বিটিআরসি
ফোরজির সর্বনিম্ন গতি হবে ১০ এমবিপিএস, সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিম্নমানের হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি নতুন কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক তৈরি করা হয়েছে। গত সপ্তাহের বিটিআরসি কমিশন মিটিংয়ে মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন এবং আইএসপি সেবাদাতাদের জন্য এটি পাস হয়।
নতুন এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালায় ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে। তদারকি বাড়াতে বিটিআরসি প্রতি মাসে আগের মাসের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স এবং হেলথ চেক করবে, যা সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।
রোববার (৩১ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে এই চর্চাটা নতুন। টেলিকম সেবার মান নিশ্চিত করতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা একটা আন্তর্জাতিক চর্চা। এতে ড্রাইভ টেস্ট মানদণ্ডে অপারেটরদের ফোরজি সেবার সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস থাকতে হবে। কমানো হয়েছে কলড্রপের সর্বনিম্ন হার। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে সেবার বিভিন্ন মানদণ্ড সূচক। এসব মানদণ্ডে অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
তার মতে, আগের কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক খুব বাজে ছিল, যা সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হয়েছে। শিগগির হালনাগাদ এ নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফোরজিতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ করেনি। ফলে সেবার মান নিম্নমুখী। এর উত্তরণে নতুন লাইসেন্স পলিসিতেও ‘লাইসেন্স অব্লিগেশন’ এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) বেঞ্চমার্ক টেলিযোগাযোগ খাতে নাগরিকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে সেবাদাতাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে সেবার মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: স্টারলিংকের ইন্টারনেট নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
সংশোধিত কিউওএসে কী আছে, তা উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, নেটওয়ার্ক পর্যায়ে কল সেটআপ সাকসেস রেটের হার অন্তত ৯৯ শতাংশ হতে হবে, আর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তা ৯৮ শতাংশ।
- কলড্রপের হার টুজি নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ এবং উপজেলা পর্যায়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ -এর মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
- ডেটা সেবায় ফোরজি সংযোগ সফলতার হার ৯৯ শতাংশ এবং জেলা পর্যায়ে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ থাকতে হবে।
- গড় ব্যবহারকারী ডাউনলোড গতি নেটওয়ার্ক পর্যায়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ এমবিপিএস এবং জেলা পর্যায়ে ২ দশমিক ৫ এমবিপিএস হতে হবে।
- ড্রাইভ টেস্টে ভয়েস সেবায় কল সেটআপ সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ বা তার বেশি, কলড্রপ (অটোমোড) ২ শতাংশের মধ্যে এবং ভোল্টির (ভয়েস ওভার এলটিই প্রযুক্তি) জন্য গড় ব্যবহারকারী মান সূচক ন্যূনতম ৩.৫ হতে হবে।
- ডেটা সেবায় ডাউনলোড স্পিড সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস এবং আপলোড ২ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেবার মান তদারকিতে মাসিক রিপোর্টিং
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অপারেটরদের এখন থেকে প্রতি মাসে তাদের নেটওয়ার্কের মানসংক্রান্ত মূল সূচক (কেপিআই) জমা দিতে হবে। এসব সূচক মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—অ্যাক্সেসিবিলিটি, রিটেইনেবিলিটি ও নেটওয়ার্ক ইনটিগ্রিটি।
১. অ্যাক্সেসিবিলিটি (নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও কল সেটআপ)
এই সূচকগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাবে গ্রাহকেরা কতটা সফলভাবে নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারছেন এবং কল সেটআপ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কল সেটআপ সাকসেস রেট (টুজি ও ফোরজি-ভোল্টি), পেজিং সাকসেস রেট, আর ইআরএবি সেটআপ সাকসেস রেট। এ ছাড়া, যেখানে এই হার ৯০ শতাংশ বা ৭০ শতাংশের নিচে নেমে আসে, সেই সব খারাপ সেল আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে।
২. রিটেইনেবিলিটি (সংযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা)
এই সূচকগুলোতে দেখা হবে কল বা ডেটা সেশন শুরু হওয়ার পর তা কতটা স্থিতিশীল থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কলড্রপ রেট (২জি ও ৪ জি), ভোল্টি অস্বাভাবিক বিচ্ছিন্নতার হার, এলটিই নন-রিটেইনেবিলিটি, এসআরভিসিসি সাকসেস রেট এবং হ্যান্ডওভার সাকসেস রেট।
৩. নেটওয়ার্ক ইনটিগ্রিটি (নেটওয়ার্কের সার্বিক দক্ষতা-ক্ষমতা)
