নিষিদ্ধ
বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য বিচার বিভাগ ও সংসদ উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখন বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, ‘মূল কথা হলো, এই শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই দেশের বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি শুধু ক্ষমতায় না গিয়ে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমরা যে আন্দোলন করছি তা কেবল দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ক্ষমতার লোভ করি না।’
তিনি বলেন, তাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার পরিবর্তন আনা। যাতে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরে আসে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাট, সম্পদ ও সম্পদ কুক্ষিগত করা এবং বিদেশে অভিজাত এলাকায় দ্বিতীয় বাড়ি গড়ে তোলার অধিকার বাংলাদেশের জনগণ কোনো রাজনৈতিক দলকে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেই কারণে স্বাধীন হয়নি।’
এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঈন খানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের নেতা-কর্মীরা জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোজাজাত করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রতিটি আসনের জন্য সরকার আগে থেকেই বিজয়ী বাছাই করে ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে দেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বলেই এদেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এমনকি প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ম্যাগাজিনগুলোও বলছে- বাংলাদেশে বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হামলা বিরোধী দলের উপর সরকারের দমন-পীড়ন বলেও মন্তব্য করেন ড. মঈন।
মঈন বলেন, ‘এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই দমন-পীড়নের মাধ্যমে সরকার আবারও এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
ড. মঈন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, গরিবের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং পাকিস্তানিদের স্বৈরাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
ক্রিকেটার নাসির ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ: আইসিসি
দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
৩২ বছর বয়সী নাসিরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসির আনা তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ: পিবিআই
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার প্রকাশ না করা- বিশেষ করে একটি নতুন আইফোন ১২। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগটি হলো আইফোন-১২ এর মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ না করা এবং তৃতীয় অভিযোগটি হলো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকারের মাধ্যমে অসহযোগিতা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী-শাশুড়ির জামিন, চার্জ গঠন ২৪ জানুয়ারি
একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে নাসির ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ফরম্যাটে ১১৫টি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। এই সময়ে ৩৯টি উইকেটসহ তার ক্যারিয়ারে যোগ করেন ২ হাজার ৬৯৫ রান। আন্তর্জাতিক বিরতি সত্ত্বেও ঘরোয়া অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন নাসির।
নাসিরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। তবে নিষেধাজ্ঞার স্থগিত অংশের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করলে নাসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিসিবি সভাপতির মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানোর ইঙ্গিত পাপনের
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় আতশবাজি-ফানুস নিষিদ্ধ: ডিএমপি
বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও নববর্ষ (৩১ ডিসেম্বর) উপলক্ষে রাজধানীতে সব ধরনের আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এই সময়ে মিছিলে মশাল না আনার জন্য তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: নাশকতার পরিকল্পনা সফল হবে না: ডিএমপি
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি
১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার ছাড়া কোনো ধরনের সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'যেহেতু প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন, তাই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে বা ভোটারদের ভোট দানে নিরুৎসাহিত করতে পারে এমন সভা-সমাবেশ বা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত
বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্নোক্ত ৩টি শর্তের যে কোনো একটি পূরণ হলে পেঁয়াজের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে:
- এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে যেসব জায়গার জন্য জাহাজে পেঁয়াজ তোলা হয়েছে।
- শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে; পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজ ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে এসে নোঙর করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপনের আগে সেগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পরেই এ ধরনের জাহাজে লোডিংয়ের অনুমোদন প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
- পেঁয়াজের চালান এই প্রজ্ঞাপনের পূর্বে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে রপ্তানির জন্য চালান কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশকরা পণ্যগুলোর তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
এর আগে ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
পরে ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে টন প্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি কাকে নিষিদ্ধ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতির একটা বড় তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। এটা কি রিউমার ছড়ানো হচ্ছে, না কি সত্যি? আদৌ সরকারের কাছে এ ধরনের কোনো তালিকা আছে কি না? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি তারা ঘোষণা করেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে তো চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটা শুনেছি সেটাই জানি। এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলো আমরা জানি না।
