১৪৪ ধারা
ফরিদপুরে বিএনপির দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেন। তার সই করা লিখিত আদেশের একটি কপি ‘ইউএনও আলফাডাঙ্গা’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও রাসেল ইকবাল জানান, জারি করা পত্র অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে আজ (শনিবার) বিকেলে পৌর সদরের আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের।
অপরদিকে, বিকেল ৩টায় আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের আরিফুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে, গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর।
দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে দেখলাম, ঝুনু সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য মাইকিং করছে। দুই পক্ষের সমাবেশের জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এক্ষেত্রে সমাবেশ করব কি করব না, বিষয়টি জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু-সমর্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকন বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেহেতু আমরা কর্মসূচি সফল করার জন্য মাঠে থাকব।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু (ভিপি ঝুনু)।
গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পর ফরিদপুর-১ আসন (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা) এবং পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। তিনটি উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে প্রাধান্য পান কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা। এ নিয়ে নাসির মিয়া ও ভিপি ঝুনু মিয়ার মধ্যে দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অব্যাহত রাখেন ভিপি ঝুনু মিয়া। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে আলাদা আলাদা সমাবেশ ডাকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ ও ঝুনু গ্রুপ। একপর্যায়ে সমাবেশ রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনসহ দুই পক্ষের ১৫–২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রধান দুই নেতাকে আসামি করে স্থানীয় থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১৪৪ ধারা জারির ফলে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় চার বা ততোধিক মানুষের জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং ও অস্ত্র বহনসহ যেকোনো ধরণের উস্কানিমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
৬৯ দিন আগে
‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া পোস্ট করা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে দিয়ে মিছিল চলাকালে অবমাননাকর অঙ্গভঙ্গি করে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
পরে এক ভিডিওবার্তায় ইব্রাহীম নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার ও সড়ক ছেড়ে মাদরাসায় ঢুকে যাওয়ার আহ্বান জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপরও কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পর মাদরাসা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মুমিন ইউএনবিকে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরেরহাট থেকে এগারোমাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ইউএনও আরও বলেন, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রবিবার বিকেল পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল বা বিক্ষোভ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
৮৯ দিন আগে
আউলিয়াপুরে মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খাইরুল ইসলাম।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থী একটি পক্ষ ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসকনভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামের একজন সনাতন ধর্মানুসারী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘এ বছর মন্দিরের সনাতন ও ইসকনপন্থীরা শিবরাত্রি ব্রত পূজা উৎসবের প্রস্তুতি নেয়। আগের মতো এবারও উত্তেজনা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুরু করে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় সনাতন ও ইসকন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০০৯ এ হতাহতের ঘটনাও ঘটে।’
তাই শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত পূজা উদযাপনে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
২৮২ দিন আগে
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর-চাকুলিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের বসতবাড়ি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে ভুক্তভোগী মামলা করলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
তবে তা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা বসতভিটায় টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাল্যবিয়ের ভয়ে পলাতক, ২১ দিন পর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কিশোরী উদ্ধার
অভিযোগকারী পরশমণি বিশ্বাস মন্টু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তিনি মতুয়া মিশনের সাবেক যুগ্মমহাসচিব ও হরি গুরুচাঁদ শিক্ষা সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
তিনি বয়োবৃদ্ধ মা গৌরি রানী বিশ্বাসসহ তাকে মারধরের অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী সালমা খানমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিঠাপুর মৌজার চাকুলিয়া গ্রামে কবলা দলিলে কেনা ২৩ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন পরশমণি বিশ্বাস। জমির উত্তর পাশে বাস করেন জিয়াউর রহমান। ১৭ এপ্রিল বিকেলে জিয়াউর, তার স্ত্রী সালমা ও ছেলে জাহিদ হোসেনসহ ছয়-সাতজন সংঘবদ্ধভাবে দেশি ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে পরশমণি বিশ্বাসের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালান।
প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা পরশমণি বিশ্বাসসহ তার মা গৌরি রানী বিশ্বাস, প্রতিবেশী দীন ইসলাম ও তার স্ত্রী হালিমা এবং দীন ইসলামের মা কুলসুম বেগমকে মারধর করেন।
এ সময় গৌরি রানীর রান্নার চুলা ভেঙে দেয়া হয়।
পরদিন ১৮ এপ্রিল নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন পরশমণি বিশ্বাস।
বিচারক ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (এসি, ল্যান্ড) দখলবিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান এবং অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
মামলার বাদী পরশমণি বিশ্বাস বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা আমার জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছে। আমাদের মারধর করেছে।