এখানে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো কতটা কার্যকরভাবে কাজ করছে, তা দেখা হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি বেস স্টেশনে এলটিই পিআরবি (ফোরজি রেডিও নেটওয়ার্ক রিসোর্স) ব্যবহার হার, ব্যবহারকারীর আপলিঙ্ক থ্রুপুট (এমবিপিএস) এবং সিকিউআই/আরএসআরকিউ মান অনুযায়ী ‘খারাপ স্যাম্পল’-এর শতকরা হার।
বিটিআরসি সব সূচকের ফলাফল মাসভিত্তিক গড় করে নেটওয়ার্ক, জেলা ও উপজেলা স্তরে আলাদা আলাদাভাবে জমা নেবে। পাশাপাশি, সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা ৫০টি সেলের আলাদা তালিকা জমা দিতে হবে, যেখানে অ্যাক্সেসিবিলিটি ও রিটেইনেবিলিটি সূচক দুর্বল।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে
বিশেষ সহকারীর মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে দুর্বল এলাকাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। বাধ্যতামূলক মাসিক রিপোর্টিংয়ের ফলে অপারেটরদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে সেবার মান বজায় রাখতে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায় যেখানে এখনো দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ঘনঘন কল ড্রপ নিয়ে অভিযোগ বেশি।
সংশোধিত এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) ফিক্সড ইন্টারনেট ও টেলিফোনি এবং এনটিটিএনদের জন্য করা হয়েছে। ফিক্সড ইন্টারনেট ও টেলিফোনিতে ফিক্সড টেলিফোন সেবায় কলড্রপ ১ শতাংশের মধ্যে, কল সেটআপ সাফল্যের হার ৯৯ শতাংশের বেশি এবং কল সংযোগ সময়) ৬ সেকেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
এখানে ইন্টারনেট সেবায় লোকাল ট্র্যাফিকের সংযোগ সময় সর্বোচ্চ ২৫ এমএস, ডেটা হারানোর হার ১ শতাংশের মধ্যে এবং নেটওয়ার্কের প্রাপ্যতা ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি হতে হবে। গ্রাহকের প্রান্তে ডাউনলোড-আপলোড স্পিড সাবস্ক্রাইব করা গতির অন্তত ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে।
এনটিটিএন অপারেটরদের ক্ষেত্রে ডেটা হারানো সর্বোচ্চ ০.০১ শতাংশ, ল্যাটেন্সি ৫ এমএস এবং সংযোগের জিটার ৩ এমএসের মধ্যে রাখতে হবে। ফাইবার নেটওয়ার্কে সেবার সমস্যা মেট্রো (মহানগর) এলাকায় ৪ ঘণ্টা এবং গ্রামীণ এলাকায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করতে হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, কিইওএস অনুযায়ী গ্রাহক অভিযোগ সমাধানে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে বিটিআরসি। নেটওয়ার্ক-সম্পর্কিত নয় এমন অভিযোগ ২৮ দিনের মধ্যে শতভাগ সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহকসেবা সেন্টারে আসা ৯০ শতাংশ কল ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে এবং সব কল ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে রিসিভ করতে হবে।
৯৫ দিন আগে
টেলিকম খাতের নতুন নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ বিএনপির
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রস্তাবিত ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একতরফাভাবে এমন একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা ঠিক হবে না বলে মনে করছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, এই সময়ে এসে—বিশেষ করে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে—জাতীয়ভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতি একতরফাভাবে প্রণয়ন করা ঠিক হবে না বলে মনে করে বিএনপি। এই নীতিমালার কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও এতে বড় মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। যা দেশের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে তড়িঘড়ি করে নীতিমালা প্রণয়ন গ্রহণযোগ্য নয়। একটি নীতিমালা তখনই সঠিক হয়, যখন তা আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণের পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রণয়ন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই নীতিমালা কার্যকর করার আগে আর্থিক ও সামাজিক বিশ্লেষণ এবং অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে। নয়তো, এটি দেশের টেলিকম খাতকে অসম প্রতিযোগিতা ও আর্থিক বৈষম্যের পথে ঠেলে দেবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির নামে যদি বড় করপোরেট স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ জনগণ ও দেশের স্থানীয় প্রযুক্তি খাত দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
১৫৪ দিন আগে
স্টারলিংককে লাইসেন্স দিয়েছে বিটিআরসি
নন জিওষ্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ, লিমিটেডের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ‘ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স’ ও ‘রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স’ নামে দুটি পৃথক লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।
সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিটিআরসি থেকে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে এই লাইসেন্স দুটি হস্তান্তর করা হয়। প্রথম লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসি’র লাইসেন্সিং বিভাগ হতে।
এই লাইসেন্সের মাধ্যমে স্টারলিংক বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
দ্বিতীয় লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে। এটির আওতায় ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য অনুমোদিত তরঙ্গ ব্যবহার করাসহ বেতার যন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ আমদানি, ও ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স পেল স্টারলিংক
প্রথম লাইসেন্সটি লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মো. তৌফিকুল ইসলাম স্টারলিংক গ্লোবাল লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্কেট এভিয়েশনের পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টারের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু ও উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম।
২১৯ দিন আগে
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিটিআরসি
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার প্রস্তাবকে গ্রহণ করেনি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।
সম্প্রতি ভারতের এক প্রস্তাবের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন না হলে এতদিনে হয়তো ট্রানজিটের অনুমোদন পেয়ে যেত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশন্স ও ফাইবার অ্যাট হোম এবং ভারতের টেলিকম অপারেটর ভারতীয় এয়ারটেল সম্মিলিতভাবে এই ব্যান্ডউইথ অবকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেসময় এই প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের দাম কমাতে বিটিআরসিকে প্রস্তাব দিল আইআইজিএবি
প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নে ভারতীয় এয়ারটেল এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়। পরে তা যাচাই করতে বিটিআরসিতে পাঠানো হয়েছিল।
সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম আখাউড়া সীমান্তে টেরেস্ট্রিয়াল কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন (টিসিএলএস) স্থাপন করবে এমন পরিকল্পনা ছিল। এই টিসিএলএস থেকে ফাইবারের মাধ্যমে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযোগ দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে সেবা সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। আর সীমান্তের টিসিএলএস থেকে ভারতীয় এয়ারটেল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যান্ডউইথ নিয়ে এই ট্রানজিটে বাংলাদেশের তেমন কোনো লাভ নেই। শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী সামিট এবং ফাইবার অ্যাট হোমের কিছু ব্যবসা হতো। ভারতের এতে লাভ হতো। কারণ, এখন ভারতের সেভেন সিস্টার্স থেকে চেন্নাই সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশনের দূরত্ব ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার, এখান থেকে সিঙ্গাপুরের দূরত্ব আরও ৮ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া দুর্গম পর্বতের কারণে ভারতের ভেতর দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছানো ও রক্ষণাবেক্ষণ মুশকিল ও ব্যয়বহুল। দীর্ঘ দূরত্বের কারণে ল্যাটেন্সি (ইন্টারনেট গতি) হয় ৫৫ মিলিসেকেন্ড, যা সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ৮৭ মিলিসেকেন্ড। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পেলে নেটওয়ার্কের দূরত্ব কমে যাবে ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এবং সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ল্যাটেন্সি কমে যাবে ৩৭ মিলিসেকেন্ড।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
৩৬৭ দিন আগে
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বিটিআরসিকে প্রস্তাব দিল আইআইজিএবি
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আইআইজি খাত সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের (আইআইজিএবি) পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে গত ২৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যমান বাজারমূল্যের চেয়েও বিভিন্ন স্ল্যাবে দাম কমিয়ে বিটিআরসিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজিএবির প্রস্তাবিত ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে আইএসপিগুলো প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা (বিভিন্ন স্ল্যাবে) কমাতে বা গ্রাহকের কাছ থেকে কম রাখতে পারবে। এতে করে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ কমবে।
জানা গেছে, সরকারও ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৪ নভেম্বর) একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ-উল বারী জানান, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে।
এমদাদ-উল বারী বলেন, ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি সহজ হতে পারে।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ব্যবহারকারী বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সরকারও চাইছে ইন্টারনেটের দাম কমাতে। সরকারের সঙ্গে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজি খাতে ব্যান্ডউইথ (বিভিন্ন স্ল্যাবে) যে মূল্য বিক্রি হচ্ছে সেই দর নির্ধারণ হয়েছে ২০২১ সালে। ৩ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও সেই দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য রিভিউয়ের সময় হয়েছে। মূল্য রিভিউ হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
