দাবি
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক, অভিযুক্তের দাবি ষড়যন্ত্র
বরগুনার তালতলীতে ১১ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, এটি জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ থেকে উদ্ভূত ষড়যন্ত্রের ঘটনা।
শুক্রবার (২৪ মে) উপজেলার করমজাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগপত্রে লেখা বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটি গ্রামের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে জাম পাড়তে যায়। এ সময় গ্রেপ্তার সিদ্দিকুর রহমান তাকে জাম দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ওই ঘটনা ঘটান তিনি।
পরে সেদিন রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করলে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমেও বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শিশুটির পরিবার তালতলী থানায় অভিযোগ করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শারীরিক পরীক্ষার জন্য। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
তবে সিদ্দিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরেই আমাকে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। সঠিক তদন্ত হলে সব প্রমাণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বয়সে আমি এমন ঘৃণ্য কাজ কল্পনাও করতে পারি না। আমি চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং যেকোনো নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে (ভুক্তভোগীর) মেডিকেল পরীক্ষা করানো হোক। রিপোর্টেই প্রমাণ হবে যে অভিযোগ মিথ্যা। আর যদি সত্যিই আমাকে ফাঁসানো হয়ে থাকে, তাহলে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, ‘দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে, যা এলাকাবাসীর জানা। তবে যেহেতু ঘটনাটি সংবেদনশীল ও শিশু জড়িত, তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’
ঘটনাটির পর করমজাপাড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ ঘটনাটিকে পারিবারিক বিরোধের জেরে করা ষড়যন্ত্র হিসেবে সন্দেহ করছেন।
সামাজিকভাবে ঘটনাটি নিয়ে বিভক্ত মত থাকলেও অধিকাংশই একমত যে সঠিক তদন্তই একমাত্র পথ, যা সত্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে।
১৯৪ দিন আগে
নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমানের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৪টার পর শাহবাগ মোড় ও জাতীয় জাদুঘর-সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। দুপুর থেকেই সেখানে জড়ো হয়েছেন বলে জানান তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজা বলেন, ‘এইচএসসি পাস করে তিন বছর ডিপ্লোমা করেছি, এরপর তিন মাস ইন্টার্নশিপ করেছি। তারপরও আমাদের এই শিক্ষাকে এইচএসসি সমমান করে রাখা হয়েছে। আমরা ডিগ্রির সমমান চাই। এটিকে ডিগ্রি সমমানের সার্টিফিকেট যেন করা হয়।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
আরেক শিক্ষার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই বছর ধরে এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, কিন্তু কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
শিক্ষার্থীরা জানান, তীব্র গরমের মধ্যে দুপুর থেকে টানা স্লোগান দেওয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজনকে রাস্তায় শুয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২০৪ দিন আগে
চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বৈষম্যমূলক নীতি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘প্রহসনের বাজেট মানি না, মানবো না’; ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না, মানবো না’; ‘ইউজিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথেসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব আন্দোলনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।’
ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে পদে বসে আছেন, সেই পদে বসতে জবি শিক্ষার্থীদের ত্যাগ আছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন এবং জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি দ্রুত মেনে নিন। দাবি মেনে না-নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।’
কর্মসূচিতে জবি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের আন্দোলনে এমন কোনো দিন ছিল না, যেদিন পুরান ঢাকায় আন্দোলন হয়নি। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন, অথচ আজ আমাদের ওপরই বৈষম্য করছেন।’
‘আবাসন ভাতা ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। আমাদের ৯০-৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টাকার অভাবে সকালের নাশতা খেতে পারেন না। পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি,’ অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।
এদিকে, জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলবে, নয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাজেটে এত বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং তাদের চার দফা দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। বাজেট বৃদ্ধির নীতিমালাতেও ত্রুটি আছে, এজন্য আমরা ইউজিসি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি ‘
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।
২১১ দিন আগে
কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা: ইউসিজিসি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি দাবিগুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াও আশ্বাস দিয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ইউজিসি প্রতিনিধিদল কুয়েটে পৌঁছায়।
তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব আহমেদ শিবলী।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রথমেই অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা চালান। যদিও তারা একজনমাত্র শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন। অন্য শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে দৃঢ় থাকেন।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর চালানো হামলার বিষয় এবং তাদের আন্দোলন ও দাবিগুলো তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষার্থী জানান, তারা পুরো চিত্র প্রতিনিধিদলের কাছে উপস্থাপন করেছেন এবং ভিসি গণমাধ্যম ও শিক্ষকদের কাছে যেসব গুজব উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো খণ্ডন করেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রতিনিধিদল তাদের যথাযথ বিচারের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
ইউজিসি প্রতিনিধিদল জানান, একটা বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিনিধিদল তাদের জানিয়েছে— তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের সুপারিশ পেশ করবে। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু সেটার কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা খবর পেয়েছেন স্মারকলিপির ব্যাপারে অনেকেই অবগত নন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এই গরমে অনশন করছ ও অনশনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানের দৃঢ়তা তুলে ধরেছ, তোমাদের বলতে চাই, প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শিগগির তদন্ত কমিটি আসবে। তারা তোমাদের সঙ্গে কথা বলবে ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
২২৫ দিন আগে
জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক নির্দোষ: দাবি পরিবারের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়াকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
পরিবারটি অভিযোগ করে বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির মৃত্যুর পরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমানোর জন্য প্রশাসন তড়িঘড়ি করে রিকশাচালক আরজু মিয়াকে ফাঁসিয়েছে। আরজু মিয়াকে নির্দোষ দাবি করে তাকে দ্রুত মুক্তির প্রার্থনা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এই অভিযোগ করেন তারা।
এসময় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়ার মেয়ে আরজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা আরজু মিয়া একজন দর্জি। তিনি সৎভাবে ব্যবসা করেন। এলাকার সবার কাছে তার একটা সুনাম আছে। পাশাপাশি তিনি অটোরিকশা কিনে রং করে পুনরায় বিক্রি করেন। জাবি শিক্ষার্থী রাঁচি যখন মারা যায় তখন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা বাজে। সেইসময় আমার বাবা এলাকার দোকানে বসে ছিলেন। তার অবস্থান সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও আছে— যা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে জমা দিয়েছি।’
আরজু মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ তাই কিছুই করতে পারি না। কেউ আমাদের সহযোগিতাও করে না। বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি বার বার কেউ সহযোগিতা করেননি। ভিসি স্যারের কাছেও গেছি কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমার পরিবারের একমাত্র আয়-রোজগার করতো আরজিনার বাবা। তিনি জেলে যাওয়ায় এখন আয় বন্ধ। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার স্বামী অসুস্থ। তার মুক্তি চাই।’
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, এটি একটি সেনসিটিভ ইস্যু। বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়ায় আছে তাই এখন আপাতত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে আমরা চাই নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়। প্রকৃত অপরাধী শাস্তির আওতায় আসুক—এটাই চাই।
এর আগে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫৩ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আফসানা কারিম রাচি ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২৪ নভেম্বর ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী গেরুয়া এলাকা থেকে আরজু মিয়া নামের এক রিকশাচালককে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
২৬৫ দিন আগে
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কুয়েটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অন্যদিকে ভেতরে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কুয়েটের সব ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতের হামলার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল
মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
২৮৯ দিন আগে
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ শেষে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে একত্রিত হন।
এ সময় তাদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূইয়া বলেন, ‘আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী—কারোরই পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অজপাড়াগাঁয়ের একজন কৃষকের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরনগরে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে একজন শিক্ষার্থী যে জাহাঙ্গীরনগরে ছোট থেকে বড় হয়েছে, ভালো স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছে, তার কোনো ধরনের প্রিভিলেজ (সুবিধা) লাগবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, কোটা একটি প্রিভিলেজ, এটি কোনো অধিকার নয়। এই প্রিভিলেজটা ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দরকার, কিন্তু এটি কোনোভাবেই দরকার না। আজ পোষ্য কোটা চিরতরে বাতিল করার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
আইন ও বিচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাওছার আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দলনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবি ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এরই ধারাবাহিকতায় পোষ্য কোটা বাতিল নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করি। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ আমরণ অনশনে বসে। তারপর ভিসি মহোদয় ও সংশ্লিষ্টজনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটার যৌক্তিক একটি সংস্কারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে আসে। তবে এই সংস্কারের বিপরীতে পোষ্য কোটার সুবিধাভোগীরা আজ অযোক্তিক আন্দোলন করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থানের সময় তারা এক সাধারণ শিক্ষার্থী ভাইয়ের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। তারই প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল ও তাদের হামলার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন: পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন
এর আগে, গত দুদিন ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান পোষ্য কোটা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
এর বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এ সময় তারা পোষ্য কোটার পক্ষে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেললে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
৩০৩ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করেন। সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গতকাল রবিবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪০ বা ৪১ নম্বর পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। পক্ষান্তরে যারা তাদের চেয়েও দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন— কিন্ত তারা ভর্তির সুযোগ পাননি।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি প্রফেসর ডা. মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল ওহাব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কি বৈষম্য নয়?
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'তোমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছ, তখন রাজপথে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, 'বৈষম্য দূর করার দাবিতে সফল আন্দোলনের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হওয়া উচিত নয়। পাশ মার্ক যখন ৪০ হয়, তখন ৩৭ বা ৩৮ নম্বরের কেউ কীভাবে ভর্তি হতে পারে? আমরা আজ এই বৈষম্যের অবসান দাবি করছি।’
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, 'আগের বছরগুলোতে কাট-অফের সামান্য নিচে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু এ বছর কাট-অফের নিচে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করে আজ পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকারও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশে আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি মেডিকেল কলেজগুলোতে অযৌক্তিক কোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি, অথচ অনেকে ৪০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৩১৮ দিন আগে
শাবিতে কোটা বাতিল ও ফি কমানোর দাবি
ভর্তি পরিক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল ও ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সমাবেশ করেন তারা। এ সময় সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা ও অতিরিক্ত ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, ‘দেশ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। যেখানে বিসিএসের ভর্তি ফি ২০০ টাকা করা হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা আবেদন ফি নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। অতিদ্রুত সব ধরনের ফি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানাই।’
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিল বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম সেই বৈষম্য এখনও শেষ হয়নি। জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা। কিন্তু সেই মেধার অবজ্ঞা করে এখনো কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শুধুমাত্র কোটা রাখা যেতে পারে, কিন্তু পৌষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয় তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও ধনী পরিবার থেকে আসে। এটা চরম বৈষম্য। এরকম বৈষম্য জুলাই বিপ্লবের শহিদদের সঙ্গে বেইমানি।’
কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী কিরণ হাওলাদার বলেন, ‘আবেদন ফি, ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমানোর জন্য দীর্ঘদিন আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বন্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘যেসব বিষয় টেবিলে বসে সমাধান করা যায় সেসকল বিষয় সমাধান করতে যেন আমাদের মাঠে নামতে না হয়।’
৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শুরু হতে যাওয়া আবেদন স্থগিত করে ফি পুনর্নির্ধারণ করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
৩৩৪ দিন আগে
গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন।
পুলিশ ও কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
পরে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেননি। সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকেরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
৩৪৬ দিন আগে