চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে অবশেষে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল পিএসজি
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে একের পর এক মহাতারকা দলে ভিড়িয়ে কত চেষ্টাই না করে এসেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু কেউই ক্লাবটির স্বপ্নপূরণের সারথী হতে পারেননি। তবে অবশেষে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মতো এক জাদুকরী কোচের অধীনে অধরা ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো পিএসজির।
শনিবার রাত জেগে যারা খেলা দেখেছেন, তার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কী বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিসের দলটি।
আনহেল দি মারিয়া, এদিনসন কাভানি, নেইমার, এমবাপ্পে, মেসি—কেউই দলটিকে যা এনে দিতে পারেননি, তারুণ্যনির্ভর এক দল গড়ে অসাধারণ কৌশল আর দলীয় পারফরম্যান্সে সেই বাজিমাত করলেন কোচ লুইস এনরিকে। আর এমনভাবেই জিতেছেন, যা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে সিমিওনে ইনজাগির ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে এনরিকের পিএসজি।
এত বড় ব্যবধানের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেউ কখনও পায়নি। এর আগে চার গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার রেকর্ড আছে চারটি। ১৯৬০ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ ৭-৩ গোলে, ১৯৭৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে, ১৯৮৯ সালে এফসিএসবির বিপক্ষে এসি মিলান ৪-০ গোলে এবং ১৯৯৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবারও এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিল। তবে সেসব টপকে রেকর্ডটি এবার নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ ইন্টার মিলানকে এদিন ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩, ৭৩ ও ৮৬তম মিনিটে বাকি তিনটি গোল হলে উৎসবে মাতে প্যারিস আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দলটির সমর্থকরা।
স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের রাতে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আলো ছড়ানো উসমান দেম্বেলে। আর দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্টসহ মোট তিনটি গোলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন প্যারিসের দলটির ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দেজিরে দুয়ে। এ ছাড়াও আশরাফ হাকিমি, কিভিচা কেভারাস্টখেলিয়া ও শেষ দিকে নামা আরেক তরুণ সেনি মায়ুলু করেছেন একটি করে গোল।
১৮৭ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
২১১ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
২১২ দিন আগে
বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
ইন্টারের ডেরা থেকে জয় নিয়ে যাওয়া যে ভীষণ কঠিন, তা জেনেও অদম্য উদ্যোমে সেই অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা। তবে শত চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর উল্টো পিছিয়ে পড়ে পরে ম্যাচ ড্র করলেও সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের।
বুধবার রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নের ২-১ গোলের হারই দুই লেগের এই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আর ৪-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
এদিন প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে পরিষ্কার এগিয়ে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। ইন্টার মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে সফলতা পায়নি। ফলে স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করে দলকে অগ্রগামিতায় সমতায় ফেরান কেইন। তবে ৫২ মিনিটে করা ওই গোলের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় ছয় মিনিট পরই। ম্যাচের ৫৮ ও ৬১তম মিনিটে যথাক্রমে লাউতারো মার্তিনেস ও বায়ার্ন ছেড়ে গত গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দেওয়া বেনিয়ামিন পাভার্দ বল জালে পাঠালে চকিতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানরা।
ইন্টারের জার্সিতে এদিন প্রথম গোলের দেখা পান পাভার্দ, আর সেটিও তার পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। আর টানা পাঁচ ম্যাচ জালের দেখা পেয়ে ইন্টার খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন লাউতারো। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়ল।
৭৬তম মিনিটে অবশ্য এরিক ডায়ার গোল পেলে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বায়ার্ন, কিন্তু ইন্টারের অভেদ্য রক্ষণ আর সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ দলটিকে অলআউট আক্রমণে উঠতে দেয়নি। ফলে গোলও আর পাওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশা সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয় ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের।
আর এর সঙ্গে শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থমাস মুলারের বর্ণিল এক অধ্যায়। বায়ার্ন মিউনিখে এটিই যে শেষ মৌসুম, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার হেরে বিবর্ণ বিদায় নিতে হলো বছরের পর বছর ধরে বায়ার্নকে সেবা দিয়ে আসা এই সৈনিককে।
২৩২ দিন আগে
ব্যাপক তোড়জোড় করেও হেরে গেল রিয়াল, সেমিফাইনালে আর্সেনাল
ফিরে আসার নানা গল্প, একের পর এক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, বের্নাবেউয়ের ছাদ অবরুদ্ধ করে ম্যাচের আয়োজন—সব বৃথা গেল রিয়াল মাদ্রিদের। যাবে না-ই বা কেন, আসল যে কাজ, অর্থাৎ মাঠের খেলায় যা করে দেখানোর দরকার ছিল, সেটাই যে করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষদিকে গোল খেয়ে আবারও হেরে নিদারুণ এক বিদায় নিতে হয়েছে দলটির।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি আর্সেনালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই ফলাফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১-এ। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি পেলেও বাজে শট নিয়ে থিবো কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়েন বুকায়ো সাকা। কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পেকে পেনাল্টি দিয়েও পাঁচ মিনিটের দীর্ঘ ভিএআর রিভিউ শেষে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
৩ গোলের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধে গোল করা তো দূরের কথা, গোলে একটি শটও নিতে পারেনি রিয়াল। পক্ষান্তরে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে শট লক্ষ্যে রাখে দুদলই, তবে তা থেকে আর্সেনাল দুটি ও রিয়াল একটিকে গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে প্রথম স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে ভিনিসিয়ুসের কাছে গোল খায় লন্ডনের দলটি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
এর ফলে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজ আরও দীর্ঘ হলো রিয়ালের। সেইসঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এবার বিদায় নিতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্যদিকে, ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। ২০০৮/০৯ মৌসুমে আর্সেন ওয়েঙ্গার সবশেষ দলটিকে ইউরোপের এলিট এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
অপর ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হারায় সামগ্রিক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেরা চার দল নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল ঘরের মাঠে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে আর্সেনাল এবং পরের রাতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে নামবে ইন্টার।
পরের সপ্তাহে ৬ মে ইন্টার-বার্সা এবং ৭ মে পিএসজি-আর্সেনালের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
২৩২ দিন আগে
হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে বদলে যাওয়া বার্সেলোনার আক্রমণের যে ধার, তার বিন্দুমাত্রও দেখা মিলল না পুরো ম্যাচজুড়ে। ঘর সামলাতেই পার হয়ে গেল নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটির সময়। মাঝে তিনটি গোল হজম করে হেরেও গেল, তবুও অগ্রগামিতায় এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
জার্মানির জিগনাল ইডুনা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠে ৪-০ গোলে হেরে থাকায় সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত হয়নি দ্বিতীয় লেগের এই জয়। দুই লেগ মিলিয়ে অগ্রগামিতায় ৫-৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে নিকো কোভাকের শিষ্যদের।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন অবশ্য ডর্টমুন্ডের গিনিয়ান স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি। দলের তিনটি গোলের সবগুলো এসেছে তার পা থেকে। হ্যাটট্রিকের রাতে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, হয়েছেন এখন পর্যন্ত টুর্মামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও; দলকে জেতানোর রাতে তবুও থেমেছে তার যাত্রা।
বার্সেলোনা এদিন নিজেদের পা থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি। একটি গোল যে পেয়েছে, তাও ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া আত্মঘাতী গোল।
তারা যে কতটা নিষ্প্রভ ছিল, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তার আভাস পাওয়া যায়। ম্যাচজুড়ে ৫৪ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখলেও মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেন লেভানডোভস্কি, রাফিনিয়ারা। অপরদিকে, মোট ১৮টি শটের ১১টি লক্ষ্যে রাখে ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এর ফলে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থামল ফ্লিকের শিষ্যদের। নতুন বছরে এটিই তাদের প্রথম হার। অবসর ভেঙে ফেরা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনিরও বার্সার জার্সিতে হয়েছে প্রথম হারের অভিজ্ঞতা। নিজের ২৩তম ম্যাচে এসে হারলেন তিনি।
২৩৩ দিন আগে
মেসিকে ছুঁয়ে রোনালদোর দিকে ছুটছেন রাফিনিয়া
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বার্সেলোনার সব ফুটবলারের মধ্যেই এসেছে দারুণ ইতিবাচক পরিবর্তন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন যিনি, তিনি রাফিনিয়া। মৌসুম শুরুর আগে ক্লাবটি যাকে বিক্রি করে দেবে বলে চর্চা চলছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যিনি নিজেই কাতালুনিয়া ছেড়ে অন্যত্র ঠিকানা খুঁজছিলেন, সেই রাফিনিয়াই এখন বার্সেলোনার একাদশের মধ্যমণি; দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী ও ফলপ্রসূ খেলোয়াড়।
লা লিগা, কোপা দেল রে হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বার্সার আক্রমণভাগের অপরিহার্য নামে পরিণত হয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলীয়। নিজে গোল করে এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। আগামী ব্যালন দ’রের জন্যেও তাকে যোগ্যতমদের তালিকার উপরের দিকে স্থান দিচ্ছেন অনেকে। এরই মাঝে একের পর এক রেকর্ড ছুঁয়ে চলেছেন তিনি।
গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই ম্যাচে একটি গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন রাফিনিয়া।
এতে করে ইউরোপের এলিট ক্লাবগুলোর ফ্ল্যাগশিপ এই টুর্নামেন্টের চলতি আসরে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২টি। ১১ ম্যাচে ১২ গোল করার পাশাপাশি ৭টি অ্যাসিস্টও করে ফেলেছেন তিনি। আর এতেই বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনের মেসির পাশে লিখিয়েছেন নিজের নাম।
২৩৮ দিন আগে
২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ শুরু হতেই পেয়ে গেল সমতাসূচক গোল। সেই গোলে ম্যাচটি জিতলেও টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে দলটির। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গোল না পেলেও টাইব্রেকারে দুবার ভাগ্য সহায়তায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২৭তম সেকেন্ডে রদ্রিগো দে পলের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস জালে জড়িয়ে দিয়ে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন কনর গ্যালাগার। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ক্লেমন লংলে। তবে সেই পেনাল্টি শটটি উড়িয়ে মেরে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এরপর আর কোনো গোল না হলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। পরে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটেও দুদলের কেউ গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম দুটি স্পট কিকে সফল হলেও হুলিয়ান আলভারেসের নেওয়া শটে আতলেতিকোর দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিক নেওয়ার মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুখেও বল ঠিকানায় পাঠাতে সক্ষম হন হুলিয়ান, কিন্তু ভিএআর জানায়, কিক নেওয়ার সময় তার দুই পা-ই বলে স্পর্শ করেছে। ফলে গোলটি বাতিল করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো।
তৃতীয় কিকে দুই দলই সফল হওয়ার পর রিয়ালের চতুর্থ কিকটি ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ফলে ফের ৩-৩ সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে দলটি। কিন্তু মার্কোস ইয়োরেন্তের নেওয়া আতলেতিকোর তৃতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে মাটিতে আছড়ে পড়েও বাইরে চলে আসে। ফলে সমতায় ফেরা আর হয়ে ওঠে না তাদের।
এরপর আন্টোনিও রুয়েডিগারের চতুর্থ শটটি ওবলাকের হাতে লাগলেও তিনি তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও ৯-৩ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারানো পিএসজি কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগেও ৩-০ গোলে জিতে ৬-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
নকআউটের অপর পাশে থাকা বার্সেলোনা শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে সমতার পর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নিকো কোভাকের শিষ্যরা। আর ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ইন্টার মিলান পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।
২৬৭ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
২৬৮ দিন আগে
লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
প্রথম লেগে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ভুগতে থাকার পরও কোনোমতে ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল বার্সেলোনা। তাতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে শেষ ষোলো থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় দিল বেনফিকা, আর সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পর্তুগিজ দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এর ফলে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বার্সার তিনটি গোল আসে ১১, ২৭ ও ৪২তম মিনিটে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর বাকি গোলটি আসে লামিন ইয়ামালের পা থেকে।
অপরদিকে বেনফিকার একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর ফলে নতুন বছরে অপরাজেয় যাত্রায় অব্যাহত রাখল বার্সেলোনা। টানা ১৭ ম্যাচ হারেনি দলটি।
ম্যাচজুড়ে এদিন মোট ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেনফিকা। বল দখলের লড়াইয়েও ছিল বার্সেলোনার প্রত্যাশিত আধিপত্য। দলটির ৬৫ শতাংশ পজেশনের বিপরীতে বেনফিকার ছিল ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ কাউকে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিলেও প্রথম শটটি নেয় বার্সেলোনা। পেদ্রির বাড়ানো পাস ধরে ষষ্ঠ মিনিটে গোলে শট নেন লামিন, তবে সহজেই তা লুফে নেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
দশম মিনিটে লামিনের পাস ধরে বক্সের মাঝ থেকে লেভানডোভস্কির নেওয়া আরও একটি শট প্রতিহত করেন ত্রুবিন। তবে পরের মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক।
একাদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকেই বিপরীত পাশ দিয়ে এগোতে থাকা রাফিনিয়াকে লক্ষ্য করে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়ান লামিন। এরপর ট্যাপ-ইনে তা ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া রাফিনিয়ার জন্য ছিল জলের মতো সরল।
২৬৮ দিন আগে