৩৯৩ দিন আগে
ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। এখনই নতুন করে আর কোনো এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স দেওয়া হবে না। টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফ্রেন্ডলিতে যাব।’
এমদাদ উল বারী বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে।’
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল অপারেটররা মাত্র ৩০ শতাংশ টাওয়ারকে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ফলে গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী কমন নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেছে মোবাইল অপারেটররা।
‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধে রাশেদ মেহেদী বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গিয়েছে। এই নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার. রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার্স সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান ও আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
৩৯৫ দিন আগে
সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যাহত: বিটিআরসি
চলমান সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
শনিবার বিটিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সংঘর্ষে স্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে আগুনের ঘটনার ফলে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেটের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬টি টাওয়ার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
এতে আরও বলা হয়, জেলায় রবির প্রায় ১৫০টি টাওয়ার রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলমান থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সেসব টাওয়ার মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রবি ১৪টি টাওয়ার সচল করতে পেরেছে এবং দুটি টাওয়ার এখনো মেরামত করা যায়নি। শিগগিরই সবগুলো সাইট সচল করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় টেলিটকের ৭২টি টাওয়ার রয়েছে। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৩টি ও অন্যান্য কারণে আরও ৬টিসহ মোট ২৯টি টেলিটকের টাওয়ার বর্তমানে অচল রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল রয়েছে বলে দাবি বিটিআরসির। তবে কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় স্বল্পসংখ্যক গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বএল জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলাকায় আিইএসপি অপারেটরদের ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন ও জেনারেটরের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এলাকাগুলোতে ক্রমান্বয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও চালু হচ্ছে।
বিটিআরসি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: বিটিআরসি-বিআইজিএফের সমঝোতা স্মারক সই
৪৩৯ দিন আগে
নতুন চেয়ারম্যান পেল বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৭(১) ও ৯ (২) অনুযায়ী এমদাদ উল বারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে এই নিয়োগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে বিটিআরসির শোকজ, জরিমানা হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা
এতে আরও বলা হয়, যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন ক্যাটাগরিতে বিটিআরসির কমিশনার পদে নিয়োগ করে চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয় তাকে।
এর আগে এমদাদ উল বারী বিটিআরসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
এরপর গত ১৯ আগস্ট বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
৪৫০ দিন আগে
বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলার ১৩ হাজার ৪৯১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ১ হাজার ২৩৫টি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার অপারেটরদের পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সরঞ্জাম, জেনারেটর এবং জ্বালানি বহনের জন্য জাহাজ এবং স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া টাওয়ারগুলো সচল হবে না।
জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় চার্জিং সুবিধাও দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মৌলভীবাজার ও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মোবাইল অপারেটর, টাওয়ার কো-অপারেটর ও কর্তৃপক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে।
৪৬৮ দিন আগে
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ
পদত্যাগপত্রে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
মহিউদ্দিন আহমেদ ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
৪৭৭ দিন আগে