অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৩০০ শিক্ষার্থী অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিদ্যালয় থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে সশস্ত্র ইসলামিক চরমপন্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কাদুনা রাজ্যের কুরিগা শহরের প্রত্যন্ত শহরের একটি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংস হত্যাকাণ্ড, অনাচার ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ওই রাজ্যে অপহৃত হওয়া শিশুদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন ১২ বছর বা তার চেয়ে কমবয়সী।
কুরিগার এ ঘটনাটি উত্তর নাইজেরিয়ায় গত সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তৃতীয় গণ-অপহরণের ঘটনা। এর আগে গত সপ্তাহে শনিবারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য সোকোটোর একটি স্কুল থেকে ১৫ জন শিশুকে অপহরণ করা হয়। তারও আগে উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যে ২০০ জনকে অপহরণ করা হয়।
বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কোনো গোষ্ঠী এখনো এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামিক চরমপন্থীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ চালাচ্ছে। তারা বোর্নোতে অপহরণ চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর বিদ্যালয়ে অপহরণের জন্য ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত পশুপালকদের দায়ী করেছে স্থানীয়রা।
নাইজেরিয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপহরণের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ইসলামিক চরমপন্থীরা বোর্নোর চিবোক থেকে দু’শোর বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল।
অপহরণের কথা স্মরণ করে এলইএ প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক নুরা আহমেদ এপিকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেবলই শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিচ্ছিল সে সময় মোটরসাইকেলে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে।
গত বছরে নাইজেরিয়া জুড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে অপহরণ করা হয়। এমনকি রাজধানীতে বাড়ি থেকেও কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়।
নাইজারের সঙ্গে দীর্ঘ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্তের অনেকটা জুড়ে সাভানা বনভূমি। এই পথে অস্ত্র পাচার করে সেসব অস্ত্র অপহরণের কাজে ব্যবহার করে ইসলামিক চরমপন্থী বিদ্রোহীরা আর অপহৃতদের বনের গভীরে লুকিয়ে রাখে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, চরমপন্থীরা অপহৃতদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে যে কারণে আকাশপথেও বনে বোমাবর্ষণ করে হামলা চালানো সম্ভব হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের পশ্চিম আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ গবেষক জেমস বার্নেট বলেন, এই দলগুলো নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আরও ছড়িয়ে পড়ছে।
কুরিগা শহর থেকে কাদুনা শহরে যেতে ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। এ রাস্তায় এখন এক ডজনেরও বেশি চেকপয়েন্ট এবং সামরিক ট্রাককে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সৈন্যদের শিগগিরই অন্যত্র মোতায়েন করা হতে পারে।
শুক্রবার নাইজেরিয়ার পুলিশ এবং সৈন্যরা নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানের জন্য বনের দিকে রওনা করেছে বলে জানায় সামরিক বাহিনী।
কুরিগার বাসিন্দারা কেবল আশা করছেন তাদের সন্তানরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবে এবং সামরিক কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা এখন যে সুরক্ষা অনুভব করছে তা যেন স্থায়ী হয়।
গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে চেয়ারম্যান সমর্থকরা।
১৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার ফরচুন ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে কারখানার ভেতরে ডুকে ম্যানেজার জহিরুল ইসলামকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনসহ ১০-১২জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও মানহানি মামলা দায়ের করে ফরচুন ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার মো. জহিরুল ইসলাম।
এই মামলায় বুধবার রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মাদকদ্রব্য জব্দ, গ্রেপ্তার ২
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব মোর্শেদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর উত্তর পাশে কয়েকটি স্থানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে খোকনের কর্মী-সমর্থকরা।
এতে সড়কের দু’পাশে আটকা পড়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী কয়েকশ গাড়ি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নারীকে অপহরণের চেষ্টা, ২ যুবক গ্রেপ্তার
নাটোরে অপহরণের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- অন্তর আহমেদ (১৯) ও তার বাবা আতাহার আলী (৪৫)।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সনজয় কুমার সরকার জানান, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাক্ষাত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে অন্তর ও তার সহযোগীরা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামে র্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাবা-ছেলেকে।
তাদেরকে বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এএসপি।
আরও পড়ুন: নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে মৎস্যজীবী দলের নেতাকে অপহরণের পর ছুরিকাঘাত
নাটোর সদরে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের এক নেতাকে অপহরণের পর কুপিয়ে জখম করে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, আবু রায়হান (৪০) ওই উপজেলার মৎস্যজীবী দলের সভাপতি।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবু রায়হান তার নিজ গ্রাম সদর উপজেলার মির্জাপুর বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে এসে দুবৃর্ত্তরা তাকে অস্ত্রের মুখে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুবৃর্ত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আবু রায়হানকে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়। পরে রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকায় কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করে। খবর পেয়ে দলীয় লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজখবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
সিলেটে যুবক অপহরণ: কারাগারে সিসিকের ৪ কর্মচারী
সিলেটে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের অপরাধ স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেননি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ কর্মচারী।
দুদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আদালতে হাজির করলে ফের তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার কর্মচারী হলেন- সিলেট উপশহর এলাকার শাহরিয়ার আহমদ, চারাদিঘীর পাড় এলাকার রাজা মিয়া, জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশন এলাকার সিয়াম আহমদ ও সদর উপজেলার খাদিমনগর এলাকার তারেক আহমদ।
