বাংলাদেশি শ্রমিক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা আরও প্রশস্ত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার দরজা খোলা রাখার পাশাপাশি তা আরও প্রশস্ত করতে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক, পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই ও তিনটি নোট আদান–প্রদানের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অতীতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের শ্রমিকদের আন্তরিকভাবে অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই দরজা খোলা থাকবে এবং আরও প্রশস্ত হবে, যাতে আরও বেশি তরুণ এখানে এসে কাজ করতে ও অনেক কিছু শিখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেক কিছু শিখে দেশে ফিরে নিজ ব্যবসা শুরু করেন, নিজের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যান। এজন্য আমরা মালয়েশিয়ার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, বিশেষত যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক এখানে কাজ করছেন তাঁদের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা তাঁদের আয় দেশে পাঠান, যা তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের জীবনে স্থায়িত্ব এনে দেয়, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সহায়তা করে এবং ভালো শিক্ষা নিশ্চিত করে।’
‘এরা বহিরাগত কর্মী নয়—তাঁদের কাজ করতে দেওয়া উচিত। তারা এখানে কাজ করতে পেরে খুবই খুশি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমরা মালয়েশিয়া থেকে বিনিয়োগ চাই। আমাদের আছে মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি, যা আমরা অফার করতে পারি। মালয়েশিয়া চাইলে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে সারা বিশ্বে বিক্রি করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এটাই আমরা চাই—বাংলাদেশে আর্থিক ও বিনিয়োগ–সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হোক, যাতে আমাদের অর্থনীতি টেকসই ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে পৌঁছায়।’
তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যুতেও একযোগে কাজ করার ব্যাপারে কথা হয়েছে; ‘মালয়েশিয়ার জনগণের সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশে শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে; প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করেছে। এখন আমরা নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে নতুন সরকার গঠিত হয় এবং দেশ স্বাভাবিক পথে চলে। ‘এক্ষেত্রে আমরা মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় সর্বদা ভরসা রাখি,’ যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রফেসর ইউনূসের অবদানকে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অগ্রগতি রেখেছেন এবং এখন বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করছেন।’
তিনি আরও জানান, দুই মন্ত্রী—স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ—মাল্টিপল–এন্ট্রি ভিসা সুবিধায় একমত হয়েছেন, যাতে শ্রমিকরা পরিবারের কাছে যেতে ও কাজে নিরাপত্তায় থাকতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, বিশেষত শ্রমিকদের জন্য যারা আটকা পড়েছেন।’
ইতিমধ্যে, গত বছরের অক্টোবরে তাঁর প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নয়নের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছিল বলে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে এক লাখ শ্রমিক নেবে জাপান
ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের কথা জানিয়েছে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিও-তে মানবসম্পদ নিয়ে এক সেমিনারে তিনি এসব বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জাপানে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও প্রেরণার দিন। শুধু কাজ করার জন্য নয়; এ পদক্ষেপ জাপানকে জানারও দ্বার উন্মোচন করবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।’
সেমিনারে দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) ও জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের (কেডিএস) মধ্যে। অন্যটি বিএমইটি ও জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (এনবিসিসি—জাপানে ৬৫টির বেশি কোম্পানির একটি ফেডারেশন) এবং জেবিবিআরএর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে।
আরও পড়ুন: এশিয়াকে অভিন্ন সমৃদ্ধির বাতিঘরে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ সেমিনারটি দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বার উন্মোচনের প্রতীক। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে। সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া।’
এ সময় শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক মিতসুরু মাতসুশিতা বলেন, ‘অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশিদের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি মেধাবীদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রতিভা লালন করা আমাদের দায়িত্ব।’
সেমিনারে স্মৃতি আউড়িয়ে এনবিসিসির চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর আগে অধ্যাপক ইউনূস জাপানে এসেছিলেন। সে সময় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারীদের সহায়তার গল্প বলেছিলেন।’
তাদের ফেডারেশন তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া, এই শ্রমিকরা উভয় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমর এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’
ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল প্রতিবছর ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়। এই সংখ্যা তারা ৩ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা ইইউর
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা জাপানের চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন।’
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনিং অ্যান্ড স্কিল্ড ওয়ার্কার কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (জেইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশে এখনও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে বলে মত দেন তিনি।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং সে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।’
শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও এই উদ্যোগ একটি আশাব্যঞ্জক দিক হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারে।
১৯০ দিন আগে
বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার অবশ্য স্বীকার করেছেন, আমাদের এখানে সিন্ডিকেট থাকতে পারে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বুধবার (২৯ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। ‘এটা আমাদের সরকার ঠিক করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
হাইকমিশনার কম খরচে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পর্যটন সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে তার দেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি হবে।’
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
৫৫৪ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশবিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করতে এখনো অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন নগরী ও শহরের বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলো সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে যুক্তরাজ্য ন্যূনতম বার্ষিক বেতন ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করেছে, যা অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য।
এ সময় হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে- যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী কর্মীদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রুশনারা আলী।
এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলীর সভাপতিত্বে এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, সংসদ সদস্য বব ব্ল্যাকম্যান এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা।
এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।
একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
৫৮৭ দিন আগে
আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু, ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের প্রস্তাব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে দুবাইয়ে মানবসম্পদমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
এ সময় বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোনো বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া করার জন্য এআই এবং সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে জানান এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আমিরাত-গামী কর্মীবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথাও জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বৈঠকে মন্ত্রী ড. হাছান কুয়েত সরকারের বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে যোগ্য নার্স ও চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগের জন্য আমিরাত পক্ষকে অনুরোধ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় আসন্ন যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে কুয়েতি নিয়োগের মডেল পরীক্ষা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ দিন সন্ধ্যায় আবুধাবির আল আইন শহরের রয়্যাল প্যালেসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই দিনের সফরে মন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৩৬ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় গুদাম ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন একটি গুদাম ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু এবং ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, জানিয়েছে পুলিশ।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ান লেপাসের বাতু মংয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫৮ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ৪ জনকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর কোনো অগ্রগতি নেই
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স ফোর্সসহ অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পেনাং আইল্যান্ড সিটি কাউন্সিল (এমবিপিপি) গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের ডেভেলপার, প্রকৌশলী এবং স্থপতিদের অবিলম্বে কাজ বন্ধের আদেশ জারি করেছে।
এমবিপিপির মেয়র দাতুক এ রাজেন্দ্রন বলেন, উদ্ধার অভিযান এবং কর্তৃপক্ষের পরিচালিত তদন্তের সুবিধার্থে এটি করা হয়েছে।
এদিকে বায়ান লেপাসের অ্যাসেম্বলিম্যান দাতুক আজরুল মাহাথির আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা এখন সেখানে আছেন এবং পরে মিশন থেকে আরো জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
পাকিস্তানি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০
৭৩৭ দিন আগে
২০২২ সালে রেকর্ড ৫ হাজার ৮৯১ বাংলাদেশি কর্মী দ.কোরিয়ায় গেছেন
২০২২ সালে রেকর্ড পাঁচ হাজার ৮৯১ বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে একটি ‘জনপ্রিয় ও পছন্দের’ গন্তব্য।
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের মতে, গত বছর তারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ‘নিম্ন ও মাঝারি’ দক্ষ কর্মী নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জর্ডানে আগামী বছর ১২ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বিদেশি ইপিএস কর্মীদের ভর্তি স্থগিত করার পর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দ. কোরিয়ার সরকার আবার কর্মী নেয়া শুরু করে।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইপিএস এর মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে এই বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কর্মী নেবে দ. কোরিয়া।
বাংলাদেশে কোরিয়ান মিশন সোমবার জানিয়েছে, পূর্ব এশিয়ার দেশটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, কারণ সেখানে তারা মাসে ন্যূনতম এক হাজার ৪২০ ডলার উপার্জন করতে পারে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার আইনত গ্যারান্টিযুক্ত ন্যূনতম মজুরি।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওভারটাইম পেমেন্ট মিলে মাসিক বেতন দুই থেকে তিন হাজার মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশে কোরিয়ান মিশন আরও জানায়, ‘এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশি কর্মীদের দুর্ঘটনা বীমাসহ চার ধরণের সামাজিক নিরাপত্তা বীমা গ্রহণে উৎসাহিত করে।’
মিশন জানায়, ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ জন কর্মী বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, যারা প্রস্থান (দেশে ফিরে আসা) গ্যারান্টি বীমা এবং বিমান ভাড়ার বীমার টাকা না নিয়েই বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। যা ব্যক্তিভেদে ৩০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কোরিয়ান সরকার অবশ্য ঢাকায় ইপিএস সেন্টারের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবস্থান ও যোগাযোগের তথ্য শনাক্ত করতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।
যেসব কর্মী বীমার টাকা পাবেন তার মৃত্যু হলে, উপযুক্ত নথি উপস্থাপন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মা ওই টাকা পেতে পারেন।
এ বছরের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রথম ব্যাচ আজ রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হবে।
প্রথম ব্যাচে ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৬৯ জন নতুন এবং ২৩ জন পুনরায় ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ থেকে ১২ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিক নেবে জর্ডান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০৬৭ দিন আগে
দ. কোরিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়লেন আরও ৯৮ বাংলাদেশি শ্রমিক
দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দেশ ত্যাগ করেছেন আরও ৯৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক।
এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৯ জন বাংলাদেশি দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের এটা দ্বিতীয় ব্যাচ। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে যান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ সাম্প্রতিক বছরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৮০ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়রানিমুক্ত দ্রুত সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি শ্রমিক নেয়া স্থগিত করে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রবাসী শ্রমিক নেয়া আবার শুরু করে।
বুধবার ১০৮ জন দেশটিতে পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। তবে পিসিআর পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হওয়ায় ১০ জন যেতে পারেননি।
এছাড়া মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আরও ১৩০ জন প্রবাসী শ্রমিক দেশটিতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
১৩৯৪ দিন আগে
হঠাৎ বিমান বন্ধ, আবুধাবি থেকেই ফেরত পাঠানো হলো শতাধিক বাংলাদেশিকে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সৌদি আরব সরকার হঠাৎ করে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় মঙ্গলবার আবুধাবি থেকে দেশে ফেরত আসতে হয়েছে সৌদিগামী শতাধিক বাংলাদেশি কর্মীকে।
১৮০৮ দিন আগে
আরও ৬টি দেশে শ্রমিক পাঠাবে বাংলাদেশ
বিকল্প শ্রমবাজার হিসেবে সরকার আরও ৬টি নতুন দেশে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
১৯০৫ দিন আগে