নিষিদ্ধ
রবিবার থেকে রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সাধারণ মানুষের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকার বেশ কিছু সড়কে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৮ মে) থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
শনিবার (১৭ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেট সংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এরআগে রাজধানীতে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটক, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২–এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: আমরা কূটনীতিতে বিশ্বাসী, পুশ-ইন করি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও অনুরোধ জানায় ডিএমপি।
২০১ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
‘তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’
এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারি গেজেটের অপেক্ষায় ইসি: সিইসি
‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
২০৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় খুশি বিএনপি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত রাতে (শনিবার রাতে) ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করা যায় ও একটি নির্বিঘ্ন বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অপশাসনে জড়িত ফ্যাসিবাদী দলের বিচার সহজ করতে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের পদক্ষেপকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী যদি এই সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া হতো—তাহলে সরকার চাপের মুখে পড়ে কাজ করার লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ত না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি মনে রাখবে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক কার্যক্রমের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাতের উল্লেখ করে তিনি বলে, সেসময় তারা তাকে আরেকটি চিঠি দেন, যাতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নোংরামি থেকে মুক্ত করতে পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে কমিটি গঠন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব এবং প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশ এবং আলোচনায় বারবার এই দাবি তুলেছি। এটি লক্ষণীয়, নীতিগতভাবে আমরা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছি। সেই অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বিএনপি আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঠিক আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল।’
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ গুম, খুন, কারাবরণ ও নিপীড়ন সহ্য করে নিজের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ফ্যাসিবাদ উৎখাতের লড়াই করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘সেই দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি অব্যাহতভাবে উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান জনরোষকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাই।’
শনিবার (১০ মে) রাতে এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড—সাইবারস্পেসসহ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
২৫৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই এ বক্তব্য প্রত্যাখানের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্ত্বর হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদত দেবে, তারা যেই হোক না কেন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত
আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পযন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময়, শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
২৫৯ দিন আগে
ঈদে নৌ দুর্ঘটনা বন্ধে দুই সপ্তাহ বাল্কহেড নিষিদ্ধের দাবি এসসিআরএফ-জাতীয় কমিটির
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন (দুই সপ্তাহ) বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে শিপিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এছাড়া সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি। এ জন্য সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
বুধবার (৫ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতি এই আহবান জানান।
বিবৃতিতে সনদবিহীন চালককে (মাস্টার ও ড্রাইভার) শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ চালক নিয়োগ দেওয়ার দায়ে নৌযান মালিককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান সংগঠন দুটির নেতারা।
বাল্কহেডের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত নৌ দুর্ঘটনা ও যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ জানায়, নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৮৫ হাজার নৌযান রয়েছে। এই ৭০ হাজার অবৈধ নৌযানের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার রয়েছে বাল্কহেড।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহত ২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিবন্ধিত ১৫ হাজার নৌযানের মধ্যে নিয়মিত বার্ষিক সার্ভে (ফিটনেস পরীক্ষা) করা হয় মাত্র আট হাজারের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অবশিষ্ট সাত হাজার ত্রুটিপূর্ণ নৌযান অবাধে চলাচল করছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলোর বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ অবৈধ ও আইন অমান্যকারী নৌযান চলাচলের সুযোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিককেও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে নৌপথে ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে ১৪ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
২৭৪ দিন আগে
ফিক্সিংকাণ্ডে ৫ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের সোহেলী
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহেলীকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০২২ সালে খেলেছেন এই ক্রিকেটার। তবে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন সোহেলী। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা থেকে কার্যকর হয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লতাকে মোবাইল ফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান। সে সময় বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান তিনি। ওই ক্রিকেটার অবশ্য অসাধু পথে পা না দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান।
ওই সময় সোহেলী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি সতীর্থ লতাকে মজা করে মিথ্যা মিথ্যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র। তবে সেই কারণে এবার নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন তিনি।
সোহেলীর আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক ২.১.১ ধারা ভেঙেছেন। সেখানে তিনি ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং করতে প্ররোচিত করেছেন। ২.১.৩ ধারাও ভেঙেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, তিনি ম্যাচ পাতানোর জন্য অন্যকে উৎসাহিত করার দরুণ অর্থ বা পুরস্কার নিয়েছেন কিংবা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আইসিসির প্রতিবেদনে ২.১.৪ ধারা ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে, যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করেছেন বা প্ররোচিত করেছেন। ২.৪.৪ ধারায় বলা হয়েছে, আইসিসিকে তিনি তদন্তের স্বার্থে তথ্যাদি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই নারী ক্রিকেটার তদন্তে বাধা দিয়েছেন, তথ্যা দিতে বিলম্ব করেছেন বা তথ্যাদি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
সোহেলী বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালে তার অভিষেক হয় ও ২০১৪ সালে শেষ ওয়ানডে খেলেন। দেশের জার্সিতে তিনি ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যার প্রথমটি ২০১৩ এবং শেষটি খেলেছেন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর।
২৯৬ দিন আগে
তুরাগ নদীর আশেপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ
তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম তীরের কামারপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ ও এর আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৯ ধারার অধীনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নম্বর III/৭৬) জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় দল নিয়মিত পুলিশসহ ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
৩৫১ দিন আগে
চমেকের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সকলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীর ওয়ার্ড বিএনপির দুই সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার
ছাত্রাবাসর অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গ, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা সর্বোপরি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
১৪ জন ইন্টার্নসহ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫১ ব্যাচ, ৬০ ব্যাচ এমবিবিএসসহ বিভিন্ন ব্যাচের ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
৪০২ দিন আগে
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে হয়রানি, টেন্ডারবাজিসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
৪০৭ দিন আগে