কিশোরী
পালিয়ে গিয়ে কিশোরীর বিয়ে, উদ্ধারে গিয়ে আহত ৩ পুলিশ
প্রেমের টানে যশোর থেকে পালিয়ে বিয়ে করা ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।
সোমবার (৫ মে) বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— যশোর কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তাপস কুমার পাল, কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের সুজন হোসেন যশোর থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর যশোর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যায়। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে কিশোরীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হকার জুবায়ের হত্যা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন দুজনের
এ সময় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।
রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ৬ থেকে ৭ জন আমাকে বলে হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়ায় আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা নারী কনেস্টবলকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করে।’
যশোর কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাতকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘কালীগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি কিছুই বলতে পারব না।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটিকে উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা নেবে বলে জানান ওসি।
২১২ দিন আগে
মাদারীপুরে নদে গোসল করতে নেমে কিশোরী নিখোঁজ
মাদারীপুর জেলার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নেমে মাদরাসার শিক্ষার্থী এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) দুপুর ২টার দিকে শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জান্নাত আরা (১৪) ওই এলাকার রনি ফকিরের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বান্ধবীদের সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নামে জান্নাত। গোসল শেষে সবাই পাড়ে উঠলেও স্রোতের পানিতে তলিয়ে যায় সে। এ সময় বান্ধবীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও এখন নিখোঁজ রয়েছে মেয়েটি।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তপন কুমার ঘোষ জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২১৫ দিন আগে
কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
চট্টগ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে নাজিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) চন্দনাইশ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনা দেখে ফেলায় নানা ও নানীকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় নাজিম। নাজিম ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের চাচাত ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কিশোরী ঈদের ছুটিতে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে একই বাড়ি বেড়াতে আসেন তার মামা নাজিম। এর পর আনুমানিক দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরীকে মুখে কাপড় গুজে নাজিম ধর্ষণের পর হত্যা করেন।’
বিষয়টি আরজুর নানা আব্দুল হাকিম ও নানী ফরিদা আক্তার দেখে ফেললে তাদেরকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নাজিম পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আহতদের চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তারা থানায় ফিরলে বিস্তারিত বলতে পারব। আসামিকে ধরতে অভিযান শুরু করেছি।’
২৩৯ দিন আগে
কেরাণীগঞ্জে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
তিন বছর আগে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন— কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া গ্রামের মো. সজিব, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের মো. রাকিব এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ওরফে ভ্যালকা শাওন।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার
এছাড়াও লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম বলেন, ‘আসামিদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, আলী আকবর (২২) এবং মো. রিয়াজ (২২) নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল।
ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পায়, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পরে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ মামলা দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে।
প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীর বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানায়, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার লাশ। পরে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে।
দোষ স্বীকার করে আদালতে শাওন জবানবন্দি দেয়। শাওন জানায়, তিনিসহ মো. রাকিব, মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভুক্তভোগী মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখে।
আরও পড়ুন: আইন সংশোধনসহ শিশু ধর্ষণের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে সরকার
পরে রাকিব এবং সজিব গ্রেপ্তার হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৫৪ দিন আগে
আশুলিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
ঢাকার আশুলিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শাবলু মাতাব্বর ফরিদপুর জেলার দরগা বাজার নাছিরাবাদ এলাকার মৃত রফিক মাতাব্বরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর মা একজন পোশাক শ্রমিক। পাঁচ বছর আগে তার মায়ের সঙ্গে শাবলু মাতাব্বরের বিয়ে হয়। এটা তার মায়ের দ্বিতীয় সংসার।
শাবলু মাতাব্বর কোনো কাজ না করে বাসায় সন্তানদের দেখাশোনা করতেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন শাবলু।
আরও পড়ুন: এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার
এক পর্যায়ে ওই কিশোরী ঘটনাটি মাকে জানালে মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ‘ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’
২৬৬ দিন আগে
কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
কামরাঙ্গীরচরে ১৩ বছরের কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় দেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাসহ আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলায় দুই শিশুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন— বগুড়ার ধুনট উপজেলার মোহন, সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার সাব্বির ও শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার (সদর) চিকন্দী গ্রামের রাসেল।
আরও পড়ুন: মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, ‘যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দুই শিশু পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাজার আদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জুন আসামিরা ভিকটিমকে কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৬৭ দিন আগে
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার
শেরপুরে কিশোরীকে (১৫) সাব্বির হোসেন (২০) নামে এক তরুণ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৯ মার্চ) নকলা উপজেলার কুর্শা এলাকার এফআরবি ইটভাটার নির্জন স্থানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত তরুণ ধর্ষক সাব্বির হোসেনের বাড়ি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায়। সে নকলার এফআরবি ইটভাটাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এছাড়া নকলার বাসিন্দা ওই কিশোরীও একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে রবিবার রাতে নকলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
পুলিশ জানায়, সোমবার সাব্বিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাব্বিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।’
২৬৯ দিন আগে
দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, হামলাকারী গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের কাহারোলে নামাজরত অবস্থায় বখাটের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরী মাহি আক্তারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারী আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে কাহারোলের ভাঁতগা গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মাহি আক্তার (১৫) কাহারোল উপজেলার দ্বীপনগর বগুড়াপাড়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে অটোরিকশা-মাহিন্দ্রের সংঘর্ষে অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
২৯৩ দিন আগে
দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী
ভারতে পাচারের শিকার ১৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন।
১৬ কিশোর-কিশোরী হলেন- নুরঅনকিষ, কাওছার আলী, দিপু সরকার, পূজা, মিথিলা দাস, সোনিয়া খাতুন, অমৃতা ঘোষ, রাবিয়া খাতুন, নয়ন বিশ্বাস, সামাদ মোল্লা, মোমিন মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, দেব দাস, রাশিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, জিয়াদ মোল্লা।
তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, বান্দবান ও নেত্রকোনা জেলায়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ১৬ কিশোর-কিশোরীকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
পরে রাইটস যশোর সেখান থেকে ওই ১৬ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যান বলেও জানান ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর মো. জাওয়াদুল করিম জানান, এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আদালত তাদেরকে শুকন্য কিশোলয় সুবায়ন সেল্টার হোম নামের ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরও জানান, তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৩০৮ দিন আগে
ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মদ্যপানে স্বপ্না বাওয়ালি নামে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে গত দুই দিনে মদপানে ৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বপ্না বাওয়ালি (১৭) গাজীরটেকের চর অযোধ্যা গ্রামের পঞ্চানন বাওয়ালির মেয়ে এবং চরঅযোধ্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
পুলিশ জানায়, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে স্বপ্নার অসুস্থতার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মদ্যপানের কথা স্বীকার করে।
তবে কখন কাদের সঙ্গে সে মদ্যপান করেছে তা জানায়নি। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন বলেন, মদ্যপানে স্বপ্না নামে এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার ইসিজি করা হলে তাকে মৃত পাওয়া যায়।
স্বপ্নার বোন সুস্মিতা বাওয়ালির বলেন, রবিবার বিকাল থেকে ঘন ঘন পায়খানা ও বমি হওয়ার পর স্বপ্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার বলেন, মদ্যপানে স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রিদপুরে মদ্যপানে পূজা বিশ্বাস ও রত্না সাহা নামে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়।
পূজা (২০) মাগুরার শালিকা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে এবং রত্না (২৬) উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের রতন কুমারের মেয়ে। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ুয়া ওই দুই শিক্ষার্থী আলিপুরের কানাই মাতবার মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
মদ্যপানে তিন নারীর মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আইনজীবী শ্রীপ্রা গোস্বামী বলেন, কোনো অপমৃত্যু কাম্য নয়। যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অ্যালকোহল বিক্রয় হতো তাহলে এসব দুর্ঘটনা ঘটত না।
যেকোনো উৎসবের সময় বাজারে কেন এসব বিষাক্ত অ্যালকোহল সহজলভ্য হয় সেটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৪১৬ দিন আগে