লা লিগা
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
কাগজে-কলমে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপাস্বপ্ন টিকে থাকলেও প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে হতো দলটির; নিজেদের অবশিষ্ট তিন ম্যাচ জয় এবং বার্সেলোনার তিনটি ম্যাচই হারতে হতো। এ ক্ষেত্রে রিয়াল প্রথম ম্যাচটি জিতলেও নিজেদের ম্যাচ জিতে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে করে ২৮তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে তিন ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বার্সেলোনার। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
কাতালুনিয়া ডার্বিতে এদিন পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিল বার্সেলোনা। অপরদিকে, ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেওয়া এস্পানিওল কোচের কণ্ঠে বার্সাকেও হারানোর প্রত্যয় ঝরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য ঠিকঠাক খেলে লামিন-রাফিনিয়াদের আটকে রাখে এস্পানিওল। তবে বিরতির পর আর দলটিকে রুখতে পারেনি তারা। ৫৩তম মিনিটে লামিনের বাঁ পায়ের কারিকুরিতে পরাস্ত হয় দলটির রক্ষণভাগ। নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালককে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিকদের ডিফেন্ডার লেয়ান্দ্রো কাবরেরা। পরে যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার গোলটি করেন দুর্দান্ত ফেরমিন লোপেস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হয়েছে ৮৫। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। ফলে দুই ম্যাচে রিয়াল পূর্ণ ছয় পয়েন্ট এবং বার্সেলোনা দুটিই হারলেও তাদের ধরা সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে, হেরে অবনমনের শঙ্কা বেড়েছে এস্পানিওলের। টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকলেও অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট দূরে আছে দলটি। ফলে পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে মানোলো গন্সালেসের শিষ্যদের।
২০২২-২৩ মৌসুমেও এস্পানিওলের এই মাঠ থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে জিতে শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলটিকে। এবারও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা যাতে মাঠে উদযাপন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের পানির স্প্রেগুলো চালু করে দেওয়া হয়। আর হান্সি ফ্লিকও ছিলেন সতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিষ্যদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন তিনি।
২০৩ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২, ৫-২ ও ৩-২ গোলে তিনটি ম্যাচ হারিয়ে আগেই দুটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এবার ৪-৩ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবগুলো এল ক্লাসিকো জিতে নিল কাতালান জায়ান্টরা। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেই ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ক্যাম্প ন্যুতে রবিবার লা লিগার দ্বিতীয় ও মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হেরে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এই জয়ে লিগের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২৬ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কাতালানদের আর দরকার দুই পয়েন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাতে কাতালুনিয়া ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে খেলতে যাবে ফ্লিকের দল। টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে তারা।
এদিন রিয়াল মাদ্রিদের তিন গোলের তিনটিই করেছেন এমবাপ্পে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একমাত্র ৮ বা তার বেশি রেটিংয়ের পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি (৮.৮)। বার্সেলোনার দলীয় পারফরম্যান্সের সামনে বৃথা গেছে তার হ্যাটট্রিক।
অবশ্য দল না জিতলেও ব্যক্তিগত একাধিক অর্জন হয়েছে এই ফরাসি তারকার। রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ৩৮টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপ্পে, অভিষেক মৌসুমে যা রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন এমবাপ্পে। এমনকি হাতে আরও তিনটি ম্যাচ থাকায় এই রিকর্ডটি তিনি আরও উচ্চতায় তুলতে পারেন।