তিনি বলেন, তারা যে লিস্টটা দিয়েছে, এটার ভিত্তি কী, সেটিও আমি জানি না। যেহেতু কিছুই জানি না। আমি মনে করি এটা সম্বন্ধে মন্তব্য করার আমার কোনো এখতিয়ার নেই।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছেন এটা তাদের ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে, কাকে যেতে দেবে না, এটা তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য নেই এবং বলার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আইসিসির দুর্নীতির অভিযোগে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ নাসির হোসেন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতির অভিযোগের পর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে নাসিরকে অবশ্যই আইসিসির ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিসিবি প্রকাশিত খেলোয়াড়দের তালিকায় নাসিরের নাম নেই।
আরও পড়ুন: নাসির-তামিমার বিচার শুরু
আইসিসি অনুসারে, ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনৈতিক অনুশীলনে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাসির হোসেন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেন ২০১৮ সালে, যার পর থেকে তিনি জাতীয় দল থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। টাইগারদের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনকে সামনে রেখে শনিবার মধ্যরাত থেকে জাতীয় সংসদ ও সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক, অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বহন এবং সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রবিবার)।
শনিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদ অধিবেশন চলাকালে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ডিএমপি এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিধিনিষেধের অধীনে সড়ক ও এলাকাগুলো হলো: ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম কোণ থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোড হয়ে সার্ক ফাউন্টেন, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোড লিংক রোড হয়ে ফার্মগেট, শ্যামলী ক্রসিং থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) সড়কের মোড়, রোকেয়া সরণি লিংক রোড থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণি পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদের সীমাবদ্ধ এলাকা এবং উক্ত এলাকার সকল সড়ক ও গলি।
সংসদ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
সুপ্রিম কোর্টে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও মিছিল না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের উচ্চ আদালতের একটি রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
একই সঙ্গে দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার প্রেক্ষাপটে বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদেশের পরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায় এখন থেকে মানা না হলে তা হবে আদালত অবমাননা। কারণ আপিল বিভাগ আজ ২০০৫ সালে দেওয়া ওই রায় মেনে চলতে বলেছেন। নিষেধ অমান্য করে কেউ মিছিল, সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করলে সেই আইনজীবী আইনি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, মূলত ২০০৫ সালে তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি আবদুল মতিনের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা দেন। আজ থেকে সেই রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। তবে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির ৭ আইনজীবীর ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে না বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
গত ১৫ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় দুই বিচারপতি তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাদের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন মো. নাজমুল হুদা নামে এক আইনজীবী। সেই আবেদন আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।
বিএনপির যে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি এবং ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
বুধবার (৩০ আগস্ট) আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আবেদনটি অবকাশের পর শুনানি গ্রহণ করব। এরপরই ২০০৫ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিচারপতি এম.এ মতিন ও বিচারপতি এএফএম আব্দুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না। বহন করা যাবে না কোনো প্ল্যাকার্ড। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তা হবে বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপের সামিল। এমনকি তা আদালত অবমাননাও বটে।
এ ছাড়া কর্মসূচি দিয়ে কোনো আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করতে বাধা দেওয়া যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এই রায় গত ১৮ বছরেও মেনে চলেনি আইনজীবীদের সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, মেয়রকে আপিল বিভাগে তলব
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়েদের বোরকা (মুসলিম নারীদের পরা আপাদমস্তক ঢেকে রাখা নির্দিষ্ট ঢিলেঢালা পোশাক) পরা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সে ১৯ শতকের সকল আইন রদ করা হয়েছে এবং দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা থেকে গোঁড়া ক্যাথলিক প্রভাব দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।
তাই দেশটির সরকারি স্কুলে ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী সবকিছু কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার জন্য তারা আধুনিক আইন প্রণয়নে সমস্যায় পড়ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
আল-জাজিরার তথ্যমতে, ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে খ্রিষ্টানদের ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পা অথবা মুসলমানদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ।
ফরাসি সরকার ২০০৪ ও ২০১০ সালে জনপরিসরে মুসলিম নারীদের পুরো মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্ত দেশটির পাঁচ মিলিয়ন মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ফ্রান্সের টিএফ১- টিভিকে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের কথা বলা হয়েছে।
যেখানে শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্কুলে আর বোরখা পড়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের কে কোন ধর্মের তা আলাদাভাবে চোখে পরা ঠিক নয়। সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হলেও এতদিন বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়নি।
ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) অনুসারে, পোশাক শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয় নয়।
সিএফসিএম একটি জাতীয় সংগঠন, যা অনেকগুলো মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: নারীরা বোরকা না পরলে জেল হতে পারে পুরুষদের!
সুইজারল্যান্ডে মুসলিমদের বোরকা-নিকাব পরা নিষিদ্ধের পক্ষে রায়