ফ্রান্স
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স: মাখোঁ
আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। খাবারের অভাবে গাজায় একের পর এক মৃত্যুর মধ্যে এই সাহসী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলেন তিনি। তবে তার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন মাখোঁ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথাও জানান তিনি।
পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করা।’
২০২৩ সালে হামাস ইসরায়েলে হামলা করার পর প্রথম দিকে তেল আবিবকে সমর্থন করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত অভিযানের কারণে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়ে আসছেন মাখোঁ।
এক্স পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘শান্তি সম্ভব, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতি সততার দিক থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি লন্ডনের মেয়রের আহ্বান
সম্প্রতি হামাস সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না— এই অজুহাতে কাতারে চলমান গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা সংক্ষিপ্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই এই ঘোষণা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, মাখোঁর এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ বলেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে। তাছাড়া গাজা যেমন একটি ইরানি দোসরে পরিণত হয়েছিল, তেমনি আরেকটি দোসর তৈরির ঝুঁকি তৈরি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য একটি লঞ্চ প্যাড। এর পাশে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ থাকবে না।’
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মাখোঁর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
মাখোঁর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদ আব্বাসের ডেপুটি হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, ‘(মাখোঁর) এই অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থনকে প্রতিফলিত করে।’
অন্যদিকে, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাখোঁর সিদ্ধান্তকে জোরালোভাবে প্রত্যাখান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
তিনি বলেন, ‘অবিবেচনাপ্রসূত নেওয়া এই সিদ্ধান্ত কেবল হামাসের প্রচারকে শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, এটি ৭ অক্টোবরের নিহতদের প্রতি চরম অবমাননা।’
বর্তমানে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশও রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ তার মিত্ররা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এরই মধ্যে, আগামী সপ্তাহে ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘে যৌথভাবে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন উপদেষ্টাকে গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের ছবি দেখালেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট
এর আগে, গত মাসে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে একটি বৃহত্তর উদ্যোগের পক্ষে জোর দিয়েছিলেন মাখোঁ, তবে ইসরায়েলকেও স্বীকৃতি ও আত্মরক্ষার অধিকার সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এ ছাড়াও গাজার চলমান পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছানো যায় এবং যুদ্ধ থামানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ব্রিটেন ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মাখোঁর।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে সমর্থন করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। একটি যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যে দুর্ভোগ ও অনাহার চলছে, তা বর্ণনাতীত এবং কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
১৩২ দিন আগে
৯ গোলের থ্রিলারে লড়াই করেও হারল ফ্রান্স, স্পেন-পর্তুগাল ফাইনাল
সেয়ানে সেয়ানে টক্করের পরও ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল ফ্রান্স, কিন্তু তারপরও কী অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুইস দে লা ফুয়েন্তের দুর্দান্ত স্পেনের বিপক্ষে পেরে উঠল না দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ফলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ফরাসিদের, অন্যদিকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে স্পেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফিরেছিল ২০২০-২১ মৌসুমের ফাইনাল। তবে সেবার স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করলেও এবার আর পারল না ফ্রান্স। অপরদিকে ফরাসিদের ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠে গেল স্প্যানিশরা।
এদিন ম্যাচের ২৩ ও ২৫তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন। তবে প্রথমার্ধের পুরোটা আলো কেড়ে নেন স্পেন অধিনায়ক তথা দলটির গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফরাসিদের নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো পাঁচটি শট রুখে দেন তিনি।
বিরতির পর নেমে ফের জোড়া ধাক্কা খায় ফ্রান্স। এবারের দুই গোলদাতা লামিন ইয়ামাল ও পেদ্রি।