এছাড়া লা লিগায় ২৫ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা এমবাপ্পের লিগে গোল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। চলতি মৌসুমের পিচিচি ট্রফিরে দৌড়ে বার্সেলোনার রবের্ট লেভানডোভস্কিকে (২৬) পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আর তা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ঢোকার আগে কুবারসিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান এমবাপ্পে, এরপর স্টান্সনি এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের পা থেকে ঝাঁপিয়ে বল কাড়তে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন। এরপর ভিএআর রিভিউ শেষে ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
চতুর্দশ মিনিটে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ভেঙে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে অবশ্য মাঝমাঠ থেকে লামিনকে ফাউল করে বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বার্সেলোনা, তবে রিভিউতে তাদের সে আবেদন জোর পায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এ সময় বক্সের মধ্যে আসা ক্রসে প্রথমে মাথা দিয়ে বল গোলপোস্টের মাঝ বরাবর পাঠান ফেররান, তাতে সফল হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন এরিক।
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল প্রথমোর্ধেই রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পের আরও এক গোলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে তা ম্যাচ জিতে লিগে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
একেবারে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন ফেরমিন লোপেস। তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়লে ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ মিলেছে। সেইসঙ্গে লা লিগা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২০৭ দিন আগে
সেল্তার বিপক্ষে রদ্রিগোকেও পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ
লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ ও উয়েফা সুপার কাপ—গত মৌসুমে চারটি শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুঃস্বপ্নের এক মৌসুম কাটাচ্ছে। সব হাতছাড়া হয়ে এখন পর্যন্ত কেবল লা লিগার শিরোপার দৌড়েই টিকে আছে দলটি। তবে মৌসুমের শেষে এসে চোটে জেরবার হয়ে সেই আশাও ফিকে হয়ে যেতে বসেছে তাদের।
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের আর পাঁচ ম্যাচ খেলা বাকি। এর মাঝে গতরাতে নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে। ফলে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে হারা তো দূর, পয়েন্ট খোয়ালেই শিরোপাস্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ (রবিবার) সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামছেন ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পেরা। তবে ভয়ডরহীন ফুটবল উপহার দেওয়া সেল্তার বিপক্ষে স্কোয়াডে খুব বেশি গভীরতা পাচ্ছেন না আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকো ফাইনাল হেরে বার্সেলোনার কাছে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয় রিয়ালের। ওই ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফটব্যাক ফেরলন্দ মদিঁ। এছাড়া ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আন্টোনিও রুয়েডিগার সময়টি কাজে লাগাতে পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন।
তার আগে থেকেই অবশ্য রিয়ালের স্কোয়াডে অনুপস্থিত ডাভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। আর দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও তো পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে এবার রদ্রিগোকে হারালেন আনচেলত্তি। তবে চোট নয়, মূলত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছেন রদ্রিগো। ম্যাচের আগে সতীর্থদের মাঝে যাতে ফ্লু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনি। এ সময় বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। আর এ কারণেই তাকে স্কোয়াডে রাখেননি আনচেলত্তি।
শিষ্যদের চোটের কারণে চলতি মৌসুম বারবার একাদশ সাজানো নিয়ে ভুগতে হয়েছে রিয়াল কোচকে। সেল্তার বিপক্ষে আরও একবার সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাকে।
কেমন হবে একাদশ
এই মুহূর্তে দলটিতে মাত্র তিনজন ডিফেন্ডার সুস্থ ও খেলার উপযোগী রয়েছেন। লুকাস ভাসকেস, রাউল আসেন্সিও ও ফ্রান গার্সিয়ার সঙ্গে তাই আরও একবার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে রক্ষণ সামলাতে হবে।
বেলিংহ্যামকে ফলস নাইন পজিশনে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজাতে পারেন আনচেলত্তি। মাঝমাঠে ফেদেরিকো ভালভের্দে নিয়মিত মুখ হলেও দানি সেবায়োস ও লুকা মদ্রিচ একটি স্পটের জন্য প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
