ভারী বৃষ্টিপাত
তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে।এর আগে, গত ৩ আগস্ট তিস্তার পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উজানের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও জানান, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পাউবোর ডালিয়া বিভাগের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, তবে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
এ কারণে সতর্কাবস্থায় থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা।
১১৩ দিন আগে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, তবে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি কিছুটা কমলেও তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ফের বন্যা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে সকাল ৬টায় পানির পরিমাণ ছিল ৫২ দশমিক ১০ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে।
তবে রবিবার সকাল ৬টায় এ পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ভারতের উজানে ভারী বর্ষণের কারণে হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ে। এতে তিস্তা তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
রাতেই হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে গেছে আমন ধানের চারা, সবজির মাঠ, পুকুর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। এখন নৌকা ও ভেলাই চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্লাবিত নতুন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে—পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী;কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী; সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু জানুয়ারিতে, ব্যয় হবে ১২ হাজার কোটি টাকা
পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল দিন থেকে পানি বাড়তে বাড়তে রাতেই ঘরে ঢুকে গেছে। গরু-ছাগল নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছি। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি লোক খোঁজ নেয়নি। আমরা কি কখনো স্থায়ী সমাধান পাবো না?’
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের জালাল মিয়া বলেন, ‘সারারাত পানি ঢুকেছে। রান্না বন্ধ। বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না। কেউ দেখতে আসছে না। রাজনৈতিক নেতারা শুধু তালিকা নিচ্ছে, ত্রাণ বা সহায়তা কিছুই দিচ্ছে না।’
পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, ‘রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন কিছুটা কমলেও নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি রয়েছে। দুই-তিন দিন এই পরিস্থিতি স্থায়ী হতে পারে। তবে পানি আবার বাড়বে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
১২২ দিন আগে
উজানের ঢল নামছে, চোখ রাঙাচ্ছে তিস্তা
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে তিস্তা অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি যে গতিতে বেড়ে চলেছে, তাতে যেকোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় তিস্তা অববাহিকায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা, আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী শতাধিক চরের মানুষের মধ্যে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: সব হারিয়ে নিঃস্ব ৪৯ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ৯১৫ ঘরবাড়ি
তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার ভোর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।’
তিনি জানান, সোমবার সকালে পানি আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটারে। যা বিপদসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচে। বিপদসীমা অতিক্রম করলে নীলফামারীসহ ভাটির অঞ্চল—রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বন্যা দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া, উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় পানি যেকোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি অনেক বেড়েছে। অনেক চরের ফসল ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে।’
তিস্তা অববাহিকার বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘আমরা নদী পাড়ের মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকি। বন্যা, খরা, নদীভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই আমাদের জীবন চলে। ভারতের উজানে যে গেটটা আছে, তার নাম গজলডোবা। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। খরার সময় গেট বন্ধ রাখে, আর বর্ষায় থেমে থেমে পানি ছেড়ে আমাদের ভাসিয়ে দেয়।’
তিনি জানান, বৃষ্টির পানিতে বন্যা হয় না, বন্যা হয় ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে, দেখা দিতে পারে বন্যার আশঙ্কা
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘পানি বাড়ছে ঠিকই, তবে এখনও বিপদসীমার নিচে আছে। আমরা সতর্ক রয়েছি এবং চরের মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলেছি।’
১৩৬ দিন আগে
ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভূমিধসের সতর্কতা
দেশের পাঁচ বিভাগে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে জানিয়ে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর, দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজধানীসহ ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও সারা দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
১৪৭ দিন আগে
রাজধানীসহ ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী ((৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের শঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, আরেক সতর্কবাতায় ৬ অঞ্চলে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে জলাবদ্ধতা: রেসপন্স টিম গঠন ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া, এদিন ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করার কারণে আজ এসব এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাসসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৪৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বৃষ্টিপাত আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
১৪৮ দিন আগে
ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চার বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এছাড়া, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তায় আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ৬ জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি বয়ে যেতে পারে
আরেক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলের দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় আজ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪৯ দিন আগে
ডিআর কঙ্গোতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রাণহানি বেড়ে ৩৩
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ডিআর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তামন্ত্রী জ্যাকুয়েমেন শাবানি বলেছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাতভর প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।
দুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনী, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং কিনশাসা প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে লোকজনকে সরিয়ে নিতে জরুরি উদ্ধারকারী দল মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্যায় শহরের বেশিরভাগ অবকাঠামো অচল হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে প্রধান সড়কগুলো। শহরজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
বন্যার কারণে নাজিলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার রুটে মারাত্মক ব্যাঘাতের কথা জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়। আটকে পড়া যাত্রীদের সহায়তার জন্য জরুরি ফেরি পরিষেবা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাসে বলেছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের শহরটিতে আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে।
ডিআরসিতে বর্ষাকাল সাধারণত নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
২৪২ দিন আগে
বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
বলিভিয়ায় গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উপবেসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুয়ান কার্লোস কালভিমন্তেস এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টিতে দেশের ৯টি বিভাগের মধ্যে আটটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩টি পৌরসভার কথা বলছি এবং আমি নিশ্চিত যে, এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের অনেকেই নিজেরা দুর্যোগের সম্মুখীন থাকার কথা বলবেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
এখন পর্যন্ত ২৭টি পৌরসভা নিজেদের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ২২টি লা পাজের এলাকার। জলবায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বিভাগটি।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, চুকুইসাকা (দক্ষিণ), লা পাজ (পশ্চিম), তারিজা (দক্ষিণ), কোচাবাম্বা (কেন্দ্র), সান্তা ক্রুজ (পূর্ব) এবং পোটোসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) বিভাগে বন্যায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের তথ্যানুযায়ী এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।নিখোঁজদের তিনজন লা পাজের উত্তরে এবং একজন চুকুইসাকা বিভাগের।
ন্যাশনাল মেটিওরোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি সার্ভিস পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এমনকি বৃষ্টিপাত মার্চ ও এপ্রিল পর্যন্তও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৩, নিখোঁজ ২
২৯৩ দিন আগে
একাধিক মাস্টারপ্ল্যান, ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা
দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হলেই ঢাকার সড়কগুলো যেন পরিণত হয় জলাশয়ে। দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কোথাও হাঁটুপানি-কোথাও বা কোমর পানি মাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়। রাজধানীর বাসিন্দা হলেও অনেকের ঘর-বাড়িতে ঢুকে যায় বৃষ্টির পানি।
প্রায় চারদিকেই নদীবেষ্টিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন গত ৪-৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতে নিয়েছে একাধিক মহাপরিকল্পনা। খাল ও ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারে ব্যয় করেছে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু যার কোনো ইতিবাচক ফল দেখা যায়নি। বরং জলাবদ্ধতার মাত্রা বাড়ছে দিনকে দিন।
টানা কিছু সময় বৃষ্টি হলে শহরের বুকে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হয় অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থার বিপর্যয়। যানবাহনের অভাব, জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া, বৃষ্টি ও পানির অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা দুর্ভোগে নাজেহাল হতে হয় ঢাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা। বিশেষ করে যথাযথভাবে ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার না করায় এসব আটকে নালা ও ড্রেনেজ সিস্টেমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলোও সুপরিকল্পিতভাবে হয়নি। আর বিভিন্ন কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন ও সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে তেমন সমন্বয়ও থাকে না। ফলে জলাবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছরের পর বছর পার করছে সংস্থাগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করার পর তা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়। তাই কাজ বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণ ও জবাবদিহি থাকা দরকার।’
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আমরা নিজেরা নদী ও খালগুলো গলা টিপে হত্যা করেছি। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল খালগুলো। তা আমরা ভরাট করেছি বক্স কালভার্ট বানিয়ে। এখন আবার খাল উদ্ধার নামে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার অংক বাড়ালেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানায়, বিভিন্ন সময় খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাজেটে ড্রেনেজ সংস্কার ও ময়লা পরিস্কারে আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সমাধান হয়নি জলাবদ্ধতার। সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা দ্রুত সময়ে নিষ্কাশন করার সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এর বেশি বৃষ্টি হলে নিরুপায় সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
পানি নিরসনে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তারপরও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। খরচের মধ্যে খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন ১৩৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৪টি পয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির খালগুলো সংস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষা মৌসুমের আগেই ড্রেনেজ পরিষ্কার করা হয়। তারপরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হলে জলাববদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে অনেক স্থানে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক পয়েন্টের কাজ শেষ হলে আবার নতুন পয়েন্ট যুক্ত হয়। তাই ঢাকার খালগুলো সচল না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খরচ হয়েছে আরও কিছু বাকি আছে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চারটি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন পায়। ৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুনে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণের জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিরসন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
৪৪১ দিন আগে
মরক্কোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ১৮ জন নিহত ও চারজন নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, টাটা, ইরাচিদিয়া, তিজনিত, তিঙ্গির ও তারুদান্ত প্রদেশে এ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে বিদেশি তিন জন ছিলেন যারা স্পেন, কানাডা ও পেরুর নাগরিক।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১১০টি রাস্তার মধ্যে ৮৪টি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
এছাড়াও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এখনও কাজ করছে কারিগরি দল।
দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নাগরিকদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক পোস্টে মরক্কোর আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'অস্থিতিশীল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বায়ুপ্রবাহের' কারণে এই প্রাণঘাতী বৃষ্টিপাত ও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত
৪৫১ দিন আগে