৫৪তম মিনিটে লামিনকে ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডার আদ্রিয়েন রাবিও, আর তা থেকে ব্যবধান ৩-০-তে উন্নীত করেন এই কাতালান প্রতিভা। পরের মিনিটে স্পেনের চকিত আক্রমণে চোখে সর্ষে ফুল দেখে ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। এ সময় নিকো উইলিয়ামসের ড্রিবলের পর বাড়ানো পাস থেকে আরও নিপুণ দক্ষতায় গোল করেন পেদ্রি।
তার পাঁচ মিনিট পর অবশ্য পেনাল্টি পায় ফ্রান্সও এবং তা থেকে প্রথমবার ব্যবধান কমান এমবাপ্পে। তবে ৭৯তম মিনিটে লামিন পঞ্চম গোলটি করলে মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের খেলা সেখানেই শেষ। কিন্তু ফুটবল বলে কথা! যেখানে শেষ বলে কিছু নেই।
৭৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা রায়ান শেরকির গোলে ব্যবধান কমে দেশমের দলের। এর তিন মিনিট পর এমবাপ্পের কাছে বল যাওয়া রুখতে গিয়ে তা জালে পাঠিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন স্পেনের বদলি হিসেবে নামা ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান। ৫-৩ গোলে ব্যবধান কমে এলে পায়ের নিচে মাটি পায় ফ্রান্স; আরও জমে ওঠে খেলা।
এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও একটি গোল করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি, কিন্তু তা সমতায় ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে খেলা অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৯০+৬ মিনিটেই শেষ হয়, আর শেষ হাসি হাসে স্পেন।
১৮২ দিন আগে
ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকে ‘অপরাধ’ স্বীকৃতি দিচ্ছে আলজেরিয়া
ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আইন প্রণয়ন করতে চলেছে ফ্রান্সের এক সময়ের উপনিবেশ আলজেরিয়া।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ মার্চ) একটি খসড়া আইন প্রণয়নের লক্ষে দেশটির পার্লামেন্টে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত হলে সেটি সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
এই পদক্ষেপ ফ্রান্স ও আলজেরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে, ঐতিহাসিক অপরাধের জন্য ফ্রান্সকে ক্ষমা চাইতে আলজিয়ার্স অনেকবার চাপ দিলেও তা গ্রাহ্য করেনি প্যারিস। ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এবার ফরাসি শাসকদের নানা অপকর্মকে আনুষ্ঠানিকভাবে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে আলজিয়ার্স।
১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ১৩২ বছর ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল আলজেরিয়া। সে সময় ফরাসিরা আলজেরিয়ার মানুষের ওপর নানা অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত এই দেশটির।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে আলজেরিয়ার পার্লামেন্টের এক বৈঠকে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় ‘ফরাসিদের অত্যাচার আলজেরিয়ানদের স্মৃতিতে এখন অম্লান’ বলে অভিহিত করেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ব্রাহিম বুঘালি।
১৩২ বছরের ফরাসি শাসনামলে আলজিরিয়ানরা যা কিছু সহ্য করেছে, সেই সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের স্মৃতির বিষয়। কেউ কেউ হয়তো এটিকে চাপ প্রয়োগের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করতে পাারেন, কিন্তু বিষয়টি তা নয়।’
আরও পড়ুন: তুরস্কে ধরপাকড় উপেক্ষা করে এরদোগানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে
এই আইন প্রণয়নকে দেশটির নাগরিকদের অসামান্য ত্যাগের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের (ঔপনিবেশিক) শাসকরা যেসব অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েছিলেন, সেসব সত্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসাটা দেশটির ঐতিহাসিক ও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন ব্রাহিম।
আলজেরিয়ার আইনপ্রণেতাসহ ইহিতাস ও আইন বিশেষজ্ঞরা এই (আইন প্রণয়নের) উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছেন। এর আগে, ফ্রান্সকে ঔপনিবেশিক অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছিলেন তারা।
ঔপনিবেশিক শাসনামলে ফরাসিরা যেসব অপরাধ সংগঠিত করেছিল, সেসব নিয়ে একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছেন তারা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ১৮৪৫ সালে সংঘঠিত দাহারা গণহত্যা ও সাহারা মরুভূমিতে পরিচালিত পরমাণু পরীক্ষা।
আলজেরিয়ার ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ১৮৪৫ সালে একটি গুহার মধ্যে অবস্থানরত কয়েক শ’ মানুষকে ধোঁয়া দিয়ে বের করে এনে হত্যা করেছিল ফরাসি সেনারা, যার মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল।
ফরাসিদের আরেক ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, আলজেরিয়ার সাহারা মরুভূমিতে অবস্থিত অংশে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে ১৭টি পারমাণবিক পরীক্ষা। এতে স্থানীয় জলবায়ুতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে এখনও অঞ্চলটির বাসিন্দারা ক্যান্সারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এমন আরও অনেক অপরাধের বর্ণনা রয়েছে তালিকায়।
সম্প্রতি যে আইনটি প্রণয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এমন একটি আইনের দাবি ১৯৮৪ সালের দিকেও করা হয়,কিন্তু বারবার পদক্ষেপ পেছানোর ফলে সেটি আর বাস্তব রূপ পায়নি।
এরপর ২০০১ সালেও এই রকম আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তবে তাও বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে ফরাসিদের প্রণীত একটি আইনকে কেন্দ্র করে নতুন করে এই দাবি জোরালো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণে মার্কিন পুলিশের চিঠি
