চলাচল
বাঁশের সরু সাঁকোই আট গ্রামের মানুষের ভরসা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আটটি গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে একটি সরু বাঁশের সাঁকো।
উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নীলকমল নদীর ওপর নির্মিত এই সাঁকো ব্যবহার করছেন বালাটারী, চন্দ্রখানা, জেলেপাড়া, কুমারপাড়া, বামনটারী, আবাসন, বৈরাগিপাড়া ও দাশিয়ারছড়ার মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে তারা প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন। আগে এখানে একটি কাঠের সেতু ছিল, কিন্তু সেটি ভেঙে যাওয়ার পর এ দুর্ভোগ শুরু হয়। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন এসে আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো থেকে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণও হারিয়েছেন। তারপরও নিরুপায় গ্রামবাসী প্রতিদিন সাঁকোটি ব্যবহার করছেন। তবে ভারী মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য তাদের নৌকার ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চট্টগ্রামের মেগা সড়ক প্রকল্পে বিলম্ব
৬০ বছর বয়সী কৃষক এহসান আলী জানান, এক বছর আগে তার ছেলে আতিকুর রহমান (৩৬) সাঁকো থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন এবং এক মাস চিকিৎসার পর মারা যান।
কান্নাজড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও দুইবার এই সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছি। প্রতিবার শুধু প্রতিশ্রুতি পাই, সেতু পাই না। কবে নীলকমলের ওপর একটি সেতু হবে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।’
৮৯ দিন আগে
মোংলা-চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল
রপ্তানি খরচ কমাতে দেশে প্রথমবারের মতো অভ্যন্তরীণ রুটে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল।
চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি নাগাদ চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মধ্যে এই রুটটি চালু হওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রামের শিপ এজেন্ট ‘সি গ্লোরি’। বৃহত্তম খুলনাঞ্চলের পণ্য আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় এই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মোংলা বন্দরে কনটেইনার পণ্য আমদানি কম হয়। যেকারণ এখানে খালি কনটেইনার পাওয়া যায় না। আবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালি কনটেইনার আনতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া মাশুল দিতে হয়। ফলে এখানে কনটেইনারের ভাড়া বেশি পড়ে। একারণে চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চালু হলে সময় ও রপ্তানি ব্যয় কমে আসবে।’
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
মোংলা সমুদ্রবন্দরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। নানা সংকটে থাকার পরেও এটি এখনও একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক কর্মতৎপরতায় এই বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন হয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বাড়ায় শ্রমিকদেরও কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। একই সঙ্গে আয়ও বেড়েছে মোংলা বন্দরের।
তবে নাব্য সংকট ও ব্যবসায়ী সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারছে না বন্দরটি। এছাড়া বাড়তি ব্যয়সহ নানা কারণে এই বন্দরে কনটেইনার জাহাজ যাতায়াত করে মাসে একটির কম। অথচ এই অঞ্চলের মাছ, হিমায়িত পণ্য ও পাটসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
এই সম্ভাবনাকে ভিন্ন আঙ্গিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সি গ্লোরি। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে ছোট জাহাজে কনটেইনার পরিবহন করতে চায়। চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ভর্তি করে আবার চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশি পাঠানোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এই উদ্যোগে।
সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে একবার জাহাজ পরিচালনা করে সুফলও মিলেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ীরা।
সি গ্লোরির ব্যবস্থাপক মাইনুল হোসাইন বলেন, ‘পানগাঁওয়ের মতো চট্টগ্রাম থেকে মোংলা বন্দরে যদি খালি কনটেইনার নিয়ে যাওয়া হয়, তখন প্রসেসগুলো সহজ হবে এবং এতে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব। সম্প্রতি পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচলে সুফলও মিলেছে।’
তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১০০টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরে পরীক্ষামূলক অভ্যন্তরীণ রুট পরিবহন চালানো হয়েছে। এটি সফল হওয়ায় এখন তারা চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে নিয়মিত আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর রুটে কনটেইনার পরিবহন শুরু করবে। এসব কনটেইনারে মাছ, হিমায়িত পণ্যসহ পাট ভর্তি করে চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর একসঙ্গে ভিড়েছে চার বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ
মোংলা থেকে নিয়মিত সরাসরি ট্রানশিপমেন্ট কনটেইনার যাতায়াতে ব্যয় কম। তবে তা না হওয়ায় ব্যয় এবং সময় দুটোই বাড়ে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম হয়ে জাহাজে কনটেইনার আনা-নেওয়ায় যে ব্যয় এবং সময় লাগবে তা অনেকটা কম।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ড্রাফ লিমিটেশনের (জাহাজ চলাচলের জন্য নির্ধারিত পানির গভীরতা) জন্য মোংলা বন্দরে সেভাবে জাহাজ যেতে পারে না, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সেগুলো রপ্তানি হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে কনটেইনারের কোনোরকম ঘাটতি থাকে না, শিপিং এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সেসব পণ্য বিদেশে যেতে পারে।
