অ্যাওয়ার্ড
ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের ৬ সাংবাদিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সংগঠনটির ৬ সাংবাদিক। দৈনিক সর্বোচ্চ রিপোর্ট ও বিশেষ রিপোর্ট ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকতার বুনিয়াদি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রৈমাসিক বিশেষ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ, দ্বিতীয় স্থান দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক তানজিম মাহমুদ এবং তৃতীয় স্থান দৈনিক সময়ের আলোর সাংবাদিক মোশফিকুর রহমান ইমন।
ত্রৈমাসিক সর্বোচ্চ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সাংবাদিক জান্নাতুন নাইম, দ্বিতীয় স্থান দ্য ডেইলি স্টারের সাংবাদিক রাকিব মাদবর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক সময়ের আলোর চিফ রিপোর্টার ও জবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক এম মামুন হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আনওয়ারুস সালাম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে কেউ কথা বলত না। তখনও আমাদের সাংবাদিকরা কলম ধরেছে, তাদের এই কাজ যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী মনোভাব পোষণ করত, তােদর জন্য অনুপ্রেরণা ছিল।
তিনি বলেন, একজন রিপোর্টারের নীতি হবে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা। সকল বাধাকে সততার সঙ্গে মোকাবেলা করা। সাংবাদিককে নির্মোহ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২৩ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে জবি
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, সাংবাদিকতায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থী আসে। সাংবাদিকতার কর্মশালায় যারা অন্য বিভাগ থেকে আসে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেখনিতে ভালো কাজের সুনাম ও মন্দ কাজের সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রথমে মনে রাখা দরকার প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পরে রিপোর্টার।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম বলেন, সাংবাদিকতার নীতি ও দায়বদ্ধতা সাংবাদিকদের অনুধাবন করতে হবে। তবেই এ পেশায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমরা যে কাজেই যাই, সেটা অনুধাবন করতে হবে। সাংবাদিকতা করতে হবে ফ্যাক্টভিত্তিক। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬ দিন আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
গত ২ ফেব্রুয়ারি মহা আড়ম্বরে পর্দা নামল সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস। বিশ্বনন্দিত সঙ্গীতজ্ঞদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম এরিনা। হু সমাদৃত বার্ষিক এই উৎসবের ৬৭তম আসরে মোট ৯৪টি বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে সঙ্গীতশিল্পীদের। চলুন, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ আসরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগে মনোয়নপ্রাপ্ত ও বিজয়ীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগে মনোয়নপ্রাপ্ত ও বিজয়ীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫-এর গ্র্যামির আসরে মুকুটধারী সঙ্গীত তারকারা
আনুষ্ঠানিকভাবে মনোয়ন প্রকাশের পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বিয়ন্সে। কেননা এবার মোট ১১টি ক্যাটাগরিতে নাম আসে ইতোমধ্যে ৩২টি গ্র্যামি পুরস্কার জেতা এই তারকার। এখন পর্যন্ত তিনিই সর্বোচ্চ গ্র্যামি মনোয়নপ্রাপ্ত নারী সঙ্গীতশিল্পী।
কিন্তু বহুল কাঙ্ক্ষিত পর্ব শুরুর পর পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার জিতে নেন ৭ ক্যাটাগরিতে মনোনয়নপ্রাপ্ত র্যাপ সঙ্গীতশিল্পী কেন্ড্রিক লামার। তার ‘নট লাইক আস’ শিরোনামের একটি গানই মোট ৫টি পুরস্কারের খেতাব পেয়ে যান। এগুলো ছিল- ‘বর্ষসেরা রেকর্ড’, ‘বর্ষসেরা গান’, ‘সেরা র্যাপ গান’, ‘বেস্ট র্যাপ পারফর্মেন্স’ এবং ‘বেস্ট মিউজিক ভিডিও’।
বিয়ন্সে ছাড়াও এই বিভাগগুলোতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দ্য বিটল্স ব্যান্ড, বিলি আইলিশ, টেইলর সুইফ্ট, লেডি গাগা, ব্রুনো মার্স, ও এমিনেমের মতো শিল্পীরা।
আরো পড়ুন: ভাঙচুর, মারামারিতে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ পণ্ড
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল আরও বিস্ময়কর! প্রথমবারের মতো গ্র্যামির চারটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সবগুলোই জিতে নেন সিয়েরা ফেরেল। তার ৪র্থ অ্যালবাম ‘ট্রেইল অফ ফ্লাওয়ার্স’ ‘বেস্ট আমেরিকানা অ্যালবাম’ হিসেবে ভূষিত হয়। অ্যালবামটির ‘অ্যামেরিকান ড্রিমিং’ গানটি ‘বেস্ট আমেরিকান রুট্স সং’ এবং ‘বেস্ট আমেরিকানা পারফর্ম্যান্স’ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। একই অ্যালবামের ‘লাইটহাউজ’ শিরোনামের গানটি ঘোষিত হয় ‘বেস্ট আমেরিকান রুটস পারফর্ম্যান্স’ ক্যাটাগরিতে।
বিয়ন্সের দখলে মনোনয়নের তুলনায় পুরস্কারের সংখ্যা ছিল অনেক কম; মাত্র ৩টি। কিন্তু এই স্বল্পতা ইতোমধ্যে তার অর্জিত সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্র্যামি পুরস্কার রেকর্ডের এতটুকু হেরফের করেনি। বরং ৩৫টি গ্র্যামি ট্রফি নিয়ে তিনি এখনও নারী ও পুরুষ উভয় সঙ্গীতশিল্পীদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
তার ৮ম অ্যালবাম ‘কাউবয় কার্টার’ ২০২৫-এর সেরা অ্যালবাম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ইতোপূর্বে সর্বাধিক পুরস্কারের রেকর্ডধারী হলেও কখনোই ‘বর্ষসেরা অ্যালবাম’-এ নাম আসেনি বিয়ন্সের। এই সফলতা এবারই প্রথম।
‘কাউবয় কার্টার’-এর জন্য তিনি ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ও জিতেন। এছাড়া মাইলি সাইরাসের সঙ্গে ‘টু মোস্ট ওয়ান্টেড’ গানটির জন্য তিনি ‘বেস্ট কান্ট্রি ডুয়ো/গ্রুপ পারফর্মেন্সের খেতাব পান।
আরো পড়ুন: এবার বিয়ের খবর দিলেন পড়শী
ইংলিশ সঙ্গীত শিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স-এর এবারই ছিল প্রথম গ্র্যামি যাত্রা। আর এই অভিষেকেই তিনি ৮টি মনোনয়ন থেকে ৩টি পুরস্কার দখল করে নেন। তার ৬ষ্ঠ অ্যালবাম ‘ব্র্যাট’ তাকে ‘বেস্ট ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম’ এবং ‘বেস্ট রেকর্ডিং প্যাকেজ’ জিতিয়ে দেয়। অ্যালবামটির ‘ভন ডাচ’ গানটির জন্য তিনি ‘বেস্ট ড্যান্স পপ রেকর্ডিংয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন।
৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়ে তিনটিই জিতে নেন সেন্ট ভিন্সেন্ট। তার ৭ম অ্যালবাম ‘অল বর্ন স্ক্রিমিং’ ‘বেস্ট অল্টারনেটিভ মিউজিক অ্যালবামের’ জন্য নির্বাচিত হন। অ্যালবামটির ‘ব্রোকেন ম্যান’ গানটি ‘সেরা রক গান’ এবং ‘ফ্লি’ গানটি ‘বেস্ট অল্টারনেটিভ মিউজিক পারফরম্যান্স’ বিভাগে পুরস্কৃত হন।
ছয়টি মনোনয়নের দুইটিতে বিজয়ী হন চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ সাবরিনা কার্পেন্টার। তার ৬ষ্ঠ অ্যালবাম ‘শর্ট অ্যান্ড সুইট’ ‘বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবামের’ পুরস্কার পায়। অ্যালবামের ‘এস্প্রেসো’ গানটি ‘বেস্ট পপ সলো পারফর্মেনেসর’ খেতাব লাভ করেন।
অ্যামেরিকান গস্পেল সঙ্গীতশিল্পী সিসি উইন্যান্স তিনটি মনোনয়নের মধ্যে জয় পান দুইটিতে। তার ‘দ্যাটস মাই কিং’ গানটি ‘বেস্ট কন্টেম্পরারি খ্রিশ্চিয়ান মিউজিক পারফর্ম্যান্স/সং’-এর খেতাব পান। আর তার ‘মোর দেন দিস’ অ্যালবামটি পুরস্কার পায় ‘বেস্ট গস্পেল অ্যালবাম’ ক্যাটাগরিতে। এতে তার অর্জিত মোট গ্র্যামি পুরস্কার সংখ্যা দাড়ায় ১৭। সেই সঙ্গে সর্বাধিক নারী গ্র্যামি জয়ীদের তালিকায় জনপ্রিয় বৃটিশ সঙ্গীতশিল্পী অ্যাডেলকে পেছনে ফেলে তিনি পঞ্চম স্থানে চলে আসেন।
আরো পড়ুন: সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি: মহারাষ্ট্র পুলিশ
সবচেয়ে বেশি মনোনয়নের দিক থেকে বিয়ন্সের পরেই চার্লি এক্সসিএক্স-এর সঙ্গে যুগ্মভাবে ছিলেন র্যাপার পোস্ট ম্যালোন। ৮টি মনোনয়নের কোনোটিই তিনি ঘরে তুলতে পারেননি। একইভাবে বিলি আইলিশকেও ৭টি বিভাগের মনোনয়ন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