ওই বছর নিজেদের শিক্ষাক্ষেত্রে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলকে ইতিবাচক হিসেবে পড়ানোর জন্য একটি আইন প্রণয়ন করে ফ্রান্স। এতে ক্ষুব্ধ হয় আলজেরিয়ার মানুষ। পাল্টা হিসেবে তারা আইনের মাধ্যমে ফরাসি শাসনকে অপরাধ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার দাবি তোলেন।
এরপর ২০২১ সালে আলজেরিয়ার শতাধিক আইনপ্রণেতা দাবি তোলেন, ঔপনিবেশিক শাসনামলে সংগঠিত অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত প্যারিসের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে পারবে না আলজিয়ার্স। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করতে সরকাররের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এদিকে, বিগত কয়েকমাস ধরে ঐতিহাসিক অভিযোগ, অভিবাসন নীতিতে মতবিরোধ, পশ্চিম সাহারা নিয়ে মরক্কোর সঙ্গে আলজেরিয়ার বিরোধে রাবাতকে ফ্রান্সের সমর্থন দেওয়ার মতো বিষয় নিয়ে আলজিয়ার্স-প্যারিস কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে।
দীর্ঘস্থায়ী এই কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে শনিবার (২২ মার্চ) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেলমাজিদ তেববুনে বলেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয় সমাধানে ‘একমাত্র রেফারেন্স পয়েন্ট’ হিসেবে থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বা তার মনোনীত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এছাড়া ফরাসি সরকারকে ঔপনিবেশিক অপরাধ স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে আসছে আলজেরিয়া। অতীতের তিক্ততা মিটিয়ে স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য এ উদ্যোগ উভয় দেশের জন্যই অপরিহার্য বলে মনে করে দেশটির সরকার।
২৫৪ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, রাষ্ট্র্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ক্রিশ্চিয়ান বেক।
আরও পড়ুন: জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
‘নির্বাচন, অর্থনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন; আমরা তা বলেছি।’
২৮১ দিন আগে
ফ্রান্সে বৃৃদ্ধাশ্রমে আগুনে নিহত ৩
ফ্রান্সের একটি বৃৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডে তিনজন প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৯জন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভ্যাল-ডওইস বিভাগের বফেমন্টের একটি অবসরকালীন আবাসিক ভবনে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম বিএফএমটিভি এক প্রতিবেদনে এসব হতাহতের কথা জানিয়েছে।
ভ্যাল-ড'ওইসের প্রিফেকচারের বরাতে বিএফএমটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (০৬১৫ জিএমটি) ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।
সংবাদ মাধ্যমটির মতে, ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে- আগুন দুর্ঘটনাজনিত ছিল।
৩০৬ দিন আগে
গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্স-জার্মানির
ডেনমার্কের কাছ থেকে গায়ের জোরে গ্রিনল্যান্ড কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবার নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় মাটিতে কোনো আঘাত এলে তা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। জার্মানি ও ফ্রান্সকে বলা হয় ইউরোপের চালিকাশক্তি।
গ্রিনল্যান্ড হস্তান্তর করা না হলে ডেনমার্কের ওপর অতিরিক্ত রাজস্ব চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। এবার গায়ের জোরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি কেড়ে নিতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
গ্রিনল্যান্ড দখল করতে কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা হবে না; এমন নিশ্চয়তা দেবেন কিনা, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ৬০০ বছর ধরে এটি ডেনমার্কের অংশ হয়ে আছে। ৫৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ গ্রিনল্যান্ডে আছে স্বায়ত্তশাসন। ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আসছেন দ্বীপদেশটির প্রধানমন্ত্রী।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ বলেন, ছোট কিংবা বড়—প্রতিটি দেশের সীমান্তের ক্ষেত্রে অলঙ্ঘনীয় নীতি রয়েছে। সেটা মেনে চলতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের হুমকির ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক; ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারট।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে মনে করেন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকে থাকতে এখন থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পকে কড়া জবাব ফ্রান্সের
ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর দিকে ঠেলে দেবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেন না বলে জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
গ্রিনল্যান্ডে অনেকেই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ডেনিশ রাজা এখনও দ্বীপটিতে জনপ্রিয়। এক স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘তিনি (রাজা) জনপ্রিয়। সুতরাং, তিনি স্পষ্টতই ডেনিশ-গ্রিনল্যান্ড সম্পর্ক রক্ষায় সহায়ক হতে পারবেন।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বলেন, আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি যে, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আদৌ নেই।
রাসমুসেন অবশ্য সাংবাদিকদেরকে এও বলেছেন যে, চীন ও রাশিয়ার তৎপরতার কারণে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়াটা বাস্তব। আমি মনে করি না যে আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ নিশ্চিত করতে আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত।
৩২৯ দিন আগে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
৩৫৫ দিন আগে
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
৩৭৭ দিন আগে
এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চোটের কারণ দেখিয়ে অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফ্রান্স দলে ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের পঞ্চম ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে দিদিয়ের দেশমের দল। এর তিন দিন পরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০২১ সালের শিরোপাজয়ীরা।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করা লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েঁ। তবে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়াগা হয়নি এমবাপ্পের।
অক্টোবরে চোটের কারণ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে থেকে যান এমবাপ্পে। এরপর ইউরোপীয় সংবাদধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্স যখন নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলছে, তখন তিনি সুইডেনের একটি ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছেন।
ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অধিনায়ক।
স্টকহোমের যে হোটেলে তখন তিনি ছিলেন, সে সময় সেখানে একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। এ খবর চাউর হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পোশাকের একটি বিজ্ঞাপন থেকেও সরিয়ে দেয়। এবার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে বিবর্ণ থাকার পর ফ্রান্স দলেও ব্রাত্য হলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
স্কোয়াড ঘোষণার সময় এমবাপ্পের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশম বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এটিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
এমবাপ্পেকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ফুটবলের বাইরের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে দলে ফিরতে চায়। তবে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এটি একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত।’
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লুকা শেভালিয়েঁ (লিল), মাইক মাইনিয়ঁ (এসি মিলান) ও ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লুস (নিস), লুকা দিনিয়ে (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেও এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) ও দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতেও গেন্দুসি (লাৎসিও), এনগলো কান্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (অলিম্পিক মার্শেই) ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বারকোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু (চেলসি), মিকেল অলিস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
৩৯২ দিন আগে
‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কিলিয়ান এমবাপের। আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একের পর এক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে চলেছেন এই ফরাসি তারকা।
লা লিগার চলতি মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে গোল পেতে একরকম ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচক ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা। এরপর চোটের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নেশন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে না খেলে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে এবং পরে সুইডেনে নৈশক্লাবে সময় কাটিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত চলায় তাকে পড়তে হলো খোদ রিয়াল মাদ্রিদের খাঁড়ার নিচে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি পেয়ে সেদিন সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপে। সেখানে তিনি যে হোটেলে ওঠেন, সেখানে নাকি তার অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
সুইডেনের সংবাদপত্র আফ্টনব্লাডেট সর্বপ্রথম ওই ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে। তবে, অভিযুক্তের নাম খোলাসা করেনি তারা। এরপর আফ্টনব্লাডেটের বরাত দিয়ে রবিবার ফ্রান্সে খবরটি প্রচার করে ফরাসি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
এমবাপে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা উল্লেখ না করে ঘটনাটি নিয়ে সুইডিশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এমবাপে পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে কি না, খবরে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এ নিয়ে আরএমসির স্পোর্টের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সোমবার এক্স পোস্টে তিনি ‘খবরটি ভূয়া’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
৪১৫ দিন আগে