বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
সোমবার ভারতের দোলযাত্রা ও মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে দুই দিন।
তবে সোমবার ভারতের সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ পণ্য ওঠানামা এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী ও বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা এই উৎসব ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়। এই উৎসবের কারণে সোমবার আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আবারও চলবে কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতে হোলি উৎসব ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে কার্যক্রম চলবে। পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ওপারে ফেরত যেতে কোনো বাধা নেই। বুধবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, এ পথে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
পাইপলাইনে লিকেজ হওয়ায় উত্তর খান-দক্ষিণ খানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
ডিএনসিসির এক ঠিকাদারের দ্বারা গ্যাস লাইনে লিকেজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তর খান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মেরামতের কাজ চলছে।
শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা
বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লাইন অ্যালাইনমেন্টের কারণে গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইনের জরুরি পরিবর্তন ও স্থানান্তরের কাজের জন্য বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এই তথ্য জানিয়েছে।
আগামীকাল গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকবে- মগবাজার, মধুবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মধুবাগ, গাবতলা, গ্রিনওয়ে, পেয়ারাবাগ, ইস্কাটন ও দিলু রোড এলাকায়।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
এসব এলাকার সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং আশপাশের এলাকার ভোক্তাদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
গ্যাস সঞ্চালন লাইনের জরুরি মেরামতের জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
ঢাকার কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
গ্যাস সঞ্চালন লাইনের জরুরি মেরামতের জন্য রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এ তথ্য জানায়।
তিতাস গ্যাস জানান, ঢাকার মগবাজার, নয়াটোলা, মধুবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মীরেরবাগ, গাবতলী, গ্রিনওয়ে, পেয়ারাবাগ, ইস্কাটন ও দিলু রোড এসব এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস আরও জানান, সব ধরনের গ্রাহকের জন্য এসব এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং আশপাশের এলাকার ভোক্তাদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেনি।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র্যালিতে ও বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় মৃত হাতি উদ্ধার
তাদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানান কর্মসূচি দিয়ে আসছে।
এর মধ্যে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু
এসময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বিভাগটির পক্ষ থেকে।
এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
হাতির উপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে মহাবিপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা।
পিজিসিএলের আওতাধীন এলাকায় ৬০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের সংস্কার কাজের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৬০ ঘণ্টা বগুড়াসহ ৪ জেলায় গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছ।
পিজিসিএল কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ এলাকায় অবস্থিত জিটিসিএল এর ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের ১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার অংশ প্রতিস্থাপন কাজের টাই-ইন/হুক-আপের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত পিজিসিএল অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সংকট পুঁজি করে সিলিন্ডার ও বৈদ্যুতিক চুলার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা
তবে এই সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পিজিসিএলের আওতাধীন এলাকা হলো- রাজশাহী জেলার রাজশাহী সিটি করপোরেশন, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলা, পাবনা জেলার পাবনা সদর, বেড়া, সাঁথিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলা, বগুড়া জেলার বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর উপজেলা।
এদিকে, ৩দিন গ্যাস বন্ধের খবরে গ্রাহকদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিল্প, বাণিজ্যিকসহ আবাসিক গ্রাহকরা বেশি আতঙ্কিত। এতে কল-কারখানায় যেমন উৎপাদন ব্যাহত হবে তেমনি আবাসিক গ্রাহকরা ৩ দিন রান্না নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
এলএনজি টার্মিনাল থেকে উৎপাদন শুরু, চট্টগ্রামসহ অন্য স্থানে গ্যাস সরবরাহে উন্নতি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিদ্যালয়ে আবারও পাঠদান করাসহ বিদ্যালয়সমূহ খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, তখন থেকেই ঝুলছে তালা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ঘটা করে উদ্বোধনও হয়। এরপর ২০ বছর পার হলেও যাত্রীদের কোনো কাজেই আসেনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটি।
দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এখন তা হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই এর জন্য দায়ী করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘা জমির উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনালটি। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এরপর আর ব্যবহার করা হয়নি এটি।
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি জনশূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চারপাশ। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বিকল বাস ফেলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা বাসে ওঠানামা করছেন ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে। স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অথচ টার্মিনাল নির্মাণের পর দুই দশক পার হলেও তা চালু হয়নি এখনো। এর পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। টার্মিনালে বাস না থাকায় বাসের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কের পাশে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এ সময় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও সে উপায় নেই।
টার্মিনাল বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও উপজেলা প্রশাসন জানালেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করতে বাস মালিক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা চাই যেন এর যথাযথ ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আধুনিক বাস টার্মিনালের উদ্বোধন এ মাসেই
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে জেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে আগের নিয়মেই। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আগে থেকে না জানায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকায় বিদ্যালয়ে এসেছেন শিক্ষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিন পরই শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, সোমবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে তীব্র শীতের কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়