বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই উপজেলার ফেনী-পরশুরাম সড়কটিও পানিত ডুবে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ বিষয়ে ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, বিকালে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
এর আগে ১ জুলাই টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিতে ভেসে যায় কয়েকশত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয় জমির ফসল ও সড়ক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
ফরিদপুরে আবারও ভেঙে গেছে শহররক্ষা বাঁধ
ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার বিপদসীমরা ১১৯ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে নওগাঁয় ২২ গ্রাম প্লাবিত
নওগাঁর মান্দা ও আত্রাই উপজেলায় নতুন করে আরও ছয়টি স্থানে আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত ২২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামে হুমকির মুখে বাঁধ, ২০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
ধরলা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার।