বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
উড়োজাহাজ কেনার আগে ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, দক্ষ জনবল গড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ও শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনায় যাত্রীসেবা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন উড়োজাহাজ কেনা বা ইজারা নেওয়ার আগে বিমানের ব্যবস্থাপনা সংস্কার, দক্ষ পাইলট-ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করা জরুরি। তারা মনে করেন, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিমান চালালে আরও সংকটে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাডহক বেসিস কিংবা আমলাতন্ত্রের অদক্ষ লোক দিয়ে বিমানের কার্যক্রম পরিচালনা করলে হবে না। স্থায়ী, দক্ষ ও কমার্শিয়াল লোকজন দিয়ে তা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারক্রাফট কেনার ক্ষেত্রে ছোট এয়ারক্রাফট বা রিজনাল এয়ারক্রাফট ক্রয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ রিজনাল এয়ারক্রাফটে মেইনটেন্স খরচ কম।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটছে। কোনো উড়োজাহাজ মেরামতের পর উড্ডয়ন করছে, কোনোটা গ্রাউন্ডেড করা হচ্ছে। নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। এর খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী ও বিমান কর্তৃপক্ষকে।
গত এক মাসে দেশি-বিদেশি রুটে অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। যদিও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে, তবে এসব ঘটনায় যাত্রীসেবা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান সুত্রে জানা যায়, যাত্রী ভোগান্তি কমাতে দুটি উড়োজাহাজ লিজ (ইজারা) নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাগাতার কারিগরি ত্রুটি নিয়ন্ত্রণে বিমানের একাধিক পদক্ষেপ
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ হিসেবে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিমান ক্রয়ের বিষয়টি সরকার ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র থেকে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত জানালেও বিমান বাংলাদেশ এখনো কোনো চুক্তি করেনি বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় ও লিজ নেওয়ার আগে ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে হবে। বিমানের ব্যব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল করতে হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এয়ারক্রাফট সংকট আছে। অনেক এয়ারক্রাফট লাগবে, এটা ঠিক। তবে বিমানে পরিচালনা-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাও লাগবে। আগে প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হবে, তারপর এয়ারক্রাফট কিনতে হবে।’
এই এভিয়েশন বিশ্লেষক বলেন, ‘আমাদের দক্ষ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করতে হবে। দেশের বাইরে থেকে পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু আনতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। বিদেশ থেকে নিয়োগ দিলে তাদের বেতন দিতে হবে প্রায় ১০ হাজার ডলার। তাই দেশেই দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে আগে।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাডহক বেসিস বা ব্যুরোক্রেসির অদক্ষ ম্যানেজমেন্ট দিয়ে বিমান চালালে হবে না। স্থায়ী দক্ষ ও কমার্শিয়াল লোকজন দিয়ে বিমান চালাতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানে রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা
‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এয়ার ক্রাফট ক্রয় করার ক্ষেত্রে ছোট এয়ারক্রাফট বা রিজনাল এয়ারক্রাফট ক্রয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের লং রুট কম, শর্ট রুট বেশি। তাছাড়া ছোট বা রিজনাল এয়ারক্রাফটে মেইনটেন্স খরচও কম, বড় এয়ারক্রাফটে যা অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য কী ধরনের বিমান দরকার, সেটি আগে স্টাডি করে তারপর বিমান কিনতে যাওয়া উচিৎ। মনে রাখতে হবে, আমাদের লং রুট মাত্র ৪/৫টি দেশের সঙ্গে। শর্ট রুটই বেশি আমাদের। ১২টি ছোট এয়ারক্রাফট কিনলে ৮টি বড় এয়ারক্রাফট কেনা যেতে পারে। ছোটর মধ্যে ৭৩৭, আর বড় কিনলে ৭৭৭/৭৮৭ এয়াক্রাফট।’
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বহরের বেশিরভাগ উড়োজাহাজ অনেক পুরনো হওয়ায় সমস্যা নিয়মিত দেখা দিচ্ছে। আরও তদারকি বাড়াতে হবে। তবে এসব ত্রুটি প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
‘যেহেতু উড়োজাহাজগুলো পুরনো, তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার ও পাইলট নিয়োগে স্বজনপ্রীতি করা যারে না। যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে।’
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে রয়েছে ১৯টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ১৪টি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এবং ৫টি কানাডার ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের। বোয়িংয়ের উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
১০৫ দিন আগে
বিমানের ফ্লাইটে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটছে। কোনো উড়োজাহাজ মেরামতের পর উড্ডয়ন করছে, আবার কোনোটা গ্রাউন্ডেড করা হচ্ছে। নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। এর খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী ও বিমান কর্তৃপক্ষকে।
