ঐক্যবদ্ধ
তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন, গত ৫৩ বছরে এই দেশের মানুষ অনেক স্বৈরাচারী ভোট ডাকাত সরকার দেখেছে। তাই এই দেশের তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ, নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার পরেই প্রথম দলীয় সফরে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে এসে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘রাব্বানী ডাকসু থেকে পদত্যাগ না করলে আমরা পদক্ষেপ নেব’: ভিপি নূর
ভিপি নূর আরও বলেন, বিএনপি যদি মনে করে যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করবে, তবেই বিএনপির সঙ্গে জোট হবে এবং রাজনৈতিক সমঝোতাও হবে। নইলে বিএনপিকে বর্জন করা হবে এবং বিকল্প শক্তি নিয়ে এককভাবে নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে তরুণরা কারো লাঠিয়াল হওয়ার জন্য আন্দোলনে রক্ত ও জীবন দেবে না।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
১ মাস আগে
হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘পাহাড় সুস্থ থাকলে পৃথিবী সুস্থ থাকবে, তাই পাহাড়-পর্বতকে ভালো রাখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বুধবার (২২ মে) নেপালের কাঠমান্ডুর চন্দ্রগিরি হিল রিসোর্টে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট ডায়লগ অন মাউন্টেইন, পিপল অ্যান্ড ক্লাইমেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘হিন্দুকুশ হিমালয় পর্বতমালা জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। যদি বুঝতে চান যে পৃথিবীতে কী ঘটতে চলেছে, দেখতে হবে আজ হিমালয়ে কী ঘটছে। এটি কেবল পাহাড় নয়, সুপেয় পানির উৎস। হিমালয়ের সমস্ত হিমবাহ গলে গেলে আমরা কী করব? সুপেয় পানি না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচবে কী করে? তাই পাহাড় রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার সীমা রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না করলে, অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশ আগামীকাল নেটজিরো অর্জন করলেও বৈশ্বিক নির্গমনে কোনো পার্থক্য করবে না কারণ জি-২০ দেশগুলো বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ৮১ শতাংশের জন্য দায়ী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাংলাদেশ প্রচুর ব্যয় করছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বছরে সাত ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে পারে, কিন্তু জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোতে অর্থায়ন করে না। এই দ্বৈত নীতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, এটা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।’
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হবে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ আমাদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের উত্তরে হিমবাহ গলছে এবং দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আমরা খরা, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সব নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছে।
অনুষ্ঠানে নেপালের বন ও পরিবেশমন্ত্রী নওল কিশোর সাহ সুরির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ভাষণ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপাল সরকারের মুখ্য সচিব ড. বৈকুণ্ঠ আরিয়াল।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ভুটানের মন্ত্রী, ইউএনএফসিসিসি সাবসিডিয়ারি বডির চেয়ারম্যান; নেপালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী; কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৪ মাস আগে
পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পুলিশ ও সাংবাদিক যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একসঙ্গে কাজ করে তাহলে দেশ থেকে অপরাধ, অন্যায়-অবিচার নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মিজান মালিকের কবিতার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে সক্ষম হবো আমরা, যা কবি মিজান মালিক তার বইয়ে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে লেখেন। ‘তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যাওয়া অনেক রিপোর্টকে আমি স্বাগত জানাই, কারণ আমি তাদের লেখার মাধ্যমে অনেক তথ্য পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। তবে সেই তথ্য আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে মনে রাখতে পারি। আমাদের গোয়েন্দা দলও তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। অনেক সময় পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পর্যালোচনা করে আমরা অনেক গোয়েন্দা তথ্য পাই। সেগুলোও আমাদের কাজে লাগে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যেমন কাজ করেন, সাংবাদিকরা তেমনি সরকারি যন্ত্রের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারেন। আর তা সঠিকভাবে করতে পারলে দেশ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি মো. কামারুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
ইজতেমা উপলক্ষে সড়ক ও পার্কিং নির্ধারণ করল ডিএমপি-জিএমপি
৮ মাস আগে
জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেগম এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের অনেক অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা দলকে দুর্বল করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে যেভাবে মানুষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো তা খুবই দুঃখজনক।
তিনি অবিলম্বে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
৮ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নবনিযুক্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, যার মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত প্রিয় বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ, উন্নত, আধুনিক একটি রাষ্ট্র। এর সোপান হলো শিক্ষা। আর শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্যই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, শিক্ষা একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মাধ্যমিকের সঙ্গে সমন্বয় করে এখানে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে শিক্ষার সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ফুল নেওয়া নয়, ফুল ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
৯ মাস আগে
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ আল-কাহতানি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে তারা গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে কাতারের রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ৪-৬ মার্চ কাতারে অনুষ্ঠিতব্য অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) যোগ দিতে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি দুই বছর পর পর এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
গাজা ইস্যু সম্পর্কে সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ বলেন, এ বছর তার দেশ ১৮ ডিসেম্বর তাদের জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং গাজার জনগণের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদযাপন বাজেটটি পাঠিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও জামাকাপড়সহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদেরও এখানে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতে কাজ করছেন।
কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজা ইস্যুতে সংবাদ প্রচার করায় বিশ্ব গাজার পরিস্থিতি জানতে পারছে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামান্য আমিরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
কাতারের আমির ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী গাজা ইস্যুতে কাতার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব ১৯ যুবাদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের অবসানের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক, অমানবিক অস্তিত্বের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংঘাতের অবসানের দাবি জানানোর সময় এসেছে।’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভারত আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট ২০২৩ এ ভাষণ দেওয়ার সময় এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি মূলত জাতিগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব, যা ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এই সংঘাতগুলো যুদ্ধরত দেশ এবং জড়িত আন্তর্জাতিক অংশদের মধ্যে সত্যিকারের বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা তৈরি করার জরুরি প্রয়োজনের আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত।’
তিনি বলেন, গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান কষ্টের সঙ্গে এখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেখা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং 'সবার প্রবৃদ্ধি' অর্জনের জন্য 'সবার আস্থা' জোরদার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার আস্থার ভিত্তিতে আরও ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে সক্ষম করার জন্য গ্লোবাল সাউথের জন্য আরও সুযোগ ও আওয়াজের অনুমতি দিয়ে এগুলো মোকাবিলা করা দরকার।’
তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেন। সেগুলো হলো-
প্রথম: শান্তির প্রবক্তা হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বজায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয়: বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেক হিসেবে নারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রাণবন্ত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘দীর্ঘসময় ধরে নারী নেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি, একটি উজ্জ্বল ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন একটি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা।’
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয়: বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি হস্তান্তর অপরিহার্য।’
চতুর্থ: প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের উচিৎ সবার উন্নত জীবন প্রদান এবং আয়োজক ও স্বদেশ উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিবাসনকে সহজতর করা।
পঞ্চম: কোভিড-১৯ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাতের ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
‘আমি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গ্র্যাজুয়েশনের পরেও যথাযথ সময়ের জন্য শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
পরিশেষে, তিনি বৈশ্বিক মানব উন্নয়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘আমি উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশীজনদের আরো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথকে উদারভাবে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।’
ভারত শুক্রবার ভার্চুয়াল ফরম্যাটে সেকেন্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করছে, যা এই বছরের জানুয়ারির পর দ্বিতীয়বার হচ্ছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল কাদের
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময়কালে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে আমাদের শত্রুরা সুবিধা নেবে।’
কাদের বলেন, এদেশের ইতিহাসে দু’টি নাম অমর: বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা।
‘১৯৭৫ সালে আমরা যে যুদ্ধ করেছি তা ছিল টিকে থাকার লড়াই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর শেখ হাসিনা এদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। তার নেতৃত্বেই সব উন্নয়ন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে বিএনপি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভুয়া ভোটার তৈরি করে, ভোট চুরি করে, সন্ত্রাস করে এবং ক্ষমতা দখল করে তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ কী শিক্ষা নেবে?
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কঠোর হাতে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যে হাতগুলো আগুন নিয়ে আসবে আমরা তাদের পুড়িয়ে দেব। ‘আমরা লাঠি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর হাত ভেঙে দেব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে; অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। রংপুরের জনসভাই তার প্রমাণ।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তার দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বভুক্ত রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় পুরো শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।
তাতে যে দুইটি বিষয় প্রমাণ হয়েছে, তা হলো- রংপুর আজও অন্য কারও নয়; আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এই জনজোয়ার ধরে রাখতে হবে।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচির বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কয়েকদিন আগে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা-নাশকতা করে শেষে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্মুখেরা এখন বিএনপির নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যায় তারা বলেছে একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপি মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোসহ সন্ত্রাসে লিপ্ত।
তিনি বলেন, সে কারণে বিএনপির কোনও সদস্যকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির মুখে এ নিয়ে কোনও কথা নেই।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি তাদের একটি বিবৃতিতে বিরোধী দলের বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ না করার জন্য বলে। কিন্তু তারা বিরোধী দলকে মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আগের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান ছিলেন তারেকের বেয়াইন। সুতরাং, সেই সংগঠন কোনদিকে বলবে, তা সহজেই অনুমেয়।
মন্ত্রী বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ দেশে জীবন্ত মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে বা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোনও বিবৃতি দেয় না; তাদের বিবৃতি কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। অর্থাৎ এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে