পুশইন
এবার ২১ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিল বিএসএফ
ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন থামছেই না। এবার শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে রাতের আাঁধারে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১৪১৬ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝখানের ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
পুশইন করা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জন বয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, পুশইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রথমকিভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ভারতের মেঘালয়ের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে নাকুগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতরা ৬টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছিল বলে পরিচয় দেয়। ভারতীয় পুলিশ পরে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে আনা হয় এবং মধ্যরাতে রাতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই একইভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশইন করে বিএসএফ।
১৩৩ দিন আগে
বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে ও এ দেশের সরকারকে চাপে রাখতেই সীমান্ত দিয়ে অব্যাহত পুশইন করছে ভারত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজের কালিবাড়িস্থ বাসভবনে জেলার আলেম-ওলামাদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন একটি কঠিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভারত নিয়মিত পুশইন করে যাচ্ছে। জনগণকে ধরে নিয়ে এসে জোর করে আমাদের দেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
‘ন্যায্য পানির হিস্যা ভারত আমাদের দেয়নি। তার ওপর তারা আমাদের বর্ডারে পাখির মতো মানুষ মারে ও অবৈধ পুশইন করে। এতদিন এগুলো তারা করেনি, যেহেতু আওয়ামী সরকারকে এদেশ থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা এসব শুরু করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। র্যাবের লোকদের মাধ্যমে জঙ্গি মতবাদ দিয়ে মাদ্রাসার এতিম ছেলেদেরকে নিয়ে গিয়ে তাদের হাতে লিফলেট ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এসব ঘটনা বিগত আওয়ামী সরকার একটা না হাজারটা ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আশা বাড়ছে: ডা. জাহিদ
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকার যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, এরকম হত্যাকান্ড তারা আগেও একটি ঘটিয়েছিল। সেটি হলো—শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড। রাতের অন্ধকারে মেশিনগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা।’
‘যেসব ছেলেরা অভ্যুত্থানের সময় বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, সেসব ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে সাধারণ জনগণের রক্তের বিনিময়ে আমরা সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের সময় উঠে এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাস সে সময় হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সঠিক দেশ নেতাকে বেছে নেওয়ার অধিকার ফিরে পাবো।’
এসময় আরও ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ জেলার আলেম-ওলামারা।
১৬৬ দিন আগে
মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২০ জনকে পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১৮ জুন) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভারত থেকে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়। এরপর মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা ও ১০টি শিশু রয়েছে। তারা কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
এ ছাড়া আটকদের নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের কাজ শেষে তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
কর্নেল ফাহাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
এর আগে, গত ৩ জুন জেলার ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারি সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ও ২৭ মে গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
১৭০ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ের চাপশার সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ২৩ জনের মধ্যে চিহ্নিত এক ভারতীয় দম্পতিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে ওই দম্পতিতে হস্তান্তর করা হয়ে। গত ১৪ জুন তাদের পুশইন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এর আগে, ওই দম্পতিকে ফেরত দিতে সোমবার সন্ধ্যায় বিএসএফের ৮৭ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, গত ১৪ জুন আওতাধীন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের চাপসার বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪৭/১-এস দিয়ে ২৩ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়ন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
এরপর আটক ২৩ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ২১ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় তাদের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অন্য দুজন হলেন— ভারতীয় দম্পতি ফজের মণ্ডল (২১) ও তার স্ত্রী তাছলিমা মণ্ডল (১৯)। তারা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগনার বাসিন্দা।
১৭১ দিন আগে
ভারত পুশইন কৌশলে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ভারত ‘পুশইন’ কৌশল বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘অবৈধ পুশইন বন্ধ এবং সার্বভৌমত্ববিরোধী করিডোর প্রদান রোধ।’
আলোচনা সভায় বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এটিএম জিয়াউল হাসান, কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এম শাহজান সাজু ও ড. নাসির আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোস্তফা আল ইযায।
কাদের গনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে জোরপূর্বক পুশইন চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ ও চিঠি সত্ত্বেও ভারত সরকার তা কোনোভাবেই আমলে নিচ্ছে না। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও সীমান্তে চোরাপথ বা বিজিবির অগোচরে পুশইনের ঘটনা বাড়ছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পুশইন নয়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং অফিস ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে, যা অগ্রহণযোগ্য।’
কাদের গনি অভিযোগ করেন, ‘সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নিয়মিত বাংলাদেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা ও নির্যাতন চালায়। ফেলানি হত্যাকাণ্ডের কথা সবাই স্মরণ করছে। সীমান্ত দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঠেলে দিচ্ছে ভারত। এছাড়া তারা দেশের মাদক ও অস্ত্র সরবরাহেও জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের নাগরিক অবৈধভাবে কোনো দেশে প্রবেশ করলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু ভারত কোনো প্রক্রিয়া না মেনে গায়ের জোরে মানুষগুলোকে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে, যা বেআইনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের গায়েবি অভিযোগ তুলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রচার করছে। এছাড়া বাংলাদেশে তালেবান সরকারের উত্থানসহ নানা অযৌক্তিক খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে।’
তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আহ্বানকে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।’
সরকারের মানবিক করিডর প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে।’
বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপোস চলবে না। পুশইনের জবাব পুশব্যাক হওয়া উচিত। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ‘ভারত আইনবহির্ভূতভাবে পুশইন অব্যাহত রেখেছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।’
১৮৪ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ৮ জনকে পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাঁদশিকারি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। পরে চাঁদশিকারি বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, গত ২৭ মে গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১৭ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ।
১৮৫ দিন আগে
লালমনিরহাটে বিজিবির বাধায় পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ
লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৬টি সীমান্ত দিয়ে ৫৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) বাধায় ব্যর্থ হয়ে ওই ৫৮ জনকে নিজ দেশে ফেরত নিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৮ মে) রাতে সীমান্তে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে পুশ-ইনের চেষ্টা চালায় তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর এসব মানুষকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, বুধবার ভোরে একযোগে এসব মানুষকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করে বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির বাধায় তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, যাদের বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করা হয়েছে তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বৈধ বাসিন্দা। বিকালে পতাকা বৈঠকে ওই ভারতীয় নাগরিকদের গ্রহণে আপত্তি জানায় বিজিবি। পাশাপাশি তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর ফলে রাতেই জেলার পাটগ্রাম, আদিতমারী, হাতীবান্ধাসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, আদিতমারীর দুর্গাপুর ও হাতীবান্ধার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন ভারতীয় নাগরিককে সীমান্তে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বুধবার রাতে আরও ৩৯ জনকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প।
১৯০ দিন আগে
মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, সাতজন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) ভোরে ফেনী নদী পেরিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। বর্তমানে তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
জানা গেছে, কাজের খোঁজে তারা ভারতের হরিয়ানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের আটক করে বিমানে আগরতলায় আনা হয়। পরে দক্ষিণ ত্রিপুরার গুলোমনিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সোমবার ভোররাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানো হয়।
১৯২ দিন আগে
বিএসএফের পুশইন করার চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফেনী নদী সীমান্ত দিয়ে তাদের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার যে চেষ্টা করেছে তাকে বুধবার অনাকাঙ্ক্ষিত বলে আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
২০৩৮ দিন আগে