ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিএনপি ছেড়ে চরমোনাই পীরের দলে যোগ দিলেন সাবেক এমপি
বিএনপি ছেড়ে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।মঙ্গলবার (৬ মে) বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবারে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের হাত ধরে এ দলে যোগ দেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে. এম. শরীয়াতুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যোগদানকালে তিনি শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে চরমোনাই দরবারে হাজির হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন: ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে অল্পদিনের জন্য বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
তবে, বর্তমান কমিটিতে তাকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় মোস্তাফিজুর রহমান আগামী সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী- ৪ আসন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
২১৩ দিন আগে
ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার মামলা খারিজ
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন ফয়জুল করীমের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ হাসিবুল হাসান আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।
ফয়জুল করীমের পক্ষে মামলায় অংশ নেওয়া আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে যাব।’
নির্বাচনের প্রায় ২২ মাস পর সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে আবেদনটি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির। শুনানির সময় সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক আবেদনটি পরবর্তী আদেশের জন্য গত ২৪ এপ্রিল এবং পরবর্তীতে ৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ
সোমবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘ঘটনাটি দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত বিষয় উল্লেখ করে মামলার আবেদনটি খারিজ করা হলো।’
ফয়জুল করীমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া অন্যান্য আইনজীবীরা হলেন, শেখ নাসির উদ্দিন, জিএম নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ মিয়া ও জামাল উদ্দিন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের ১২ জুন বিসিসি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।
এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন। একই সঙ্গে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাগুয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে দরখাস্তকারীকে (ফয়জুল করীম) প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কম দেখিয়ে (৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট) পরাজিত দেখানো হয়।
এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। আবেদনে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার আদেশ প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
২১৪ দিন আগে
সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে এই প্রস্তাবনা জমা দেন দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কমিশনে স্বাস্থ্য সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে তা পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে কমিশন।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৩৯ দিন আগে
নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করুন: অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো প্রহসন দেশবাসী বরদাশত করবে না। সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের গণজাগরণ শুরু হয়েছে। এ গণজাগরণের বিস্ফোরণ ঘটার আগেই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করছি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কার্যনির্বাহী পরিষদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন: উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতি ইমাদুদ্দীন, মুফতি আনওয়ার হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলতাফ হোসাইন, আবদুল আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা কামাল হোসাইন, এম এইচ মোস্তফা, মুফতি জিয়াউল আশরাফ, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আকতার হোসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একতরফা পাতানো নির্বাচন হলে দেশে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। দেশের শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো গার্মেন্টস শ্রমিক কর্ম হারিয়ে ফেলবে। দেশের অর্থনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, মাফিয়া সরকারের দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন পূরণ হবে না। ৭ তারিখের নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
৭১১ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
তফসিলকে একতরফা আখ্যা দিয়ে দলটি সারাদেশের জেলা ও শহরে একযোগে বিক্ষোভ করেছে।
তবে কয়েকটি জেলায় তাদের মিছিল বাধার সম্মুখীন হয়।
দলের নেতারা বলেন, দেশের মানুষ তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা তা প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
নির্বাচনকালীন দেশ পরিচালনার জন্য 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম মিছিল করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
শান্তিপূর্ণ মিছিল হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিক্ষোভ
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
৭৫০ দিন আগে
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
৭৬১ দিন আগে
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
৭৬৩ দিন আগে
বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিএনপি-জামায়াতের এক দফা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দলের নেতা চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমি সমর্থন ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
তিনি সরকারকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উচিত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারাবন্দি বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ শুরু করা।
তিনি বলেন, সরকার যদি এসব দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তিনিসহ সব আন্দোলনকারী বিরোধী দল বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
৭৬৩ দিন আগে
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর সাহেব) শুক্রবার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করীম বলেন, দেশ আজকে হুমকির মুখে। আজকে দেশ কিন্তু পরদেশের তাবেদারীতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের বাংলাদেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
এসময় সিইসির পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যা করেছে তা বিশ্বে কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি এই সিইসির নিন্দা করি।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এসময় তারা সিইসি’র কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি জনগণ মেনে নিতে পারে না: পীর চরমোনাই
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
৯০৩ দিন আগে
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল শুরু করে।
দলটির আমীর মুফতি রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে মিছিলটি দুপুরে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উইংয়ের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, পুলিশ তাদের দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রতিবাদ স্মারকলিপি জমা দেয়ার জন্য বারিধারার হাইকমিশন মিশনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক নেতা নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা ভারতীয় মিশনে চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করে।
১২৬৮ দিন আগে