গত এক মাসে দেশি-বিদেশি রুটে অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। যদিও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে, তবে এসব ঘটনায় যাত্রীসেবা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমানের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ দিনে আবুধাবি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরসহ একাধিক রুটে মাঝ আকাশে বা উড্ডয়নের আগে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও টয়লেট বিকল, কোথাও ইঞ্জিন ত্রুটি, আবার কোথাও রানওয়েতে আটকে পড়েছে উড়োজাহাজ। এতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, সংযোগ ফ্লাইট মিস এবং গন্তব্যে যেতে না পারার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পাঁচ খাতে সেরা বিমান বাংলাদেশ
রোববার (১০ আগস্ট) রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ডানার ফ্ল্যাপ ত্রুটির কারণে ‘গ্রাউন্ডেড’ হয়। লন্ডন থেকে যন্ত্রাংশ এনে মেরামতের আগে ২৬২ যাত্রীকে হোটেলে রাখা হয়। পরদিন সোমবার (১১ আগস্ট) ড্যাশ-৮ মডেলের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে।
আগস্টের শুরুর দিকেও তিনটি উড়োজাহাজে ত্রুটি দেখা দেয়। এরমধ্যে ৬ আগস্ট ব্যাংককগামী বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিন কম্পনের কারণে ফিরে আসে, ৭ আগস্ট আবুধাবিগামী বোয়িং টয়লেট বিকল হয়ে ঢাকায় ফেরে এবং ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পথে বোয়িংয়ে সমস্যা হয়।
গতকাল ১২ আগস্ট ঢাকা থেকে কুয়েত ও দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটই পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে। উড়োজাহাজ সংকটে উভয় ফ্লাইটই বাতিল হয়েছে । এর মধ্যে ঢাকা-কুয়েত রুটের বিজি ৩৪৩ ফ্লাইটটি ছিল বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটে । আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটটি ছিল বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর ইউএনবিকে জানান, গতকাল ১২ আগস্ট বাতিল হওয়া কুয়েত ও দুবাইয়ের ফ্লাইটটি আগামীকাল যাবে । ঢাকা-কুয়েত রুটের বিজি ৩৪৩ ফ্লাইটটি আগামীকাল (১৩ আগস্ট )সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় যাবে। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটটি আগামীকাল (১৩ আগস্ট) একই সময়ে বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে। নতুন সময়সূচি যাত্রীদের জানানো হচ্ছে ।
কেন ২ টি ফ্লাইট বাতিল করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, উড়োজাহাজ সংকট। কারণ রোমে যে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড আছে সেটি উড্ডয়ন উপযোগী করতে ১২ আগস্ট বিমানের নিজস্ব ৫ জন প্রকৌশলী গেছেন । আশা করা যাচ্ছে, ঐদিন সন্ধ্যা নাগাদ উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন উপযোগী হবে।
বিমানের ফ্লাইটে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং ত্রুটি সম্পূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উড়োজাহাজ আকাশে ওঠে না।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ঘটনা আকস্মিক নয়; বরং না হওয়ায় ছোট ত্রুটি বড় ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক যাত্রার এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও আরেক এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটনা ঘটছে এটি সত্যি। বহরের বেশির ভাগ উড়োজাহাজ অনেক পুরনো হওয়ায় সমস্যা নিয়মিত দেখা দিচ্ছে। এসব ত্রুটি বিমান শনাক্ত করে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আরও তদারকি বাড়াতে হবে। তবে এসব ত্রুটি প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু উড়োজাহাজ গুলো পুরনো, তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করতে হবে। ইন্জিনিয়ার ও পাইলট নিয়োগে সজনপ্রীতি করা যারে না। যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে।
জুলাইয়েও কয়েকটি বড় ধরনের ত্রুটি ধরা পড়ে, যার মধ্যে দুবাই ও শারজায় ড্রিমলাইনার ও বোয়িং উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড হওয়ার ঘটনা রয়েছে।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে রয়েছে ১৯টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ১৪টি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এবং ৫টি কানাডার ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের। বোয়িংয়ের উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে: ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০,৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার,২টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
বিমান সুত্রে জানা যায়, যাত্রী ভোগান্তি কমাতে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে, পাশাপাশি নতুন ক্রয় পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
১১৩ দিন আগে
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ৭৭৭–৩০০ইআর বিমানের ক্যাপ্টেন শারহান
বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বয়সে বোয়িং ৭৭৭–৩০০ইআর উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন শারহান আলী। মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই তিনি জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই প্রশিক্ষিত ও মর্যাদাপূর্ণ পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (২৬ মে) জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ.বি.এম রওশন কবীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানান।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, শারহান আলী বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে তৃতীয় প্রজন্মের একজন পাইলট। তার দাদা ক্যাপ্টেন সিকান্দার আলী ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পাইলট এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। পিতা ক্যাপ্টেন শোয়েব আলী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চার দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই পারিবারিক ঐতিহ্যেই নিজেকে যুক্ত করলেন ক্যাপ্টেন শারহান।
