কর্মবিরতি
চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির হুমকি এনবিআর কর্মীদের
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে তার পদ থেকে অপসারণ না করা হলে শনিবার থেকে সারা দেশের সকল কর, শুল্ক এবং ভ্যাট অফিস সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংস্থাটির সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৩ জুন) আগারগাঁওয়ে এনবিআর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের সভাপতি হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সাধারণ সম্পাদক সেহেলা সিদ্দিকা এই হুমকি দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন এবং দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
তাদের চলমান বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন এনবিআর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সোমবার এনবিআর সদর দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলম-ধর্মঘটও পালিত হয়েছে। যেখানে বেশ কয়েকজন প্রতীকী সাদা কাফন পরেও অংশগ্রহণ করেছেন।
কাউন্সিল অভিযোগ করেছে যে, রবিবার আয়কর শাখার পাঁচ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে— যেটিকে তারা 'প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা' বলে অভিহিত করেছে।
এর মধ্যে গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের দুইজন, এনবিআর বোর্ড অফিসের একজন এবং ঢাকা ও কুমিল্লার কর অঞ্চলের আরও দুইজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিল এই বদলিকে ‘প্রতিহিংসামূলক ও নিপীড়নমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, সোমবারের মধ্যে আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে মঙ্গলবার থেকে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হবে।
নতুন কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা এবং রপ্তানি ব্যতীত সারা দেশের সকল কর, শুল্ক ও ভ্যাট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট এবং কলম ধর্মঘট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তারা বলেন, যদি আবার একই রকম বদলি আদেশ জারি করা হয়—তাহলে ২৫ এবং ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট এবং কলম ধর্মঘটসহ আরও কর্মসূচি পালন করা হবে। এসব কর্মসূচি চলাকালে আন্তর্জাতিক যাত্রী এবং রপ্তানি পরিষেবাও অব্যাহত থাকবে।
কাউন্সিল সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হয় এবং ২৭ জুনের মধ্যে বদলি আদেশ বাতিল না করা হয়, তাহলে শনিবার থেকে সমস্ত শুল্ক, ভ্যাট এবং আয়কর অফিস ‘সম্পূর্ণ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ’ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা
লিখিত বিবৃতিতে কাউন্সিলের নেতারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান সম্প্রতি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিষ্ঠিত রীতি নীতি লঙ্ঘন করে সিনিয়র কমিশনারদের বদলি করেছেন।
একই সাথে, তিনি একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে কর প্রশাসনের একটি সংবেদনশীল পদে নিয়োগ করেছেন, এতে বলা হয়েছে।
তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বহিরাগতদের একত্রিত করার এবং অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং আরও বদলির হুমকি দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগও করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপগুলো একটি স্বাভাবিক কর্মপরিবেশকে ব্যাহত করছে এবং রাজস্ব আদায়ের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’
১৬৪ দিন আগে
সোমবার ২ ঘন্টা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
রবিবার (২২ জুন) সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম।
এর আগে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিচ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন কর্মচারীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন।
মিছিল থেকে ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না, মানবো না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ফ্যাসিবাদী কাল আইন, মানি না মানবো না’, ‘আপস না লড়াই, লড়াই লড়াই’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’-সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ
চাকরি নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের আশঙ্কায় একাধিক বিভাগের সরকারি কর্মচারীরা যে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, আজকের কর্মসূচি ছিল তারই অংশ।
এর আগে, ১৯ জুনও সচিবালয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন সরকারি কর্মচারীরা। অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তারা।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। । এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
১৬৫ দিন আগে
চারদিন ধরে বন্ধ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, বিপাকে রোগীরা
চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংঘর্ষের জেরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে, বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।
শনিবারও (৩১ মে) হাসপাতালের ফটক বন্ধ থাকায় ঢাকার বাইরে থেকে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদেরও ফেরত যেতে হয়েছে। অচলাবস্থা শেষে চিকিৎসাসেবা কবে চালু হবে, সে বিষয়েও কিছু বলছে না কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৮ মে) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও চারদিন ধরে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে রেখেছে কতৃপক্ষ। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা আসছেন। কিন্তু ফটক বন্ধ থাকায় ভেতরে যেতে পারছেন না তারা, গেইটের বাইরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও। জুলাই যোদ্ধা মনির নিজের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কি আর করবো ভাই বলেন? কাকে দুঃখের কথা বলবো? চারদিন ধরে হাসপাতাল বন্ধ, চিকিৎসা সেবা বাদ দেন। খাবারও দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাসায় চলে আসতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের কনসালটেন্ট সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জান-এ আলম মৃধার নির্দেশনায় আমরা চিকিৎসকরা কেউ হাসপাতালে যাচ্ছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন ওনার নির্দেশনাতেই সেবা দিতে যাবো।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
তিনি আরও জানান, ‘২৮ মে জুলাই আন্দোলনে আহতরা তাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এক সময় আমাদের স্টাফদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেদিন সেবা চালু ছিলো। তবে ২৯ মে থেকে পুরোদমে সেবা বন্ধ।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জান-এ আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত কাজে ফিরতে চাচ্ছেন না চিকিৎসক ও নার্সরা। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।’
দ্রুতই চিকিৎসা সেবা চালু করতে চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’
গত বুধবার (২৮ মে) চিকিৎসা সংক্রান্ত ত্রুটি হচ্ছে— এই অভিযোগে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও স্টাফদের হামলা করে জুলাই আন্দোলনের আহতরা। এতে চিকিৎসকসহ প্রায় ১৫ জন স্টাফ আহত হন। এরপরই ন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেবা কার্যক্রম।
এর আগে, গত রবিবার (২৫ মে) চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা বিষপান করেন। তাদের অভিযোগ— উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন আহতরা। একঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর হাসপাতাল সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর বুধবার সকাল থেকে, নিরাপত্তার দাবি তুলে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের কর্মচারীরা। এরপরেই, হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।
১৮৭ দিন আগে
পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীদের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করেছে, যা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি আত্মঘাতী। আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যখাতের বিপ্লব সাধনের জন্য পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি।’
এছাড়া আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান আইডিএ সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো—
১. ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না’—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, তাদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে—
ক. দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতিবছর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
গ. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে এসএসসি পাশ করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
২৮৪ দিন আগে
শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন। এ সময় সরকারিভাবে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
শ্রমিকদের কর্মবিরতির মাঝে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল অব্যহত থাকলেও বরিশালে পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বরিশালের নেতা একিন আলী মাস্টার বলেন, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিতে হবে। সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অবিলম্বে এই দাবিগুলো মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৩৪২ দিন আগে
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা, রোগীদের দুর্ভোগ
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে করে হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এদিকে এই বিষয় সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সভা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর ছেলে মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বামী ইরফান বলেন, আমার স্ত্রীর বুধবার সকালে ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সব কার্যক্রম চালু হবে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
৪৪৯ দিন আগে
১১ দফা দাবিতে অনড় খুলনা পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)
সম্প্রতি দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে পুলিশ হত্যার দাবিতে শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজের পর শোক র্যালি ও কর্মবিরতি পালন করেন কেএমপি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির হাতে আটক এসবিএসি’র সাবেক চেয়ারম্যান
তাদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার।
২. ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা।
৩. বেশি ডিউটি করলে ওভার টাইম সুবিধা প্রদান।
৪. শুক্র ও শনিবারসহ সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান।
৫. দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসেবে আর্থিক সুবিধা প্রদান।
৬. সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া।
৭. পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
৮. নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা।
৯. পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা।
১০. বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলায় প্রাধান্য নিশ্চিত করা।
১১. পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
র্যালি থেকে পুলিশ সদস্যরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এখনও চিন্তিত। তাই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছি না। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না।
এছাড়া পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলে জানান তারা।
র্যালিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
৪৮২ দিন আগে
পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবারও বাকৃবিতে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বাকৃবি করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাকৃবির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ববি
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন।
বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কিম থেকে ভালো অন্য কোনো স্কিম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’
পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা এবং কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব বৈষম্য চাই না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির কর্মচারীরা।
বাকৃবির বাকৃবি শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করলাম।’
আরও পড়ুন: প্রত্যয় পেনশন স্কিম: তৃতীয় দিনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি
বাকৃবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কর্মচারীদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন
৫১৯ দিন আগে
প্রত্যয় পেনশন স্কিম: তৃতীয় দিনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি
'প্রত্যয়' পেনশন স্কিম থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
এর আগে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রবর্তিত নতুন পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাস্তবায়নের প্রতিবাদে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ বর্জনের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও।
৫১৯ দিন আগে
দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ববি
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ববি শিক্ষক সমিতি ও ববি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
এসময় সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালুর দাবিও জানানো হয়।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাস, পরীক্ষা, সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম- সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ববি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি: মার্কিন দূতাবাস
৫২০ দিন আগে