প্রেসিডেন্ট
এমটবের নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আজমান
এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান।
সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বাংলালিংকের সিইও এরিক অসের স্থলাভিষিক্ত হলেন এবং আগামী এপ্রিল থেকে দুই বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
টেলিকম অপারেটরদের এ সংগঠনের নতুন বোর্ডে রবির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব শেঠি এবং বাংলালিংকের সিইও এরিক অস যথাক্রমে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে পাট চাষিদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার
এজিএমে অংশ নেন বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটকসহ সহযোগী সদস্য কোম্পানি এরিকসন ও হুয়াওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইয়াসির আজমান নিজের লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, এমটবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়ে আমার প্রতি আস্থা রাখায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। টেলিযোগাযোগ খাতের একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এমটব।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে সংগঠনটি।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ইন্ডাস্ট্রি অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে আমরা গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল ডিজিটাল চাহিদা পূরণ এবং একইসঙ্গে জাতীয় ও এই খাতের অগ্রগতির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলব, যা এই খাতের প্রকৃত ও পূর্ণ সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
ইয়াসির আজমান বলেন, উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়া, যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।
মোবাইল টেলিকম খাতের প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতির মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং বোর্ড সদস্যরা তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্বের সক্ষমতা কাজে লাগানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন এমটবের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ব্যস্ত সময়ে ৮ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল
আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন ও ব্যবহারে সর্বোচ্চ অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু, স্মার্ট এগ্রিকালচার ও উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত ইসলাম ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা সাভেদ্রা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে নিকারাগুয়ার নেতারা বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় আমরা আপনাকে আন্তরিক ও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
তারা নতুন মেয়াদে তার ও সরকারের সফলতা কামনা করেন।
তারা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে নতুন কিছু অর্জন করবেন।’
বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, ‘প্রশংসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আমরা আমাদের ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য আমাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চেক প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়ার অভিনন্দন
পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব বিয়ে প্রতিবেশি। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৯ বছরে উভয় দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সম আচরণ দেখিয়েছে এবং পারস্পরিক সুযোগসুবিধা ও ‘জয়-জয়’ ফলাফল অর্জন করেছে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশ একে অপরের প্রধান স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দৃঢ়ভাবে একে অপরকে সমর্থন করে এবং যৌথভাবে প্রতিটি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনকে অনুসরণ করে, যা আমাদের দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে আনে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে দুই দেশের নেতা বৈঠক করেন এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছান।
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে- চীন ও বাংলাদেশ যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে তা আরও বাস্তবায়ন, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বৃদ্ধি, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বয়, উচ্চ মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা প্রচার, যাতে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।’
তিনি তার সুস্বাস্থ্য, সাফল্যময় কর্মজীবন এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্ট ড. পাট্টি হিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
রবিবার বঙ্গভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
এসময় তারা বাংলাদেশে লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে পাট্টি হিল বলেন, এ দেশের সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা গেলে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানে লায়ন্স ক্লাবের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের মানুষের কল্যাণে লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে লায়ন্সের ৫১তম আইএসএএমই ফোরামের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাক্ষাৎ
নবনিযুক্ত বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমটব নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ দাবি করা ব্যক্তি সম্পর্কে রবিবার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি সহিংসতার আহ্বান জানালে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত, সে যে দেশেরই হোক না কেন।
মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো যেই সহিংসতার আহ্বান জানায়, তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোমেন এসব কথা বলেন।
আরেফি নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং গতকাল শনিবার তিনি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতা-কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
মোমেন বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের উপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘তাদের (হামলাকারীদের) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে কেউ এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি করতে সাহস না পায়।’
আরেফি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বোকা নন, যে এই ধরনের লোককে এখানে পাঠাবেন। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে বিএনপি নেতারা ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিকের ঢাকা বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বুধবার রাতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, রিফুয়েলিংয়ের জন্যই মূলত এই যাত্রাবিরতি।
এদিকে চিলির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বিমানবন্দরে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট বেইজিংয়ে তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনে যোগ দেন।
চিলি দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ দেশ।
আরও পড়ুন: চিলির প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে আইএসএ
বাংলাদেশে শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, শান্তিপূর্ণ পরমাণু শিল্পও গড়ে তুলেছে রাশিয়া: পুতিন
বাংলাদেশকে ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু ও উত্তম অংশীদার’ বলে মন্তব্য করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও একে অপরের স্বার্থ বিবেচনার নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
রূপপুর প্রকল্পের আওতায় সহযোগিতার অংশ হিসেবে তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পারমাণবিক খাতের জন্য অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান এমন ৮০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের পড়াশোনা শেষ করেছেন এবং এ সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা কেবল একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি না, বরং একটি সম্পূর্ণ পারমাণবিক সেক্টর তৈরি করছি। বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শিল্প গড়ে উঠেছে এবং আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলে এটি করছি।’
বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট ১-এ রাশিয়া থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন।
শুক্রবার রাশিয়ান পক্ষের দেওয়া তার বক্তৃতার ইংরেজি অনুলিপি অনুসারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পটি দুই দেশের স্বার্থ পূরণ করে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা
তিনি বলেনি, ‘অবশ্যই এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে একটি বাস্তব ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।’
পুতিন বলেন, ‘এই তরুণ প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে আমাদের দেশও ছিল এবং এর অর্থনীতির উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম আমরা। পাশাপাশি আমরা প্রধান শিল্প ও জ্বালানি কাঠামোগুলো নির্মাণে সহায়তা করছি, যাতে বাংলাদেশের জনগণ এর সুফল পেতে থাকে।’
শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির একজন স্বীকৃত বিশ্বনেতা হিসেবে তিনি বলেন, রোসাটম সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ডের পাশাপাশি পরিবেশগত ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে উন্নত প্রকৌশল সমাধান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) নিয়মকানুন ও সুপারিশ কঠোরভাবে মেনে নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্ভিদের শারীরিক সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্পে তাদের সহায়তার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
পুতিন বলেছেন, স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়ার প্রচেষ্টা কেবল স্থাপনা নির্মাণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ‘আমরা পারমাণবিক প্রকল্পের সমগ্র জীবনচক্র জুড়ে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করব। যার মধ্যে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ, উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
গত বছর থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা প্ল্যান্টে প্রাথমিক প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াগুলো তদারকি করবেন। এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাদের প্রয়োজনীয় পেশাগত দক্ষতা এবং জ্ঞান তাদের শুধু পারমাণবিক শিল্পেই নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক অর্থনৈতিক খাতেও নিয়োগের সুযোগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এনার্জি ইউনিট ১-এ রাশিয়ান পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের একটি প্রশংসাপত্র আমাদের বাংলাদেশি সহকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করব। এর পরে রূপপুর সরকারি পারমাণবিক সুবিধার মর্যাদা পাবে।’
প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রতি তার ব্যক্তিগত মনোযোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন- ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি; স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ; বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান; রূপপুর প্রকল্প পরিচালক শওকত আকবর এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণের একটি সাধারণ ঠিকাদারের সিইও আন্দ্রেই পেট্রোভ।
স্টেট কর্পোরেশন রোসাটম ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত একটি আন্তঃসরকারি চুক্তির অধীনে পাবনা জেলায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।
প্ল্যান্টটি ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসহ দুটি প্রজন্মের ৩+ চুল্লি নিয়ে গঠিত হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সাইটে কাজ করছেন ৪ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান নাগরিকসহ ২০ হাজার বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তিনি ফরাসি ভাষায় ভিজিটরস বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম, যিনি তার জাতির স্বাধীনতার জন্য, এর ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য লড়াইয়ে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘তার পরিবারের যেসব সদস্য তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন, আমি ফরাসি জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে চাই।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা আসেন ম্যাক্রোঁ।
গত তিন দশকের মধ্যে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মিটাররান্ড ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
শেখ হাসিনা রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে ভোজসভা আয়োজন করেন।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় দুটি চুক্তি সই করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সরকার আন্তরিকভাবে আশা করে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসবেন। যা বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষয়ি সম্পর্ককে ‘গভীর করার সুযোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফরাসি সরকার সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র ঢাকা সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এসময় ফ্রান্স বাংলাদেশকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেটি ‘দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও দারুণ একতা দেখায়। বিশেষ করে প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটের কাঠামোর মধ্যে, যা বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’
যেহেতু দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাই ম্যাক্রোঁ তার মানবিক ফ্রন্টে; বিশেষ করে নিয়মিত বন্যার মুখে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফ্রান্সের দৃঢ়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করবেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংহতি ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দেশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লি যাবেন।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি।
আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছে ফ্রান্স নৌবাহিনীর জাহাজ ‘এফএস সার্কাফ’
গত জুনে প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি নতুন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং প্যাক্টের জন্য শীর্ষ সম্মেলনের ফলোআপ করারও একটি সুযোগ হবে জি২০-তে।
এই শীর্ষ সম্মেলনটি পিপলস ও প্ল্যানেটের জন্য প্যারিস এজেন্ডা প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছে। যাতে কোনো দেশকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পৃথিবীর সুরক্ষার মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরের সময় জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘নারী ক্ষমতায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন-এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ তার প্রাসঙ্গিক তহবিলের লস এন্ড ড্যামেজ বিষয়টি বড় আকারে উত্থাপন করবে।
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স বাংলাদেশকে বিমান চলাচল ও সমুদ্র নিরাপত্তায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী: ফরাসি দূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
দুই নেতার নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ তাদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং কৌশলগত দিকনির্দেশনার জন্য নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শের মাধ্যমে তাদের অংশীদারিত্বের সমস্ত দিক বিকাশ ও গভীর করার জন্য তাদের যৌথ ইচ্ছার কথা তুলে ধরেছে।
উভয় দেশ রাজনীতি ও কূটনীতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় দেশ প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে টেকসই এবং সহযোগিতার গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপাদানকে আরও উন্নয়নের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।
সেই লক্ষ্যে, উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা এই সফরের সময় চালু হয়েছিল।
এছাড়া তারা প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ব্যক্ত প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিটি পক্ষের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য প্রযুক্তি স্থানান্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই বিষয়ে, উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি ইচ্ছাপত্র সইকে স্বাগত জানিয়েছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য ভাগ করা সমৃদ্ধির সঙ্গে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের সাক্ষাৎ