দুর্গাপূজা
এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলের অঙ্গীকার নিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘এই পূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
সজীব ওয়াজেদ আরও লিখেছেন, সবাইকে দুর্গাপূজার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন: বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাইবার স্পেসে দুর্গাপূজা নিয়ে গুজব ছড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, পুলিশের একটি সাইবার ইউনিট এখন সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও অল্প সময়ের মধ্যে যারা গুজব ছড়ায় তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
কেউ রেহাই পাবে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সব দিক থেকেই সতর্ক রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। যাতে দুর্বৃত্তরা অপকর্ম করতে না পারে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সারাদেশে পূজামণ্ডপে পাহারা দিন: আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কাদের
দুর্গাপূজা চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ ও বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়টি দলের নজরে এসেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খবর পেয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা পুরো পরিস্থিতি তদন্ত করছি। দায়ী যে কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরও ১০ ডিসেম্বরের মতোই পরিণতি বয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের
অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না: কাদের
দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরে ৬ দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূজার আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে কুমিল্লা বিবিরবাজার বন্দর দিয়ে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
তিনি আরও বলেন, মাঝখানে ২৫-২৬ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি চলবে। তবে এ সময় দু’দেশের ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে যথারীতি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাথর, প্লাস্টিক সামগ্রী ও সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রপ্তানি হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ৮দিন বন্ধ থাকবে
পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
লালমনিরহাটে ৪৬৩টি মণ্ডপ নিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
এবার লালমনিরহাটে ৪৬৩ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সনাতন ধর্মীয়দের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে লালমনিরহাটের মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমাশিল্পীরা। এ শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হতে আর অল্প সময় বাকি।
জানা গেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গোৎসব আবহমান বাংলার শ্বাশত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এবার লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলাসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ৪৫টি ও ২টি পৌরসভা এলাকায় ৪৬৩টি পূজামণ্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এরমধ্যে জেলা সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৬০টি, লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় ২৫টি। আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১১৪টি, কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮৯টি, হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৭১টি ও পাটগ্রাম উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৮টি ও পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ৪টি পূজামণ্ডপ রয়েছে।
লালমনিরহাট পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এবার জেলায় ৪৬৩টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলার ১৬০টির মধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভায় ২৫টি, মোগলহাট ইউনিয়নে ২১টি, কুলাঘাট ইউনিয়নে ১২টি, হারাটি ইউনিয়নে ১৫টি, বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, গোকুন্ডা ইউনিয়নে ২১টি, পঞ্চ গ্রাম ইউনিয়নে ২০টি, রাজপুর ইউনিয়নে ৮টি, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে ১৪টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ১৫টি।
আদিতমারী উপজেলার ১১৪টির মধ্যে দূর্গাপুর ইউনিয়নে ১০টি, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৪টি, কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬টি, সারপুকুর ইউনিয়নে ২৪টি, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে ৫টি, ভাদাই ইউনিয়নে ২৮টি, পলাশী ইউনিয়নে ১১টি, মহিষখোচা ইউনিয়নে ৬টি।
কালীগঞ্জ উপজেলার ৮৯টির মধ্যে ভোটমারী ইউনিয়নে ৫টি, মদাতী ইউনিয়নে ১৪টি, তুষভান্ডার ইউনিয়নে ১২টি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ৯টি, কাকিনা ইউনিয়নে ৭টি, চলবলা ইউনিয়নে ১৬টি, গোড়ল ইউনিয়নে ১৪টি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১২টি।
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সারাদেশে র্যাবের ১০০টি বিশেষ চেকপোস্ট
আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১০০টি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হবে এবং ২৪ অক্টোবর শুভ বিজয়ার মাধ্যমে শেষ হবে।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপূজা ঘিরে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) এএসপি ইমরান খান বলেছেন, দুর্গা পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে, র্যাব বাহিনী ১৬ অক্টোবর থেকে সারাদেশে চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ট্রাফিকের চেকপোস্টে ৯০ লাখ টাকা জরিমানা
দুর্গাপূজা উপলক্ষে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলিট ফোর্স ইতোমধ্যে রাজধানীর প্রবেশপথসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট তৎপরতা জোরদার করেছে।
চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল বাড়ানোসহ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাব ব্যাটালিয়নের নিজ নিজ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
দুর্গাপূজা চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, পূজা মণ্ডপ ভাঙচুর বা সুবিধাবাদী, দুর্বৃত্ত ও অশুভ চক্রের যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাবের চেকপোস্ট ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সুবিধাবাদী ও দুর্বৃত্তদের দ্বারা পূজামণ্ডপ ভাঙচুরসহ যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি র্যাব কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭ ঠেকাতে সতর্ক দর্শনা চেকপোস্ট
দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গেল সেনাবাহিনীর সাইক্লিং দল
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ২১৭৫ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় এবছর ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সর্বজনীন প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৬৫১ এবং ঘটপূজা ৫২৪টি।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন আটটি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিজয়া দশমী: দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গাপূজা
