়ের সামনে এলে কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পাভেল মিয়া তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্বপনকে না পেয়ে তারা পাভেলকে ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনার পর রাতেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত বায়েজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।