ছাত্রলীগ নেতা
মেহেরপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা
২০২৩ সালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার ছবি, সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা পোড়ানো মামলার আসামি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রেজা প্রিন্সকে সংঘবদ্ধ পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলা শহরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন শাহরিয়ার। সে সময় তাকে আটক করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে গাংনী থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শাহরিয়ার রেজা প্রিন্স উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ও গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের পর পুলিশে হস্তান্তর
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অফিসে হামলা চালিয়ে সেখানে থাকা চেয়ারটেবিল, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেন। দীর্ঘ সময় পর সেই কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে শনাক্ত করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তারা একত্রিত হয়ে তাকে আটক করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানী ইসরাইল বলেন, ‘বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও ছবি পোড়ানোর মামলায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চালান দেওয়া হবে।’
৯২ দিন আগে
ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় মো. সাইফুল্লাহ আরিফ নামে (৩০) এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ-সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
একমাত্র ছেলের এমন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা, ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল তারা।
আরিফের বাবা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতের খাবার শেষে মাকে পানি খাইয়ে ১২টার দিকে আরিফ তার রুমে ঘুমাতে যান। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গেইট খুলে বাইরে বের হলে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
স্থানীয় ও স্বজনদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা আরিফকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর ভোলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন নিহতের পরিবার।
ভোলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
৯৬ দিন আগে
ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার ইস্যুতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, থানা ঘেরাও, মহাসড়ক অবরোধ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আসামি ধরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও তাদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে থানার সামনে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে থানার সামনে শান্তিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ করলে পটিয়া থানা চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) গুরুতর আহত হয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষ করে থানার মোড়ে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সেখানে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংককে দেখতে পেয়ে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না করায় ছাত্ররা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রাতেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আহত আশরাফুল ইসলাম তৌকির অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। দীপংকরকে দেখে পুলিশকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই পুলিশ আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। কোনো কারণ ছাড়াই তারা লাঠিচার্জ করে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক গোলাম মওলা মাশরাফ বলেন, ‘পুলিশ এখন বট, দুই নম্বর ও ফাও হয়ে গেছে। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের রক্ষা করছে আর নিরীহ ছাত্রদের পেটাচ্ছে। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না, এই বিপ্লব মরার জন্যই করছি।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশ এখন আন্দোলনকারীদের হুমকি দিচ্ছে। তবে আমরা থেমে থাকব না।’
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. নওশাদ জানান, ‘আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ছাত্রদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তারা বলেন, ‘ওসি ও সংশ্লিষ্ট এসআইদের অপসারণসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার বিচার না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসে মব সৃষ্টি করে মারধর করেছিলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ৩-৪ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বুধবার সকাল থেকে ওসির অপসারণের দাবি করে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন ছাত্ররা। তবে বিকল্প সড়ক বাইপাস দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১৫৫ দিন আগে
ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
পটুয়াখালীর দুমকিতে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে প্রকাশ্যে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে দুমকি উপজেলা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে লেবুখালি পায়রা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের পিএ হিসেবে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাঈমকে সেতু এলাকায় দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে আটক করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘নাঈম টয়লেট ও টিউবওয়েলের টাকা পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে! এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।’
ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী দোসররা দুমকিকে লুটপাটের জোনে পরিণত করেছে। টয়লেট নাঈম ছিল তার বড় উদাহরণ। আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছি, অপরাধী যেই হোক, ছাড় নয়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ঈদের নামাজ নিয়ে দ্বন্দ্বে বোমার আঘাতে নিহত ১
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আটক ব্যক্তি বর্তমানে থানায় হেফাজতে রয়েছে। অভিযোগ যাচাই বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নাঈম দীর্ঘদিন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডিনের জাল সই ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। এলাকাবাসী দ্রুত এ ঘটনায় তদন্ত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