একই দশা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফ্টেরও। ৬টিতে মনোনয়ন পেলেও সবগুলোই তার হাতছাড়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘বর্ষসেরা অ্যালবামের’ জন্য লড়েছিল তার ১১-তম অ্যালবাম ‘দ্যা টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’। গ্র্যামির ইতিহাসে ‘বছরের সেরা অ্যালবাম’ বিভাগে এ নিয়ে তিনি ৭বার মনোনীত হলেন, যেখানে পূর্বে তিনি চারবার জিতেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি গ্র্যামির একই ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক মনোনয়ন পাওয়া নারী সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার রেকর্ড করলেন।
এবারের তালিকায় অভূতপূর্ব এক সংযোজন ছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নির্মিত গান ‘ন্যাউ অ্যান্ড দেন’। এর জন্য ‘বেস্ট রক পারফর্মেন্স’ পুরস্কার জিতে বিখ্যাত ব্যান্ড দল বিটলস।
অন্যান্য শিল্পী যারা মনোনয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে চার্লি এক্সসিএক্সসহ আটজন।
কলাম্বিয়ান সঙ্গীতশিল্পী শাকিরা এবারের আসরে ‘বেস্ট ল্যাটিন পপ অ্যালবাম’ পুরস্কার লাভ করেন। এর নেপথ্যে ছিল ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ শিরোনামের তার ১২-তম অ্যালবাম। এ নিয়ে তার ৪র্থ বারের মতো গ্র্যামি জয়।
আরো পড়ুন: গান গাইতে গাইতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়লেন সাবিনা ইয়াসমিন
এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার গ্র্যামি বিজয়ীরা হলেন-
‘বেস্ট র্যাপ অ্যালবাম’- দোয়েচির ‘অ্যালিগেটর বাইটস নেভার হিল’
‘বেস্ট রক অ্যালবাম’- দ্য রোলিং স্টোন্সে হ্যাকনি ডায়মন্ডস
‘সেরা নতুন সঙ্গীতশিল্পী’- ‘চ্যাপেল রোয়ান’
‘বেস্ট পপ ডুয়ো/গ্রুপ পারফর্ম্যান্স’- লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্স-এ ‘ডাই উইথ এ স্মাইল’
আরো পড়ুন: ইউটিউবে প্রকাশিত হলো তাহসান-সিঁথির ‘একা ঘর আমার’
পরিশিষ্ট
২০২৫-এর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড-এ সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জিতেছেন র্যাপার কেন্ড্রিক লামার। সর্বাধিক মনোনয়নের মাধ্যমে সবার নজর কাড়লেও জয়ের ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ছিলেন বিয়ন্সে। সেখানে গ্র্যামিতে প্রথম উপস্থিতিতেই মনোনয়নের সবকটি বিভাগ জিতে বাজিমাত করে দিয়েছেন সিয়েরা ফেরেল। বছর সেরা অ্যালবামের ৭বার গ্র্যামি মনোনয়ন নিয়ে একমাত্র নারী সঙ্গীতশিল্পীর রেকর্ডে পৌঁছলেন টেইলর সুইফ্ট। বিশ্বের ১ম এআই গান বিটল্সের ‘ন্যাউ অ্যান্ড দেন’ ছিল এ আসরের অন্যতম আকর্ষণ। সর্বসাকূল্যে, জমকালো আয়োজনে পুরো উদযাপনটি প্রতিফলিত করেছে সঙ্গীত শিল্পের পরিবর্তনের ধারাকে।
৩০৩ দিন আগে
গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) চার অনুষদের চারজন গবেষক (শিক্ষক)।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ- শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ১১তম বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪ জন গবেষক হলেন-
১) অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসাইন।
২) ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসাইন।
৩) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
৪) লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান।
বার্ষিক এ গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
দুই দিনব্যাপী এই বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে ১৯টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৮১টি গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারে আওতায় এক বছর মেয়াদি ১৬১টি গবেষণা প্রকল্প, দুই বছর মেয়াদি ২৯টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
এই অর্থবছরে গবেষণায় মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গবেষণা প্রণোদনা হিসেবে গবেষকদের জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
৭৫৪ দিন আগে
চঞ্চল-বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
ভারতের টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসের ২০তম আসর কলকাতা নজরুল মঞ্চ বসেছিল রবিবার (৪ জুন)। কলকাতার একাধিক তারকার পাশাপাশি এবারের পুরস্কার উঠে বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতেও। সেই তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদার।
পুরস্কারটি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাপ্পা। এ নিয়ে তিনি ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্টে লেখেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনাদের সবার ভালোবাসায়, বাংলা মিউজিকে বিশেষ অবদানের জন্য আমি ২০ তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ প্রাপ্ত হয়েছি।
রবিবার (৪ জুন) কোলকাতা নজরুল মঞ্চে এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে আমাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাপ্পা আরও লেখেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, জুরি বোর্ড এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি। সেই সঙ্গে আমার সকল শ্রোতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য রইলো প্রাণঢালা ভালোবাসা। সবাই ভালো থাকবেন, বাংলা গানের সঙ্গে থাকবেন।’এদিকে, শুধু বাপ্পা মজুমদারই নয়। টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসের এবারের আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার উঠে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে। অন্যদিকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন।
আরও পড়ুন: মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
৯১৪ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়টি অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগের চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খাইরুম হক অর্থী, রসায়ন বিভাগের রাশেদ মাহমুদ, গণিত বিভাগের মো. এবাদুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের মোহাম্মদ সাকিব ইবতিধা চৌধুরি, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দিগন্ত দাশ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আতিয়া তাহিরা তাসনিম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জেবা ফাইজাহ রাহমান, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাজহারুল হক জুবায়েদ, ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স থেকে কাশফিয়া নেহরিন, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মো. নাজমুল ইসলাম রাফি, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সৌমেন দাশ ও সৈয়দা জান্নাতুস সাবা, ত্রিপলি বিভাগের দ্বিপ সরকার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের মো. আমজাদ পাটোয়ারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাউসার আলী, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি, স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শতাপর্না দাশ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মিতালী সিনহা, বাংলা বিভাগের কান্তা ভৌমিক, অর্থনীতি বিভাগের মাহফুজা খাতুন রিমা, ইংরেজি বিভাগের তাসনিম সুলতানা ডেইজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শামীমা বেগম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল বাসিত, সমাজকর্ম বিভাগের ফারাহ তাসনিম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের খাইরাতুন হিসান তন্নী।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। মুজিব শতবর্ষকে সম্মানিত ও স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা থেকে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২২২তম সভা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের ১৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
১০৫৪ দিন আগে
‘গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডার অ্যাওয়ার্ড’পেলেন তরুণ লেখক আলতামিশ নাবিল
২০২২ গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডারশিপ সামিট এর ‘গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন তরুণ লেখক, নির্মাতা ও টেক ইভানজেলিস্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রয়্যাল থাই আর্মি ক্লাবে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৪ থেকে ২৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশটির অধিক দেশ থেকে তরুণ নেতারা এই সামিটে অংশ নেয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইয়্যুথ পার্লামেন্ট এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস পিসকিপারস ফেডারেল কাউন্সিলে আয়োজনে বাংলাদেশের যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ নাবিলকে এই অবদানে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউএনবির প্রতিনিধি মো. আরজু
পুরস্কার প্রসঙ্গে আলতামিশ ইউএনবিকে নাবিল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্জিত জীবনের সকল স্বীকৃতিই ভীষণ অনুপ্রেরণার। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটি সামনের দিনে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে মাথায় রেখে যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধি এবং সমাজের নানা অসুবিধা-অসঙ্গতি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে।’
আলতামিশ নাবিল নিয়মিত লেখালেখি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বর্তমানে মিয়াকি নামে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজড সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট শাখার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বি. পজিটিভ ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা।
আরও পড়ুন: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে তার লেখা বেশকিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, কন্টেন্ট রাইটিং অ্যাপ্লিকেশন মনিটাইজেশনসহ নানা যুগোপযোগী বিষয়ে সারাদেশে যুবদের জন্য নানা কর্মশালা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১২৫৬ দিন আগে
২০ বিভাগে দেয়া হলো ‘টিএম রেকর্ডস-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০’
প্রতি বছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ‘সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড’। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপের কারণে ভাটা পড়েছিল এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। তবে এবার পুরোনো উদ্যমে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের 'হল অব ফেম'-এ আয়োজিত হয় ‘টিএম রেকর্ডস-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং গানবাংলা টিভির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী ও গানবাংলা টিভির সিইও কৌশিক হোসেন তাপস। অতিথিদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিজেএফবির প্রধান উপদেষ্টা এনাম সরকার, সভাপতি তামিম হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ।
১৪৪১ দিন আগে
সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ ডিসেম্বর
দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (সিজেএফবি) উদ্যোগে আগামী শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে 'সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০'বিতরণ অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম-এ অনুষ্ঠিত হবে সিজেএফবি'র এই ২০তম আসর। বিগত সময়ের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশ-সেরা তারকাদের উপস্থিতিতে উদযাপিত হবে অনুষ্ঠানটি। থাকবে সেরা তারকাদের পারফরমেন্স।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
চলচ্চিত্র,সঙ্গীত ও টেলিভিশন মাধ্যমে বছর সেরা তারকাদের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে সংগঠনের সদস্যদের জরিপে এই পুরস্কার দেয়া হবে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। পুরস্কার প্রদানের মাঝে মাঝে থাকবে দেশসেরা তারকাদের পারফরমেন্স। এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা ও বিশেষ বিভাগে দুটি পুরস্কারসহ ২০ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোট ৬০ জন।
সংগঠনের বিশেষ বৈঠকে রবিবার সকালে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এ বছর মনোনয়ন পেলেন যারা
সঙ্গীত বিভাগ
সেরা গায়ক: ইমরান মাহমুদুল (তুই কি আমার হবি রে), তানজীব সারোয়ার (ডুবে ডুবে), মিনার রহমান (কেউ কথা রাখেনি)
সেরা গায়িকা: মিলা (আইসসালা), ঐশী (মেঘের বাড়ি), কণা (তুই কি আমার হবি রে)
সেরা সঙ্গীত পরিচালক: সাজিদ সরকার (ডুবে ডুবে), প্রীতম হাসান (ভেঙে পড়োনা এভাবে), হৃদয় খান (আবারও)