১৯৮৬ সালের ২৯ জুলাই জন্ম নেওয়া শারহান আলীর পাইলট হওয়ার যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব থেকে। তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (ক্যাব) অধীনে বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) এবং এয়ারলাইন পরিবহন পাইলট লাইসেন্স (এটিপিএল) অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের জমিসহ ফ্ল্যাট জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
২০০৮ সালে তিনি একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০১০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে যোগ দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে।
এরপর তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। ৩৪ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পান এবং ৩৮ বছর বয়সে বোয়িং ৭৭৭–৩০০ইআর-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এ পর্যন্ত শারহানের ঝুলিতে রয়েছে ৯ হাজার ৩০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইট অভিজ্ঞতা।
তিনি ড্যাশ-৮, ফকার-২৮, এয়ারবাস-৩১০, বোয়িং ৭৩৭ ও ৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজ পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা, টানা ১২ ঘণ্টার ফেরি ফ্লাইট এবং ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ও ‘রেমাল’-এর সময় সাহসিকতার সঙ্গে উড়োজাহাজ পরিচালনা।
বিমানের এক মুখপাত্র বলেন, ‘শারহান আলীর অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি জাতীয়ভাবে গর্বের। তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।’
এভিয়েশন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শারহানের এই অর্জন প্রমাণ করে দিয়েছে—আকাশ আর সীমা নয়, বরং নতুন যাত্রার শুরু।
১৯৩ দিন আগে
‘বিমানের আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায় নেমেছে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান।
টিকেটিং নিয়ে কারসাজিতে অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য পেলেই তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যের প্লেনের টিকিট ব্লকিং ও কৃত্রিম মজুতের বিষয়ে সাফিকুর রহমান বলেন, বিমানের বর্তমানে আগাম সিট বুকিং বা টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়। বিষয়টি আমি নিজে মনিটরিং করি। এটা নিয়ে আগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের টিকেটিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে তা আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।
বিমানের এমডি বলেন, ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের শরীরে বডিওর্ন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশে সময় তারা ক্যামেরা লাগান। ডিউটি শেষে ফেরার সময় আবার ক্যামেরা ফেরত দেন।
আরও পড়ুন: বিমানের এমডি ও সিইও হলেন ড. সাফিকুর
নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিমানের হজ ফ্লাইটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের বহরে যতগুলো এয়ারক্রাফট রয়েছে তা নিয়ে নির্বিঘ্নে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে হজ মৌসুমে এয়ারক্রাফটের চাহিদা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে ২/১টি রুটের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে সেই এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করছি, বরাবরের মতো এবারও হাজিরা নির্বিঘ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে পবিত্র হজ পালন করবেন।
৩০৯ দিন আগে
বোমা হামলার হুমকি: তল্লাশি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ ইমিগ্রেশন
ইতালির রোম থেকে ঢাকা আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে । ফ্লাইটের যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়েছে। কাউকে ইমিগ্রেশন করতে দেওয়া হয়নি।
এয়ারপোর্ট থেকে জানা যায়, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনের ভেতরে সিট, করিডোর, টয়লেট ও ক্যাফেতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজ প্লেনেই রয়েছে। সেগুলো একে একে তল্লাশি করা হবে। যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়েছে। কাউকে ইমিগ্রেশন করতে দেওয়া হয়নি। এয়ারক্রাফটটি পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণার আগ পর্যন্ত যাত্রীরা টার্মিনাল ভবনেই থাকবেন।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ নবায়ন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফোন করে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করেছে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনটির ভেতর প্রবেশ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তল্লাশি চলছিল।
ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এইচএমপিভি: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দেশনা
৩১৭ দিন আগে
থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমানের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মান ও সক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে সেবাগ্রহণকারী এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের। অন্যদিকে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরাও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সেবাগ্রহণকারী ও বিশেষজ্ঞরা।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে কী বুঝায়
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে, যাত্রীর বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ আনা-নেওয়া, কার্গোর মালামাল ওঠানো-নামানো, এয়ারক্রাফটের সব ধরনের সার্ভিসকে বোঝায়। ১৯৭২ সাল থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নিজেদের ফ্লাইটের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ৩৫টির মতো এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সেবা দিচ্ছে তারা।
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
দুই বছরের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানকে এ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দুই বছরের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে বিদেশি স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিমানের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন
নানা অভিযোগ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর
একটি এয়ারলাইন্স যেই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে সেখানকার চেক-ইন কাউন্টারের পাশে কর্মী দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যাগেজ সেবা, কার্গো সেবা ইত্যাদি জায়গায় সর্বত্র পর্যাপ্ত কর্মী দেওয়ার কথা রয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলারের। তবে, জনবল সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কর্মী দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অথচ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো সেবা নিতে অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংএ থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে।
বিমানের পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় এয়ার অ্যারাবিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ জনেরও বেশি নিজস্ব কর্মী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। একইভাবে ইন্ডিগো এয়ার বিমানবন্দরে ২৫ জন এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ৬০ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গণশুনানিতে একাধিক বিদেশি এয়ারলাইন্স অভিযোগ করেছে, বিমান তাদের কাছ থেকে চার্জ নিলেও সময়মতো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে না। ব্যাগেজ প্লেনে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণে এয়ারলাইন্সগুলো সময়মতো ফ্লাইট ছাড়তে পারছে না। পাশাপাশি ব্যাগেজ বেল্টে দেরিতে লাগেজ দেওয়ায় যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এতে অনেক এয়ারলাইন্সের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে (গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং) প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দেরিতে লাগেজ পাওয়া ও চুরির অভিযোগ শোনা যায়। সর্বশেষ চলতি বছর চেন্নাইগামী ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৬ হাজার ৮০০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে বিমান।
সৌদি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা এক যাত্রী শিপন ইউএনবিকে বলেন, যতবার দেশে আসি লাগেজ পাওয়াটা মনে হয় সোনার হরিণ। কারণ একটা আতঙ্ক থাকে লাগেজ থেকে কিছু চুরি গেল কি না। বা লাগেজ কাটা কি না। এবার ভালোভাবে লাগেজ পেয়েছি কিন্তু অনেক সময় লেগেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকলেও তাদের জনবল নেই। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনাল চালাতে গিয়েই তারা হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকতে পারে, তবে তাদের বিষয়ে যাত্রীদের মতামত ভালো নয়। বিমান যেহেতু দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে, টার্মিনাল পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা ও মানসিকতা কেমন হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।তবে আন্তর্জাতিক মানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করছে বিমান।
তিনি আরও বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে তা বলা যায় না।
এভিয়েশন অপারেটর'স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা এবং টার্মিনাল অপারেশন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বর্তমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং মনোপলি ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে দেওয়া হোক। এখানে বিমান প্রসঙ্গ নয়, বরঞ্চ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মনোপলি ভাঙা সম্ভব হলে চূড়ান্ত বিচারে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ ইউএনবিকে বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার জন্য নতুন নতুন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখছি। দুই বছর যে আমরা হাত দিয়ে বসে থাকব বিষয়টা এমন নয়।যদি তার ক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলনে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি করা হবে। জনবল সংকট দূর করা হবে।
কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সেবার মান আধুনিক হবে। টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে সে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কোনোভাবেই খারাপ মান বা কোনো এয়ারলাইন্স বা যাত্রী থেকে যেন কোনো অভিযোগ না আসে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী: আইএসপিআর
৩৬০ দিন আগে
দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না: বিমানের এমডি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. মো. সাফিকুর রহমান বলেছেন, সবাইকে নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এটিজেএফবির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমানের এমডি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। ওটিপি গত মাসের তুলনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কেবিন ক্রু থেকে শুরু করে সব বিভাগেই কঠোরভাবে নজরদারি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিমানের উন্নত হোক। বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। আমাদের দায়িত্ব হলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা। এজন্য অবাধ তথ্য সরবরাহের বিকল্প নেই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।’
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও ছিলেন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি তানজিম আনোয়ারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
৪১৪ দিন আগে
চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
চীনে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বুধবার(১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শি-হাসিনার বৈঠক: বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দেবে চীন
এদিন সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করা হয়। এর বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।
এছাড়া দেশ দুটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনসহ সাতটি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বাগত ভোজে অংশ নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা একই দিনে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। তার ওই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫১২ দিন আগে
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
হজ পালনের জন্য ২১ জন হজযাত্রীকে হজ-পূর্ব ফ্লাইট শিডিউল শেষে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব নিয়ে গেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
হজ-পূর্ব ফ্লাইট শেষ হওয়ায় এবং কোনো এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহনে রাজি না হওয়ায় ওই ২১ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
পরে বুধবার সৌদি আরবের বিশেষ অনুমতিক্রমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিজি-১৩৫ (ঢাকা-চট্টগ্রাম-জেদ্দা) ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পাঠাতে সক্ষম হয়।
গত ১০ জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ-পূর্ব ফ্লাইট শেষ হয়।
৫৩৯ দিন আগে
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে দীর্ঘ দর কষাকষি ও আলোচনা শেষে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিষ্ঠানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. শফিউল আজিম।
বুধবার (২৯ মে) এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মত বিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ারের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন।
এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়ে বিমানের বিদায়ী এমডি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটাতে ২টা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়। কার্গো বিমানের প্রয়োজন নেই, তাই যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর কথা জানালে এয়ারবাস ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে সমঝোতা কমিটিতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-গলফ হাউজ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন কোনো ঝুঁকি না থাকে তাই ভিন্নতা আনার কথা ভাবছি।’
বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তবে যেই এয়ারক্রাফটই কেনা হোক না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ বিমান সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানান তিনি।
বিমান লাভ করছে, না কি ক্ষতিতে আছে জানতে চাইলে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যেই দুই বছর লোকসান হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অংকের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন বোনাস দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সচিব পদে পদোন্নতিতে বিমানের সিইও শফিউল আজিমকে সংবর্ধনা
এমডি হিসেবে নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য করিনি। কোনো পর্যায় থেকে চাপ ছাড়াই বিমানবন্দরে কাজ করতে পেরেছি।’
বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিমানে এমডির দায়িত্বের সময় বাড়ানো প্রয়োজন কি না এ প্রসঙ্গে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমানের হিউম্যান রিসোর্স মানসম্মত, টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানো গেলে এমনিতেই কাজ হবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।’
বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে যারা কর্মরত তাদের বয়স বিবেচনার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন বিদায়ী এমডি। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মতো করে চালানোর চিন্তা করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবকিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।’
এর আগে রবিবার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের নতুন এমডি ও সিইও জাহিদুল ইসলাম
৫৫৪ দিন আগে