মুখোমুখি
স্বাধীন সাংবাদিকতা বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি: কাদের গনি চৌধুরী
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে নানা ধরণের ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। এ সময় গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি সংবাদ সংগ্রহ, পরিবেশন, প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার ও সাংবাদিকদের সক্ষমতার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন এসেছে অনেক।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর গ্লোবাল মিডিয়া ডিফেন্স ফান্ডের সহযোগিতায় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোনো প্রতিষ্ঠানেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে ওঠেনি। যার ফলে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার ঝুঁকি একটুও কমেনি। আগে থেকেই দাঙ্গা-বিক্ষোভে কখনও পুলিশ, কখনও বিবাদমান পক্ষের হাতে মার খাচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গুম বা অপহরণ হচ্ছেন। এবং কি হত্যার শিকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না সম্পাদকরাও।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী কিছু আইন। দেশের সংবিধানে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হলেও অনেক আইন আছে, যা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হয়। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে আইন থাকলেও তাদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই। এজন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন—স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় দেশে ৩২টি কালো আইন বিদ্যমান। এতো কালো আইন রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।’
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একটি হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠার রূপরেখা নিয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সংলাপে হেল্প ডেস্কের কাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়ে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল উইমেন লয়ার্স এসোসিয়েশনের উপপরিচালক নিঘাত সীমা, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পরিচালক (লিগ্যাল) মো. বরকত আলী, আইন সেবার আইনজীবী সুজয় চৌধুরী প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে আমরা দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আইন সহায়তাকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, সাংবাদিকদের জন্য আইনি সহায়তা, পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে এই হেল্প ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আমরা এ উদ্যোগে অংশীদার হতে চাই।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রস্তাবিত হেল্প ডেস্কটি সাংবাদিক সংগঠন ও আইন সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। যেসব সাংবাদিক আইনি সহায়তা চান, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট আইন সহায়তা সংস্থার কাছে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে, সাংবাদিকদের বিভিন্ন জেলা বা অঞ্চলের আইনি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্প শেষে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে এই হেল্প ডেস্ক মডেলটি টেকসইভাবে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ, সহায়ক এবং অধিকতর কার্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, ভূমি দখল কিংবা রাজনৈতিক সংবেদনশীল বিষয়ে রিপোর্ট করার কারণে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হন। এই প্রেক্ষাপটে একটি দ্রুত, সংবেদনশীল ও কার্যকর আইনি সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার জন্য হেল্প ডেস্ক গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠন ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শীঘ্রই এটিকে কার্যকর করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় হেল্প ডেস্ক গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুরুজ্জামান।
২১৯ দিন আগে
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের সকল কাজে যে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের বুঝতে হবে কোন পরিস্থিতিতে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট মহানগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ন্যায় বিচার চায়। আশাকরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায় বিচারের কাজটি করবেন।
সাকী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ইতোমধ্যেই অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে কি কি সংস্কার প্রয়োজন সেটি দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এমভি আল বাকেরার ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের রায় একটি ন্যূনতম রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এছাড়া আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত কাজ নয়। মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা এ কাজ করেছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভেঙে পড়া রাষ্ট্র হাতে পাওয়ার ৪ মাস পূর্ণ হলো। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না সেভাবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
৩৪৬ দিন আগে
সাহস থাকলে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন: হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এরকম কথাই বলতেন। সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরে আসুন এবং আদালতে বিচারের মুখোমুখি হোন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা উনার জন্য ভালো হবে। এছাড়া উনার বক্তব্য উনি যে ফিলোসোফিতে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেক আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন। উনি হয়তো সেটাই করবেন।’
রবিবার (২০ অক্টোবর) বার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় নয়। আইনের ব্যাখ্যার কথা যদি বলেন, আমি যতটুকু বুঝি একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন একটি কমপিটেন্ট ট্রাইব্যুনাল।’
তিনি আরও বলেন, সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে দেখতে হবে, যে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানে, বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা যেতে পারে, এটা একটা অপশন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হলো, ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। শেখ হাসিনা যে দেশে আছেন সে দেশের আইনে ইন্টারপোল কাভার করে কি না-তার জুরিসডিকশন কাভার করে কি না-এগুলো বিচার-বিবেচেনা করে ইন্টারপোল তার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনসহ দুটি অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতা হত্যা মামলায় শমসের মবিন কারাগারে
৪১০ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে প্রশাসন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে সহিংসতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
৪২১ দিন আগে
২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুমকে ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার সয়লাবে যেন জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সেই সঙ্গে পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। চলুন, এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহাসিক পূণর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্সঅফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য যে, এখন তিনি আর সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বনসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সেবার জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্সঅফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
শাহরুখের ‘কিং’
পরপর ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো হিট মুভি দেওয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটিকে। সঙ্গত কারণে বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান (২০২২)-এর পর এটি দম্পতি রণবীর-আলিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের পটভূমি
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ভাবেই ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর আবেগপূর্ণ পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধঃশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীরা পাচ্ছে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
৪৪৫ দিন আগে
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশব্যাপী সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা হবে এবং মামলার ধরন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এতে মাসুদ পারভেজ রেজা ভূঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন ও মুক্তাদির নামে তিন পুলিশ সদস্য এবং জুয়েল নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে মোট নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলেই তাদের টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া এক পুলিশ সদস্যের ১২ বছর বয়সি ছেলেকেও নির্যাতন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত ও বিএনপি হামলা চালিয়েছে এবং মাইক ব্যবহার করে জনগণকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে বলেছে।’
সরকার কারফিউ অব্যাহত রাখতে চায় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থানা ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে হামলার কারণে এটি আরোপ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৯৮ দিন আগে
টাঙ্গাইলে সিএনজি-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই-সখীপুরে সিএনজি-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের বাঁশতৈল ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ট্রাক উল্টে সিএনজিকে চাপা দেওয়ায় নিহত ১, আহত ২
নিহতরা হচ্ছেন- লুৎফর রহমান, রহিমা বেগম, আকাশ মিয়া ও নাজমুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, সিএনজির সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, গোড়াই-সখীপুর রোডে সখীপুরগামী একটি পিকআপ এবং বিপরীত দিক থেকে আসা হাটুভাঙ্গাগামী একটি সিএনজির মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পিকআপ আটক হলেও ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রামে ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত
যশোরে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, সাবেক সেনা সদস্য নিহত
৬৫৫ দিন আগে
নওগাঁয় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পিকআপ-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ধানসুরা-নাচোল আঞ্চলিক সড়কের টগরইল নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
নিহতেরা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের টগরইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পারভেজ (১৯) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আনারুল ইসলামের ছেলে হাবীব (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ধানসুরা-নাচোল সড়কে টগরইল নামক স্থানে মুরগী বহনকারী পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী হাবীব ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা আরেক আরোহী পারভেজকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তিনিও মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ পিকআপসহ চালককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
নিয়ামতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাওছার আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপসহ চালককে আটক হয়।
তিনি আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
৭১৫ দিন আগে
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ
ফিফা বিশ্বকাপ এশিয়ান বাছাইপর্বের গ্রুপ-১ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেলবোর্নে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
এদিন ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেলবোর্ন আয়তক্ষেত্রাকার স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ও বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে ২৭তম র্যাঙ্কিংয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও ১৮৩তম র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাংলাদেশের মধ্যকার লড়াই।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে ১-২ গোলে হেরে কাতারে অনুষ্ঠিত গত ফিফা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ
২০১৫ সালের পর এটি হবে দুই দলের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ। বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের আগের দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
পার্থে নিজেদের অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-৫ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ এবং ঢাকায় ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে ০-৪ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর পরই ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ এশিয়ান বাছাইপর্বের হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
তবে আগামী বছর ‘আই’ গ্রুপের বাকি চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে, ২৬ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ, ৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম ম্যাচ এবং ১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বুধবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাব্রেরা বলেন, ‘শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে আমরা আমাদের লড়াইয়ের চেতনা নিয়ে ভালো ফুটবল খেলতে চাই।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে, তবে আমরা ম্যাচে আমাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড বাংলাদেশ দলকে ভালো ও শক্তিশালী দল আখ্যায়িত করে বলেন, ‘ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা (বৃহস্পতিবারের) ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে এগিয়ে যেতে চাই।’
গত শনিবার মেলবোর্নে পৌঁছানো বাংলাদেশ দল দীর্ঘ যাত্রার পর খেলোয়াড়দের ফিট করতে প্রথম দিনেই (রবিবার) শুধু জিম ও রিকভারি সেশন করেছে।
আগামী দুই দিন মেলবোর্নের ইয়ারাভিল গ্রোরি ফুটবল ক্লাব মাঠে স্থানীয় ঠান্ডা ও ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ।
তবে বুধবার সন্ধ্যায় একই ভেন্যুতে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন শেষে এএএমআই পার্কে নিজেদের শেষ অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ।
ফিফা বিশ্বকাপের এশিয়ান বাছাইপর্বের গ্রুপ-১ -এর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনকে হারিয়ে ছয় ম্যাচের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে বেসিস ম্যাচে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড-
গোলরক্ষক-
মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ ও পাপ্পু হোসেন।
ডিফেন্ডার-
বিশ্বনাথ ঘোষ, হাসান মুরাদ, তারেক রায়হান কাজী, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন ও সাদ উদ্দিন।
মিডফিল্ডার-
সোহেল রানা, শেখ মোরসালিন, মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, মজিবর রহমান জনি, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া ও জায়েদ আহমেদ।
ফরোয়ার্ড-
রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: এএফসি কাপ: অবশেষে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলো বসুন্ধরা কিংস
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো এখন ঢাকায়
৭৫০ দিন আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বৃহস্পতিবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এর প্রথম তিন ম্যাচে দুই পরাজয়ের পর এবার বৃহস্পতিবার পুনেতে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে একটি ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে এসেছিল। যেখানে শেষবার বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভারতকে পরাজিত করেছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ৪০টি ওয়ানডে খেলেছে এবং এর মধ্যে মাত্র ৮টিতে জিতেছে।
বড় ম্যাচ যতই ঘনিয়ে আসছে, সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে অধীর আগ্রহে নজর রাখছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইনজুরি সত্ত্বেও ভারতের বিপক্ষে খেলতে চান সাকিব
উরুর পেশির ইনজুরি নিয়ে উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ অধিনায়কের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, সাকিব ভারতের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৫ উইকেটসহ ২৯ উইকেটের রেকর্ড রয়েছে সাকিবের। তার উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সাকিব ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তার অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে সাকিবের দুর্দান্ত ট্র্যাক রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, অতীতের পারফরম্যান্স অন্য বিশ্বকাপের ম্যাচে ফলাফল নির্দেশ করে না।
সাকিবকে নিয়ে মামব্রে বলেন, ‘তিনি একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। কিন্তু আমরা কেবল আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি, বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনার দিকে মনোনিবেশ করি। অন্য কিছু আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজ জিতলেও, বিশ্বকাপে তাদের পারফরমেন্স পুনেতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য খুব আশা জাগানিয়া নয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও পরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয় টাইগাররা।
অন্যদিকে এবারের বিশ্বকাপে তিনটি প্রশংসনীয় জয় পেয়েছে ভারত।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে থাকবে, কারণ তারা এই বিশ্বকাপে এখনও শক্ত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি।
তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে প্রত্যাশা পূরণে হিমশিম খেতে হয়েছে এই ওপেনিং জুটিকে। মিডল অর্ডার ব্যাটিং লাইনআপও বেশ কয়েকবার দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৪৫ রান করেছে নেদারল্যান্ডস
তিন নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজকে দেখা গেছে ও নাজমুল হোসেন শান্তকেও একই ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে লড়াই করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাজমুল ও মেহেদী দু'জনেই এখনও বিশ্বকাপে নিজেদের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের আশাব্যঞ্জক সূচনা দিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেওয়া তৌহিদ হৃদয় এখনও বড় মঞ্চে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারেননি।
বিপরীতে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে। পেসাররা ফর্মে থাকাকালীন তাদের সামর্থ্য দেখিয়েছে এবং স্পিনাররা বিশ্বকাপে যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই তারা ভালো পারফর্ম করেছে।
২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল-
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত (সহঅধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তানজিদ হাসান তামিম, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।
২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল-
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, লোকেশ রাহুল, ইশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দীপক চাহার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়া ২০৯ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার
৭৭৮ দিন আগে