পরিদর্শন
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এবং নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কমিশনের প্রতিনিধি দল রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কেরানিগঞ্জের জয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনাখোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়কোবাদ একাডেমি, রাজধানীর সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, নারী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নিরাপত্তা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ, কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা, নির্বাচনকালীন মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
এ সময় কমিশনের প্রতিনিধিদল ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ সব শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর নেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে পুরোপুরি সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখেছি৷ সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন৷ এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দিনব্যাপী নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কমিশন সজাগ রয়েছে। স্বাধীন ভোটদানের পরিবেশের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বেশি: পররাষ্ট্র সচিব
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জে একটি কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবিগঞ্জ সফর করেন তিনি।
এই প্রকল্পটি জাপান সরকারের গ্রান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ‘কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (সিআইএস)’ এনজিওকে দেওয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় একটি দোতলা কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এক হাজারের বেশি ঝুঁকিতে থাকা তরুণ-তরুণী বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানকে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের আহ্বান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘আমি আশা করি এই কেন্দ্র ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে, আয়ের উৎস তৈরি করতে এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা কমাতে সক্ষম করবে।’
তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানব নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান তার গ্রান্ট অ্যাসিস্ট্যান্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এই জিজিএইচএসপি অনুদানের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিওকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
রাশিয়ায় আইসোটোপ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল
ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন অ্যান্ড পলিমার টেকনোলজিসের প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমিন খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বিএইসি) একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি আইসোটোপ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম জানায়, কৃষিপণ্যের বিকিরণ প্রক্রিয়াকরণ ও গবেষণা কাজের জন্য দেশে আরপিপি-৩৫০ গামা রেডিয়েশন সুবিধার আধুনিকায়নে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানিতে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ গ্যারান্টি: কর্মকর্তা
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আইসোটোপ উৎপাদন প্রযুক্তি, বিশেষত কোবাল্ট-৬০ এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পরিদর্শন শেষে রুহুল আমিন বলেন, বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, বহুমুখী প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য রুশ আইসোটোপ পণ্য সরবরাহ, বাংলাদেশে পারমাণবিক ওষুধ সরবরাহসহ শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি গবেষণা চুল্লি নির্মাণে রোসাটমের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। এই ধরনের রিয়্যাক্টর আমাদের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোতে এটি ব্যবহার করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী
রোজনারগোঅ্যাটমের উপ-মহাপরিচালক এবং ব্যবসায় উন্নয়ন পরিচালক নিকিতা কনস্টান্তিনোভ বলেন, ‘এই মুহুর্তে রোসেনারগোঅ্যাটম (রোসাটমের বৈদ্যুতিক বিভাগ) রাশিয়ান ফেডারেশনে রেডিওআইসোটোপগুলোর অন্যতম প্রধান উৎপাদদনকারী। রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চ্যানেল রিয়্যাক্টরগুলোতে উৎপাদিত জীবানুমুক্ত কোবাল্টের পরিমাণ চলতি বছরে বিশ্ব বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেডিয়েশন টেকনোলজিস বিভাগের প্রধান আলেক্সি কনড্রাতিয়েভ বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত আইসোটোপ সারা বিশ্বে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছে এবং আরবিএমকে-১০০০ চ্যানেল রিয়্যাক্টরের অনন্য নকশা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ না করে 'অন দ্য ফ্লাই' রিয়্যাক্টর থেকে আইসোটোপগুলোর ক্রমাগত উৎপাদন এবং আনলোড করার ব্যবস্থা আছে।’
রোজনারগোঅ্যাটমের পণ্যের পরিসরে অনেকগুলো আইসোটোপ রয়েছে যা শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া খাদ্য, ওষুধ সহ বেশ কয়েকটি পরিবেশগত সমস্যা সমাধান এবং আরও অনেক কিছু এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান পৌঁছাল রূপপুরে
উদাহরণস্বরূপ, চিকিৎসা ডিভাইস এবং উপকরণগুলো জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি খাদ্য পণ্যের শেল্ফ লাইফ ও জীবাণুমুক্তকরণ এবং উপকরণগুলোর পলিমার বৈশিষ্ট্যগুলোকে সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয় কোবাল্ট-৬০।
মেডিকেল আয়োডিন-১২৫, এবং আয়োডিন-১৩১ থাইরয়েড ক্যান্সার এবং মলিবডেনাম-৯৯ (টেকনেটিয়াম-৯৯ এম) নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা সিন্টিগ্রাফি এবং একক-ফোটন টোমোগ্রাফি ব্যবহার করে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। অদূর ভবিষ্যতে লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সামারিয়াম-১৫৩ উৎপাদন শুরু করা হবে।
কার্স্ক এবং স্মোলেনস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আইসোটোপ উৎপাদন প্রযুক্তিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কঠোর নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আপনাদের শঙ্কা করার কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে যেহেতু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনা জয় করে এবার প্লাজমা দিতে চান সিএমপি কমিশনার
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে সিএমপি কমিশনার নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন সাধুরপাড়া পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
মণ্ডপ পরিদর্শনে এলে তাকে স্বাগত জানান সাধুরপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আশিস কুমার নাথ।
তিনি বলেন, মণ্ডপকেন্দ্রিক একটি করে ‘সম্প্রীতি কমিটি’ করা হয়েছে, যেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এ উৎসব শেষ করা যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এম এ মাসুদ, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মাহতাবউদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান, উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান, উপকমিশনার (ট্রাফিক) জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
মার্কিন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন তারা।
এসময় তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রজেক্ট পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট পৌঁছে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, সেখানে তারা দাতা সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় প্রতিনিধি দল এনজিও সংস্থায় কর্মরত কিছু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ক্যাম্পে সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও এর প্রজেক্ট পরিদর্শনের পর বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন- রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের শারিন ফিটজেরাল্ড, ডেপুটি আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী পিআরএম টমাস ব্রাউনস, আঞ্চলিক মানবিক উপদেষ্টা, ইউএসএআইডি অ্যান্ড্রু শেফার, ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের ইশতিয়াক আহমেদ ও নিরাপত্তা তদন্তকারী কর্মকর্তা ইত্তে ইরতাজদ আক্তার।
ক্যাম্প পরিদর্শন কালে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ঢাকায় ওয়াশ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সুইডিশ স্টেট সেক্রেটারি
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের আগে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এর আগে তিনি কালুরঘাট রেলসেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের কালুরঘাট সেতু মেরামত কাজের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মূলত কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিতেই মন্ত্রীর এই সফর। উদ্বোধন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেবেন এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দেখবেন।
রেল পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী রেললাইন পরিদর্শন করছেন। কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ এবং ট্রেন চলাচলের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন নেপালের একটি উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো দূরদর্শী নেতা পেয়ে বাংলাদেশের জনগণ সৌভাগ্যবান।
আরও পড়ুন: নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেপাল পার্লামেন্টের কৃষি, সমবায় ও প্রাকৃতিক সম্পদ কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আরজু রানা। সোমবার তারা ঢাকায় পৌঁছান।
কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দেখতে এবং কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
আরও পড়ুন: নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে বিপুল সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে: কসমস ডায়ালগে নেপালের রাষ্ট্রদূত
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে এই চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০০ সালে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকালে দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পথ শিশুদের নিয়ে কেক কাটলেন পলক
পরে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নৌকা বাইচের আয়োজন করবে বিআইডাব্লিউটিএ
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর শরনার্থী শিবির, বালুখালী ৮ নম্বর শরনার্থী শিবির এবং ২০ নম্বর শরনার্থী শিবিরের বর্ধিত অংশ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত ২
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, সফরকালে ভুনিওয়াকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জড়িত অন্যান্য মানবিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শরণার্থী শিবিরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন।
রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দেখভালের জন্য গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এর আগে পর্যন্ত জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসেননি।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব সোমবার সকালে কক্সবাজারে আসেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
জানা গেছে, উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য কক্সবাজার সফর করছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