এদিকে অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের ন্যায্য জমি বুঝে নেয়ার জন্য টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। আমরা কারোর জমি দখল করিনি।
এছাড়া আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারির পর দুইপক্ষকে সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সাপের ঝাপাং খেলা
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
৯৫৯ দিন আগে
দুর্গাপূজার আগে ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা
ঠাকুরগাঁও সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের রশিক লাল জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউএনও আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আদেশ জারি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রসিক লাল জিউ মন্দিরের জমির দখল নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকন অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মন্দির ও জমি দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘটিত এক সংঘর্ষে ফুলবাবু নামে হিন্দু সনাতন ধর্মের একজন নিহত হন। এরপর উপজেলা প্রশাসন মন্দির সীলগালা করে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বিভিন্ন পূজার আগে মন্দির দখল নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এবারও দুর্গাপূজার আগে অনুরূপ আশঙ্কা দেখা দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
১১৬২ দিন আগে
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার শরৎনগর বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শরৎনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি কোন পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের ৭-৮ দিন আগে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া ছিল। এটা আমাদের চলমান কর্মসূচি, সেটা সরকার পতনের নয়, শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি। এমন কর্মসূচিতে যদি বাধা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসভ্যতা আর কি হতে পারে?
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, বিএনপির এটা মূলত নৈরাজ্য সৃষ্টির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ভাঙ্গুড়া তো শান্তিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এখানে যেন কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা একটা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
আরও পড়ুন: পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
১১৮৭ দিন আগে
ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ এড়াতে রামগড়ে ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে একই সময়ে, একই স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পৌর শহরের মাস্টারপাড়া সিনেমাহল এলাকা থেকে পৌর ভবন এলাকায় এ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত রবিবার রাতে এ আদেশ জারি করেন। ১৪৪ ধারা জারির কারণে কোনো সভা-সমাবেশ হয়নি।
দ্রব্যমূল্যেরর ঊর্ধ্বগতি ও বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মী হত্যা, আহতের ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি সোমবার রামগড় পৌরভবন সংলগ্ন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ভূইয়ার বাসভবন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগ ওইদিন একই সময়ে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে শোক র্যালি ও আলোচনা সভার কর্মসূচি নেয়।
ইউএনও জানান, এ অবস্থায় সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসন সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে রবিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করে।
আরও পড়ুন: অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাপ্তাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি
সেনাসদস্য লাঞ্ছিত, ৩ আরএনবি সদস্য গ্রেপ্তার
১১৯৪ দিন আগে
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাপ্তাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপি ও উপজেলা ছাত্রলীগ একই জায়গায় সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা সদর বড়ইছড়ি এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এছাড়া একই স্থানে একই সময়ে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারেক জিয়ার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে জনজীবনে অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা ও আশঙ্কায় আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা সদর এবং এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল।
এ বিষয়ে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, যেকোনো নাশকতা, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাইয়ের আশেপাশে ও সমাবেশের স্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কঠোর অবস্থানে থেকে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। তবে ১৪৪ ধারা জারির কারণে সকাল থেকে কোন দল সমাবেশস্থলে আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১১৯৫ দিন আগে
নন্দীগ্রামে বিএনপির সমাবেশস্থলে আ.লীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে সকল ধরনের সভা- সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া, লোডশেডিং বৃদ্ধি ও দলীয় নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নন্দীগ্রাম উপজেলার বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপি। বিএনপির এ ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ একই সময়ে ওই স্থানে শোকসভার পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দু’দলের মাঝে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, আমরা ওসি সাহেবকে তিনদিন আগে জানিয়েছি। আমাদের সব আয়োজন শেষ। কিন্তু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় আমরা সমাবেশ করতে পারছিনা।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, শোকের মাস উপলক্ষে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকালে বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসে সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা হোসেন বলেন, সহিংসতা এড়াতে ও আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই স্থানে কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত বলেন, সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
ফেনীতে একই স্থানে বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশ ঘিরে ১৪৪ ধারা
৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিনের কর্মসূচি বিএনপির
১১৯৯ দিন আগে