২৩১ দিন আগে
সংস্কার শেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো কালুরঘাট সেতু
সংস্কার শেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সেতুর দুই পার দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। সেতু দিয়ে ৮ ফুট উচ্চতার বেশি যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
শুরুতে এই সেতু দিয়ে টোল ছাড়াই যানবাহন চলাচল করলেও পরে টোল যুক্ত করা হবে। এছাড়া, ভারী যানবাহন চলাচল রোধে সেতুর প্রবেশমুখে উচ্চতা প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সেতুতে যান চলাচলের পাশপাশি পথচারীদের জন্য নতুন করে ওয়াকওয়ে যুক্ত করা হয়েছে। তবে এর ফলে যান চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়কের কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে
জানা গেছে, ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা ফ্রন্টের সৈন্য পরিচালনার জন্য ১৯৩০ সালে কর্ণফুলী নদীতে একটি আপদকালীন সেতু নির্মাণ করা হয়। ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে ৭০০ গজের সেতুটি তৈরি করে। দৈর্ঘ্য ২৩৯ মিটার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মোটরযান চলাচলের জন্য সেতুতে ডেক বসানো হয়। ১৯৫৮ সালে এই এক লেনের সেতুটিই সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনের ৩১ বছর পর ১৯৬২ সালে জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সেতুটিতে পাটাতন স্থাপন ও কার্পেটিং করে এটিকে রেলসেতুর পাশাপাশি একটি সড়ক সেতুতে রূপান্তর করা হয়। ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত সরকার প্রস্তাবিত চীন, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং কর্ণফুলী নদীর ওপর পুরানো কালুরঘাট রেল সেতু ভেঙে নতুন করে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেতুটি গেল সরকারের মেগা প্রকল্প দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইনের অন্তর্ভুক্ত।
এরপর প্রকল্প অনুসারে ২০২০ সালের শুরুতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থ ছাড়ে জটিলতা, বৃষ্টিসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেতুর সংস্কারকাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি। অবশেষে কারিগরি সব দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রবিবার সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কালুরঘাট রেল সেতু সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেল সচিব আবদুল বাকী। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সংস্কার শেষ হলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। রবিবারে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩ মাস পর ভেসে উঠল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
৪০৩ দিন আগে
আগামীকাল থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল
আগামীকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার) মেট্রোরেল চলাচল করবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রো রেল স্টেশনও আগামীকাল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় চালু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল বন্ধ
ডিএমটিসিএলের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশনটি আগামীকাল থেকে সচল হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনটি যত দ্রুত সম্ভব চালুর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন মেরামত করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে সপ্তাহে সাত দিনই মেট্রো রেল চালু হবে। শুক্রবার প্রথমে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল রুটে এবং বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল-উত্তরা উত্তর রুটে ১২ মিনিট হেডওয়ে (দুটি ট্রেনের মধ্যে সময়) চলাচল করবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধের কারণ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিজয় সরণি ও ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি ঘাট ও তার উপরের ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী বিয়ারিং প্যাড উপড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে কারিগরি ত্রুটি ঠিক করে রাত ৮টা ২৫ মিনিট থেকে আবার তা শুরু হয়।
কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৭ সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মেট্রোরেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করছে। চলতি মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ দিনে ডিএমটিসিএল প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় করেছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
৪৪১ দিন আগে
শনিবার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে না: ডিএমটিসিএল
কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ।
তবে কবে নাগাদ মেট্রোরেলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে তার কোনো নতুন তারিখও উল্লেখ করা হয়নি।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর-১০ মোড় ও কাজীপাড়া স্টেশন দুটিতে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৪৭৬ দিন আগে
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-জনতাকে ধৈর্য ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান আসিফ নজরুলের
এরপর বিকাল পৌনে ৫টা থেকে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৫টা থেকে ৬ ঘণ্টার জন্য বিমানের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।’
