শাবিপ্রবি
সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে অর্ণব তালুকদার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
অর্ণব তালুকদার সিলেট শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুকুরে গোসল করতে নামার পর ডুব দিয়ে আর না উঠলে উপস্থিত লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে।
পরে সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাঁতার শেখার জন্য তিনি হয়ত এসেছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে৷
তিনি বলেন, পুকুরে গোসল না করার জন্য আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম৷ পাশে নির্দেশনা ফলকও রয়েছে৷
পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় যে কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। তাই সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রক্টর।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিং করার সময় ডুবে গেল ক্রেন
বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার এবং বিষণ্ণতার প্রভাবকসমূহ নিরূপণের বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘Prevalence of depression and its associated factors among undergraduate admission candidates in Bangladesh: Anation-wide cross-sectional study’ শিরোনামে একদল গবেষক বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ২০২১-২২ এইচএসসি সেশনের প্রায় ৫ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।
এ জরিপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ৩টি ক্যাটাগরিতে বিষণ্ণতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি কিউ-১ জার্নাল প্লস ওয়ান জি (ইম্পেক্ট ফ্যাক্টর: ৩.৭, ২০২২) এ গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ ভর্তি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এর মধ্যে মাঝারি বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ, অত্যধিক বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ এবং ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী মারাত্মক পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
তিনি বলেন, বিষণ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস, উভয় পক্ষেই প্রভাবক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বিষণ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে লিঙ্গ, ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার, পারিবারিক সমস্যা, গুরুতর অসুস্থতা, কোভিড আক্রান্ত, প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল, মানসিক সমস্যা।
অন্যদিকে, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস, শরীরচর্চা, পড়াশুনার সময়, ধর্মচর্চা, বিষণ্ণতা হ্রাস করতে ভুমিকা পালন করে। পারিবারিক আয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বিষণ্ণতার প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হলেও এদের প্রভাব খুব জোরালো নয়।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিষণ্ণতার সঙ্গে ধুমপানের অভ্যাস, বৈবাহিক অবস্থা, প্রেমের সম্পর্ক ও ধর্মবিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উঠে এসেছে এই গবেষনায়।
এ গবেষণার আরেক গবেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক প্রায় দ্বিগুণ। খুব সম্প্রতি কোনো প্রকার ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হওয়া এবং পারিবারিক সমস্যায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক যথাক্রমে ২ গুণ এবং ৩ গুণ।’
আরও পড়ুন: গবেষণায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এমএলএলডব্লিউএস’র চুক্তি
অপরদিকে, যাদের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ আছে তাদের মাঝে বিষণ্ণতার হার অধিক এবং ঝোঁক প্রায় দেড়গুণ। তবে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন এবং নিয়মিত শরীরচর্চাকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার তুলনামূলক কম এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝোঁক যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ এবং ২ গুণ কম।
বিষণ্ণতা হ্রাস করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সৎসঙ্গ এবং উত্তম পারিবারিক পরিবেশ ও বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে শরীরচর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শুধু দৈহিক সুস্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। শুধু ভালো একাডেমিক ফলাফল নয়, দৈহিক ও মানসিকভাবে বলিষ্ঠ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
গবেষণাটিতে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাফিউল হাসান ও আল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনমুন সরকার, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিলাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আখের আলী, চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
দেশে প্রথম তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স' নামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) উদ্ভাবনকারী দলটির পরিদর্শক ও পরামর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
উদ্ভাবিত যানটির বিশেষত্ব সম্পর্কে ড. ইফতে খাইরুল আমিন বলেন, যানটিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সম্বলিত ইনভার্টার টেকনোলজি, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, কিলো হার্জ রেঞ্জ রেজন্যান্ট কাপলিং, সিরিজ সিরিজ কম্পেন্সেটিং নেটওয়ার্ক, ভুল সংযোগ প্রতিরোধী টেকনিক, প্রোটেকশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষত্ব রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৪০ শতাংশেরও বেশি কার্যদক্ষতা রয়েছে এই যানটিতে। তৈরির পরে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই যান চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন। এটি তারা সফলভাবে চালাতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, এই উদ্ভাবন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন একটি বড় অর্জন। তেমনি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বড় একটি মাইলফলকও বটে।
উদ্ভাবিত প্রজেক্টের দলের সদস্যরা হলেন — ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম, মো. কবির হাসান ও আজম জামান, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান জাকারিয়া, মো. রিফাত হোসেন, আবির মাহমুদ, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, মো. ইরফান উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও মো. তাওসিফুল আলম।
এছাড়াও এই প্রজেক্টের পরিদর্শক ও পরামর্শক ছিলেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক নাফিস ইমতিয়াজ রহমান।
আরও পড়ুন: সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) চার অনুষদের চারজন গবেষক (শিক্ষক)।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ- শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ১১তম বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪ জন গবেষক হলেন-
১) অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসাইন।
২) ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসাইন।
৩) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
৪) লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান।
বার্ষিক এ গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
দুই দিনব্যাপী এই বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে ১৯টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৮১টি গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারে আওতায় এক বছর মেয়াদি ১৬১টি গবেষণা প্রকল্প, দুই বছর মেয়াদি ২৯টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
এই অর্থবছরে গবেষণায় মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গবেষণা প্রণোদনা হিসেবে গবেষকদের জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা রোধে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার ও শনিবার) ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া যেদিন হরতাল-অবরোধ থাকবে না সেদিনও ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শুক্রবার ও শনিবারে অবরোধ না থাকায় এ দুইদিন বিভিন্ন বিভাগে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাকি দিনগুলোতে অবরোধ না থাকলে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে গোয়াইনঘাট থানার সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়াইনঘাট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খালিক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নিহত রাকিবুল হাসান সিফাত নামের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এএসআই খালিক বলেন, ‘ভোর রাত ৪টার দিকে আমরা তার লাশটি রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করি। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে সে এক্সিডেন্ট করেছে। সে মোটরসাইকেল যোগে কোথাও যাচ্ছিল।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'আমরা খবর পেয়েছি সে এক্সিডেন্ট করেছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।'
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৮তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য জানান, ক্লাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে (সহপাঠীকে মারধর) বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. গুলশান আহমেদকে ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার আদেশ বহাল থাকা অবস্থায় হলে ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পাশাপাশি বাংলা বিভাগের একই বর্ষের সালমা আক্তার বিথী নামের আরেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় (লুজ পেপারে আগে লিখে নিয়ে এসে পরীক্ষায় জমা দেওয়া) অবলম্বনের জন্য ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের (স্নাতকোত্তর) ৫ জন, ২০২০-২১ সেশনের (প্রথম বর্ষ) ১ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ১ জন, রসায়ন বিভাগের ১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য একটা করে কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তী সেমিস্টারে তারা এ কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
শাবিপ্রবি থেকে প্রথমবার উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো ২০ জন শিক্ষার্থীকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এতে ৬ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি, ৯ জন শিক্ষার্থী এমফিল এবং ৫ জন শিক্ষার্থীকে এমএসএসি ইঞ্জনিয়ারিং ডিগ্রি প্রধান করা হবে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ তরান্বিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকে তরান্বিত করতে শিক্ষকদের জন্য নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষকদেরকে যথাসময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে জমা দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ২০ টাকা করে ‘বিলম্ব ফি’ ও একাডেমিক কাউন্সিলে তাদের নাম শোকজের সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে বিভিন্ন ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণায় বাংলাদেশে জলজ খাদ্য ব্যবস্থা, জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণ বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণাটি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘মেরিন পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে গবেষণাটি ১০০ এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধে উদ্বৃত (সাইট) করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ও ড. মো. আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।
গবেষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ একটি বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। যদিও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রভাবকে বিভিন্ন সেক্টরে কিভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছে, তবে এখানে জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা এবং খাদ্য সংকট অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ রকম এক বাস্তবতাকে মাথায় রেখে, এই গবেষণায় জলজ খাদ্য খাত এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যার সঙ্গে ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর এর প্রভাবকে সংযুক্ত করে বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জগুলো নিরূপণ করে তা সমাধানের ব্যবধান পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী জানান, কোভিড-১৯ ওভারভিউ; একইসঙ্গে জলজ ইকোসিস্টেম, ক্ষুদ্র আকারের মৎস্য চাষ, জলজ খাদ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে এর সংযোগ বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কিভাবে অনুভূত হয়েছিল এবং কিভাবে তারা জলজ খাদ্য ব্যবস্থা এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষকে প্রভাবিত করেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধ্বংসী প্রভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে।
তিনি জানান, আকস্মিক অসুস্থতা, আয় কমে যাওয়া, উৎপাদন ও ইনপুট সংগ্রহ শুরু করতে জটিলতা, শ্রম সংকট, পরিবহন বিমূর্ততা, খাদ্য সরবরাহে জটিলতা, দুর্বল মূল্য শৃঙ্খল, নিম্ন ভোক্তা চাহিদা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পাওনাদারের চাপকে প্রাথমিকভাবে প্রভাবিতকারী চালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা মনে করেন যে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা উভয় সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বিকল্প আয় সৃষ্টির সুযোগ, রেশনিং ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও প্রেরণামূলক কর্মসূচি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই, গবেষণাটিতে জলজ খাদ্য খাত এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর মহামারির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য নীতি নির্ধারকদের দ্বারা গৃহীত নীতিগুলোরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
সমুদ্র অর্থনীতিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এখনই জোর দেওয়া উচিত
সমুদ্র অর্থনীতিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এখনই জোর দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার।
তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে। ২০৩৭ সাল নাগাদ বিশ্বে জনসংখ্যা হবে ৯ বিলিয়ন। আর এই বহুল জনসংখ্যার খাদ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের সমুদ্রের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হবে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত এই সমুদ্র সম্পদ নিতেই থাকি। তাহলে একসময় আমাদের এই সম্পদের মজুদ ফুরিয়ে যাবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমুদ্র অর্থনীতির গুরুত্ব ও করণীয় নিয়ে বার্তাসংস্থা ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেন ড. সুব্রত সরকার।
তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা রাখতে চাই, তাহলে আমাদের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এই উপমহাদেশে সমুদ্রের গুরুত্ব পেয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমুদ্র পথে আসার প্রাক্কালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমুদ্রের বিষয়টি মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা জয়ের পর গুরুত্ব পায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বর্তমানে সরকার ব্লু ইকোনোমি এর ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনোমির ক্ষেত্রে ফিসারিজ সার্ভে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতীতে এই ফিসারিজ সার্ভের জটিলতা থাকলেও বর্তমানে সরকার ফিসারিজ সার্ভে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকার এখন সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে মৎস্য চাষে গুরুত্ব আরোপ করেছে। বর্তমানে আমাদের মৎস্য আহরণ উপকূলের ৪০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ৪০ মিটারের বাইরেও মৎস্য আহরণে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা টুনা মাছ সম্পর্কে অনেকেই জানি। আমাদের সাগর অংশে টুনা মাছ ওইভাবে ধরা পড়েনি। সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী সরকারিভাবে টুনা মাছ ধরা হবে। আর অন্যরা যাতে টুনা মাছ ধরার জন্য আগ্রহী হয় সরকার সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টর যেনো সমুদ্র অর্থনীতির অংশ হিসেবে আনা যায় সরকার এজন্য কাজ করছে।
সুব্রত সরকার জানান, সমুদ্র অর্থনীতিতে বর্তমানে সি-উইড বিশাল একটি অংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে সি-উইড চাষের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে বড় পরিসরে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক আকারে এই সমুদ্রসম্পদ সি-উইড উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি জানান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তিনটি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া এবং একটি মেরিন রিজার্ভ ঘোষণা করেছে। মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া ছাড়াও সমুদ্র অর্থনীতিতে ট্যুরিজমের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষণীয়। সরকারের এইদিকে বিশেষ নজর দেখা যাচ্ছে।
সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে সুব্রত সরকার বলেন, চলতি বছরের ১২ মার্চ থেকে ২৩মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সমুদ্র বিষয়ক সংস্থা পোগো এবং শাবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জাপানভিত্তিক সংস্থা নিপ্পন ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায়, জাতিসংঘের সমুদ্র দশক (২০২১-২০৩০) প্রোগ্রাম ও ভারতের জাতীয় সমুদ্র তথ্যসেবা কেন্দ্রের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭টি দেশ হতে ১৫০টি এর মধ্যে টপ ২২জনকে ট্রেনিং প্রদান করা হয়। যেখানে সমুদ্র অর্থনীতিতে সমুদ্রসম্পদের
ব্যবস্থাপনার দিকগুলোকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়। সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহার, সুনীল অর্থনীতির ক্রমবিকাশ, সমুদ্র ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া এখন জরুরি। সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এর যেমন জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান কর্মতৎপরতায় সমুদ্র অর্থনীতি আরও বেশি এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ভবনের একটি কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: কোনাবাড়ীর ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ভবনের ১২৭নং কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি ছিল।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কক্ষের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও চেয়ার-টেবিল পুড়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসির শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আগুন কক্ষের বাইরে ছড়াতে পারেনি। এর আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে টায়ারের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক