বেক্সিমকো
প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
বেক্সিমকোর নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা লোপাটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। অর্থলোপাটের সঙ্গে জড়িতদের আত্মসমর্পণ করে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া হয়েছে। অস্তিত্ববিহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর।’
‘এছাড়া বেক্সিমকোর নামে ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া টাকা কোথায় গেছে, সেটাও আমরা জানি না। এর সঙ্গে ১৩টি ব্যাংক জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ব্যাংক, সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, যারা এই টাকা দেওয়ার পেছনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’
‘বুধবার আমার তরফ থেকে এ বিষয়ে ব্যর্থহীন ঘোষণা গিয়েছে। এটি আমাদের মিটিংয়ের কার্যবিবরণীতেও লেখা আছে।’
ড. সাখাওয়াত বলেন, ‘এটা মনে করবেন না যে, বিদেশে চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন। বিদেশে যারা গেছেন তারা হয় আসবেন, নয় সেখানেই আটকা পড়বেন। আমি জানি না কী হবে! আমি এরইমধ্যে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি; দরকার হলে তদন্তের পর তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
‘আমরা এভাবে কাউকে ছেড়ে দিতে পারি না। যারা এতগুলো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা তো শান-শওকতে এখানেও আছে, বিদেশেও আছে।’
২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে থাকেন বা বিদেশে, যারা বিদেশে আছেন আমি তাদের অনুরোধ করব—আপনারা দেশে এসে আত্মসমর্পণ করুন। আর যদি মনে করেন এভাবে চলে যাবে, আগামীতে কী ঘটবে সেটা আল্লাহ জানেন। তাই বলছি আত্মসমর্পণ করেন, তদন্তের মুখোমুখি হোন। যদি নির্দোষ হোন, তো বিদেশেই থাকবেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশে সিটিজেনশিপ (নাগরিকত্ব) কিনেছেন। কিন্তু বিদেশে সিটিজেন হলেও বাংলাদেশের আইনে সেটা প্রযোজ্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই বিদেশে থাকবেন আর এখানে গণ্ডগোলের মধ্যে ফেলবেন, সেটা আর হবে না।’
২৮১ দিন আগে
বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মকর্তাদের পাওনা পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বন্ধ হওয়া ১৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ শুরু করা হবে আগামী ৯ মার্চ থেকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যে সমস্ত ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো লোন নিয়েছে তদন্ত হবে: শ্রম উপদেষ্টা
তিনি বলেন, বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। আগামী ৯ মার্চ থেকে পাওনা পরিশোধ শুরু হবে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা বলেছিলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা রমজানের আগেই পরিশোধ করবে সরকার।
২৮১ দিন আগে
যে সমস্ত ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো লোন নিয়েছে তদন্ত হবে: শ্রম উপদেষ্টা
যে সমস্ত ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো লোন নিয়েছে, সেগুলোর তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই টাকাগুলো কিভাবে পেল বেক্সিমকো, সেটা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করা হবে। এছাড়া জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রেস বিফিংয়ে এসব কথা বলেন শ্রম উপদেষ্টা।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সকল ব্যাংক, যারা লোন দিয়েছে, কি হিসেবে দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বেক্সিমকো যেসব কারখানা লেঅফ করেছে, ফেব্রুয়ারি মধ্যে সবার পাওনা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবার পাওনা সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার বেশি, প্রায় ৬০০ কোটির মতো হবে। বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর এদের বন্ধকী শেয়ার করে এই টাকা শোধ করবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন, গণপূর্ত ও শিল্প উপদেষ্টাসহ কমিটির সদস্যরা।
৩১০ দিন আগে
বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না: শ্রম উপদেষ্টা
বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। এ দাবিগুলো আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব না এবং অত্যন্ত অযৌক্তিক। তারপরও তারা বলেছে মানববন্ধন করবে রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছে আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়ন, ছিল আর্মি মতোন ছিল তাদেরকে বাধা দেয়নি।
আরও পড়ুন: ‘অস্বিত্ব নেই বেক্সিমকোর ১৬ কারখানার, ঋণ গ্রহণ ১২ হাজার কোটি টাকা’
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের নেতারা যারা আছেন— তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল। মনে করেছি এবং এখনো মনে করি তারা দায়িত্বশীল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, গতকাল যা হয়েছে আপনারা জানেন। শতাধিক বাস জ্বালানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা করার কথা ছিল না। এটা কখনো হয়নি। হঠাৎ করে এটা কেন, এটা আমরা খতিয়ে বের করব। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন। যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন— তারা টোটালি ফলস (ভুল) কাজ করেছেন এবং দেশবাসীর জন্য বড় সংকট তৈরি করতে যাচ্ছিল।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা রাখেনি। গতকাল বৈঠকের সময় সচিব কথা বলেছেন, তখন তারা বলেছেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলব শান্তিপূর্ণভাবে। আজকে তারা এসে কথা বলছে। যিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনিও এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত তো কারো গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, হয়েছে। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে।
২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকোর কর্মীরা। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ওই জায়গাও তো বন্ধক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে বেক্সিমকো শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ৩ গাড়িতে আগুন
৩১৫ দিন আগে
‘অস্বিত্ব নেই বেক্সিমকোর ১৬ কারখানার, ঋণ গ্রহণ ১২ হাজার কোটি টাকা’
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ৩২টি কারখানার মধ্যে ১৬টির কোনো অস্বিত্ব না থাকলেও এসব কোম্পানির নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ১২টি কারখানাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃকপক্ষ বন্ধ করেছে, যা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বর্তমানে সেখানে মাত্র ৩টি কারখানা চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত ৩২টি কারখানার বিপরীতে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকাসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ব্যাংক ঋণ বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধুমাত্র জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘গত সরকারের লুটপাটের একটা উদারহরণ এটি। সর্বোচ্চ ব্যাংক লুট এটি।’
উপদেষ্টা বলেন, গত ২১ জানুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মচারী ও শ্রমিকরা গাজীপুরের শ্রীপুর মায়ানগর মাঠে জমায়েত হয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দিয়েছিল যে, ২২ জানুয়ারি বিকাল ৩টার মধ্যে কারখানা খুলে না দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ শাটডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
সাখাওয়াত বলেন, সরকার গত বছরের ২৪ নভেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে পারিপার্শ্বিক শিল্প স্থাপনাদি ও জনজীবনে সৃষ্ট অভিঘাত পর্যালোচনা ও তৎপ্রেক্ষিতে করণীয় কার্যকর ব্যবস্থার সুপারিশ তৈরির জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট 'বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি' গঠন করেছে।
এসময় বিগত কয়েক মাসে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার হিসাবও তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অর্থ বিভাগ ৫০ কোটি টাকা এবং সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অত্যধিক ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কারখানাগুলো চালানোর জন্য কোনো ব্যাংকই তাদেরকে নতুন ঋণ দিতে পারছে না।
আরও পড়ুন: সাভারে বেক্সিমকো শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ৩ গাড়িতে আগুন
৩১৫ দিন আগে
সাভারে বেক্সিমকো শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ৩ গাড়িতে আগুন
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে বেক্সিমকো গ্রুপের আন্দোলনরত শ্রমিকরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শ্রমিকদের এক সমাবেশে বুধবার বিকাল ৩টার মধ্যে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ব্যাংকিং সুবিধাসহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার আল্টিমেটাম দেওয়া দেন শ্রমিকনেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না পেয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগের চামড়ার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নেন তারা। একপর্যায়ে আশুলিয়ার মোজার মিল এলাকায় ২টি বাস ও ১টি ট্রাকে আগুন দেয় তারা। এ সময় একাধিক যানবাহনে ভাঙচুর ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিকী বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত আছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
৩১৬ দিন আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক আবারো অবরোধ করায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) শ্রমিকদের এই অবরোধের কারণে বিকল্প পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর এবং কালিয়াকৈর থেকে ধামরাই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সাথে চলাচল করছে দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহন।
শ্রমিক অসন্তোষকে ঘিরে নিরাপত্তাজনিত কারণে আশপাশের কয়েকটি কারখানা ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ৭ দিন চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধের পরে রবিবারে বেতন দেওয়া হবে, এমন আশ্বাসে শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার রাতে অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু গতকাল রবিবার বিকাল পর্যন্ত বকেয়া বেতন না পেয়ে শ্রমিকেরা আবারও অবরোধ-আন্দোলনে নামে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রাজিব হোসেন জানান, কিছু শ্রমিক বেতন পেলেও অনেকে এখনো তাদের বকেয়া বেতন পায়নি। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করেছে। দুপুরের পর বাকি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা রয়েছে। তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও শ্রমিকরা আরও জানায়, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার সারাবো এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলোতে কমপক্ষে ৪০ হাজার শ্রমিক কর্মরত। তাদের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বেতন পাননি।
তিনি জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে গত ১৪ নভেম্বর আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকের বেতনের টাকা পরিশোধের চূড়ান্ত আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। অনেকেই বেতনের টাকা পেয়ে ওই দিন রাতেই অবরোধ প্রত্যাহার করে। এতে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
শুক্র ও শনিবার ওই মহাসড়ক স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রবিবার সারাদিন অপেক্ষা করেও বাকি শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের টাকা না পেয়ে বিকালে ফের সড়ক অবরোধ করে। রাতের বিরতির পর সোমবার সকাল থেকে আবারও অবরোধ শুরু করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: ৯ বিনিয়োগকারীর ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি
৩৭৪ দিন আগে
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: ৯ বিনিয়োগকারীর ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার কারসাজির দায়ে ৯ বিনিয়োগকারীর ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু রবিবার
দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে এত বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
এর মধ্যে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালের ৪ কোটি ১ লাখ টাকা, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি টাকা, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি টাকা, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অ্যাপোলো ট্রেডিং ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি টাকা, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি টাকা এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে বেক্সিমকো
এছাড়াও কমিশন সভায় ৯টি কোম্পানির আইপিও/আরপিওর তহবিলের ব্যবহার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিং, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
৪২৯ দিন আগে
৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান। বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৯৩টি এলসি নিয়ে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ৪ মাসের মধ্যে দেশে রপ্তানিমূল্য আসতে হয়। তবে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্য বাংলাদেশে আসেনি, যা বিদেশে অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ দেয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ওই ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও এ এস এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের (এফজেডই) শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এবং সৌদি আরবের শাখায় রপ্তানি করা হয়েছে।
এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
সিআইডি জানায়, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের জন্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(শ) এর (১৪) ও (২৬) ধারায় অপরাধ করেছে অভিযুক্তরা। যা একই আইনের ৪(২)/৪(৪) ধারা অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ।
সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে- অনুসন্ধানে এ তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ ডিএমপির মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা করেছে।
এছাড়াও সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
৪৪৩ দিন আগে
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
৯৯৯ দিন আগে