সেরা গীতিকার: তানজীব সারোয়ার (ডুবে ডুবে), কবির বকুল (তুমি আমার জীবন), রাকিব হাসান রাহুল (সুন্দর মানুষ)
সেরা ব্যান্ড: নেমেসিস, আর্টসেল, এভয়েড রাফা
সেরা ফোক সিঙ্গার: শফি মণ্ডল (গুরুসাধন), পারভেজ (নক্ষত্র), মমতাজ (মানুষগাড়ি)
আরও পড়ুন: বেঙ্গল শিল্পালয়ে ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব
চলচ্চিত্র বিভাগ
সেরা অভিনেতা: শাকিব খান (শাহেনশাহ), সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী), নিরব হোসেন (হৃদয় জুড়ে)
সেরা অভিনেত্রী: পরীমণি (বিশ্বসুন্দরী), শবনম ইয়াসমিন বুবলি (বীর), নুসরাত ফারিয়া (শাহেনশাহ)
সেরা পরিচালক: চয়নিকা চৌধুরী (বিশ্বসুন্দরী), কাজী হায়াত (বীর), ফখরুল আরেফিন খান (গন্ডি)
সেরা চলচ্চিত্র: বীর, শাহেনশাহ, বিশ্বসুন্দরী
টেলিভিশন বিভাগ
সেরা অভিনেতা: তাহসান খান (মুখ ও মুখোশের গল্প), জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (মিস্টার অ্যান্ড মিসেস চাপাবাজ), আফরান নিশো (গজদন্তিনী)
সেরা অভিনেত্রী: মেহজাবীন চৌধুরী (ফটোফ্রেম), তানজিন তিশা (হঠাৎ দেখা), তাসনিয়া ফারিন (যে শহরে টাকা ওড়ে)
সেরা অভিনেতা (ক্রিটিক): চঞ্চল চৌধুরী (ছুটি), নুসরাত ইমরোজ তিশা (মুখ ও মুখোশের গল্প), মোশাররফ করিম (যে শহরে টাকা ওড়ে)
সেরা উদীয়মান অভিনেতা: শামীম হাসান সরকার (ফ্যামিলি ক্রাইসিস), মুশফিক আর. ফারহান (ক্রাশ), জিয়াউল হক পলাশ (ব্যচেলর পয়েন্ট)
সেরা উদীয়মান অভিনেত্রী: কেয়া পায়েল (হয়ত তোমারই জন্য), সানজানা সরকার রিয়া (ব্যাচেলর পয়েন্ট), সারিকা সাবা (ফ্যামিলি ক্রাইসিস)
সেরা নাটক (ধারাবাহিক): ব্যাচেলর পয়েন্ট (ধ্রুব টিভি), ফ্যামিলি ক্রাইসিস (সিনেমাওয়ালা), নোয়াশাল (বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড)
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় কনসার্ট ‘ঢাকা রক ফেস্ট ২.০’ হবে ২৩ ডিসেম্বর
সেরা নাটক (একক): টাকলা (মোশন রক), ভুল এই শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল (সিএমভি), আপা (ব্লাক অ্যান্ড হোয়াইট)
সেরা পরিচালক: কাজল আরেফিন অমি (ব্যচেলর পয়েন্ট), মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ (ফ্যামিলি ক্রাইসিস), মীর সাব্বির (নোয়াশাল)
সেরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম
সেরা ইউটিউবার: তৌহিদ আফ্রিদী, রাবা খান, সালমান মুক্তাদির
১৪৪৫ দিন আগে
‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ২০ ডিসেম্বর
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ (জেবিওয়াইএ) আগামী ২০ ডিসেম্বর (সোমবার) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত অবিস্মরণীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র স্মরণে প্রতি দুই বছরে একবার এ পুরস্কার দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবছর ব্যবধান কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ইয়াং বাংলার সূত্র জানায়, বিচারকেরা এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেছেন, তরুণ অর্জনকারীরা শুধু দেশকেই না, বিশ্বকেও পরিবর্তনের সম্ভাবনার অধিকারী বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
ইয়াং বাংলা পুরস্কারের জন্য প্রায় ৭৫০টি যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থা থেকে আবেদন পেয়েছে। সেখান থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে তারা ১৫টি সংস্থাকে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার দেবে।
সিআরআই এর তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান 'জয় বাংলা'র নামে চালু করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম বাংলাদেশ কউচার উইক
প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
১৪৪৮ দিন আগে
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
বাংলাদেশে করোনা ও ডেঙ্গুর খবর নিয়ে ভারাক্রান্ত মিডিয়া কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে পরীমণিকে একটা অ্যাওয়ার্ড দিতে চায়, এরকম শোনা যাচ্ছে! এটি হয়তো গুজব। তবে এটি ঠিক যে তিনি না থাকলে মিডিয়া কী নিয়ে রিপোর্ট করতো? ধন্যবাদ পরীমণি আপা! কতগুলো লোকের চাকরি টিকলো। না হলে করোনার সংখ্যা রিপোর্ট করে আর কতদিন পাবলিক ভুলানো যায়!
সংখ্যা রিপোর্টিং কি?
করোনার অনেকগুলো উপসর্গের একটি এটি। প্রতিদিন কতজন শনাক্ত হলো, কতজন মারা গেলো এবং এটি সপ্তাহ, মাস , তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিনা। ব্যাস! রিপোর্টিং হয়ে গেলো, আর কিছু লাগে না।
আর যদি আরেকটু উন্নত রিপোর্ট করতে হয় তাহলে দুই এক্সপার্টকে ফোন দেয়া হবে। তারা একটা মতামত দেবেন এবং ওই সংখ্যা রিপোর্ট তখন হালাল রিপোর্ট হয়ে যাবে। ঘর থেকে নড়তেও হবে না।
শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ার দোষ কী? গোটা সেক্টরেই চলছে এই সংকট। সাংবাদিকের চেয়ে পত্রিকার সংখ্যা বেশি হলে এটা হতে বাধ্য। যেন পত্রিকা বের করাটাই প্রধান কথা, কী লেখা বা বলা হচ্ছে, সেটা নয়।
লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান?
পরীমণিদের সম্পর্কে যে রিপোর্টগুলো হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে ঢাকার বিত্তবান শ্রেণির সন্তানরা অনেকেই এই নারীকুলের বন্ধু-বান্ধব ছিল। তাদের বাসাতেই তারা আসতো, মদ-ইয়াবা সেবন করতো এবং তার ফলে ‘দুর্বল’মুহূর্তে কী সব হতো! যে দৃশ্য ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। তাই ধারণা করা যায় যে এটা বড়লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান। তবে এটা হতেই পারে। বাংলাদেশের ফিউচার এই সব তরুণদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তিত তো হবেনই!
তবে একটি রিপোর্ট এসেছে যাতে বলা হচ্ছে কোন এক ব্যাংকের প্রধান ওই সব পার্টিতে গিয়ে ‘দুর্বল’ হয়ে যান এবং যথারীতি ছবিসহ দাবিনামা পান। তিনি অভিযোগ দেন এবং তারপরই সিদ্ধান্ত হয় অভিযান চালানোর। তারপরের ঘটনাপ্রবাহ আমরা সবাই জানি।
তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
পরীমণির ওপর যত রিপোর্ট হয়েছে, সেটা মিডিয়ার কাটতি বাড়িয়েছে। হিট বাড়ছে মানে ভালো নিউজ পোর্টাল। সেটা না হয় হলো, কিন্তু ‘পরীমণিরা কত খারাপ’ সেটা প্রমাণ করাই যদি রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য হয়, তাহলে বলব পাবলিক খায় নাই। বরং পাবলিক জানতে চায় যারা মনোরঞ্জিত হতে এই মেয়েদের কাছে যেতেন তারা কারা?
একটি পত্রিকায় ৮টি রিপোর্ট পাওয়া গেলো। মানুষ গিলছে কারণ তার মধ্যে আছে ‘যৌনতার সুড়সুড়ি’, নিষিদ্ধ জীবনের সংবাদ এবং নেশার মাল-মশলা। এতে কি খুব একটা খাটতে হচ্ছে? পুলিশ বা অন্য যারা, তারাই তো সব তথ্য দিচ্ছে, তাদের ভাষ্যই তো কোন রকম ক্রসচেক ছাড়াই গণমাধ্যমে দেদারছে প্রকাশ হচ্ছে। তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
আমাকে আজ একজন ফোন করে জানতে চাইলো, ‘পরীমণি নিয়ে যা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে আপনার কী মত?’ উত্তরটাই এখানে লিখলাম। তাই বলছি পরীমণিকে একটা মেডেল দেয়া উচিত, আমাদের সাংবাদিকদের কাজটা আরও অনেক সহজ করে দেয়ার জন্য। মাঠে যাবার কী দরকার, যখন সব খবর বাসায় আসে!
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
১৫৮০ দিন আগে