স্পিকার
স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্পিকারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা, বঙ্গবন্ধুর চীন সফর, সংসদীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আবারও শীর্ষ করদাতা বিএটি বাংলাদেশ
স্পিকার বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন এবং সংসদীয় রীতিনীতি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে উল্লেখ করে স্পিকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে পৌঁছানোর পর সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সরকারি গেজেটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিবরণসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
ভোট দিলেন স্পিকার ড. শিরীন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন তিনি।
উল্লেখ্য, রংপুর-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকে জয় লাভ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি থেকে জয়ী হন প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এবারও তিনি নৌকার প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে দিন-রাত ছুটেছেন। গণসংযোগ আর পথসভায় পৌঁছে দিয়েছেন সরকারের চলমান উন্নয়নের বার্তা।
দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে: স্পিকার
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগে যেসব রোগের জন্য রোগীরা বিদেশে ছুটে যেতেন, বর্তমানে সেসব রোগের চিকিৎসা দেশেই দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে রোগীদের আর অর্থ ও সময় ব্যয় করে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হয় না।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিপিজেএ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
স্পিকার বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে; চিকিৎসকদের দক্ষতাই এর বড় উদাহরণ। ব্যয়বহুল অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেশে স্বল্পমূল্যে করা হচ্ছে। বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসাসহ শত-শত জটিল অপারেশন দেশেই করা হচ্ছে। এমনকি কিডনি, লিভার, বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট, হৃদরোগের বাইপাস ও নিউরোসার্জারিসহ অনেক চিকিৎসা এখন দেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় এবং অনেক স্বল্প মূল্য পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সারাদেশে ছয় শতাধিক হাসপাতাল নির্মাণ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ও নিউরো সায়েন্সসহ বিশেষায়িত অসংখ্য হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। যেখানে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।
জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, ২০০৯ সালে দেশে মাত্র ৫০টি মেডিকেল কলেজ ছিল, যা বর্তমানে ১১৫টি। শিক্ষার্থীদের জন্য এমবিবিএস আসন ছিল ২ হাজার ৫০টি, যা বর্তমানে ১০ হাজার ৭৮৯টিতে উন্নীত হয়েছে। সরকারি- বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ১৩টি থেকে ৩৭টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিরীন শারমিন আরও বলেন, পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ২০ হাজার চিকিৎসক ও ৪০ হাজার নার্স-মিডওয়াইফ নিয়োগ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব এবং অ্যালানাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জাকিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে সম্মেলন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান।
স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বর্তমান উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে: স্পিকার
স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ন: এফওসি: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা
রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্পিকার এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার মটসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে, তাদের শতকরা ৯৫ ভাগই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
আরও পড়ন: ডিসেম্বরে অবরোধের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর।
বুধবার সংসদ ভবনের তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ৫০ বছর পূর্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের সরকার কাজ করে চলেছে।
স্পিকার বলেন, মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের পর্যটন খাতও অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সরাসরি বিমান যোগাযোগ এই দুই দেশের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময় তিনি মালদ্বীপের পর্যটন খাতের প্রশংসা করেন।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর বলেন, মালদ্বীপে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।
এসময় তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় স্পিকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এসময় মালদ্বীপ হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাইশান আহমেদ এবং থার্ড সেক্রেটারি নাসির মারিয়ামসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বিপিজেএ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিপিজেএ-এর সঙ্গে জাতীয় সংসদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। সংসদ বিষয়ক সাংবাদিকতা বিশেষ ধরনের, যা সাংবাদিকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে আসছেন। বিপিজেএ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এল.ডি হলে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) উদ্যোগে ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’- শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এসময় স্পিকার গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পার্লামেন্ট জার্নালের এই প্রকাশনাটি একটি গঠনমূলক প্রকাশনা।
তিনি আরও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট থেকে বিষয়ভিত্তিক লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই জার্নালে আইন প্রণয়ন পদ্ধতি থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই জার্নাল রিসার্চ এবং সংসদ বিষয়ক রেফারেন্সের একটি ভালো উৎস হতে পারে।
স্পিকার আরও বলেন, বিপিজেএর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা প্রকাশ করতে পারে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, বিষয় ভিত্তিক ডেমোক্রেসি, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশনা বের করতে পারে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এগিয়ে চলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র এগিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে সাংবাদিকেরা সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সংবিধান একটি লিভিং ডকুমেন্ট। এদেশের সংবিধানকে কোন বহিঃদেশ থেকে আমদানি করা হয় নাই।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই সংবিধান প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
তিনি এসময় ১৯৭২ এ গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানান।
বিপিজেএ’র সভাপতি হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি মশিউর রহমানের সঞ্চলনায় সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা, পার্লামেন্ট জার্নালের সম্পাদক কামরান রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাহেদ চৌধুরী, মুফতি আহমেদ, হারুন জামিল, সজল জাহিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব নাজমুল হক, যুগ্মসচিব তারিক মাহমুদ ও উপসচিব আজিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
বিপিজেএ’র অর্থ সম্পাদক শরীফ খিয়াম, দপ্তর সম্পাদক জেসমিন মলি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসাইন শেখ ও মিজান রহমান, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশে বিপুল সংখ্যক তরুণের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।
তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা আনয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ আয়োজিত ১৪তম সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক সামিটে ‘রিফ্রেমিং সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক কো-অপারেশন ইন দ্য নিউ কনটেক্সট ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল ডাইমেনশন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ৯৮ শতাংশ এ উন্নীত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি সূচকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, আইসিটি ট্রেনিং ও ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে তথ্য প্রযুক্তির স্মার্ট হাব হিসেবে গঠন করতে হবে।
স্পিকার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এর পাশাপাশি স্মার্ট উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় স্পিকার আরও বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।
এসময় স্পিকার জাতিসংঘের ৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম: স্পিকার
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত নবম জি-টুয়েন্টি পার্লামেন্টারি স্পিকারস সামিটে (পি-টুয়েন্টি) ‘মেইনস্ট্রিমিং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি ফ্রম উইমেন্স ডেভলপমেন্ট টু উইমেন লেড ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের নারীদের অবদান অর্ধেক। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ঘর-গৃহস্থালির কাজে নারীরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তাদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী নেতৃত্বকে সবার স্বাগত জানাতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা জরুরি। অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রযাত্রার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব। এ ছাড়া মেয়েদের যথাযথ শিক্ষা অর্জন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের অর্থনীতির মূল ধারায় সম্পূর্ণরূপে সম্পৃক্ত করতে পারলে টেকসই অর্থনীতি অর্জন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, নারীরা দেশের সম্পদ। নারী বৈষম্য দূরীকরণ, নারী প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি বিষয়গুলোতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। নারীদের অর্থনৈতিক ভূমিকা শক্তিশালী হলে দেশের অর্থনীতি অধিকতর স্থিতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার ঘোষণা স্পিকারের