জাফলং
জাফলংয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া মুকিত আহমদ (১৮) নামে এক পর্যটকের লাশ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুকিত আহমদ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকার শামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং নিখোঁজ পর্যটক মুকিত আহমদের লাশ হিসেবে শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা বলেন, ‘গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বন্ধুদের সঙ্গে জাফলংয়ে বেড়াতে আসে মুকিতসহ ২৮ জনের একটি দল। দুপুরের দিকে তারা সবাই নদীর পাড়ে ফুটবল খেলতে নামে। খেলা শেষে তারা তিনজন নদীর পানিতে নামলে স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। বাকি দু'জন তীরে উঠলেও স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুকিত।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ জানান, আজ সকালে মুকিতের লাশ পানিতে ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পানিতে নামলে স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে মুকিত নিখোঁজ হন। ঘটনার তিনদিন পর জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকায় তার লাশ ভেসে উঠে।
১৩০ দিন আগে
জাফলংয়ে উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, যুবদল নেতাসহ ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে গতিরোধ ও বিক্ষোভের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে প্রধান আসামি করে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক ওবায়দুল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্তে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও অবরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল আন্দোলনকারীরা
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও আজির উদ্দিন। এ ছাড়াও মামলায় আরও সাতজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।’
গত শনিবার (১৪ জুন) জাহিদ খান ও আজিরের নেতৃত্বে জাফলংয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এতে বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহরের গতিরোধ করা হয়। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
১৭২ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে নয়ন মিয়া (১৩) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন নয়ন। এ সময় তারা জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে নয়ন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে তার সঙ্গী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২৪৮ দিন আগে
বালু উত্তোলন ও সাইট দখল নিয়ে জাফলংয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সাইট দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেনের সঙ্গে লাখের পার গ্রামের আব্দুল হেকিমের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
কামাল হোসেন বলেন, ‘লাখের পার গ্রামের হেকিম মিয়া ও মোহাম্মদপুরের সুমন শিকদারসহ অর্ধশত লোকজন দিন-রাত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ট্রাক ভর্তি করে বালু-পাথর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বারবার প্রতিবাদ করে আসছি। রাতে লোকজন নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেকিম ও সুমন শিকদারের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তারা গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর সাইট দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষ চলাকালে পাথরের আঘাতে একজনের মাথা ফেটে গেছে ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬৯ দিন আগে
সিলেটের সীমান্ত এলাকার লাখো পাথর শ্রমিক-ব্যবসায়ীর নীরব কান্না
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের বিষয় উল্লেখ করে বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি।
শ্রমিক ও ব্যসায়ীদের দাবি, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করতে হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও কী কারণে এসব পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর তারা কারো কাছ থেকে পাননি। ।
গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে হাইকোর্টরের আদেশের কপি নিয়ে নিয়মিত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তারা।
পাথরগুলো কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকায়, কোয়ারি সংশ্লিষ্ট শ্রমজীবী দিনমজুররা কর্মসংস্থান হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে দিনযাপন করছেন। কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