এর আগে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভারতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ ঘোষণা
৪৮৬ দিন আগে
বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিমান চলাচল বিষয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত মঙ্গলবার (৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশ সরকার ও সু্ইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে।
এই চুক্তি সইয়ের ফলে ইউরোপের আরও একটি নতুন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হলো।
চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে সাতটি যাত্রী ও সাতটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এছাড়া চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোনো দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সে সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ এস বাংলা এয়ার ও নভেএয়ার কে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবা প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অব সিভিল এভিয়েশনের (এফওসিএ) ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার এ চুক্তিতে সই করেন।
এছাড়া, ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো।
এ ধরনের চুক্তি ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি নামে বহুল পরিচিত।
চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।
ইইউ ও বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডারেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডাইরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
চুক্তি দুটি সইয়ের জন্য বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২ জুন সুইজারল্যান্ড ও ৬ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠান দুটিতে সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ মিশনের ডিপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যান্ড চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিস সঞ্চিতা হক ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানা, সিএএবির স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানী এবং জেনেভা ও ব্রাসেলস এ অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৫৩৮ দিন আগে
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন চলতে না পারে: সড়ক পরিবহনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শুধু ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
এ সময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও জানান, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে অভিযানে নামে পুলিশ।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চালকরা।
এ সময় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন চালকরা।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো চালকদের বিক্ষোভ
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
৫৬৩ দিন আগে
২৭ মার্চ থেকে বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়
আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) এম. এ. এন সিদ্দিক আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংএ বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৭ মার্চ থেকে মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার।
এখন মেট্রোরেল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ১ হাজার টাকায় ভাড়া, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
৬১৯ দিন আগে
‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬-৭ জানুয়ারি ৩২টি ট্রেন চলাচল স্থগিত’
রেলপথের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় ৬ ও ৭ জানুয়ারি ৩২টি ট্রেনের চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ৩২টি ট্রেনের এমনিতেই মুভমেন্ট কম। রেলপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু
শনিবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে আগের দিন পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসের বগি দেখতে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, দিনের বেলায় মুভমেন্ট কম থাকে এমন পূর্বাঞ্চলের ২০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেন এই দুই দিন চালাচ্ছি না। আপাতত এগুলো ছাড়া বাকি সব ট্রেন চলাচল করবে।
৩২টি ট্রেন কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীর মুভমেন্ট কম থাকার কারণে এই ট্রেনগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এসব ট্রেনে আমাদের যেসব কর্মচারী আছে তারা অন্য ট্রেনগুলোতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের লোকোমোটিভগুলো দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা দেখব। পুরো কাজটাই করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য।
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমাদের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও দেখছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা নাশকতামূলক কার্যক্রম। এটা এখন ফাইনাল বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনের দুটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে এবং পাওয়ার কার আংশিক পুড়ে গেছে। এটি পরিষ্কার করার পর বুঝতে পারব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে নাশকতা ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন স্টেশন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ট্রেনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা চালু করেছি, পর্যায়ক্রমে সবকটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
৬৯৮ দিন আগে