হাতি
হাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও এলাকার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উসমান আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে পাহাড়ি জনপদে বন্যহাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহত উসমান আলী নাকুগাঁও গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একদল বন্যহাতি নাকুগাঁও পাহাড় থেকে পাশ্ববর্তী এলাকায় নেমে আসলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের খেত বাঁচাতে বন্যহাতিদের তাড়া করলে একপর্যায়ে বন্যহাতির দল পাল্টা তাড়া দিলে উসমান আলীসহ অন্যরা দৌঁড়ে পালানোর সময় পা পিছলে খেতের আইলে পড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
বগুড়ায় মৃত হাতি উদ্ধার
বগুড়ায় সড়কের ধারে পড়ে থাকা একটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়েছে।হাতির মালিক বা মাহুতকে না পাওয়ায় হাতিটি কোথা থেকে এসেছে তা স্থানীয়রা বলতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শোলাগাড়ী মোড়ে মৃত হাতিটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে’ হাতি শাবকের মৃত্যু
জানা গেছে, স্ত্রী প্রজাতির এই মৃত হাতিটি বান্দরবান এলাকার আজগর নামের এক ব্যক্তির। হাতিটির বয়স প্রায় ৮০ বছর। বগুড়ার নামুজা এলাকার এনামুল নামে এক ব্যক্তি হাতিটির মাহুত হিসেবে কাজ করতেন।
হাতিটি বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় সার্কাসে ব্যবহার হতো। এ ছাড়াও হাতিটিকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দোকান, যানবাহন ও মানুষের কাছে টাকা তুলতেন মাহুত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন জানান, সকালে দুপচাঁচিয়া সড়কে শোলাগাড়ী মোড়ে স্থানীয়রা হাতিটিকে দেখতে পায়। তাদের কাছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। পরে পুলিশ, বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে রাতের বেলায় গাড়িতে করে নিয়ে এখানে ফেলে রেখেছে।
বগুড়া সদর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) নুর জাহিদ সরকার জানায়, হাতির আসল মালিক আসগরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। পার্বত্য এলাকার কারণে এখনও কথা হয়নি। তবে মহাস্থানগড় এলাকায় মমতাজ নামে আসগরের এক ভাতিজা বসবাস করেন।
হাতিটিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার অনুষ্ঠানে ভাড়া হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এর আগে থেকেই হাতিটি অসুস্থ ছিল। গতকাল সোমবার ট্রাকে করে হাতিটিকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছিল।
পথে সম্ভবত মারা যাওয়ার কারণে রাতে শোলাগাড়ী এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
এসআই নুর জাহিদ আরও বলেন, হাতিটির বয়স অনেক। অসুস্থও ছিল। হাতির মাহুত ও মালিকের ভাতিজাকে ডাকা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনে হাতির মৃত্যু
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
মানুষের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণী
বিস্ময়কর সৃষ্টি জগতের স্পন্দনে মুখর প্রকৃতি অকপটে জানান দেয় জ্ঞানীয় ক্ষমতার দিক থেকে মানুষের সমকক্ষতার কথা। প্রাণের আশ্রয় এই নীল গ্রহের কিছু প্রাণীকুলের অদ্ভূত বুদ্ধিদ্বীপ্ততা পাল্লা দিয়ে চলে তাদের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে। সেখানে বিজ্ঞানের প্রখর বিশ্লেষণ অবাক বনে যায় তাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতার কাছে প্রকৃতগত পাশবিকতাকে হার মেনে যেতে দেখে। আজকের নিবন্ধটি হাজির করতে চলেছে- মানুষের ব্যাতিত পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণীকে। আপনার চিরচেনা প্রাণীটিকেও হয়ত এদের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। চলুন, বুদ্ধিমত্তা প্রকাশের এক ভিন্ন দিগন্তে প্রবেশ করা যাক।
মানুষ বাদে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০টি প্রাণী
ডলফিন
অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চতর জ্ঞানীয় ক্ষমতার জন্য মানুষের পরেই সর্বাধিক পরিচিত প্রাণীটি হলো ডলফিন। বিশেষ করে বোটলনোজ ডলফিন সামাজিক কাঠামো গঠন, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। এদের মস্তিষ্ক শরীরের তুলনায় বড় এবং এদের মস্তিষ্কের বিকশিত নিওকর্টেক্স অঞ্চলটি উচু স্তরের জ্ঞানীয় কার্য সম্পাদনে এদের সাহায্য করে।
ডলফিনের বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো তাদের হাতিয়ার ব্যবহার। এই দক্ষতাটি যে তারা শুধু আত্মরক্ষায় ব্যবহার করে তা নয়; শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা এটি ছড়িয়ে দিতে পারে তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
ডলফিনরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের নানা ধরনের কণ্ঠস্বর এবং শারীরিক অঙ্গ-ভঙ্গি ব্যবহার করে যোগাযোগের দক্ষতা দিয়ে। প্রতিটি ডলফিনের স্বতন্ত্র স্বাক্ষর হুইসেল রয়েছে, যা অনেকটা নাম বা সম্বোধনের মতো কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
বনমানুষ
শিম্পাঞ্জি, বোনোবোস, গরিলা এবং ওরাঙওটানের মত গ্রেট এপরা মানুষের নিকটতম আত্মীয়। এরা মানুষের মতোই সহানুভূতি, মনস্তত্ত্ব, হাতিয়ার ব্যবহার, যোগাযোগ এবং সুক্ষ্ম সমস্যা সমাধান করতে পারে। তাদেরকে যে বিষয়টি বিশেষত্ব দিয়েছে সেটি হচ্ছে- তাদের হাতিয়ার ব্যবহার করা এবং তা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা।
এই বনমানুষেরা পরস্পরের আবেগ চিনতে ও বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সাড়াও দিতে পারে। নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জানাতে তারা কণ্ঠস্বর, মুখের অভিব্যক্তি এবং শরীরের ভঙ্গিমা ব্যবহার করে। তারা অন্যান্য প্রাণী বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে এই যোগাযোগটি রক্ষা করতে পারে।
বনমানুষের যুগান্তকারী বিকাশ হলো, তারা নতুন প্রতীক বা সাংকেতিক ভাষা শিখে নিতে পারে।
হাতি
স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক হলো হাতির। তাদের প্রায় ২৫৭ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় তিনগুণ।
হাতির বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল তাদের মৃত সঙ্গীদের জন্য শোক করার ক্ষমতা। তারা মৃত পালের সদস্যের দেহ আলতো করে স্পর্শ করে বা আদর করে তাদের শান্তনা দেয়।
তারা হাতিয়ার ব্যবহার করে দূরের কোনো জিনিস তাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আনতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে নতুন কিছু শিখে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
হাতিরা বয়স্ক সদস্যের নেতৃত্বে একক পরিবার গঠন করে নির্দিষ্ট জায়গায় জটলা হয়ে বসবাস করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য অনেক দূর থেকে কম-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তিমি
অরকাস তিমি সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সব থেকে বুদ্ধিমান এবং ভয়ঙ্কর শিকারী। ঘাতক তিমি নামে পরিচিত এই দৈত্যাকার প্রাণী সামাজিক কাঠামো গঠন করতে পারে। প্রতিটি একক পরিবার আলাদা ভাবে আঁটসাঁট হয়ে একত্রে থাকে।
অরকাসের আছে সমস্যা সমাধান, উন্নত যোগাযোগ এবং বৈচিত্র্যময় শিকারের কৌশল প্রদর্শনের ক্ষমতা। তাদের বৃহৎ মস্তিষ্ক এবং বিভিন্ন কণ্ঠস্বর তাদের উচ্চ স্তরের জ্ঞানীয় ক্ষমতার পরিচয় দেয়। তাদের স্বতন্ত্র আওয়াজ বা ডাকের জন্য তাদের রয়েছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। তারা দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে এবং বিভিন্ন সময়ে জায়গা বদলের জন্য তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়।
এই অতিকায় প্রাণীগুলো সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অক্টোপাস
বহু উপাঙ্গবিশিষ্ট অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে অধিক বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে অক্টোপাস। অক্টোপাসের একটি সুক্ষ্ম স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে এবং প্রতি উপাঙ্গতে রয়েছে নিউরনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মস্তিষ্কের জটিল কাজগুলো সম্পাদন করে।
অক্টোপাস বুদ্ধিমত্তার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। অক্টোপাস সুনিপুণভাবে হাতিয়ার ব্যবহার দেখে অনুকরণ করে শিখে নিতে পারে। এই ক্ষমতাটি তাদের বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা যায় যে, অক্টোপাস যে কোনো বন্দি দশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য অদ্ভূত সব কৌশল অবলম্বন করে থাকে। মূলত তাদের অভূতপূর্ব অভিযোজন ক্ষমতাই এরকম নৈপুণ্য প্রকাশের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
চট্টগ্রামে ‘পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে’ হাতি শাবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি মৃত হাতিশাবক উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার চাম্বল দুইল্লাঝিরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাম্বল বন বিট কার্যালয় থেকে আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বনের পাশে জমিতে এক বছর বয়সী মৃত হাতি পড়েছিল। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন মৃত হাতিকে দেখতে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি শাবকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
তাদের ধারণা, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পাহাড়ের ঢালু থেকে নীচে পড়ে হাতির বাচ্চাটি মারা যায়।
তারা জানায়, খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে চাম্বল ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকালয়ে বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। এসব হাতি মানুষের বসতঘর ও ধানখেতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। খাদ্যাভাব দেখা দিলে শুষ্ক মৌসুমে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসে। হয়তো সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে লোকালয় গড়ে ওঠা বাসিন্দাদের ধাওয়া খেয়ে পাহাড় থেকে পড়ে এই হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।
জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘হাতিটির বয়স ১ থেকে দেড় বছর হতে পারে। পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে এই বাচ্চা হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চিকিৎসক টিম গেছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুহু মিয়ার ধানখেত থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যহাতির পাল খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে প্রবেশ করে কৃষকের ধান, সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা বিনষ্ট করছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একদল বন্যহাতি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকুঁড়া গ্রামের কয়েক কৃষকের ধানের জমিতে নেমে এসে পাকা বোরো ধান বিনষ্ট করে। শনিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক নুহু মিয়ার ধানখেতে একটি মৃত বন্যহাতি পড়ে থাকতে দেখেন।
এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ, বন বিভাগ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ জাতের। এর বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে। বন্য হাতির আবাসস্থল ছিল, কিন্তু আমরা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছি। তাই বন্য হাতিরা বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসছে।
তিনি বলেন, নতুন করে আমাদেরকে তাদের আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখতে হবে। বনের মধ্যে আমাদের হাতির খাবার তৈরি করতে হবে। হাতি যে খাবারগুলো খায় সেই সকল গাছ রোপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মন্ত্রী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিসরনে সোলার ফ্রান্সিং প্যানেলের উদ্বোধন ও কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরকালে এই কথা বলেন।
তিনি বন্য এলাকায় বসবাসকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হাতির সঙ্গে আপনারা দ্বন্ধে জড়াবেন না। আপনাদের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমিন হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সিএমসি কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. শোয়েব খান।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
নেত্রকোণার কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকায় কাদায় আটকে একটি বন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্ট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক পাঠান কলমাকান্দা থানায় জিডি করেছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান জানান।
এ সময় মৃত হাতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কনিকা সরকার বলেন, ‘হাতিটির কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
মৃত হাতিটিকে মাটিচাপা দিতে ভেকু আনা হচ্ছে এবং বিকালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে দুর্গাপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান।
শুক্রবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাচগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেতগড়া গ্রামের ফসলি ক্ষেতের কাদা মাটিতে একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ধারণা , মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দলের মধ্যে একটি হাতি কাদায় আটকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতে বন্য হাতির এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল ইসলাম (৩২) কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান জানান, ভারতের বেতগড়া থেকে বন্য হাতির পাল সোমবার রাত ৯টার দিকে দেশে ঢুকে কৃষকের ফসল নষ্ট করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
গ্রামবাসীরা হাতিগুলোকে ধাওয়া করলে নুরুল একটি হাতির আক্রমণের শিকার হন।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
কেনিয়ার ভয়াবহ খরা চলছে। চলতি বছর পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হাতি ও জেব্রার মতো কয়েকশ’ বন্যপ্রাণী মারা গেছে।
শুক্রবার কেনিয়ার বন্যপ্রাণী পরিষেবা এবং অন্যান্য সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নজিরবিহীন খরায় কেনিয়ায় ২০৫টি হাতিসহ বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতি ছাড়াও, ৫১২টি নু-হরিণ, ৩৮১টি জেব্রা, ১২টি জিরাফ ও ৫১টি মহিষসহ আরও অনেক বণ্যপ্রাণী মারা গেছে।
কেনিয়ার কিছু অংশে গত দুই বছরে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পরপর চারবার খরা হয়েছে। যা গবাদি পশু সহ মানুষ ও প্রাণীদের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।এর সঙ্গে পানির ঘাটতির বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
প্রতিবেদন লেখকদের মতে, দেশটির পর্যটক আকর্ষণের কিছু জাতীয় উদ্যানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-আম্বোসেলি,সাভো ও লাইকিপিয়া-সাম্বুরু অঞ্চল।
জানা গেছে,সেখানে বন্য প্রাণীদের ওপর খরার প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সরকারের উদ্দেশে বন্যপ্রাণীদের জন্য জরুরি বায়বীয় আদমশুমারির আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যালিফ্যান্ট প্রতিবেশি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জিম জাস্টাস নাইমু’র মতে,বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দ্রুত পানি ও লবণ ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, হাতিরা প্রতিদিন ২৪০ লিটার (৬৩.৪০ গ্যালন) পানি পান করে।
এছাড়া গ্রেভির জেব্রার জন্য বিশেষজ্ঞরা খড়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
প্রবল বর্ষণে নাইজারে ১৭৯ জন নিহত
বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্য হাতির আক্রমণে আব্দুল মান্নান (৫০) নামে বিজিবির এক নায়েক সুবেদার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪৯ নং পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বিজিবির একটি টহল দল সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়ার ৪৯ নং সীমান্ত পিলার এলাকায় টহলে যায়। এ সময় জঙ্গল থেকে একটি বন্য হাতি ওই টহল দলের ওপর আক্রমণ করলে হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে বিজিবি সদস্য মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু মিছিলে আরও যুক্ত হলো ৩ জন
গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু