বন্যহাতি
শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।
খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব কমাতে দুই পরিকল্পনা সরকারের
এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।
এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’
১৫২ দিন আগে
মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব কমাতে দুই পরিকল্পনা সরকারের
দেশের বনভূমি সংলগ্ন ও পার্বত্য এলাকায় মানুষ ও হাতির সহাবস্থান উভয়েরই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে। হাতির পদদলনে যেমন কৃষিজমি নষ্ট ও প্রাণহানি হচ্ছে, তেমনই বন্যপ্রাণীটির উৎপাত ঠেকাতে মানুষের স্থাপিত বৈদ্যুতিক ফাঁদ ও গুলিতে মারা পড়ছে হাতি। এমন বাস্তবতায় মানুষ ও হাতির মধ্যে দূরত্ব তৈরির মাধ্যমে দ্বন্দ্ব কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
দুই পরিকল্পনা
হাতি ও মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে দুই পরিকল্পনা—বনভূমি পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজমের বিকাশ—সামনে রেখে এগোচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এর মধ্য দিয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলা সহজতর এবং হাতিদের নিজস্ব আবাসে বিচরণ নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তুরস্কের অভিজ্ঞতায় আস্থা
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, বিশেষ করে ইকো-ট্যুরিজম খাতে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।
রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনে ২৭ মে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওই বৈঠকে অংশ নেয়। ওই সময় মানুষ-হাতি দ্বন্দ্বপ্রবণ এলাকাগুলোতে বন পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা।
হাতি নিধন ও মানুষ হত্যা
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই হাতি নিধন ও হাতির মাধ্যমে মানুষের প্রাণহানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
গত ৫ জানুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং রেঞ্জের হরিখোলা গহিন পাহাড়ের সংরক্ষিত বনে একটি হাতি মারা যায়। পরে ১৮ জানুয়ারি একই উপজেলার সংরক্ষিত বনে একটি বাচ্চা হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরের মাসে ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে আরও একটি হাতি নিহত হয়। পাহাড়-সংলগ্ন তামাকখেত থেকে মৃত হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। স্থানীয়রা জানান, তামাকখেত রক্ষা করতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়েই হাতিটি মারা যায়।
মার্চ মাসে ফের আসে হাতি মৃত্যুর খবর। সে সময় প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, অসুস্থতাজনিত কারণে সেটির মৃত্যু হয়েছে, তবে পরের দিন ময়নাতদন্তে জানা যায়, হাতিটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে উখিয়ার জুমছড়ি সংরক্ষিত বনে একটি বন্যহাতি রক্তবমি করতে করতে মারা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
তার দুই দিন পর ২০ মার্চ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে ঘটে আরও একটি বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনা। পাহাড়ের পূর্ব সমশ্চুড়া এলাকায় ধানখেতের পাশে স্থাপিত বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণ যায় হাতিটির।
এরপর এক মাস বিরতি দিয়ে গত সপ্তাহে মানুষ-হাতি দ্বন্দ্বের বিষয়টি আরও একবার খবরের শিরোনাম হয়। এবারও মৃত্যুর খবর, তবে হাতির নয়; মানুষের।
গারো পাহাড়ের গজনীতে বন্যহাতির আক্রমণে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের না হওয়ার এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
এতসব ঘটনার পরও হাতি নিধন থেমে নেই। বন বিভাগ বারবার নিরুৎসাহিত করলেও এসব কর্মকাণ্ড ঘটেই চলেছে। আবার আত্মরক্ষার্থে অনেক সময় অবধারিতভাবেই মানুষ কিংবা হাতির প্রাণ যাচ্ছে।
১৮৮ দিন আগে
ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুতের তারের ফাঁদ পেতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ। মামলায় গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সীমান্তের মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়ায় বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় শনিবার (২ নভেম্বর) শহীদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু, আটক ১
তিনি বলেন, বন্যহাতি হত্যা মামলায় শহীদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময় একটি জেনারেটর ও বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার জব্দসহ শহীদুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বনবিভাগ।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শহীদুলকে আটক করা হয়েছে এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৬ (১)/৪২ ধারায় (অপরাধ ও সাজা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার জুম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে সারাদেশের বন্যহাতি অধ্যুষিত বনাঞ্চলের বন কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি একটি জরুরি সভা করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমীর হোসাইন চৌধুরী।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেই সভায় বন্যহাতির বিচরণস্থলগুলোতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তারা।
শেরপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, আমাদের বনাঞ্চলের হাতিগুলো ‘এশিয়ান এলিফ্যান্ট’ জাতির। যা আইইউসিএন’র লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণী।
এজন্য বন্যহাতি সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শেরপুর বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা আরও বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ এ অঞ্চলের বন্যহাতি সুরক্ষায় সচেতনতামুলক সভা ও কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি এলাকায় নেমে এলে কয়েকজন কৃষক ফসল রক্ষায় থানখেতে জেনারেটরের বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া তার ফেলে রাখে। রাত ১০টার দিকে মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি বন্যহাতির মৃত্যু ঘটে। আনুমানিক ১০/১২ বছর বয়সি মাদি হাতিটির মরদেহ শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি নিহতের ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
৩৯৭ দিন আগে
শেরপুরে ফের বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার, পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ
শেরপুরে ঝিনাইগাতীর ছোট গজনী পাহাড় সংলগ্ন এলাকার ধানখেত থেকে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বন্যহাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বনবিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত হাতিটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ।
ধানখেতে হাতি তাড়ানোর জন্য পেতে রাখা বিদ্যুতের তারের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এনিয়ে গত পাঁচ মাসে একই এলাকা থেকে দুটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন খাদ্যের খোঁজে বন্যহাতির দল এই এলাকার ধানখেতে আসছিল। এতে ফসল নষ্ট হচ্ছিল। তাই স্থানীয়রা তাদের ফসল রক্ষা করতে বিভিন্ন উপায়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এভাবেই হয়তো হাতি তাড়ানোর জন্য পাতা বিদ্যুতের তারের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে বন বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হাতিটির শরীরের বিভিন্ন অংশ সংরক্ষণ করে মরদেহটি পুঁতে রাখা হবে।
এদিকে গত পাঁচ মাসে শেরপুরে ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ী এলাকায় দুটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়ন তাওয়াকুচা বীট এলাকার গত ৬ মে সকালে বিদ্যুতের পাতা ফাঁদে একটি বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল।
তাছাড়া ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ এলাকা থেকে ২০২২ সালে ২ জুন বন্যহাতির এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারও আগে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইগাতীর গজনী সীমান্তের আঠারোঝোরা এলাকা এবং ২০২১ সালের ৯ নবেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা ও ১৯ নবেম্বর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রাম থেকে তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিলো।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
নাগরিক প্ল্যাটফরম ‘জনউদ্যোগ’ এর আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, ‘শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি’র সভাপতি সুজয় মালাকার এবং ‘সবুজ আন্দোলন’ এর সভাপতি মো. মেরাজ উদ্দিন জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে গারো পাহাড়ে বন্যহাতির স্বাভাবিক বিচরণে কিছু মানুষ ফসল রক্ষার নামে বাঁধা দিয়ে আসছে। অথচ সরকার হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। তারপরও প্রায়ই গারো পাহাড়ে জিআই তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কিংবা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্যহাতি হত্যা করে আসছে।
তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবারও ঝিনাইগাতীর ছোট গজনীর ধানখেতের পাশ থেকে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই হাতিটিকেও হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এ হাতি হত্যার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক আমরা তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
৭৯১ দিন আগে
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির লাথির আঘাতে আহত এক গারো কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত বিজয় সাংমা (৫২) নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের স্টীপেন মারাকের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় নিহত কৃষক বিজয় সাংমার বাড়িতে হাজির হয়ে নালিতাবাড়ীর ইউএনও খ্রস্টফার হিমেল রিছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এসময় গারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কৃষকেরা ফসল রক্ষা করতে রাত জেগে ধানখেত পাহারা দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক বিজয় সাংমার আবাদকৃত বোরো ধানখেতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
এসময় বিজয় সাংমা ফসল রক্ষা করতে হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি উন্মত্ত হয়ে বিজয় সাংমার ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় হাতির দলের একটি হাতি বিজয় সাংমার বুকে ও পেটে পা দিয়ে লাথি মারে এবং তলপেটে চাপা দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কের পাশে নিজ আবাদি বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় বিজয় সাংমা বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন।
ওসি আরও বলেন, স্বজনেরা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয় সাংমাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা বিজয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক বিজয় সাংমার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
৯৫১ দিন আগে
শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
শেরপুর শ্রীবরদী সীশান্তে বন্যহাতির কবল থেকে খেতের ধান রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে এক কৃষক নিহত ও এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উপজেলার জুলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আব্দুল করিম (৩৫) ওই এলাকার রবিজল মিয়ার ছেলে।
আহত খবির উদ্দিনকে শ্রীবরদী উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে নিহত আব্দুল করিমের লাশ তার বাড়িতে রাখা হয়েছে এবং থানায় নিয়মিত অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
পুলিশ, বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের সীমান্তবর্তী জনপদের ফসলি জমিতে খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে।
শুক্রবার ভোরেও তেমনি একটি বন্যহাতির দল শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি বনবীটের আওতাধীন জুলগাঁও এলাকায় ধানখেতে হানা দেয়। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা খেতের ধান রক্ষায় হাতি তাড়াতে গেলে দলের একটি বন্যহাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কৃষক আব্দুল করিম নিহত হয়। সেইসঙ্গে খবির নামে আরও এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছে। পরে হাতির দল পাহাড়ের দিকে চলে গেলে স্থানীয়রা নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় খবির মিয়াকে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
৯৬৫ দিন আগে
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব চালিয়েছে। শনিবার একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে উপজেলায় আব্দুল মোতালেব নামে এক দিনমজুরের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব ওই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
সংবাদ পেয়ে শনিবার (৫ নবেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
ইউএনও তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব জানান, শনিবার ভোর আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্নাঘর ভেঙে তছনছ করে। বসতঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে।
এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি।
এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১
১১২৫ দিন আগে
শেরপুরে আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে গজনী অবকাশের পশ্চিম পাশের বেরী এলাকা থেকে ওই হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত ৭ মাসের মধ্যে শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদে চারটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন যাবত ৩০ থেকে ৪০টি বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি এলাকায় বিচরণ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গজনী অবকাশের বেরী এলাকায় অসুস্থ্য হয়ে একটি পুরুষ হাতি খাদে পড়ে যায়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন বন্যহাতিটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে হাতিটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৃত হাতিটিকে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
শেরপুর জেলা জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার জানান, প্রাণিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।
পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
১২৮১ দিন আগে
চট্টগ্রামে আরও একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
জেলার বাঁশখালী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় মাটিচাপা অবস্থায় একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাঁশখালী বনবিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ দল বুধবার দুপুরে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় বন্য হাতির মরদেহটি উদ্ধার করে।
এর আগে সকালে স্থানীয়রা পাহাড়ের পাদদেশে মাটিচাপা অবস্থায় বন্যহাতির মরদেহ দেখতে পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হাতি হত্যায় অভিযুক্ত মারা গেলেন হাতির আক্রমণে
বনবিভাগের কর্মকর্তারা বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ ও সাফারি পার্কের কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চার জন ডাক্তারের একটি টিম ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে আমাদের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কে বা কারা হাতিটি মাটিচাপা দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী কারণে হাতিটি মারা গেছে।’
আরও পড়ুন: হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি!
এর আগে গত ১২ নভেম্বর একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বল পাহাড়ি এলাকায় একটি ধানখেত থেকে বন্যহাতির লাশ উদ্ধার করা হয়।
১৪৬৪ দিন আগে
নালিতাবাড়ীতে মানুষ-বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক কর্মশালা
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে বনবিভাগ। শনিবার বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বন্যহাতি হত্যা না করতে এবং জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
সেইসাথে গহীন অরণ্যে যেখানে হাতির আবাসস্থল, সেখানে বনবিভাগের জায়গা দখল করে সবজির আবাদসহ অন্যান্য চাষাবাদ করতেও নিষেধ করা হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ভারত সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দুইটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৫ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত: সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
১৪৭৫ দিন আগে