চলাচল
২৭ মার্চ থেকে বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়
আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) এম. এ. এন সিদ্দিক আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংএ বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৭ মার্চ থেকে মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার।
এখন মেট্রোরেল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ১ হাজার টাকায় ভাড়া, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬-৭ জানুয়ারি ৩২টি ট্রেন চলাচল স্থগিত’
রেলপথের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় ৬ ও ৭ জানুয়ারি ৩২টি ট্রেনের চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ৩২টি ট্রেনের এমনিতেই মুভমেন্ট কম। রেলপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু
শনিবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে আগের দিন পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসের বগি দেখতে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, দিনের বেলায় মুভমেন্ট কম থাকে এমন পূর্বাঞ্চলের ২০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেন এই দুই দিন চালাচ্ছি না। আপাতত এগুলো ছাড়া বাকি সব ট্রেন চলাচল করবে।
৩২টি ট্রেন কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীর মুভমেন্ট কম থাকার কারণে এই ট্রেনগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এসব ট্রেনে আমাদের যেসব কর্মচারী আছে তারা অন্য ট্রেনগুলোতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের লোকোমোটিভগুলো দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা দেখব। পুরো কাজটাই করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য।
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমাদের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও দেখছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা নাশকতামূলক কার্যক্রম। এটা এখন ফাইনাল বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনের দুটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে এবং পাওয়ার কার আংশিক পুড়ে গেছে। এটি পরিষ্কার করার পর বুঝতে পারব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে নাশকতা ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন স্টেশন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ট্রেনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা চালু করেছি, পর্যায়ক্রমে সবকটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশার কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
এই সময়ে বিমানবন্দরে আসা ৬টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে রাত ১২টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেনি। ৯টায় যথারীতি ফ্লাইট অবতরণ শুরু হয়। ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত থাকা অবস্থায় ৬টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
কামরুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার পর চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ডাইভার্ট ফ্লাইটগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: মার্চ থেকে ঢাকা-রোম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে বিমান
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক-সাংবাদিকদের জন্য ঢাকা বিমানবন্দরে প্রস্তুত অভ্যর্থনা লাউঞ্জ
রংপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক
রংপুরের কাউনিয়ায় ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে।
এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
পরে ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাউনিয়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী কমিউটার ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে কাউনিয়া স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিনের চাকা লাইন থেকে পড়ে যায়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটের রেললাইনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই দুই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
তিনি বলেন, পরে লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা আছে ফেরি বনলতা। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৭টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
পদ্মার উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে ফেরির সার্চ লাইটেও নৌপথ দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় মাঝ নদীতে বনলতা নামে একটি ছোট ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
ঘন কুয়াশা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আপ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে ডাউন লাইন ব্যবহার করে আপ লাইন ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল স্বভাবিক রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন আউটার এলাকায় লাইনচ্যুতির এ ঘটনা ঘটে।
লাইনচ্যুতির কারণে আপ লাইনে (ঢাকা অভিমুখে) ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় বগি লাইনচ্যুত
স্টেশন মাস্টার মো. জসীম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ৬০৭ নম্বর কন্টেইনার ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে ৩ নম্বর লাইনে পেছন দিকের একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও জানান, লাইনচ্যুতির কারণে রেললাইনের পাত বাঁকা হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বগি উদ্ধারে রিলিফ ট্রেন আসার জন্য আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে খবর দেওয়া হয়েছে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হলেও ডাউন লাইন দিয়ে আপ লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আপ লাইনের ট্রেনগুলোকে পাঘাচং থেকে তাল শহর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার ডাউন লাইন ব্যাবহার করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বন্ধ
৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী বিএনপির ৩ দিনের অবরোধকে সামনে রেখে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সোমবার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার দুপুরে ঢাকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অবরোধ অমান্য করে যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ১৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন নাঈম নামে অসিম পরিবহনের এক কর্মী।
এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিনসহ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তাতে দেশের জিডিপিতে বছরে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে টানেলটি।
আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেলটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারা প্রান্তে ইপিজেড মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।পরদিন ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউএনবিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নির্মাণকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ বা ‘এক নগর দুই শহর’-এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
সেতুমন্ত্রী বলেন, দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে এ পথে। নদীর মধ্য ভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ সড়কটি অবস্থান করবে মাটি থেকে ১৫০ ফুট গভীরে। এর নির্মাণকাজ শেষ করে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। এই সুড়ঙ্গ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে আগলে রেখেছে যে কর্ণফুলী, তার বুক চিরে তৈরি হয়েছে ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ। দেশের এ প্রবেশদ্বারে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আলাদা শক্তি জোগাবে এই টানেল। বাণিজ্যিক এই রাজধানীতে আরও স্থাপন হবে নতুন নতুন শিল্প ও কলকারখানা, পরিধি বাড়বে আমদানি-রপ্তানির, গতি পাবে অর্থনীতি। সমৃদ্ধির অধিগম্যতায় প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম।
