গৃহকর্মী নির্যাতন
উন্নয়নের পদযাত্রায় আজও আড়ালে উপেক্ষিত গৃহকর্মীরা
ঢাকার অসংখ্য বাড়ির উঁচু দেওয়ালের আড়ালে ঢাকা পড়ে আছে এক অদৃশ্য পরিশ্রমী শ্রেণি; তারা নিরলসভাবে দিনরাত খেটে চলেছেন। তাদের শ্রম স্বীকৃত নয়, নিয়ন্ত্রিত নয় এবং সুরক্ষিতও নয়।
যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা গৃহকর্মী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, আবার কিশোরীও হয়ে উঠতে না পারা অনেক মেয়ে রয়েছে। তারা রান্না করেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন, শিশুদের দেখাশোনা করেন— মানুষের বাসার এমন অসংখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তবে সমাজে তাদের এই অবদান উন্নয়ন কিংবা শ্রমিক অধিকারবিষয়ক বৃহত্তর আলোচনায় বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়।
এই তো গত ১৬ জুন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক গৃহকর্মী দিবস পালিত হলো। অথচ দেশের এই শ্রমজীবী শ্রেণির অবস্থানে কোনো অর্থবহ স্বীকৃতি বা পরিবর্তন আসার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।
বাড়ছে সংখ্যা ও ঝুঁকি
সরকারি জরিপ বলছে, এই খাতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে যেখানে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া, ২০১১ সালে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস নেটওয়ার্কের (ডিআরডব্লিউএন) হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী নিয়োজিত, যাদের অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা অল্পবয়সী মেয়ে।
আরও পড়ুন: কিশোরী গৃহকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু: ক্ষোভের জন্ম, ন্যায়বিচারের দাবি
বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা আরও বিস্ময়কর। প্রকাশিত তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০৫ লাখ মানুষ বেতনভুক্ত গৃহকর্মী—যা কানাডার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান।
বাংলাদেশে এই শ্রমিকরা মাসে গড়ে মাত্র ১৫ ডলার (প্রায় ১৭৫৫ টাকা) আয় করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস)।
২০২২ সালে অক্সফামের এক সমীক্ষা জানায়, ৯৩ শতাংশ নারী গৃহকর্মী তাদের কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার, ৬১ শতাংশ মৌখিক নির্যাতন এবং ২১ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার।
নেই চুক্তি, নেই সুরক্ষা
শহুরে পরিবারগুলোতে এই গৃহকর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের অধিকাংশই কোনো আনুষ্ঠানিক চাকরির কাঠামোর আওতায় নেই। বিআইএলএসের তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশের বেশি গৃহকর্মীর কোনো লিখিত চুক্তি নেই।
১২ বছর বয়স থেকেই ধানমণ্ডির এক বাড়িতে কাজ করা ১৬ বছর বয়সী রিনা বলেন, ‘কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় নাই। ভোরে উঠি, কাজ শেষ হয় গভীর রাইতে। অসুস্থ হইলে বা সামান্য ভুল করলে গালাগালি বা মার খাই। অভিযোগ করারও কেউ নাই।’
বন্ধ দরজার আড়ালে নির্যাতন
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আবারও গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা ও অপমানের বিষয়টি সামনে এনেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গৃহকর্মীদের ওপর নিয়মিত শারীরিক নিপীড়ন, মৌখিক অবমাননা, এমনকি যৌন সহিংসতার ঘটনাও নথিভুক্ত করছে। ভয়ে, কিংবা জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনাগুলো প্রকাশ পায় না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার, সংঘর্ষ-গাড়িতে আগুন
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (এএসকে) মামলার দায়িত্বে থাকা ফারজানা আখতার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযোগ পাই, বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের কাছ থেকে যাদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শহরে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। কেউ কেউ পড়াশোনার আবার কেউ ভালো জীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসে। তবে আসার পর আটকে পড়ে শোষণ-নির্যাতনের ফাঁদে।’
গৃহকর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতা
এই অল্পবয়সী শ্রমিকদের অনেককেই শহরে আনা হয় দালালদের মাধ্যমে, অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক ‘নিয়োগ এজেন্ট’ বা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে। এরা কোনো আইনি কাঠামোর আওতায় পড়েন না, বরং কমিশন খেয়ে মেয়েদের অনিরাপদ ও অপরিচিত ঘরে পাঠিয়ে দেন।
এমনই একজন সাবেক দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন, ‘এটা এক ধরনের ছায়া বাজার। কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই, সরকারের নজরদারি নেই। চাহিদা আর যোগানের খেলা। কিছু মেয়েকে তো জিনিসের মতো হাতবদল করা হয়।’
সম্প্রতি ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি প্রশিক্ষিত গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, যারা তুলনামূলক ভালো পারিশ্রমিক দেয়। তবে এসব উদ্যোগ এখনও খুবই সীমিত।
কাগজে নীতি, বাস্তবে শূন্যতা
২০১৫ সালে সরকার ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ চালু করে। ওই নীতিতে ন্যূনতম মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটির ব্যবস্থা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আইনি অভিযোগের সুযোগের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার বাস্তবায়ন কার্যত শূন্য। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাভুক্ত না করায় এই নীতি মেনে চলার জন্য নিয়োগকর্তার ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমা আক্তার বলেন, ‘কেবল আলাদা একটি নীতিই যথেষ্ট নয়। আইনগত বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োগ ছাড়া কিছুই বদলাবে না।’
এ কারণে অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই গৃহকর্মকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে দাবি জানিয়ে আসছেন।
বিপদের মুখে একটি প্রজন্ম
আইনি ও অর্থনৈতিক লড়াইয়ের বাইরেও এই অনিয়ন্ত্রিত খাত আরও গভীর প্রভাব ফেলে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
শিক্ষা ও সহায়তার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার শিশু অল্প বয়সেই শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, যা দারিদ্র্যের চক্রকে আরও জটিল করে তোলে।
১৪ বছর বয়সী মুন্নি তৃতীয় শ্রেণি পড়ার পর স্কুল ছেড়েছে। সে বলে, ‘আমি শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি অন্যের সন্তান সামলাই, আর আমার নিজের বাচ্চা গ্রামে আমার মায়ের কাছে রয়েছে।’
সম্প্রতি ১৫ বছর বয়সী আরেক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার কর্মস্থলের সামনে থেকে; এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তাছাড়া, বহু গৃহকর্মীর সন্তান বড় হয় তার মায়ের থেকে দূরে কোনো গ্রাম বা বস্তিতে। বিষয়টি আর্থিক কষ্টের পাশাপাশি গৃহকর্মীদের মানসিক চাপও বাড়ায়।
এমন প্রেক্ষাপটে দেশ যখন উন্নয়নের পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে, তখন প্রশ্ন থেকে যায়— কার উন্নয়ন?
যতদিন না প্রতিদিন লাখ লাখ পরিবারকে সচল রাখা গৃহকর্মীদের আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদার আওতায় আনা হবে, ততদিন এই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থেকে যাবে অসম্পূর্ণ ও কষ্টদায়ক।
১৬৩ দিন আগে
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
নাটোরে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক সিআইড কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকায় কর্মরত সিআইডির এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম। তিনি নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদোল এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিনের কিশোরী কন্যা শ্যামলীকে গৃহকর্মী হিসেবে তাদের কাছে রেখে দেন।
তিন বছর তাদের কাছে থাকা অবস্থায় নানা শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় শ্যামলীর ওপর। শ্যামলীর মায়ের চাপের মুখে বুধবার বিকালে পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য শ্যামলীকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যায় সুমি বেগম।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
মাকে কাছে পেয়ে শ্যামলী তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিতে শুরু করলে সুমি বেগম জোর করে শ্যামলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ
এসময় চিৎকার চেঁচামেচির এক পর্যায়ের স্থানীয় লোকজন জড় হয়ে সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নানা দেনদরবারের পর মধ্যরাতে শ্যামলীর মা নার্গিস খাতুনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগমকে।
১৫৪৮ দিন আগে
চট্টগ্রামে গৃহকমী নির্যাতন, নারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার রেনু নামে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোরী গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি মাথার চুল কেটে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
ভিকটিম কিশোরীর পুরো শরীরেই নিযাতনের চিহ্ন রয়েছে। চোখ মুখ থেকে শুরু করে গলা, হাত-পিঠ শরীরের কোনও অংশেই বাদ যায়নি নির্যাতন থেকে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পেটানো হতো তাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীসহ শাবির শিক্ষক গ্রেপ্তার
নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, কাজল দেওয়ায় চোখে মেরেছে আর গলায়ও আঘাত করেছে। গলায় দাগও রয়েছে।
নাহিদা আকতার রেনু নামের ওই নারী চিকিৎসকের শিশু সন্তান গৃহপরিচারিকা কিশোরীর মাথায় হাত লাগিয়ে সেই হাত পুনরায় মুখে দেয় বলে জোরপূর্বক তার চুলও কেটে দেওয়া হয়। সবশেষ কাজল দেওয়ার অপরাধে আঘাত করা হয় ওই কিশোরীর চোখে। পরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি নারী চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীতে দম্পতি আটক
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ শোনা মাত্র আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে অভিযুক্ত ডাক্তার নাহিদা আকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।’
নির্যাতনে অসুস্থ কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রাতে গৃহকর্মী তাসলিমার বাবা আব্দুল গণি একটি মামলা দায়ের করেন।
১৫৯৬ দিন আগে
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীতে দম্পতি আটক
রাজধানীর তোপখানা সড়কের একটি বাসায় ১২ বছর বয়সী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে শনিবার রাতে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন মোহাম্মদ তানভীর আহসান ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে জোড়া খুন: ‘গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন শিক্ষিকা!’
শনিবার রাতে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল এই দম্পতিকে আটক করে এবং শিশুটিকে বাসা থেকে উদ্ধার করে।
সুইটি নামের গৃহকর্মী শিশুটি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার বাসিন্দা। শিশুটি নয় মাস ধরে সেখানে কাজ করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে কর্মরত নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা চায় বাংলাদেশ
শনিবার ওই বাসার এক প্রতিবেশী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের আঘাতের চিহ্নসহ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
একজন সাংবাদিক এই পোস্টটি দেখে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস শাখায় পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
ফেসবুকে পোস্টের দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।
১৬১৪ দিন আগে
শিশু নির্যাতন: ট্রমা বিশেষজ্ঞ সিএইচ রবিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) অর্থোপেডিক ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ ডা. সিএইচ রবিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নির্যাতিত গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈ (১১) এর চাচা তপন বাড়ৈ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলার উপজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান।
১৭৪১ দিন আগে
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৭৯০ দিন আগে
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীসহ শাবির শিক্ষক গ্রেপ্তার
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৯৫৩ দিন আগে
মানবাধিকার কমিশন গৃহকর্মী খাদিজার মানবাধিকার রক্ষায় ব্যর্থ: হাইকোর্ট
মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার মানবাধিকার রক্ষায় ও প্রতিকার দিতে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ এবং আইনি অবহেলার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করে হাইকোর্ট।
১৯৮৯ দিন আগে