প্রতিদিন ভোরে সাজের সন্ধানে বেলচা, টুকরি নিয়ে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকেন তারা। দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও শ্রীপুরসহ সব কয়টি এলাকায় কোয়ারি ও বালু মহালের সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ শ্রমিকের বর্তমান অবস্থা এমনই।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, কোয়ারি ও বালু মহাল সচল থাকলে সরকারের বড় অংকের রাজস্বও আদায় হতো। পাশাপাশি সিলেটসহ সারাদেশের ৩-৪ লাখ শ্রমিক কাজ করে নিজের জীবনযাপন করতে পারতেন। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হতো।
শুধু পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিক নয়, বেকায়দায় পড়েছেন এবার পাথর ব্যবসায়ীরাও। তারা জানান, শেষ সম্বল টুকু ব্যাংকে বন্ধক রেখে কিনেছেন পাথর ভাঙার যন্ত্র (ক্রাশার মিল)। কোয়ারি বন্ধ থাকায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতেও পারছেন না। হারাতে বসেছেন তাদের শেষ সম্বল টুকু।
পাথর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় বসে আছেন কোয়ারি খোলার। দীর্ঘ দিন থেকে কোয়ারি ও বালু মহাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথরের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হতে চলেছে জাফলং, ধূপাগুল, ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের ক্রাসিং জোন এলাকা। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই সব ক্রাশার এলাকা শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়েছে দিন দিন।
এদিকে দীর্ঘদিন একই পেশায় নিয়োজিত থেকে অন্য কোনো কাজ করতেও পারছেন না তারা।
এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শ্রমিকেরা কোয়ারি খোলার দাবিতে নানা ধরনের আন্দোলনও করেছেন। এছাড়া জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও শ্রীপুরের ব্যবসায়ী নেতারা পাথর কোয়ারি সচলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
শুধু শ্রমিক ও পাথর ব্যবসায়ীই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরাও।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম শাখার ট্রাক-পিক আপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, এ এলাকায় প্রায় দুই হাজার ট্রাক পাথর পরিবহন করে। বর্তমানে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাথর কোয়ারি খুলে দিলে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে, তেমনি শ্রমজীবীরাও পেটের ভাত পাত পাবে।
বিছন্নাকান্দির পাথর ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান বলেন, সোনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তলনের জন্য কোয়ারি খুলে দিলে এলাকার ব্যবসায়ী ও পাথর সংশ্লিষ্ট সবার জীবিকার ও কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন হবে। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পত্তি ফিরে পাবেন। এবার সেই কোয়ারিগুলো থেকে পরিবেশ সম্মতভাবে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
এ ব্যাপারে জাফলং পাথর কোয়ারি এলাকার ব্যবসায়ী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার কারণে কোয়ারি এলাকার শ্রমিকদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্রমেই কর্মহীন মানুষের হাহাকার বাড়ছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইজারা বিহীন কোয়ারি এবং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাফলং, বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি ও বালু মহাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের করা রিট পিটিশনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে জাফলংয়ের ব্যাপারে ২২ অক্টোবর, বিছনাকান্দির ১১ নভেম্বর ও ভোলাগঞ্জের ব্যাপারে ১৪ নভেম্বর পাথর উত্তোলনের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও একই কথা জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে পাথর কোয়ারি বিষয়ে হাইকোর্টর আদেশ চেম্বার কোর্টে স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, পাথর ও বালু শ্রমিকদের মানবেতর জীবন বিবেচনা করে পাথর কোয়ারিগুলো জরুরি ভিত্তিতে খুলে দিতে।
৩৬৯ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে গোসল করতে নেমে জাওয়াত আহমেদ নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নিহত জাওয়াদ (২৫) ময়মনসিংহ জেলা শহরের নাহার রোডের ডা. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাওয়াত আহমদসহ কয়েকজন মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে জাওয়াদ স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
৪১৮ দিন আগে
