বস্তিবাসী
রাজধানীর বস্তিগুলোতে নেশার ছোবল
রাজধানীর বস্তিবাসীদের মানবেতর জীবনের নানা দিক নিয়ে গল্প নতুন নয়। তবে সেখানকার মানুষ কতটা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে, সেটা নিয়ে সব সময়ই নানা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে সম্প্রতি সরেজমিনে ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ঘুরে তাদের জীবন-চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করে ইউএনবি।
তাদের নানা সংকটের মাঝেও সম্প্রতি আবির্ভাব হয়েছে নতুন এক সংকটের। মাদকের করাল গ্রাসে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার বস্তিগুলো। কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ, এমনকি মাঝবয়সী ব্যক্তিরাও নেশায় আসক্ত হয়ে সমাজ, সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে কথা হয় সাদিয়া (ছদ্মনাম) নামের এক কিশোরীর সঙ্গে। সে জানায়, তার বাবা আগে কাজ করতেন, এখন সারা দিন নেশা করে পড়ে থাকেন। তাই বিভিন্ন বাসায় কাজ করে কোনোমতে সংসার চালাতে হচ্ছে তার ও তার মায়ের।
ছোট্ট ঘরে এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন আতিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। ছেলেটা আগে একটা দোকানে কাম করত, কিন্তু কয়দিন হয়, নেশার পাল্লায় পইড়া আর কামে যায় না।’
আরও পড়ুন: রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, লাঠিপেটা
‘আমি আগে দুইটা বাসায় কাম করতাম, কিন্তু এহন ৬টা বাসায় কাম কইরাও সংসার চলে না। ছেলেটাকে নেশার টাকা না দিলে গায়ে হাত তোলে।’
সিফাত নামের ১৬ বছরের কিশোর একটি দোকানে কাজ করে। স্কুলেও ভর্তি হবে বলে জানায় সে।
সিফাত বলে, ‘আমাদের এখানে আমার অনেক বন্ধু আগে কাজ করত, কিন্তু এখন আর করে না; নেশা করে।’
কী নেশা করে—জানতে চাইলে সে বলে, ‘ইয়াবা, বিভিন্ন ট্যাবলেট, গাঁজা, আরও অনেক কিছু।’ কোত্থেকে আনে?—উত্তরে জানায়, ‘বার আছে, রাজাবাজার থেকে আনে। মা-বাবাও জানে না। তাদের থেকে টাকা নিয়ে নেশার জিনিস কেনে।’
বস্তির জীবন
কড়াইল বস্তিতে এক রুমের ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকছেন অনেকে।
আসমা খাতুন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘এদিকে কাজের খুব অভাব। মাসে ৪-৫ হাজার টাকা দিয়ে সারা দিন কাজ করতে বলেন মালিকরা। কিন্তু আমাদের বাসা ভাড়াই সাড়ে তিন-চার হাজার টাকা। কাজ না পেয়ে অনেক মহিলারা ভিক্ষা করে। অনেকে আবার অনৈতিক কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই নেশা করে। যারা নেশা করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও নেশার কারণে খারাপ হয়ে গেছে। আবার যারা কাজ পায় না, তাদের অবস্থাও খারাপ।’
মিরপুরের রূপনগরের দুয়ারীপাড়ার বস্তি ঘুরেও দেখা যায় প্রায় একই চিত্র।
সেখানে ছোট্ট ঘরে থাকা রুপা (১৪) বলে, ‘আমার মা, আমি, বাবা আর আমার ছোট বোন এখানে থাকি। বাবা আগে কাজ করত। এখন নেশা করে পড়ে থাকে। আমি আগে স্কুলে পড়তাম। বাবা কাজ বন্ধ করার পর আমিও মায়ের সঙ্গে বাসায় কাজ করি, না হলে সংসার চলে না।’
বাসিন্দাদের মতে, কয়েক হাজার মানুষ বাস করে এ বস্তিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর বলে, ‘আমিও মাঝে মাঝে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নেশা করতাম। পরে বাবা টের পেয়ে মারধর করে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বন্ধুরা বেশিরভাগই নেশা করে।’
এদিকে মালিবাগ রেলগেটে ভাসমানভাবে যুগ যুগ ধরে বাস করছে কিছু মানুষ। তাদের মধ্যে জহুরুল হক থাকেন তার স্ত্রীকে নিয়ে। শীত, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পলিথিনে বানানো ঘরে থাকেন তারা।
যারা দুবেলা খেতে পান না, পাবলিক টয়লেটে প্রতিবার ৫-১০ টাকা করে দৈনিক অন্তত ২০-২৫ টাকাও দিতে হয়, যেটা সামান্য আয়ে তাদের জন্য বাড়তি খরচ। এটা বিনামূল্যে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তারা।
পড়াশোনাও করছে অনেকে
আরও পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
নাসিমা নামের একজন বলেন, ‘আমার ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। আমার বোনের দুই ছেলে; একজন কলেজে, আরেকজন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।’
বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক রাসেল সরোয়ার বলেন, ‘কড়াইল বস্তির দুই অংশ মিলে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ বাস করে। আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাই এবং গড়ে ৫/৬ জনকে আটক করি। নেশায় আসক্ত অনেক ছেলে রয়েছে; এদের মধ্যে যুবক বেশি। আসলে জন্ম থেকেই এমন পরিবেশে বড় হয় তারা, তাই সহজে ভালো কিছু শেখে না।’
‘তবে এর মধ্যে অনেকে পড়াশোনা করে ভালো অবস্থানেও চলে যায়। মা-বাবা কাজ করে যা আয় করে, সেটা দিয়ে বস্তিতে থেকেও সন্তানদের পড়াচ্ছেন। এই সংখ্যাটা কম হলেও এটা অনেক পজিটিভ সাইড।’
নেশার পেছনে কারণ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, ‘প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ের বেড়ে ওঠার জন্য পরিবারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিম্নবিত্ত ও বস্তির দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষগুলোর জীবন শুরুই হয় অভাব-অনটনের মধ্যে। ছেলেমেয়েকে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ তারা পান না। সেক্ষেত্রে খুব কম সংখ্যক পরিবার হয়তো সন্তানকে পড়াশোনা করাতে পারেন। তবে বেশিরভাগই অভাবের তাড়নায় নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত হয়ে যায়।’
ঢাকার বস্তিবাসী তরুণ ও যুবকদের মধ্যে মাদকের ক্রমবর্ধমান ছোবল কেবল ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সংকট নয়, বর্তমানে এটি সামাজিক জরুরি অবস্থায় পরিণত হয়েছে। আসক্তি যেহেতু শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না, বরং সামাজিক অবক্ষয়েও ইন্ধন জোগায়, তাই শিক্ষা, কাজের সুযোগ ও পুনর্বাসন কর্মসূচিসহ ব্যাপকভাবে বস্তিবাসীর জীবনের ওপর ইতিবাচক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আসক্তি ও দারিদ্র্যের চক্রে পড়ে গোটা প্রজন্মের হতাশার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
রাজধানীতে পাঁচ হাজারের বেশি বস্তি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ কড়াইল বস্তিই ৫০ হাজারের বেশি মানুষের আবাসস্থল।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘স্বর্ণালংকার লুট’
তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা বিশ্বের শহুরে জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের বাস বস্তিতে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১১০ কোটি মানুষ শহরে বস্তি কিংবা বস্তির মতো পরিবেশে বসবাস করছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ৩০ বছরে আরও ২০০ কোটি মানুষের ঠিকানা হবে বস্তি।
ক্রমবর্ধমান এই নগর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই আবাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
২৮৪ দিন আগে
সীতাকুণ্ডে বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনসার সদস্যসহ আহত ১০
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে বৃহস্পতিবার অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনসার সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, সলিমপুরের আলী নগরে র্যাবের একটি ক্যাম্প হবে। মূলত জায়গাটা দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গেলে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হালচাষকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে তীরধনুক নিয়ে সংঘর্ষ: আহত ৩
আহতদের মধ্যে ছয়জন হলেন- আনসার সদস্য বাবলু মন্ডল (২৮), বস্তিবাসী মো. আলীরাজ হোসেন (২৬), আমেনা বেগম (৩৫), আমেনা বেগম (৫০), মো. পারভেজ ও মো. রসুল (২০)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
ওসি আবুল কালাম বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জায়গা পরিদর্শনে এলে তাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে আলীনগরের অবৈধ বাসিন্দারা। এরপর আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ি।
আরও পড়ুন: বরিশালে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
গত ৩০ আগস্ট জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি না করলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয় জেলা প্রশাসন।
১১৮৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু আজ
