মেঘনা
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেঘনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান
নতুন পুলিশ ক্যাম্পের টহল স্পিডবোটে জলদস্যুদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৪টায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে গজারিয়া থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব -১১’র সম্মিলিত দেড়শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে অভিযান চালায়।
এ সময় মেঘনা নদীর তীরবর্তী জামালপুর, বালুয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান তারা। ডাকাত চক্রের তালিকাভুক্ত সদস্য আশরাফ উদ্দিন ডাকাত, আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করে যৌথবাহিনী।
এছাড়াও নৌপথের আতঙ্ক, জামালপুর গ্রামের পিয়াস, নয়ন ও রিপনদের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের ঘর-বাড়ি তালাবদ্ধ দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযানের খবর পেয়ে তারা ভয়ে বাড়িঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এসব তথ্য দিয়ে যৌথ অভিযান অভিযান চলাকালীন সময়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আশরাফ উদ্দিন এবং আবুল কালাম ডাকাতের বাড়িতে অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নয়ন পিয়াস শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘরে তালাবদ্ধ দেখা যাচ্ছে। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত কোনো কিছু উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পড়ুন: সিরাজদিখানে মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ২২ আগস্ট মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গুয়াগাছিয়ার জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরপর সন্ত্রাসী চক্র নয়ন পিয়াসের নেতৃত্বে একাধিকবার বিরোধিতাসহ ক্যাম্পের স্থান নিয়ে বিরোধিতা করে মানববন্ধন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দির সন্ত্রাসী হৃদয় বেগ গত ৫ আগষ্ট দাউদকান্দি থানায় অস্ত্র লুট করে নয়ন পিয়াস বাহিনীর কাছে বিক্রি করে। বিভিন্ন ঘটনায় নয়ন-পিয়াস গা ঢাকা দেওয়ার পর হৃদয় বেগ নয়ন পিয়াস বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পুলিশের টহলরত স্পিডবোটে গুলিবর্ষণ তার নেতৃত্বেই হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে টহলরত পুলিশের সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়ন, পিয়াস গ্রুপের সদস্যদের আধা ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। নতুন পুলিশ ক্যাম্পের বিরোধিতাসহ পুলিশের উপর একাধিক বার হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণায় গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় চলে এই যৌথ বাহিনীর অভিযান।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নয়ন, পিয়াস ও লালু সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় নিহত হয়েছে সন্ত্রাসী চক্রের অন্যতম সদস্য ডাকাত বাবলা, শুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন ও নৌযানের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ ও সন্ত্রাসী হামলা।
১০০ দিন আগে
মেঘনায় দূষণ চরমে, ফের মরে ভেসে উঠছে মাছ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অব্যাহত বিষাক্ত বর্জ্য ও কেমিক্যালযুক্ত পানি মিশে পানি দূষণের ফলে আবারও হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীববৈচিত্র। ইতোমধ্যে নদীর দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করেছে। মরা মাছের গন্ধে নদী তীরবর্তী এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতেও একবার পানি দূষণের বলি হয় মেঘনার জীববৈচিত্র। ওই ঘটনার তদন্ত করে চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তর। আবারও মাছ মারা যাওয়ার বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক সূত্র।
শুক্রবার (১৬ মে) ভোর থেকে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে দশানি পর্যন্ত মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে মাছ মরে ভেসে থাকার থাকতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
গতকাল ভোরে মাছ ধরতে নদীতে নামেন স্থানীয় জেলেরা। তখনই তারা দেখতে পান, পানিতে ভেসে রয়েছে অসংখ্য মরা মাছ। বিশেষ করে জাটকা, চেউয়া, বেলে, টেংরা, পুঁটি, চাপিলাসহ অসংখ্য ছোট-বড় দেশীয় মাছ মারা যাচ্ছে।
পঁচা মাছের দুর্গন্ধে নদীপাড়ের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। দূষণের কারণে এখন নদীর পানি খাওয়া তো দূর, সাধারণ গৃহস্থলির কাজেও ব্যবহার করতে পারছে না স্থানীয়রা। কী কারণে বারবার নদীর মাছ মারা যাচ্ছে এবং পানি দূষণ হচ্ছে, এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান চান এলাকাবাসী।
এদিকে ইলিশের পোনা জাটকা মরে ভেসে ওঠায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন মেঘনাপাড়ের জেলেরা। এভাবে ছোট ছোট জাটকা মারা পড়লে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে জেলেদের মাঝে।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদী থেকে ৮ ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৬
২০২ দিন আগে
মেঘনায় জলদস্যুর দুদলের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলদস্যুর দুদলের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কালীরচর ও চাঁদপুরের মোহনপুরের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ভাসানচরের বাসিন্দা রাসেল ও চাঁদপুর মতলবের রিফাত। আহত আইয়ুব আলীকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে 'মাদক সংক্রান্ত বন্দুকযুদ্ধে' নারী নিহত
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানা জহির ও কিবরিয়া দলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় দুজন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও একজন আহত হন।
মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নৌপুলিশ কাজ করছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
৩০৮ দিন আগে
মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম, জামাল, তানজিলা ও জাফর।
আহতদের মধ্যে তানজিলা, জাফর, রফিকুলকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তানজিলা, জাফর ও রফিকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা মশারি জাল উদ্ধার করতে গেলে ছকেট জামালের ভাগ্নে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের নেতৃত্বে জেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
এ হামলায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনাকরী মৎস্য বিভাগের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মৎস্য বিভাগের একটি দল নিয়মিত অভিযানে যায়। এ সময় অবৈধ একটি জাল তাদের নজরে আসলে জেলেদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটি চক্র হামলা চালায়।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ হাতে পাননি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
৩৬৭ দিন আগে
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও চরজানপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে জানিয়ে ভেদরগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশের ডিম পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এখন মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চল পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের আওতাধীন নদীগুলোতে আসে। আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। তাই মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষা ও অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে জল ও স্থলপথে প্রচারণা চলছে।
সরকার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাদিউজ্জামান আরও জানান, অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নদীতে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ মোতায়েন থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট আনা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ কেনাবেচা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
৪১৮ দিন আগে
মেঘনা নদী থেকে ২ জেলের লাশ উদ্ধার
ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদী থেকে মো. বেলাল হোসেনের (২৫) ও আলাউদ্দিনের (৩০) নামে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয় ইউনিয়নের মাস্টার হাট পশ্চিম পাশের মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পরে রবিবার দুপুর ১২টায় ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ার টেকের পূর্ব পাশের মেঘনা নদী থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেলেরা হলেন- তজুমুদ্দিন উপজেলার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানপুর গ্রামের মো. বেলাল হোসেন এবং মনপুরার হাজীর হাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার চর গ্রামের আলাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: তিস্তায় হাত বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা লাশ দুইটি নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে মনপুরা থানা পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে আত্মীয়স্বজনরা মনপুরা থানায় এসে লাশ দুইটি শনাক্ত করে নিয়ে যায়।
লাশ দুইটি গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যাওয়া মাছধরা ট্রলারে থাকা জেলেদের বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
আরও পড়ুন: পাবনায় ধানখেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, লাশ দুইটি তাদের পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছে। কোনো প্রকার আপত্তি না থাকায় লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
৪৩৮ দিন আগে
মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবি,নববধূসহ নিখোঁজ ২
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় প্রবল ঘূর্ণি স্রোতের মাঝে পড়ে নৌকা ডুবে নববধূসহ ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন- জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরমুকন্দির বাসিন্দা নববধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) ও চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সেতু (৩২)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ রাজমিস্ত্রির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া চারজন হলেন- নববধূর স্বামী নাঈম খান (৩৫), তার বন্ধু মো. মাজহারুল (৩৩), আত্মীয়া মুনিয়া (২৬) ও নৌকার মাঝি। তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাঈমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে বিয়ে করে। তারা নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে বেরিয়েছিল। এরইমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেল।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির ইউএনবিকে বলেন, ‘ওই নৌকায় মাঝিসহ ৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ২ জন নিখোঁজ ও ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের ডুবুরি দল মেঘনার মোহনায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত নববধূসহ এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
পা পিছলে গড়াই নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
৪৭৮ দিন আগে
মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট, বিপাকে জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলেরা হতাশ হয়ে ফিরছেন নদী থেকে। তাদের অধিকাংশই ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জেলেরা জানান, ইলিশের আশায় তারা নদীতে গেলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। উপরন্তু বাড়ছে এনজিও ও মহাজনের ঋণের বোঝা। এছাড়া এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, নদীর পানি আরেকটু বাড়লে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইলিশ আহরণ করা হলেও এবার ভরা বর্ষায় জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিনের তেলের দামসহ অন্যন্য খরচও উঠে না।
ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা ও তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদারদের মাছের বাক্সগুলো খাঁ খাঁ করছে। জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ঘাটের এখন এমন অবস্থা। জেলেদের পাশপাশি আড়তদাররাও রয়েছেন বিপাকে।
মাছের আড়তদাররা জানান, জেলেসহ তারাও বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় তারাও দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
৫১০ দিন আগে
মেঘনায় ড্রেজার ডুবির ঘটনায় ২ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩
ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটির ডুবুরি দল।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাট গ্রামের বাসিন্দা নুরে আলম (৫০) ও মো. সিয়াম (২৩)।
নিখোঁজ তিন জন হলেন- একই ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম (২১), হারুন অর রশিদ (৪০) ও মো. তানজিল (২১)।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ডুবে যাওয়ার ২ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় ভোলার কাচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে আফসানা নামের বালুকাটা ড্রেজারটি ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে রাতে মালবাহী কোনো লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ড্রেজারটি ডুবে যেতে পারে। ওই সময় চালকসহ পাঁচজন বের হতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সোমবার দিনব্যাপী সন্ধানের পর বিকালের দিকে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি খুঁজে পায়। বরিশাল থেকে আসা বিআইডব্লিউটির ডুবুরি দল মঙ্গলবার সকালে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
ভোলা ইলিশা নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এছাড়া ড্রেজারটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
৫১৪ দিন আগে
মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে গোসলে নেমে স্ত্রী মনিরা বেগমের চোখের সামনে তীব্র স্রোতে ভেসে গেলেন স্বামী জহিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর শহরের টিলাবাড়ি লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জহিরুল (৩৫) বরিশালের মৃত মনসুর বেপারীর ছেলে। এই দম্পতি দুই সন্তান নিয়ে লঞ্চঘাটের পাশে টিলাবাড়ি মেঘনাপাড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। জহিরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন আবার কখনো কখনো লঞ্চঘাটে হকারিও করতেন।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
এদিকে খবর পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ-র লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ডুবুরিদল নিখোঁজ জহিরুলের সন্ধানে অভিযান শুরু করে। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ জহিরের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী মনিরা বেগমসহ গোসল করতে নেমে আর উঠেনি। আমরা ধারণা করছি, নদীর তীব্র স্রোতের কারণে সে ডুবে গেছে।
চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ মোসলেম মিয়াজি ইউএনবিকে জানান, দুপুর পর্যন্ত জহিরের সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। তবুও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, ঘটনা জানতে পেরে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে নৌ-পুলিশও কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখ
৫৩৩ দিন আগে