তাদের গ্রেপ্তারের পর অপহৃত মাহফুজ আহমদকে উদ্ধার করে পুলিশ। মাহফুজের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সহিদাবাদ গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ১৩ অক্টোবর বিকালে ডিবি পরিচয়ে নগরের কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে মাহফুজ আহমদকে উঠিয়ে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। তাকে নিয়ে যায় নগরের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক সিসিকের ডাম্পিং ইয়ার্ডে। সেখানে হাত-পা বেঁধে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে রেখে মারধরও করে তারা। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে মাহফুজের বন্ধু ও স্বজনদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, অপহরণের ঘটনায় পরদিন ১৪ অক্টোবর বিকালে মাহফুজের ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার পর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ কয়েদির মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাসে আগুন
ফরিদপুরে স্কুল থেকে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন ওরফে ফেন্সি (৪০) এবং শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর (৫২)।
কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক অমূল্য কুমার জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে গাড়িটির গতিরোধ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজের চার দিন পর সিলেটের শ্রীরামপুরের ইয়ামিন আরাফাত হামিমকে (১৯) অচেতন অবস্থায় টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে হামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হামিমের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইয়ামিন আরাফাত হামিম মোগলাবাজার থানাসংলগ্ন শ্রীরামপুরের শেখপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে মোবাইল ফোন বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন হামিম। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
এ ঘটনায় তার বাবা বুধবার (১১ অক্টোবর) মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হামিমের পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর হামিমের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল আসে। তখন হামিম বলে, তাকে ৪ জন লোক একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে। তাদের হাতে বন্দুক আছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে হামিমের সঙ্গে তার পরিবারের শেষ কথা হয়। তারপর থেকে হামিমকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায় তার পরিবার।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টায় কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিন আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
নাইজেরিয়ায় গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ক অপহরণ
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য ওন্ডোর একটি গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ওন্ডোর স্থানীয় সরকারি এলাকা ওসের একটি গির্জায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান চলাকালীন বন্দুকধারীরা গির্জার বাদকদলের কমপক্ষে ২৫ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের রটারডামে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
ওন্ডোর পুলিশের মুখপাত্র ওলুফুনমিলায়ও ওদুনলামি-ওমিসান্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে ওই এলাকায় পুলিশের অপহরণ বিরোধী বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে মিলে কয়েকজন অপহৃতকে উদ্ধারে আমরা অনেকটাই এগিয়েছি।
তবে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তেজগাঁওয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আইনজীবী ভুবনের মৃত্যু
‘আমি ভেবেছিলাম, সবাই আমাকে ভুলে গেছে’: কর্নেল সুফিউল আনাম
জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে আল-কায়েদা দ্বারা অপহরণ করেছিল। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) -এর সহায়তায় উদ্ধার হওয়ার পর আজ ঢাকায় ফিরে এসেছেন তিনি।
বুধবার সুফিউল আনামকে বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সুফিউল তার আগমনের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তার বন্দিত্বের হতাশাজনক বর্ণনা দেন। তাকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সুফিউল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এনএসআই কর্মকর্তারা আমাকে উদ্ধার করে।’ এজন্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সবাই আমাকে ভুলে গেছে। কিন্তু যখন আমি এনএসআই সদস্যদের সঙ্গে দেখা করি, তখন আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে আমাকে ভুলে যাওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: উত্তর নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত, ৫ ত্রাণকর্মীকে অপহরণ
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন,‘সন্ত্রাসীদের অপহরণ করার পর জীবিত বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবিনি। গত ১৮ মাস ধরে আমি খুব বিপজ্জনক পরিবেশে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুফিউল তাকে উদ্ধারকারী এনএসআই কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের পেশাদারিত্ব এবং তাদের দায়িত্ববোধ ভুলে যাব না।’
কীভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুফিউল বলেন, ‘১৮ মাস আগে যখন আমি পেশাগত দায়িত্ব থেকে ফিরে আসছিলাম তখন আমাকে অপহরণ করা হয়... বন্দিদশায় প্রতিদিনই মৃত্যুর ভয় দেখা দেয়। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে কারাভোগ শেষে ফিরছেন ৫ বাংলাদেশি
ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
ফরিদপুর সদর উপজেলার মুন্সিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১০) নিখোঁজ রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপরহণ করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
ফরিদপুর পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির বাড়ি। (প্রতিষ্ঠানের নীতিগত কারণে এই শিশুকন্যার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হলো)।
পরিবারের লোকজন জানান, ওই শিশু বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে স্কুল ছুটির পরে আর বাড়ি ফিরেনি।
ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, দেড় মাস আগে তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েকটি ছেলে স্কুল ছুটির পরে মুন্সিবাজারের পাশের রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে শহরের কৃষি কলেজের সামনে গাড়ি দাঁড়ালে সুযোগ পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে আসে শিশুটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার বিবরণ মেয়ের মুখে শোনার পর থেকে আমরা খুব সর্তকতা অবলম্বন করতাম। তবে কিছু দিন না যেতেই এমন ঘটনা আবার ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়নি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে এসেছিল। তবে ছুটির পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার বাড়িতে গেয়েও খোঁজ-খবর নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ তারা যেন বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখেন।’
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
রাঙামাটিতে অপহরণের দুইদিন পর ৩ শ্রমিক উদ্ধার