ইতিহাস
জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ আজীবন তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, ‘এ দেশের সরকার ও জনগণ তাদের ত্যাগের মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
শনিবার(২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, চট্টগ্রাম’ আয়োজিত জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় এই অধিদপ্তরের জন্য ২০ জন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অধিদপ্তর থেকে জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘আহত যোদ্ধারা’ আজীবন সরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন।
ফারুক-ই-আজম বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি ‘এ’ মাসে ২০ হাজার টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি মাসে ১৫ হাজার এবং সি ক্যাটাগরি মাসে ১০ হাজার- টাকা করে ভাতা পাবেন। সে অনুযায়ী সনদ ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য দেন- শহীদ ইসমামের ভাই মো. মুহিব, আহত জুলাই যোদ্ধা ও সংগঠনের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী এবং জুলাই আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৩১ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবলমাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’
তিনি আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায়—এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ ও পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পড়ুন: ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে’ প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা: প্রেস উইং তিনি বলেন, 'কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতায় থাকা সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে—সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বা বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫০ দিন আগে
রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, মার্চে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার
চলতি বছর মার্চে রেমিট্যান্সে বিগত সব রেকর্ড ভাঙবে বাংলাদেশ এমন ধারণা আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক; হলোও তাই। পুরো মার্চজুড়ে ৩.২৯ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ৬৪.৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
মার্চের আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা এতদিন ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল।
আরও পড়ুন: মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
চলতি বছর প্রতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, ফেব্রুয়ারির আগে জানুয়ারিতে আসা মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২.১৮ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা এবার প্রচুর পরিমাণে অর্থ বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। শুধু ২৭-৩১ মার্চ এ সময়ের মধ্যেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার। বৈধ চ্যানেলে অর্থ প্রেরণের কারণেই এবার রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।
২৪৩ দিন আগে
ঈদের আগে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ
দুই দিনের মাথায় আবারও দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বেড়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে নতুন এ দাম স্থানীয় বাজারে কার্যকর হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট ছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভরিতে ২৬১৩ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হওয়ার কথা জানিয়েছে বাজুস।
সবশেষ গত ১৬ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার।
২৬১ দিন আগে
রেকর্ডের মালা গেঁথে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া
৩৫১ রান তুলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গড়া ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই রেকর্ড এক দিনও ধরে রাখতে পারল না জশ বাটলার অ্যান্ড কোং। দ্বিতীয় ইনিংসেই তা টপকে একাধিক রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেটের অনবদ্য ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের রেকর্ডটি ভেঙে এদিন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম তোলে ইংলিশরা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন বেন ডাকেট। তবে ইংলিশদের এসব রেকর্ড ম্লান করে পাঁচ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং। ৪৭.৩তম বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স ক্যারি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড (৩৫৬) গড়ল অজিরা। তাছাড়া আইসিসির যেকোনো ওয়ানডে ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জয়ই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।
আরও আছে; এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
এছাড়া এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ৪৩৪ রানের; ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচটি খেলে তারা।
আরও পড়ুন: ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ৬ উইকেটে করা পাকিস্তানের ৩৬৮ রান তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতেই। ৭ উইকেটে সেদিন ৩৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আর টানা দুটি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড দেখল গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রেকর্ড অত্যন্ত বিরল।
আজকের ম্যাচে ৮৬ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জশ ইংলিস।
মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম শতকের মালিক এখন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ ছাড়াও আরও রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৭০৭ রান সংগ্রহ করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ মোট রানের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোট ৬৫৯ রান সংগ্রহ করে দুই দল। সেদিন ভারতের চার উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ফলে ১৭ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
ম্যাচটি আজ মোট ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদলের ব্যাটাররা (ইংল্যান্ড ৭, অস্ট্রেলিয়া ১৬), যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি ছক্কা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে ভারতের দখলে। ২০১৩ সালের ১১ জুন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কা হাঁকান ভারতের ব্যাটাররা।
২৮৫ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৮৮ দিন আগে
দেশের ইতিহাসে উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে ইসি: কমিশনার আনোয়ারুল
চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেশের ইতিহাসের উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, ‘এবার ডিসি সম্মেলনে আমরা (ইসি) আমন্ত্রণ পেয়েছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইসির জন্য একটি নির্ধারিত সেশন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়, নির্দেশনাও থাকে। আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে, তাই আমরা যাব। এছাড়া নির্বাচনের পার্ট অ্যান্ড পার্সেল (অপরিহার্য) হলো জেলা প্রশাসন।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে। এবার যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এই নির্বাচন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে সেটা করতে হবে। বার্তাটি আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