জাফলংয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে কথা কাটাকাটি জেরে হোসেন মিয়ার ঘুষিতে পানিতে পড়ে আব্দুর নূর নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ঘটনায় হোসেন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলা জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর নূর ওই উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত হোসেন মিয়া উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর গ্রামের রুস্তম খার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় জাফলং নদীতে নৌকা নিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে যায় শ্রমিকরা। নৌকা রাখাকে কেন্দ্র করে আব্দুর নূর ও হোসেনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে হোসেনের ঘুষিতে আব্দুর নূর পাশে থাকা নৌকায় লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে আব্দুর নূরকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা হোসেন মিয়াকে আটক করে পুলিশ দেয়। তবে কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থারে প্রস্তুতি চলছে।’
৫১৪ দিন আগে
জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পিয়াইন নদীর তীর থেকে একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বালতি দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় বারকি শ্রমিকের হাতে মর্টার শেলটি লাগে।
পরে দুইজন শ্রমিক মর্টার শেলটি উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হিলিতে ধানের জমি থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, পিয়াইন নদীর এলাকায় বালতি দিয়ে বালু তুলছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় এক শ্রমিকের হাতে শক্ত কিছু একটা লাগে। পরে বস্তুটি উঠিয়ে নদীর পাড়ে এনে দেখা যায়, সেটি মর্টার শেল। পরে শ্রমিকরা গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মর্টারসেলটি থেকে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে একদল পুলিশ এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
ওসি বলেন, পিয়াইন নদীতে বালতি দিয়ে বালু তোলার সময় শ্রমিকরা একটি মর্টার শেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। শেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
৬৫৪ দিন আগে
জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে মানিক মিয়া (৫৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ১১ নম্বর মধ্য জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত চা বাগানসংলগ্ন নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: করতোয়া নদীতে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত শ্রমিক মানিক মিয়া উপজেলার মধ্য লাখেরপাড় গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মানিক মিয়াসহ আরও কয়েকজন শ্রমিক নদীর পাড়ে গর্ত থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। একপর্যায়ে বালুচাপা পড়েন মানিক মিয়া। এসময় তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা উদ্ধার করে জৈন্তাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, তিনি বয়স্ক বালু শ্রমিক ছিলেন। ঠান্ডাজনিত কারণে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
৭২৫ দিন আগে
সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
বিচিত্রতার কষ্ঠিপাথরে বাংলাদেশকে যাচাই করতে হলে ঘুরে আসতে হবে দেশটির উত্তর-পূর্বের সিলেট বিভাগ। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এর সমৃদ্ধ জেলাগুলো দেশের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। শুধুমাত্র এক জাফলং ভ্রমণ যে কোনও জাতীয়তার পরিব্রাজকের মনে এক টুকরো বাংলাদেশকে গেঁথে দিতে যথেষ্ট। প্রকৃতি কন্যা হিসেবে খ্যাত এই পর্যটনস্থল ভ্রমণের নানা দিক নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, পাহাড়, নদী ও বনের এই অনিন্দ্য সমারোহকে খুব কাছ থেকে দেখার উপায়টি জেনে নেয়া যাক।
জাফলং-এর নামকরণের ইতিহাস
জাফলং-এর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে খাসি জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের ইতিহাস। সংক্ষেপে বলতে গেলে খাসিদের মালনিয়াং রাজ্য থাকাকালে এর রাজধানীগুলোর একটি ছিলো বল্লাপুঞ্জি। এই বল্লাপুঞ্জি মূলত জাফলয়েরই একটি এলাকা।
প্রাচীন এই মালনিয়াং রাজ্যেই উৎপত্তি হয়েছিলো জাফলং নামটির, যার মাধ্যমে আনন্দের হাট বোঝানো হতো।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
জাফলং-এর ভৌগলিক অবস্থান
এই দর্শনীয় জায়গাটির অবস্থান সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড়টি মেঘালয় সীমান্তে আলাদা করেছে বাংলাদেশ ও ভারতকে। সীমান্তবর্তী জায়গাটি পড়েছে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়াইন নদীর অববাহিকায়।
ভারতের ডাউকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী এই জাফলং হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
জাফলং ভ্রমণের সেরা সময়
এটি এমন এক জায়গা যা প্রতি ঋতুতেই নতুন রূপে সেজে ওঠে। তবে বৃষ্টির মৌসুমে এই প্রকৃতি কন্যা নিজের সকল সৌন্দর্য্য যেন উজাড় করে দেয়। স্বচ্ছ স্রোতস্বিনীর নিচে পাথরের ছোঁয়াছুয়ি খেলা, আর সংগ্রামপুঞ্জীর মায়া দৃষ্টি ভরে নিতে চাইলে আসতে হবে বর্ষাকালে। তাছাড়া জুন থেকে অক্টোবরের এই সময়টাতে; এমনকি নভেম্বরেও পাহাড়ের সবুজটা যেন আরও বেশি করে ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
৭৮১ দিন আগে