আক্রমণভাগে রদ্রিগোর অনুপস্থিতিতে কপাল খুলতে পারে ব্রাহিম দিয়াসের। আবার সম্প্রতি মাঠে আলো ছড়ানো আর্দা গুলেরকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে তো থাকবেনই।
সম্ভাব্য একাদশ: কোর্তোয়া, ভাসকেস, চুয়ামেনি, আসেন্সিও, ফ্রান গার্সিয়া, ভালভের্দে, মদ্রিচ/সেবায়োস, ব্রাহিম দিয়াস/গুলের, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে।
২১৪ দিন আগে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বেঞ্চের ফুটবলারদের ঝালিয়ে নিতে নিয়মিত একাদশের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়েছিলেন হান্সি ফ্লিক। তবে শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল তার দল। পরে কয়েকটি পরিবর্তন এনে বার্সেলোনাকে ম্যাচটি জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছের তিনি।
শনিবার রাতে লা লিগায় নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল ভায়াদোলিদ ও বার্সেলোনা। সবশেষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলা একাদশের ৯ জনকেই এদিন বিশ্রাম দেন ফ্লিক। ওই একাদশ থেকে মাঠে নামেন কেবল পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন।
তবে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে ঘরের মাঠে সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা ভায়াদোলিদ। এরপর প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতেও সক্ষম হয় দলটি।
৩৮তম মিনিটে এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষিক্ত দানি রদ্রিগেস চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে খেলতে নামেন লামিন ইয়ামাল। আর তাতে কাতালানদের আক্রমণে ধার বাড়ে। পরে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করার সময় পেদ্রি ও আনসু ফাতিকে বসিয়ে রেখে যথাক্রমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও রাফিনিয়াকে মাঠে নামান ফ্লিক।
এরপর সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি সফরকারীরা। ৫৪তম মিনিটেই রাফিনিয়ার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এর সাত মিনিট পর ফেরমিন লোপেসের একটি ব্যাঙ্গারে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
পরে অবশ্য আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা মেলেনি দলটির। এছাড়া চোট থেকে সেরে উঠে ২২৪ দিন পর মাঠে নামা বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন পরে আর ভুল না করে বরং তিনটি অসাধারণ সেভ করলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের পয়েন্ট ৭৯-তে উন্নীত করেছে, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আবারও বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে।
নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে রবিবার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
পরের সপ্তাহে লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় ও শেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার মাঠে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ওই ম্যাচটিই লা লিগার চলতি আসরের ভাগ্য গড়ে দেবে বলে ফুটবল পাড়ায় জোর আলোচনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
২১৫ দিন আগে
একাধিক সুযোগ নষ্ট করে গেতাফের হার, লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল
৩৬ শতাংশ পজেশন রেখেও ২০টি শট নিয়ে তার ছয়টি লক্ষ্যে রাখল গেতাফে। ম্যাচজুড়ে গোল করার চারটি পরিষ্কার সুযোগও তৈরি করল তারা। তবে গোল আর করা হয়ে উঠল না। বিপরীতে ১৪টি শটের সাতটি লক্ষ্যে রেখে দুটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করে তা থেকেই ঠিকানা খুঁজে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতেই কোনোমতে ম্যাচ জিতে নিয়ে শিরোপার লড়াই আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল কার্লো আনচেলত্তির দল।
বুধবার রাতে গেতাফের কলিসেউম স্টেডিয়ামে লা লিগার ৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আগের রাতে মায়োর্কাকে একই ব্যবধানে হারানোয় রিয়ালের সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে হয় সাত। তাই নিজেদের ম্যাচটি হারা তো দূর, ড্র করলেও লিগ শিরোপার লড়াই থেকে একপ্রকার ছিটকে যেত আনচেলত্তির দল। তবে জিতে সেই ব্যবধান ফের চারে নামিয়ে তা হতে দেয়নি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৩৩ ম্যাচে ২৪ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭৬। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ জয় ও ৬ ড্রয়ে নিজেদের পয়েন্ট ৭২-এ উত্তীর্ণ করেছে রিয়াল।