১৭৯ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে ফাহিম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র জনতা। সে পৌরসভার দক্ষিণ ফতেহপুর দাসগ্রাম এলাকার সফিক উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পৌরশহরের পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র জনতা।
আটক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদ (২৫) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দায়ের করা একটি হত্যা মামলার আসামি। পরে সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার চেষ্টাকালে ফাহিম আহমদকে স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করেন। এক পর্যায়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ফাহিম সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার থানা প্রাঙ্গণে গুলিতে নিহত ময়নুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২৬ নম্বর আসামি। নিহতের স্ত্রী শিরিন বেগম ওই মামলার বাদী।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ পাইনি। খেলার মাঠ থেকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে আমাদের থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার আসামি। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২২৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ছাত্রদের করা নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত ও একই এলাকার উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়।
পুলিশ জনায়, সকাল ৬টার দিকে লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশ্যে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে আটক হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র শামীম হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে। পরে কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নাশকতা করার উদ্দেশে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পরে পুলিশের খবর পেয়ে তার দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘৩০ জনকে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
২৯৮ দিন আগে
নাটোরের ছাত্রলীগ নেতা মাসুম পাবনা থেকে গ্রেপ্তার
হত্যাসহ ৭টি মামলার পলাতক আসামি ছাত্রলীগের নাটোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে পাবনার রুপপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যায় মাসুম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রুপপুর এলাকায় মাসুমকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন নাটোরের কিছু লোকজন। তারা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া মাসুমের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি মাহাবুর রহমান।
৩২২ দিন আগে
রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ফিরোজ মাহমুদ নামে রাবি হল শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের করা মামলায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাবির শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরোজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি বগুড়া জেলায়। শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, বোন আহত
শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে হলের সামনে থেকে সাবেক এই নেতাকে আটকের পর মারধর করে শিক্ষার্থীরা। আহত অবস্থায় মতিহার থানা পুলিশ তাকে রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মতিহার থানায় নেয় পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, সার্টিফিকেট তুলতে আসলে জিয়া হলের সামনে ফিরোজকে ধরে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় আনা হয়েছে। ছাত্রদলের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
৩৬৯ দিন আগে
পোশাক শ্রমিকদের উসকানিদাতা ছাত্রলীগ নেতা নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তার
পোশাক খাতে নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিল্পে অস্থিতিশীলতার উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক আহম্মেদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোণা জেলা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার
একটি ভিডিওতে তাকে পোশাক শ্রমিকদের লুটপাট ও রাস্তায় নামতে উসকানি দিয়ে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে অস্থিরতাকে উসকে দিতে দেখা গেছে।
সাধারণ মানুষ পরিচয় দিলেও তিনি আসলে ছাত্রলীগ নেতা ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র বলে নেত্রকোনার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শাহজাহান রাজধানীতে গ্রেপ্তার
৪৫১ দিন আগে
সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিশুকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) উপজেলার দক্ষিণ চরসাহাভিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। একই কেন্দ্রে তিনি দোয়াত–কলম প্রতীকের পোলিং এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইয়াকুব আলীকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল বারী ভূইয়া বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে বুথের সামনে সিল মারা ব্যালটের ছবি তোলার বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর তিনি লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে যান।
ছবিতে দেখা যায়, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে দোয়াত–কলম প্রতীকে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাখাওয়াতুল হক বিটুকে টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দেন। ভোট প্রদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করে তিনি লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
এ বিষয়ে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোট শুরু হয়েছে তাই এমনি দিয়েছি।
ব্যালটে ভোট দিয়ে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভুল করেছি, ছোট ভাই হিসেবে মাফ করে দিয়েন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরও ওই ব্যক্তি কীভাবে মোবাইল ব্যবহার করছেন তা বোধগম্য নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বলেন, বুথের ভেতরে সিল মারা ব্যালট পেপার (ছবি তুলে) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় একজন ভোটারকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দিয়েছে পিএসজি
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
৫৫৪ দিন আগে