ঢাকায় বস্তিবাসীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম চালুর পর এবার চট্টগ্রামেও বস্তিবাসীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে খুলশী থানাধীন ঝাউতলা ছিন্নমূল বস্তির ২ হাজার বাসিন্দাকে টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। পরে পর্যায়ক্রমে নগরীর সকল বস্তিবাসীদের টিকার আওতায় আনা হবে। একই সাথে চট্টগ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদেরও টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই আজ রবিবার থেকে বস্তিতে এ টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার চার দিনে ২ হাজার বস্তিবাসীকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। টিকা প্রদানের জন্য ৩ সদস্যের একটি টিমও গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বস্তিতে টিকাদান শুরু মঙ্গলবার
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস হোসেন জানান, ২১, ২৩ এবং ২৫ নভেম্বর নগরীর ঝাউতলায় ছিন্নমূল বস্তিতে এবং ২২ নভেম্বর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন করে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বস্তি এলাকার জন্য প্রায় ২ হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য ৩০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। টিকা নিতে আগ্রহীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে টিকা ডোজ সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও, বস্তিবাসীদের তালিকা করে সবাইকেই টিকার আওতায় আনার কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে ঢাকার কড়াইল বস্তিতে ১৮ বছর বয়সের বেশি সবাইকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ বস্তিশুমারির ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট বস্তির মধ্যে ১৬ শতাংশ বা ২ হাজার ২১৬টি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায়। এসব বস্তিতে মোট ১ লাখ ২৮ হাজার পরিবার বসবাস করে। প্রতিটি পরিবার বা খাবারের গড় সদস্য সংখ্যা ৩ দশমিক ৭৩।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ১০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন আসছে আজ
মহামারি শুরুর পর প্রথমবার মৃত্যুহীন বাংলাদেশ
১৪৭৫ দিন আগে
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বস্তিবাসীদের জন্য মঙ্গলবার মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৪তলার তিনটি ভবনের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ কাগজপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ভবনে লিফট, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, সৌর বিদ্যুত, কেভিএ সাব-স্টেশন, খোলা জায়গা ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ অনেক আধুনিক সুবিধা রয়েছে।
প্রতিটি ৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। দৈনিক ১৫০ টাকা এবং মাসিক ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর মিরপুর ১১ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। বস্তির বাসিন্দাদের উন্নত আবাসনে স্থানান্তরিত করার এটি প্রথম পর্যায়।
পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী
এ ধরনের আরও দুটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং প্রকল্প এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে একটি বস্তি ছিল।
এ প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট থাকবে যার জন্য ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাটগুলো আরও ১ হাজার এক পরিবারের মধ্যে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আজিমপুর সরকারি কলোনিতে রয়েছে ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট, মিরপুরে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মাঝে ফ্লাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন।
১৫৮৫ দিন আগে
কোভিড-১৯: আমরা কি গৃহহীন ও বস্তিবাসীকে প্রস্তুত করছি?
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক অদ্ভূত বিপর্যয় নেমে এসেছে পুরো বিশ্বজুড়ে। স্কুল-কলেজ, বাজার, গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশপাশি থমকে গেছে মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রাও।
২০৭৮ দিন আগে