আরও পড়ুন: মায়োর্কার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ফাইনালের প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
শনিবারের কোপা দেল রের ফাইনালে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ফিট রাখতে বার্সার মতোই বেশ কয়েকজনকে বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজান আনচেলত্তি।
চোটের কারণে এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের না খেলার কথা জানা গিয়েছিল আগেই। এছাড়া আন্টোনিও রুয়েডিগার, জুড বেলিংহ্যাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, লুকা মদ্রিচ ও রদ্রিগোকে এদিন বেঞ্চে রাখেন রিয়াল বস। এর ফলে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে আক্রমণভাগে খেলার সুযোগ পান ব্রাহিম দিয়াস ও এন্দ্রিক। মাঝমাঠে খেলতে নামেন আরদা গুলেরও।
একাদশে অদল-বদল হলেও প্রথমার্ধে অসাধারণ পারফর্ম করে রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য তাদের সমানে জবাব দিয়ে যাচ্ছিল গেতাফেও।
তবে ২১তম মিনিটে গুলেরের চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এ সময় ব্রাহিমের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে পরমুহূর্তে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান গুলের। জায়গা বানিয়ে নিয়েই ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন এই তরুণ তুর্কি, গোলরক্ষক দাভিদ সরিয়া ঝাঁপিয়ে তাতে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে ব্যর্থ হন।
৩২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়েই গিয়েছিল রিয়াল। এন্দ্রিকের শট সরিয়া প্রতিহত করলেও তা গোলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন গেতাফের এক ডিফেন্ডার।
২২৫ দিন আগে
মায়োর্কার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ফাইনালের প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
পুরো ম্যাচজুড়ে শট নিল চল্লিশটি, অথচ গোল পেল মাত্র একটি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। এমনটিই ঘটেছে মায়োর্কার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচে। ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতার এমনই এক রাতে অবশ্য জিতেই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে মায়োর্কাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন দানি অলমো।
গত ১৫ বছরে লা লিগার কোনো দল এক ম্যাচে এত বেশি (৪০) শট নিতে পারেনি। ফ্লিকের বার্সেলোনার সৌজন্যে সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব।
চোটে খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি এবং আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর কথা মাথায় রেখে টানা ম্যাচ খেলা একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড়দের ছয়জনকে বদল করে নতুন একাদশ সাজিয়ে এদিন শিষ্যদের মাঠে নামান হান্সি ফ্লিক। তবে তাতে তার দলের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি।
অপরদিকে, গত কয়েক মৌসুম ধরে কোনোরকমে অবনমন এড়ানো মায়োর্কা চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে। লিগ টেবিলের সাতে থাকা এই দলটির পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই হতাশাজনক। ফলে তাদের ওপর পুরো ম্যাচজুড়ে ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা।
৭৮ শতাংশ পজেশন ধরে রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ৪০টি শট নেয় দলটি, যার ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, মাত্র চারটি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মায়োর্কা।
এর ফলে এক গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলা কোপা দেল রের ফাইনালের প্রস্তুতি সেরেছে কাতালান জায়ান্টরা। সেই সঙ্গে অনিয়মিত খেলোয়াড়দেরও ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ফ্লিক।
চোটে ছিটকে যাওয়া লেভানডোভস্কি এবং রাফিনিয়াকে বিশ্রামে রাখায় এদিন কপাল খোলে আনসু ফাতির। তাকে বাঁ পাশে রেখে ফেররান তোরেস ও লামিন ইয়ামালকে নিয়ে আক্রমণ ত্রয়ী সাজান ফ্লিক।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লেভানডোভস্কির চোট, বিপদে বার্সেলোনা