মাঠ প্রশাসন কমিশনের কথা শোনে না, এমন একটি সমালোচনা রয়েছে; এক্ষেত্রে কী করে তাদের কথা শোনানোর নির্দেশনা দেবেন— এমন প্রশ্নে জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই প্রশাসনকে নিয়েই হয়েছে। যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না, সেহেতু আমরা আশাবাদী যে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হবে। কারণ আমাদের সামনে ভালো উদারহরণও রয়েছে, খারাপ উদাহরণও রয়েছে। কমিশন বিশ্বাস করে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে না এবং উত্তম নির্বাচন হিসেবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাস হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এসেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায়, সেখানে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিও এসেছে। আপনাদের ভাবনা কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও সময় লাগবে আমাদের। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না, সময়ই আমাদের গাইড করবে।’
ডিসিদের দলীয় মানসিকতার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের কাজে সহায়তা করতে সবাই বাধ্য। যখন তফসিল হবে ও ইসি যখন মনে করবে, যেখানে যে নিরপেক্ষ ডিসিকে পদায়ন করা প্রয়োজন, তখন সেই বিষয়ে কমিশন কঠোর থাকবে।’
নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে আমরা পাইলটিং করতে পারি।’
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বর্তমান যে আইন, সেটির কিছু পরিবর্তন না হলে যেমন আছে, তেমনই থাকবে। আর আইন পরিবর্তন হলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে। আমরা আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এটি জটিল প্রক্রিয়া।’
বর্তমান আইনে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংশোধন হলেই হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুবিধা, উন্নয়ন কর্মের সুবিধা, জনসংখ্যার বিষয়, ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই, তারপর মানুষের চাহিদার বিষয়টিও দেখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে যথোপযুক্ত মনে হলে সেটিই হবে। কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করা হলেও যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি করা হবে।’
২৯১ দিন আগে
‘ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রিপন বলেন, ‘একটি দুর্বল সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এগুলো ঠিক করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের সব সংকটের কারণ হলো নির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকার ইতোমধ্যে সংস্কারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মিস করেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে সংস্কারের যে উদ্যোগ সেখানে তারা ভুল করেছে। নির্বাচনের কোনও তারিখ দেননি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠন করে বসলেন। অথচ নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত কোনও সংস্কারের প্রতিবেদনই আসেনি। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রথম রিপোর্ট পেশ করার আগেই সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বসলেন।’
‘বিচার বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ করে বসলেন। শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এই সরকার বিচারক নিয়োগ দেন। আমরা চেয়েছিলাম সংস্কারের মধ্যে দিয়ে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া তৈরি হবে, কিন্তু সরকার সেটি করেনি।’
আরও পড়ুন: গণহত্যায় জড়িতদের কখনোই বিএনপিতে জায়গা হবে না: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে সংস্কারের প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে তারা হাসিনার পথ অনুসরণ করে বিচারক নিয়োগ করছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে লোক নিয়োগ করেছেন। এগুলো সবই হচ্ছে হাসিনার পরিত্যক্ত মডেল। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করতে চায় সেটি আমরা জানি না। কিন্তু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তারা যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়, এটি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংকট এখনও শেষ হয়নি। ভীষণ একটি সংকটের মধ্যে আমরা আছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানুষের কাছে যেতে হবে এবং আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের আগের রাজনীতি আর ৫ আগস্টের পরের রাজনীতি এক নয়।’
‘রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে জনগণ কী ভাবে সেটি মাথায় রাখতে হবে। এটি মাথায় না রাখলে রাজনীতি ভুল হয়ে যাবে। আমাদের একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটি হলো, আন্দোলনকে কোনোভাবেই বিভক্ত করা যাবে না; আন্দোলনের স্পিরিটকে কোনোভাবে বিভক্ত করা যাবে না। আন্দোলনকে বিভক্ত করলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে। সুতরাং স্বৈরাচারকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন চুন্নুর ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
জাহিদ হোসেন চুন্নুর স্মৃতিচারণ করে ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জাহিদ হোসেন চুন্নু ৮০’র দশকে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সঙ্গে যুক্ত থেকে পুরো আন্দোলনেই আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি খুবই সক্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন। তার মধ্যে অমৃত সম্ভাবনা ছিল। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের পার্টিকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
৩৪৪ দিন আগে
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকালে বাজে আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
এর আগে স্বাগতিকরা ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ খেলেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে তরুণ পেসার নাহিদ রানাও খেললেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তাতে মনে হচ্ছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের হারিয়ে দিলেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেওয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট। যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন: হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
৪৫৮ দিন আগে
বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ-বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা
জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার মেকানিজম এই বিষয়টিকে জোরালোভাবে বিশ্বাস করে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে তার কাজে সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছি। কমিশন ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হওয়া উচিত। যার মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের নীতিগত নির্দেশিকা থাকবে।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা ও সমঝোতা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে সমর্থন করতে চায়।
মানবাধিকারের হাইকমিশনার জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের হদিস করতে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন-ন্যায়বিচার অনুসরণ করবে, আশা জাতিসংঘের
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পান।
মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এগিয়ে নিতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্তে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় এইচআরডব্লিউ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
৪৬১ দিন আগে