সহায়তা
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে আগ্রহ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে ব্রিটিশ হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ম্যাট ক্যানেল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রসংশা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এছাড়া করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো করেছে বলে জানান তিনি।
ম্যাট ক্যানেল বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সাত লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে মেডিকেলে পড়ালেখা করতেও যাচ্ছে।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট ক্যানেলের উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতেও ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে এখন দরকার চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিটিশ হাই কমিশনারের কাছে চিকিৎসক ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের অনুরোধ জানান। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে তার সরকার বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
উভয় দেশের চিকিৎসক ও নার্সদের বেশি করে অঅিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে আরও প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের বিষয়েও তাদের আলোচনা হয়।
বাংলাদেশে যেখানে সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
এ সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ বাংলাদেশ হাতে নিয়েছে বলে ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আগামী ১০ বছরে বিশ্বে কোভিডের মতো আবারও কোনো মহামারি চলে আসতে পারে উল্লেখ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গবেষণা আরও বাড়ানো যায় কি না সে ব্যাপারে ভাবার পরামর্শ দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
উভয় দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা বলেন তারা।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত করা রুগ্ণ শিল্পগুলোর জন্য সরকার ঘোষিত এক্সিট সুবিধা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন এরূপ শিল্পের মালিকরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় শিল্প মালিকরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছিল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারখানার দায় দেনা অবসায়ন প্রকল্পে সরকার সার্কুলার জারি করেছে, কিন্তু ব্যাংকের অসহযোগিতার কারণে এক্সিট নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এসকল শিল্প রুগ্ণ হলেও, ব্যাংকগুলোর মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। এতে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারছেননা তারা।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা।
কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান, রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠিত হয়েছিল। রুগ্ণ শিল্প পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে নতুন করে রুগ্ণ শিল্পের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে রুগ্ন শিল্পের এক্সিট সুবিধা বাস্তবায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজনু বলেন, রুগ্ণ শিল্প ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু রুগ্ণ শিল্পগুলোর মালিকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি: জি-২০ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শনিবার ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন, অভিবাসী প্রবাহ রোধে সহায়তায় আগামী পাঁচ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও মানিয়ে নিতে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি।
তিনি বলেন, ‘ইতালি তার জলবায়ু তহবিলের ৭০ শতাংশেরও বেশি আফ্রিকার জন্য বরাদ্দ রাখবে। এর অর্থ হচ্ছে- আগামী ৫ বছরে ৩ বিলিয়ন ইউরো প্রশমন ও অভিযোজন উদ্যোগের জন্য সমানভাবে নির্ধারিত থাকবে।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেলোনি বলেন, ‘অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া 'রোম প্রসেস' এর অংশ হিসেবে এই অঙ্গীকার করা হয়েছে। যা ইতালি জুলাইয়ে আহ্বান করেছিল এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি নতুন মডেল গড়ে তোলা, উন্নয়ন সৃষ্টি করা, বৈধ অভিবাসন পথকে উৎসাহিত করা এবং অবৈধ অভিবাসন পাচারকারীদের শক্তিশালী অপরাধী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এইসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হতাশাকে কাজে লাগায়।’
মেলোনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল হিসেবে জ্বালানি ব্যবহারের অভিযোগ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্যই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং মরক্কোতে ভূমিকম্পে ৮২০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ইতালীয় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইউক্রেনের যুদ্ধ, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যসহ বহু প্রতিযোগিতামূলক সংকটের মধ্যে মিশরের শারম এল শাইখে ৬-১৮ নভেম্বর চলছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার শেষ সুযোগ হিসাবে বিবেচিত জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু আলোচনা।
বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম সম্মেলনে আলোচনা করা প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা উন্নত দেশগুলিকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদানের জন্য বোঝানোর চেষ্টা করবে যা তারা আগে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে জানান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে। এরপর ওই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য গাইডলাইন বা রুলবুক প্রণয়নের কাজ চলছিল এত বছর ধরে। সেটিও সম্পন্ন হয়ে অনুমোদন হয়ে গেছে গত বছরের গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে। পাশাপাশি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আলোকে গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা, মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং বন উজাড় বন্ধ করা।
এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে ২০৩০ সালের কার্বন নিঃসরণ ২০১০ সালের চেয়ে ৪৫ শতাংশ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু গত এক বছরে সেই সব প্রতিশ্রুতির ধারেকাছেও কোন দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো এখনও যায়নি।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউএনবিকে বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি দেয়া শুরু হয়েছিল সেই ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন থেকে। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি এসেছে। আবার এসব প্রতিশ্রুতি আদায় করতেও বাংলাদেশে মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এতে জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সমঝোতাকারীদের অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আরও বলছেন, ২০০৯ সালেই উন্নত দেশগুলো কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে দিবে। ২০২০ সাল গিয়ে ২০২২ সালও চলে যাচ্ছে। এখন সময়ের পরিবর্তনে ১০০ বিলিয়ন ডলারের চাহিদা ৫০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মূল প্রতিশ্রুতিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এর আগে ২০১০ সাল থেকে ফাস্ট ট্র্যাক ফাইন্যান্স হিসেবে উন্নত দেশগুলো তিন বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রতিও তারা ( উন্নত দেশগুলো ) বাস্তবায়ন করেনি। উল্টো পুরনো দেয়া ঋণ ও অনুদানকে গোজামিল দিয়ে হিসাব দিয়েছিল ২০১৩ সালে জলবায়ু সম্মেলনে।
এ প্রসঙ্গে সম্মেলন পর্যবেক্ষণকারী জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মো. সামছুদ্দোহা ইউএনবিকে বলেন, সেই কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে উন্নত দেশগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ওই সম্মেলনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কোর কমিটির মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের দাবি ছিল ২ ডিগ্রি নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। বাংলাদেশের সেই দাবিও কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে ঠায় পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বেডে যাওয়ায় বিশ্ব জোরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বেড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি নয়, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা আন্তঃসরকার প্যানেল আইপিসিসি তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে ঘটছে তাতে পৃথিবীকে রক্ষার জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই রাখতে হবে। জাতিসংঘ তাতে মত দেয়। শেষ পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো তাদের ২ ডিগ্রি দাবি থেকে সরে আসে। ফলে প্যারিস চুক্তিতে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানছে না উন্নত দেশগুলো। তাদের কারণে বর্তমানে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে তাতে এই শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি পৌঁছাবে। এই তথ্য খোদ জাতিসংঘ বিভিন্ন সংস্থার।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তাই এবারের জলবায়ু সম্মেলনের উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিশ্রুতি বাদ দিয়ে পুরনো ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে’ উদ্যোগী হয়েছেন। তাই এবারের জলবায়ু সম্মেলনেকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবাস্তবায়ের সম্মেলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সম্মেলনের শুরু থেকে নতুন দরকষাকষিতে না গিয়ে আগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মিশর প্রেসিডেন্সির সঙ্গে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। সম্মেলনে ১০০টি দেশের বেশি শীর্ষ নেতারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। সকলেই একবাক্যে তাদের দেয়া বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অনুসঙ্গ হিসেবে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ব্যবস্হা জোরদার করা। কারণ বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসে এই আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আরও উদ্ভোধন করেছেন, বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য গ্রিন হাউজ গ্যাস ইনভেন্টরি কার্যক্রম। এর মাধ্যমে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের প্রকৃতপক্ষে তথ্য জানা যাবে।
বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থার দেয়া কার্বন নিঃসরণ তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ফলে অর্থায়ন ও অভিযোজনের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য কার্বন নিঃসরণের প্রকৃত তথ্য জানা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নৌকাডুবিতে জীবনের যে ক্ষতি হয়েছে, পৃথিবীর কোন কিছু দিয়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবুও এই দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
সরকার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষের বিপদের সময় বিরোধীতা করবেন না। এটা নিয়ে রাজনীতিও করবেন না। বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন, এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।
মন্ত্রী বলেন, করতোয়া নদীতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের জন্যে এগিয়ে এসেছে সরকার। উদ্ধার কাজ তরান্বিতসহ সকল প্রকার মানবিক সহায়তা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতে জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক এলাকায় কাজ করছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানবিক সহায়তা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের নেতা আব্দুল লতিফ তারিন, আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আলম টবি, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, ব্যারিস্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি: রেলমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি: রেলমন্ত্রী
বাগেরহাট: পূর্বপুরুষদের পেশা ছাড়তে চায় প্রতিমা শিল্পীরা, সহায়তার আশ্বাস ডিসির
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মাটির প্রতিমায় জীবন্ত রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাটের প্রতিমা শিল্পীরা। বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরির এসব শিল্পীদের মন ভালো নেই। কারণ পরিশ্রম অনুযায়ী কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছে না তারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন এসব প্রতিমা শিল্পীরা। এ অবস্থায় পূর্বপুরুষদের এই পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশা খুঁজছে প্রতিমা কারিগরেরা। তবে তাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
সরেজমিনে শহরের শালতলা শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দিরে দেখা গেছে, শিল্পীরা রং তুলিতে দেবদেবীর প্রতিমা সাজাচ্ছেন। সেই সঙ্গে চলছে সাজসজ্জা আর লাইটিংয়ের কাজ।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ হচ্ছে দেবদেবীদের প্রতিমা। আর এই মুহূর্তে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবদেবীর প্রতিমায় রঙের কাজ চলছে। শিল্পীরা অপরূপ সাজে প্রতিমা সাজাচ্ছেন। মাটির প্রতিমায় জীবন্ত রূপ দিলেও প্রতিমার কারিগরদের জীবন অনেক কষ্টে যাচ্ছে। প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও তাদের পারিশ্রমিক বাড়েনি বলে জানালেন প্রতিমা শিল্পীরা।
বাগেরহাট শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার জানান, দুর্গোৎসব শুধু হিন্দুদের নয়। এটি বাঙালির সাংস্কৃতির অংশ। এই পূজা নির্বিঘ্নে করার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি করেছে: বিশ্বব্যাংকের ভিপি
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের এই অসাধারণ অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত।
আগামীকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে প্রথমবার সফরে আসার আগে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাইসার।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে আমি মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশে তার তিন দিনের সফরে রাইসার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
রবিবার বিশ্বব্যাপী ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, তিনি (রাইসার) বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাতের নেতা, সুশীল সমাজ ও থিঙ্ক ট্যাংক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
জার্মান নাগরিক রাইসার ২০২২ সালের ১ জুলাই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এই দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি চীন, মঙ্গোলিয়া ও কোরিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। তুরস্ক ও ব্রাজিলেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তিন হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান,সুদমুক্ত ও রেয়াতি ঋণ সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় ২৫৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক
ঢাকা ও ময়মনসিংহে গ্রিড আধুনিকীকরণে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ডলার ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশে শিশুদের জন্য সাড়ে ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করবে যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেছেন, সকল শিশুর জন্য ১২ বছরের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করাই যুক্তরাজ্যের দারিদ্র্য মোকাবিলা, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও সংঘাত কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা শিশুদের; বিশেষ করে মেয়েদের ও প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষার উন্নতির জন্য আগামী আট বছরে ৫৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বিনিয়োগ করব।’
ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে খেলাধুলা একটি শিশুর শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মেয়েদের ফুটবল দলের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
তিনি বৃহস্পতিবার মেয়েদের ফুটবল দলের জন্য একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যারা শিগগিরই কাতারে অনুষ্ঠিত স্ট্রিট চাইল্ড ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এই দলটি এমন শিশুদের নিয়ে গঠিত, যাদের সবাইকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারা এখন ঢাকার স্থানীয় শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (এলইইডিও) পিস হোমে বসবাস করছে।
এলইইডিও হলো ২০০০ সালে গঠিত একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। এলইইডিও এর লক্ষ্য শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবনধারা সহায়তার ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্বল পথশিশুদের রক্ষা করা এবং তাদের মূলধারার সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী এসব তরুণ অতিথিরা তাদের রাস্তায় থাকার সময়ের গল্পগুলো ভাগ করে নেন এবং অন্যান্য অসহায় শিশুদের ভবিষ্যত উন্নত করতে অতিথিদের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় আকলিমা খাতুন ও হালিমা আক্তারের সঙ্গে দেখা করার এবং তাদের আসন্ন বড় এই ম্যাচ সম্পর্কে পেশাদার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত।
এসময় তারা তাদের ফুটবলের দক্ষতা দেখায় এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি ‘কিপি-আপপি’ প্রতিযোগিতার জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়!
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।
এলইইডিও-এর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তার বিপদ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের রক্ষা করার জন্য তাদের সবাইকে একসঙ্গে তাদের আওয়াজ তুলতে হবে যাতে তারা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ইএনসিআরসি অনুসারে সকল শিশুরই মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ‘আমি ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এলইইডিও-এর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিল যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের সমস্যাগ্রস্ত সাংবাদিক ও অধিকার-কর্মীদের সহায়তা করবে আর্টিকেল নাইনটিন
বাংলাদেশের সাংবাদিক ও অধিকার-কর্মীদের তিন ক্ষেত্রে-আইনি, চিকিৎসা ও বিকল্প জীবিকা সহায়তা পেতে আবেদন জমা দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন।
মানবাধিকার সংস্থাটি সাংবাদিক, মানবাধিকার রক্ষাকারী (এইচআরডি) ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টদের সহায়তা করবে যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে দুর্দশার শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে হত্যায় আর্টিকেল নাইনটিনের নিন্দা
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
অধিকার সংস্থাটি যোগ্য সুবিধাভোগীদের ৩০ জুনের মধ্যে আবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ করেছে এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।