মাঠে নেমে প্রথম মিনিটেই গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন ফাতি, তবে শটটি মায়োর্কার রক্ষণে আটকে যায়। এরপর সপ্তম থেকে নবম মিনিটের মধ্যে লামিনের দুটি ও ফেররানের একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বাদশ মিনিটে ফেররান ও লামিনের জোড়া শট প্রতিহত করেন মায়োর্কা গোলরক্ষক লেও রোমান। সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল ধরে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে থেকে জোরালো শট নেন ফেররান, গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তা ফিরিয়ে দিলে বল চলে আসে ডানপাশে থাকা লামিনের পায়ে। তিনি সেখান থেকে শট নিলেও বল লুফে নেন রোমান।
অষ্টাদশ মিনিটের শুরুতে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল করার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে মায়োর্কা। তবে গোলমুখে বাড়ানো নিচু ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হওয়ায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগবঞ্চিত দলটি।
২৬তম মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিলেন অলমো, কিন্তু তার অসাধারণ টোকায় গোলের উদ্দেশে বাড়ানো বলের দিক পরিবর্তন করে দেন রোমান। ২৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল খাওয়া থেকে দলকে রক্ষা করেন তিনি। পরের মুহূর্তেই গাভির নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তার কয়েক মুহূর্ত পর গোলমুখে বল পেয়েও বাইরে মারেন আরাউহো।
এই সময় থেকে মোটামুটি পাঁচ মিনিট মায়োর্কার খেলোয়াড়দের ওপর বুলডোজার চালাতে থাকে বার্সার খেলোয়াড়রা। একের পর এক আক্রমণ, শটে গোল আদায়ের জোরালো প্রচেষ্টা চালাতে থাকে দলটি। কিন্তু কোনোমতে বার্সার আক্রমণগুলো প্রতিহত করে ম্যাচে নিজেদের ধরে রাখে মায়োর্কা।
চল্লিশতম মিনিটে আরও একবার দুর্দান্ত আক্রমণ শানিয়ে তিন তিনবার গোলে শট নেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা, তবে এবারও মায়োর্কার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রোমান। ৪৪তম মিনিটে বাঁ পাশ থেকে বক্সে ঢুকে নেওয়া ফাতির শট পোস্টঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
ফিরতি বল থেকেই আক্রমণে উঠে বার্সার রক্ষণ ভেঙে এগিয়ে গিয়ে গোল করেন আন্তোনিও সানচেস, তবে শেষ পর্যন্ত তা অফসাইডে কাটা পড়ে।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
এর কিছুক্ষণ পর বিরতিতে যায় দুদল। বিরতির আগে প্রতিপক্ষকে চোখ রাঙিয়ে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ৭৮ শতাংশ সময় পজেশন রেখে প্রথমার্ধে মোট ২৪টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথমার্ধে তিনিট ‘বিগ চান্স’ তৈরি করে দলটি, কিন্তু স্কোরবোর্ডে কিছুই যোগ করতে পারে না। অপরদিকে, নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকা মায়োর্কার আক্রমণের খাতা ছিল একেবারে শূন্য।
২২৬ দিন আগে
শেষের গোলে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল
মৌসুমের শেষে এসে লা লিগার শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই রিয়াল মাদ্রিদের। অপরদিকে, আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করতে একই লক্ষ্য আথলেতিক বিলবাওয়ের সামনেও। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুদল। তবে পুরো ম্যাচ নিজেদের কৌশলে খেলে সফল হলেও শেষে গিয়ে আর পেরে ওঠেনি বিলবাও। ফলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
রবিবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগার ৩২তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে দুদলের কেউ গোল করতে না পারলেও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের উরুগুয়ে মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দে।
রিয়াল মাদ্রিদের ডেরায় গত ২০ বছর ধরে জয়বঞ্চিত বাস্ক কান্ট্রির দলটি। সেই ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ বের্নাবেউতে জয় পেয়েছিল বিলবাও। তারপর ১৯ ম্যাচ খেলে তিন ড্রয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে দলটি, বাকি ১৬ ম্যাচেই হার। রবিবার এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে।
এদিন ৩১ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থেকে ম্যাচ শুরু করে বিলবাও। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লা লিগা থেকে পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হলেও পরের দলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান পয়েন্ট বেশি না থাকায় বাকি ম্যাচগুলোতে জয় আবশ্যক এর্নেস্তো ভালভের্দের শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে ভিয়ারিয়াল রয়েছে পাঁচে এবং ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল বেতিস রয়েছে ছয়ে। তাই বাকি ম্যাচগুলোতে পা হড়কালে এই দুই দল বিলবাওকে পেছনে ফেলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিতে পারে।
ফলে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাদ্রিদে এসেছিল বিলবাও। তবে রিয়ালের আক্রমণের তোড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘প্ল্যান বি’ বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে দেখা যায় দলটির খেলোয়াড়দের।
রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে লো-ব্লক ডিফেন্স শুরু করে তারা। পুরো ম্যাচে মাত্র ২৭ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখতে সক্ষম হয় দলটি। এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও প্রথমার্ধে তা-ও নিতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, ৭৩ শতাংশ সময় বলের ওপর দখল রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ২২টি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ, যার ১৭টিই ছিল দ্বিতীয়ার্ধে।
২২৮ দিন আগে
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লেভানডোভস্কির চোট, বিপদে বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটের কারণে স্কোয়াডের ব্যাপ্তি বাড়াতে না পারার ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বার্সেলোনা। মৌসুমের শেষে এসে যখন সম্ভাব্য সবগুলো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা দলটির জন্য জোরালো হচ্ছে, ঠিক তখনই টানা ম্যাচ খেলে চলায় একের পর এক দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা চোট পেয়ে ছিটকে যাচ্ছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে অসাধারণ এক প্রত্যাবর্তনে সেল্তা ভিগোর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের দল।
দুই বছর পর লা লিগা শিরোপা ঘরে তুলতে শুধু এই ম্যাচটি নয়, লিগের অবশিষ্ট ম্যাচগুলোতেও জয়ের বিকল্প নেই কাতালানদের। তাছাড়া আগামী শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে তারা। এরপর ১ ও ৭ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সেরি-আ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। ১১ মে-ই আবার লিগে রিয়ালকে ঘরের মাঠে আতিথ্য দেবে বার্সেলোনা। সব মিলিয়ে মহা গুরুত্বপূর্ণ কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করছে দলটির সামনে।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
মৌসুমজুড়ে যে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এই পর্যায়ে এসেছে হান্সি ফ্লিকের দল, তাতে বার্সা সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সমালোচক—সবার কাছেই এ মৌসুমের সম্ভাব্য সব শিরোপার অন্যতম শক্তিশালী দাবিদার কাতালান জায়ান্টরা।
তবে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং সব প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত টিকে থাকায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ফুসরত পাচ্ছেন না দলটির খেলোয়াড়রা, যার প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই তা প্রকাশিত হয়ে এখন বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির জন্য।
সেল্তা ম্যাচে পায়ের পেশিতে টান লাগায় ৭৮তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবের্ট লেভানডোভস্কি। এরপর আজ (রবিবার) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভক্তদের দুঃসংবাদ শুনিয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাবের বিবৃতিতে তার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই চোটের ফলে অন্তত তিন সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে একাধিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তা সত্যি হলে কোপা দেল রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে পাবেন না ফ্লিক। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুই লেগে তার খেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে লিগ ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফট ব্যাক আলেহান্দ্রো বালদে। তিনিও হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন।
বালদের অনুপস্থিতিতে বার্সার রক্ষণ খানিকটা দুর্বল হয়ে গেছে। মাঠের খেলায় তা স্পষ্টতই চোখে পড়ে। এদিকে, দলটির সব শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাকে সব শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় পরিণত করেছে লেভানডোভস্কির অনুপস্থিতি।
২২৮ দিন আগে
ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
পিএসজির বিপক্ষে বার্সেলোনার সেই ঐতিহাসিক ‘রেমন্তাদা’র কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ওই রকম না হলেও উত্তেজনার অন্যরূপ দেখিয়ে, নাটকীয়তার চরমে উঠে আরও একটি ফিরে আসার গল্প লিখল কাতালান জায়ান্টরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আবহে গত সপ্তাহজুড়ে রিয়াল মাদ্রিদ জগতে চর্চিত ছিল ‘ফিরে আসার গল্প’ বা রেমন্তাদা। কামব্যাকের আরও একটি গল্প লেখার প্রত্যয়ে দলটির খেলোয়াড় থেকে সমর্থক—সবাই মুখে ‘রেমন্তাদা’র ফেনা তুলে ফেললেও শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের কাছে হেরে বসে। দুই লেগেই হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটিকে।
ওই ঘটনার তিন দিন পরই কাকতালীয়ভাবে লা লিগায় রেমন্তাদা, অর্থাৎ ফিরে আসার নাটক রচনা করল রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।
ফুটবলের অপকৌশল খ্যাত রক্ষণাত্মক ফুটবল যে সেল্তা ভিগো খেলতে জানে না, তা অনেক আগে থেকেই সবার জানা। দলটির অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড ইয়াগো আসপাসের ক্ষিপ্রতার কথা কে না জানে! তার ওপর আবার চলতি মৌসুমে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছে দলটি। বোরহা ইগলেসিয়াসকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। ফলে এই আক্রমণ-শক্তির সামনে বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স ঠিক কতটা কার্যকর হয়, ছিল তা-ই দেখার অপেক্ষা।
মাঠের খেলায় নিজেদের নামের প্রতি সুবিচারে একটুও কমতি রাখেনি সেল্তা। আসপাসকে শুরুর একাদশে না রাখা হলেও ঝলক দেখিয়েছেন ইগলেসিয়াস।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
ফ্লিকের অফসাইডের ফাঁদ ভাঙতে দলটি যে বিশেষ অনুশীলন করে মাঠে নেমেছে, তা খেলা শুরুর পর তাদের একের পর এক নির্ভুল লং পাস ও সুনিপুণভাবে অফসাইড এড়িয়ে আক্রমণে ওঠা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। আর এই খেলার কাছেই এদিন দিশেহারা হয়ে যায় তারুণ্যনির্ভর বার্সেলোনা। সেল্তাকে কীভাবে থামাবে তা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কুবারসি, কুন্দে, ইনিগো মার্তিনেসরা।
ফলে দ্বাদশ মিনিটে পেদ্রির থ্রু বল ধরে অসাধারণ নৈপুণ্যে ফেররান তোরেস দলকে এগিয়ে নিলেও মিনিট চারেক পরেই সেল্তাকে সমতায় ফেরান বোরহা। এখানেও সেই ডিফেন্সভাঙা কৌশলে সাফল্যস্বরূপ গোলের দেখা পান তিনি।
এ সময় বার্সার ডিফেন্স চিরে সতীর্থের দুর্দান্ত পাস পেয়ে এগিয়ে যান ইকের লোসোদা। এরপর বিপরীত পাশে ইগলেসিয়াসের উদ্দেশে পাস বাড়ান তিনি। এ সময় ভয়চিয়েখ স্টান্সনি এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পাসটি নিষ্ক্রিয় করতে চেয়েও ব্যর্থ হন। আর প্রথম ছোঁয়াতেই উন্মুক্ত গোলে বল পাঠান ৩২ বছর বয়সেও ছুটে চলা এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
২২৯ দিন আগে
কষ্টের জয়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে বার্সেলোনা শিবিরে দুঃসংবাদ
বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও ধারহীন আক্রমণেরে কারণে ম্যাচজুড়ে ভুগতে হলো বার্সেলোনাকে। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আত্মঘাতী গোল ও তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
মাদ্রিদের বুতার্কে স্টেডিয়ামে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে লা লিগার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।
এতে করে ২২ জয় ও চার ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
লিগে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে লেগানেসের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে এসে তার প্রতিশোধ নিল তারা।
অবশ্য ঠিক প্রতিশোধ বলা চলে না। কারণ মাঠে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরালেও তেমনভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ শানিয়েছিল লেগানেস, তা থেকে গোলও আদায় করতে পারত দলটি। মাঝে একবার বল জালেও জড়িয়েছিল তারা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে সময়ক্ষেপণ করে ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার জন্য শিষ্যদের ইঙ্গিত করতে দেখা যায় ফ্লিককে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
হারলেও ম্যাচ শেষে তাই কিছুটা তৃপ্তি ঝরেছে লেগানেস কোচ বোর্হা হিমেনেসের কণ্ঠেও, ‘আজ আমরা বার্সেলোনার মতো একটি দলকে সময় নষ্ট করতে এবং শেষের বাঁশি চাইতে বাধ্য করেছি।’
এই জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করে লিগ শিরোপা জয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালান জায়ান্টরা।
তবে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জনের রাতের স্বস্তিতে নেই দলটি। চোট পেয়ে প্রথমার্ধে বিরতির আগে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার তরুণ ফুলব্যাক আলেহান্দ্রো বালদেকে।
২৩৬ দিন আগে