এরমধ্যে রয়েছে- সব উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ, চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার ও সড়কের উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দুর্গোৎসবে চার দিনের সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নে জটিলতার নিরসন এবং রানি রাসমণি বারুণী স্নানঘাট তথা সমুদ্রতীর্থ সংরক্ষণে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।
সুগ্রীব মজুমদার বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
তিনি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন পরিহারের আহ্বান জানান।
এবার পূজা পর্যবেক্ষণের জন্য পরিষদের জেলা কনট্রোল রুম এবং তিনটি পর্যবেক্ষণ টিম থাকবে।
কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, সরকারি অর্থায়নে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেধস আশ্রম সড়কে কার্পেটিং হচ্ছে। দুর্গাপূজা বাঙালির উৎসব। তাই চার দিন ছুটির দাবি জানাই। বর্তমানে একদিন ছুটি আছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কিছু পূজামণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকবে। আমরা মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্ষম। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, সাবেক সভাপতি দীলিপ কুমার, সহ সভাপতি বিপুল কান্তি দত্ত, সুনীল ঘোষ, বিশ্বজিৎ পালিত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা ২০২৩: সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে পুলিশ সদর দপ্তারের পরামর্শ
এবছর বাগেরহাটে ৬৫২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজিত
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪দিন বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর। এসময় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ ছুটিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, দূর্গাপূজার ছুটির কারণে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর টানা চার দিনের ছুটিতে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। আগামী ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান জানান, ওপারে দূর্গাপুজার ছুটি থাকায় ২১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড-আনলোড ও কাস্টমসে কাজ চলবে। বন্দরে মালামাল আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যেতে পারবে।
২৫ অক্টোবর সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, পুজার ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ভারত থেকে আগত বা বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এবছর বাগেরহাটে ৬৫২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজিত
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিমা তৈরি শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। দুই-একদিনের মধ্যে রংতুলিতে প্রতিমা সাজাবে শিল্পীরা।
এবছর খুলনার বাগেরহাটের সদর উপজেলা, কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা মিলে জেলার ৯টি উপজেলার ৬৫২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে।
আগামী ২০ অক্টোবর বেলতলায় মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা ঘোড়ায় (ঘটোকে) চড়ে স্বর্গ থেকে মত্তলোকে আসবেন।
এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও দশমীতে (২৪ অক্টোবর) বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে আবারও ঘোড়ায় চড়ে তিনি ফিরে যাবেন স্বর্গলোকে।
এদিকে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজকদের মধ্যে এবছর নানা ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
জানা যায়, পূজা উপলক্ষে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা কর্মযজ্ঞ চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমায় কাদামাটির কাজ শেষ করেছে শিল্পীরা। এখন প্রতিমায় রংয়ের পালা। দর্শনার্থীদের নজর কারতে সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। থিমের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মন্দিরে সাজসজ্জায় নানা ধরনের উপকরণও ব্যবহার করা হচ্ছে। ভক্তরাও দেবীকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাঠিগোমতি গ্রামের প্রতিমাশিল্পী (ভাস্কর) মিলন পাল জানান, বংশপরম্পরায় তারা প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন। তার দাদা (ঠাকুরদা) ও বাবার পর তিনিও প্রতিমা তৈরি করেন। প্রতিমা তৈরি করে যে অর্থ উপার্জন করে তাই দিয়ে তার সংসার চলে।
বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে তাদের মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা এবং ভীতি কাজ করছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কুচক্রীমহল বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।’
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে যাতে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পারে এজন্য সরকারের কাছে জোর দাবি ওই কর্মকর্তার।
সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র আরও জানান, এ বছর তারা নিজেরাও পূজামণ্ডবগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দিয়ে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেছেন। একই সঙ্গে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
দর্শনার্থীদের পূজা মণ্ডপে আসার সময় ভারিব্যাগ বহন না করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান জানান, পূজা মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২১৬টি পূজামণ্ডপকে অধিকগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। এছাড়া, প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা এবং নিজস্ব স্বেসেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখার জন্য বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও টহলে থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশমীর দিন রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিজয়া দশমী: দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গাপূজা
কলকাতার কারিগরদের রঙ, ছাঁচে দুর্গাপূজার প্রতিমা
৪৫.৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পৌঁছেছে
বৃহস্পতিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫ দশমিক ৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইলিশ বহনকারী মোট ১২টি ট্রাক ভারতের পেট্রোপল ল্যান্ডপোর্টে পৌঁছেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ এবং প্যাসিফিক সিফুড।
আরও পড়ুন: ৫০৭ টাকা কেজি দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
ভারতীয় আমদানিকারক হলো- এসআর ইন্টারন্যাশনাল নাজ ইমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বরখা বিকাশ ফিশ এজেন্সি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ ও গনি অ্যান্ড সন্স চালানটি মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, রপ্তানিকারকদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে।
এর আগে বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত বছর সরকার ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন।
২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ।