ডাকাতি
গাজীপুরে সাবেক সিভিল সার্জনের বাড়িতে ডাকাতি, আহত ৩
গাজীপুরে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. হাফিজুর রহমান খানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ড বাজার এলাকার কলমেশ্বরে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ দুই লাখ টাকা, প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, ছয়টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন ঘরোয়া সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় তিনজন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শনিবার) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলমেশ্বর এলাকার ডা. হাফিজুর রহমান খানের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর টপকে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাতের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা বাড়ির মূল দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কেয়ারটেকার হিজবুল্লাহকে মারধর করে। পরে তাকে বেঁধে রেখে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করেন। এরপর হাফিজুর রহমানের স্ত্রীর গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা, ১২ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ৬টি মোবাইল ও তৈজসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কচুয়ায় দুটি বাড়িতে ডাকাতি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট
তারা জানান, ডাকাতদের হামলায় কেয়ার টেকারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ডাকাতি শেষে তারা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
খবর পেয়ে গাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দা ও একটি ককটেল জব্দ করেছে পুলিশ।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ও সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
১১৬ দিন আগে
গাজীপুরে স্থানীয়দের নিয়ে ডাকাতি ঠেকিয়ে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পাইপ কারখানায় ডাকাতির সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৮ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের পিপিএস নামক পাইপ কারখানায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার ভাঘটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহেল মিয়া (৩২), একই জেলার তারাকান্দা থানার এমদাদুল হক (৪৫), বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার কামুলা গ্রামের ফারুক (৩২), নওগা জেলার রাণীনগর থানার রাজাপুর গ্রামের আরিফ (৩০), নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার বালুর মাঠ এলাকার শিমান্ত (২১) ও চাঁদপুর জেলার মতলবপুর গ্রামের ইব্রাহীম (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি ট্রাক নিয়ে ৯ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল ওই কারখানায় ডাকাতি করতে যায়। এ সময় তিন ডাকাত ট্রাক নিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করে। বাকি ছয়জন কারখানার ফটক টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা নিরাপত্তা প্রহরী মকুবল হোসেনকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ফেলে রাখে।
কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কমকর্তা আব্দুস ছালাম তিনতলা থেকে ডাকাতির ঘটনাটি প্রথমে দেখতে পান। এসময় তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, কারখানাটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রাত পৌনে১১টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত লোক প্রধান ফটক টপকে পিপিএস পাইপ কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। বিষয়টি জেনে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে কারখানার ভেতেরে প্রবেশ করেন। এরপর নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির বিষয়টি টের পান তারা।
এ সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের দেখে ডাকাতরা কারখানার পেছন দিক দিয়ে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের ধাওয়া করে ছয়জনকে ধরতে করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষমান তিন ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে আহত ছয় ডাকাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী মকবুল হোসেন বলেন, ‘অপরিচিত কিছু লোক গেটের উপর দিয়ে ভেতরে ডুকে আমার হাত-পা বেঁধে মারপিট করে। আমাকে ফেলে রেখে তারা ডাকাতি করতে শুরু করে। লোকজন চলে এলে ডাকাতরা সীমানা দেওয়াল টপকে বাহিরে চলে যায়।’
আব্দুস ছালাম বলেন, ‘তিনতলা থেকে দেখতে পাই নিরাপত্তা প্রহরীকে কারা যেন মারছে। পরে বুঝতে পারি যে কারখানায় ডাকাত ডুকেছে। তাৎক্ষণিক স্থনীয়দের, পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষকে জানাই। দ্রুত সময়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশও এসে পড়ে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাক ডা. আজগর হোসেন সোহাগ জানান, রাত বারোটার দিকে পুলিশ আহত ছয় ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত সোহেল ও এমদাদুলকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারিক জানান, ডাকাতরা কারখানাটির মালপত্র লুট করতে এসেছিল। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১২৮ দিন আগে
গাজীপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরের গাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় গাছা থানার ঝাজর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— হবিগঞ্জের মাজিশাইল গ্রামের মো. কাউছার মিয়া (৩৫), ময়মনসিংহের চরমদাখালী গ্রামের সাব্বির হোসেন রাজিব (২৫) এবং গাজীপুরের কোমোন গ্রামের শাখাওয়াত ওরফে সৈকত (২৬)।
পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার কাউছার ও শাখাওয়াতের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, গত সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাছা থানাধীন ঈশ্বড্ডা এলাকায় অবস্থিত ‘আপন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের একটি কারখানায় ১০–১২ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ডাকাতরা কারখানাটি থেকে ১১৩ ব্যাগ প্লাস্টিক কাঁচামাল (যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লাখ টাকা), প্রায় ২ লাখ টাকার ৪০টি ডাইস, আইপিএস, ব্যাটারি, দুটি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, দুটি গ্রাইন্ডিং মেশিন, নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৩টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও অভিযান চালিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ঝাজর এলাকা থেকে মামলার তিন আসমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
১৫৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আটক হওয়া ডাকাতদের কাছে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, পুলিশি পোশাক, ওয়াকিটকি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।আটককৃতরা হলেন—রুবেল রানা (২৯), আজিজুর মন্ডল (৩৬), শিলন মোল্লা (২১), সবুজ আলী মিঠু (৩০), মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মারুফ শেখ (২০)। তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে খাসকররা যাওয়ার পাকা সড়কে একটি ডিজেলের দোকানের সামনে মাইক্রোবাসে একদল অস্ত্রধারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: শার্শার আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৭ তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি তালা কাটার যন্ত্র, ৫টি মাস্টার চাবি, ১টি পুলিশের জ্যাকেট, ১টি ওয়াকিটকি সদৃশ্য মোবাইল সেট, ৫০ পিস ইয়াবা, ১টি মোবাইল ফোন ও ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৩০৯৭ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২১৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে ডাকাতি ঠেকাতে গিয়ে সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ
চট্টগ্রামের গাউসিয়া গ্রোসারি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে শহিদুল ইসলাম সায়েম (২৫) নামের এক সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ডাকাতদলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার, টাকা ও গুলি উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, গাউসিয়া গ্রোসারি নামেও ওই প্রতিষ্ঠানে মুখোশ পরা চার অস্ত্রধারী দোকানিকে জিম্মি করে দুই ক্যাশের টাকা ও দামি সিগারেটসহ মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল। বাসার সিসি ক্যামেরায় এই দৃশ্য দেখে দোকানির ছোট ভাই সেনাসদস্য সায়েম বাসা থেকে দৌঁড়ে দোকানে আসামাত্র দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, ‘ছুটিতে বাড়িতে আসা সেনাসদস্য সায়েম ডাকাতদের গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
২২২ দিন আগে
ডাকাতির ৮ দিন পর রডের ট্রাক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতি হওয়ার আট দিন পর রডভর্তি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় দুই ডাকাতকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ মার্চ) সাভার সার্কেল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির।
পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় একদল ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি রড ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেন ও নুরে আলম নামের দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এসময় রডভর্তি ট্রাকটিও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
আটকদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে থাকা অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৬৩ দিন আগে
ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিনটি ইউনিট আজ থেকে কাজ শুরু করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ে কর্মশালায় যোগদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাক। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
‘‘রাজধানীতে রাতে ছিনতাই বেড়েছে। দিনেও ছিনতাই বেড়েছে। ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাব, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টেনসিভ পেট্রোল পোগ্রাম আজ (সোমবার) থেকে কাজ শুরু করবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আইজিপি
আইজিপি বলেন, ‘এতেও কাজ না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যৌথ বাহিনীতে একটা সাইজেবল কম্পোনেন্ট থাকে। আসলে পুলিশে এত বড় কম্পোনেন্ট নেই। কিন্তু যৌথ বাহিনী একটি জয়েন্ট পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট মূলত যারা সন্ত্রাস করে সমাজবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে। এটি আমরা শুরু করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগেই। ডেভিল হান্টে কারা ধরা পড়ছে আপনারা একটু দেখেন। বড় সন্ত্রাস, বড় চোরাকারবারি সবাই ধরা পড়ছে।’
২৮৩ দিন আগে
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলরসহ আটক ৪
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলর ও সাবেক সেনা সদস্যসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকায় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- যশোরের নতুন খয়েরতলা এলাকার মো. মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাঠি এলাকার ফিরোজ আহম্মেদ, চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা বিশ্বাস পাড়ার মো. গোলাম মোস্তফা ও পুড়াপাড়ার মো. রকি বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন সন্ত্রাসীরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল রাত ১টার দিকে ওই অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা একটি মাইক্রোবাসে করে পালানোর চেষ্টাকালে ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা চৌগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মিজানুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।
৩৩৯ দিন আগে
সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
সিলেটের ওসমানীনগরে এক রাতে তিন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির হয়েছে। এতে প্রায় ২৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমেদ, লতিবপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী আশিক আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের হামলায় দুই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০), ছেলে হোসাইন আহমদ (২২) ও মাধবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০)। তাদের বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পাওয়া গেল থানার লুট হওয়া শটগান
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে লতিবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে বসতঘরের কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১২–১৩ জন ডাকাত ঢুকে মিজানের ছোট ভাই হোসাইন আহমদের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে একটি কক্ষে বেঁধে রাখে। এরপর অপর কক্ষে হোসাইন আহমদের মা আনোয়ারা বেগমকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
একই রাতে পাশের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদের বাড়িতে সাত–আটজনের একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহকর্মী সিরাজ মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তখন মামুন আহমদের ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ব্রিটিশ পাউন্ডসহ প্রায় এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়াও, লতিবপুর গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আশিক মিয়ার বাড়ির কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ শ’ টাকাসহ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতিকালে আশিক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে খবর পেয়ে তারা বাড়িতে এসে দেখেন, তাদের ঘরের গেট ও দরজার তালা ভাঙা এবং আলমিরায় থাকা স্বর্ণালংকার নেই বলে জানায় পুলিশ।
আশিক মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, ‘আমি আমার বাপের বাড়িতে ছিলাম। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে শুনে বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘরের গেট ও দরজা খোলা এবং আলমিরায় রাখা স্বর্ণালংকার ও টাকা নেই।’
আহত হোসাইন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে গেট ও দরজা ভেঙে ১২ থেকে ১৩ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করে ছয় ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। রড দিয়ে তারা আমার মাথায় আঘাত করে। আমার মাকেও তারা মেরেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে সাত থেকে আটজন ডাকাত গেট ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পাউন্ডসহ নগদ ১ লাখ টাকা লুটে নেয়। এ সময় তারা আঞ্চলিক ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তারা আমার ঘরের সব আলমারি ভেঙে তছনছ করে। এরপর আমাদের ঘরে বেঁধে রেখে চলে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
৩৪১ দিন আগে
জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: তদন্ত কমিটি গঠন
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতিকালে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইউএনবিকে বলেন, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও থাকছেন কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি।
এই কমিটি আমাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
এর আগে, সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
৩৪৫ দিন আগে