কাদের বলেন, টানেলটি চালুর পর চট্টগ্রাম মূল শহরের সঙ্গে সাগর ও বিমানবন্দরেরও দূরত্ব কমে আসবে। অর্থনীতির গতিপথ আরও গতিশীল করতে এই টানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এই উপজেলায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আমানত শাহ সেতু হয়ে যেতে অনেক সময় লাগত। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হয়ে যেতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের সে পথ তিন মিনিটেই যাওয়া যাবে। এতে বাঁচবে খরচ ও সময়।
২৯ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত
২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এটা কোনো সাধারণ ব্রিজ বা কালভার্ট নয়, এটা টানেল। থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেল কোনোভাবেই টানেলে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে। সেখান থেকে সবকিছু মনিটর হবে। এফ এম রেডিওতে যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় বা তথ্য জানানো হয়, এখানেও সার্বক্ষণিকভাবে সেটা থাকবে। বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট্রি দেওয়া হবে।’ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত টোল হার ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল টোল
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য গত আগস্টে টোল হার চূড়ান্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হলে ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), জিপ ও পিকআপকে দিতে হবে ২০০ টাকা করে। আর মাইক্রোবাসের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
টানেলে দিয়ে যেতে হলে ৫ টন পর্যন্ত ট্রাককে ৪০০ টাকা, ৫ দশমিক ১ টন থেকে ৮ টনের ট্রাককে ৫০০, ৮ দশমিক ১ টন থেকে ১১ টনের ট্রাককে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলবিশিষ্ট ট্রাক-ট্রেইলরের টোল চূড়ান্ত করা হয়েছে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রাক-ট্রেইলরকে দিতে হবে ১০০০ টাকা। এর বেশি ওজনের ট্রাক-ট্রেইলরকে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: এক মাসে ১০ লাখ যান চলাচল, প্রত্যাশার চেয়ে ৫০% বেশি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ও টোল আদায় সব প্রত্যাশা ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি যানবাহন এটি ব্যবহার করছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৬২৭টি যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) যা ক্যাটাগরি-১ এর অন্তর্ভুক্ত। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে এসব যানবাহনকে ৮০ টাকা টোল দিতে হয়। প্রথম মাসে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোর মধ্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২৫০টি এই ক্যাটাগরির ছিল, যা মোট যানবাহনের ৯৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্যাটাগরি-২ এর অন্তর্ভুক্ত মাঝারি ধরনের যানবাহনের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০ টাকা। এই ক্যাটাগরির ১ হাজার ৪৬৮টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করেছে।
ছয়টির বেশি চাকার ট্রাককে ক্যাটাগরি-৩ হিসেবে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর টোল ৪০০ টাকা। প্রথম মাসে এক্সপ্রেসওয়েতে এই ক্যাটাগরির গাড়ি চলেছে মাত্র ৪৯টি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
এ ছাড়া ক্যাটাগরি-৪-এ সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) রয়েছে। এই ক্যাটাগরির মোট ৬ হাজার ৮৬০টি গাড়ি ১৬০ টাকা করে টোল দিয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এই সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা মোট যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল এই ক্যাটাগরির যান।
আখতার বলেন, ‘আমরা খুশি কারণ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি যানবাহন ব্যবহার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর তার বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরের দিন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য রুট খুলে দেওয়া হয়। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে।
আখতার আরও বলেন, ‘যদিও আমরা আশা করেছিলাম যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে। এখন সেই সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি হয়েছে। এটি প্রত্যাশার চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত নগরীর বাসিন্দারা রাস্তায় যানবাহন চালিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ‘এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণরূপে চালু হলে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে আমরা উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলবে।
তবে যাত্রী সংকটের ভয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিবহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না। এমনকি মহাখালীর আন্তঃজেলা বাসগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না। কারণ, বাস স্টেশনগুলোর কাছাকাছি র্যাম্পগুলো এখনও চালু হয়নি। ফলে নগরীর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমছে না।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মহাখালী র্যাম্পের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য র্যাম্পের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, একবার সেগুলো সম্পন্ন হলে, এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানের চেয়ে যান চলাচল আরও বাড়বে, এক্সপ্রেসওয়ের নিচে রাস্তায় পরিবহনের চাপ কমবে।
বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ার পরও রাস্তায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের সমস্যা দৃশ্যমানভাবে কমেনি। তিনি বলেন, কমার কোনো সুযোগও নেই।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রথম তিন সপ্তাহে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
এক্সপ্রেসওয়ের ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোর নিকটবর্তী রাস্তাগুলো ব্যস্ততম সময়ে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনের বিকল্পগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে প্রকল্পের প্রকৃত প্রভাব অর্থাৎ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব নির্ধারণ করা যেতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান ইউএনবিকে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে কারণ বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে।
যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, যদিও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার লাভ রোডের মতো র্যাম্পের কিছু এক্সিট পয়েন্টে প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। তবে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: জধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডারের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
২ ঘণ্টা পর আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু
বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটির কারণে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ৩১ মে থেকে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে ঢাকা মেট্রোরেল
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমডিসিএল) ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আহসান ভুইয়া ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শেওড়াপাড়ায় মেট্রোরেল লাইনের বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক লাইনে বিকল হয়ে এ সমস্যা হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। শেওড়াপাড়ায় মেট্রোরেলের লাইনে বিদ্যুতের সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক লাইন ফেইল করায় এই সমস্যা হয়েছিল।
তবে দুপুর ১২টার পর আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
অক্টোবরে ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের