পরিবহন শ্রমিক
দৌলতদিয়ায় নদীতে পড়ে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে পড়ে মো. ফিরোজ শেখ নামে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ফিরোজ শেখ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আসগর আলীর ছেলে এবং পেশায় সেলফি পরিবহনের সহকারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিবহন শ্রমিক ফিরোজ শেখ পন্টুন থেকে হঠাৎ করেই নদীতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদী থেকে ফিরোজ শেখের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাবেকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার পদ্মা নদীতে এক ব্যক্তি পড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ডুবুরি দল এসে তার লাশ উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে খবর দেই।’
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস তার লাশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করছি।
তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আহত পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে নাটোর-রাজশাহী রুটে উভয় জেলার বাস চলাচল বন্ধ
পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে রবিবার (১৫ অক্টোবর) নাটোর-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উভয় জেলার বাসমালিক-শ্রমিকরা।
এর ফলে নাটোরের কোনো মালিকের বাস রাজশাহীতে যাচ্ছেনা এবং রাজশাহীর কোনো মালিকের বাস নাটোর হয়ে ঢাকাসহ অন্য রুটেই যেতে পারছেনা। তবে এ রুটে অন্য জেলার মালিকের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এতে করে কিছুটা বাস সংকটে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
নাটোর বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালিয়া জানিয়েছেন, তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
শ্রমিক নেতারা জানান, তিনদিন আগে নাটোর মালিকের রাজকীয় পরিবহনের কর্মচারিকে রাজশাহীতে মারপিট করে সেখানকার মালিকের দ্বীপ পরিবহনের শ্রমিকরা। এর জেরে গতকাল দ্বীপ পরিবহনের কর্মচারিকে নাটোরে মারপিট করে এখানকার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কায় রবিবার সকাল থেকে উভয় জেলায় নিজেদের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক ৫ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ওসি প্রত্যাহারের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবরোধ শুরু করেন শ্রমিকরা। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে রাখেন। বিকাল ৩ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম বলেন, শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আমরা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ চন্দ্র দাশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে শ্রমিকরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে।
তিনিও ওসি মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবি করেন।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জের বাঘার ইউনিয়নের তুরুগবাঘ গ্রামের বাছন আহমদ নামের এক ব্যক্তি আমাদের একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। সোমবার (২ অক্টোবর) আহত বাছন আহমদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বাছন আহমদের পরিবারের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা হলে তারা মামলা করবেন না বলে জানান।
তারা বাছন আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের আবেদন করেন। একারণে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সইয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে দেরি করতে থাকেন।
লিলু মিয়া আরও বলেন, সোমবার ওসি সই দিতে পারবেন না বলে জানান। এর প্রতিবাদেই আমরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলাম।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাছন আহমদের ঘটনায় কোনো মামলা বা জিডি আছে কি না জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে আমাকে একটি মেইল পাঠানো হয়। আমি মেইলের উত্তরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় কোনো মামলা বা জিডি হয়নি জানাই।
তিনি আরও বলেন, এরপর শ্রমিকরা একটি লিখিত সই নিতে চায়। আমি নিহতের পরিবারের অপেক্ষায় ছিলাম। তারা আসলেই সই দিতাম। কিন্তু শ্রমিকরা ভুল বুঝে সড়ক অবরোধ করে।
বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ থাকায় শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটবল খেলার সময় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭: পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মধ্যস্থতায় বাসচালকের আত্মসমর্পণ
যশোরে যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক মিজানুর রহমান (৪২) আত্মসমর্পণ করেছেন।
শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যস্থতায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
মিজানুর রহমান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠান পাইকপাড়ার নজরুল শেখের ছেলে এবং যশোর-মাগুরা সড়কের স্থানীয় রয়েল পরিবহনের বাসচালক।
শনিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, যশোরের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সেই চালককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই দুর্ঘটনা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। তাকে রবিবার (৯ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
যশোরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, মামলা প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে ২৯ মে থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানালেও, প্রশাসন আমলে নেয়নি। তাই শ্রমিকরা মিলে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ মে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুরোধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তাদের কথা রাখেনি। তাই ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি সুজাউল কবীর, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সহ সভাপতি মো. আনেয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন মিয়া।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বৃহস্পতিবার থেকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির ডাক
বিআরটিসি বাস চলাচলের প্রতিবাদে (৯ মার্চ) বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
রবিবার (৫ মার্চ) রাতে নগরীর কদমতলীস্থ সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা।
সভায় নেতারা বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে হঠাৎ বিশৃঙ্খলভাবে বিআরটিসি বাস চালু, প্রতিদিন চারটির বেশি বাস চলাচল না করা, প্রত্যেকটি বাস আসা যাওয়া বাবদ একটি করে মোট চারটি ট্রিপ দেয়ার জন্য আমরা প্রথমে ১১ জানুয়ারি এবং পরবর্তীতে ২৩ জানুয়ারি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু কোন ফলাফল আসেনি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমরা ৩০ জানুয়ারি থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ রোডে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতির ডাক দেই। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা সেই কর্মসূচি স্থগিত করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো দাবি মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি
প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে (৮ মার্চ) আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) ভোর ৬টা থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এই সময়ে এই রুটে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এতেও সমাধান না হলে প্রথমে সিলেট জেলা এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউর কবির পলাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সামছুল উদ্দিন বাবুধন, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন লস্কর, সহ-সভাপতি রাজন মিয়া প্রমুখ।
এছাড়া সভায় বিভিন্ন রোড শাখা কমিটির মালিক-শ্রমিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার
সিলেটে তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। প্রশাসন আমাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন। রাত থেকেই যানবাহন চলবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদ্বীপ দাস বলেন, রাতে দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকের পর তারা অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। নগরের মোড়ে মোড়ে এলোপাতাড়িভাবে গাড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়েও বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মইনুল ইসলাম, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রুহুল মিয়া মইনসহ ২০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন লেগুনা শ্রমিক মো. শাহাব উদ্দিন।
মামলায় মারধর ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
দিনভর দুর্ভোগের পর মঙ্গলবার রাতে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
তিনি বলেন, প্রশাসন আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন, একইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতি স্থগিতের অনুরোধ করেছেন। তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
রাত ৮টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট: চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
বৈঠক শেষে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নেবেন এবং বুধবার থেকে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করবেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং এসএসসি পরীক্ষা ও দুর্গাপূজার কথা বিবেচনা করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত রাখছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা এবং বুধবার থেকে বিভাগের চার জেলায় এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে যানবাহনের অভাবে দূরপাল্লার যাত্রীদের পাশাপাশি নগরের ভেতরে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট: চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সিলেটের হাজারও যাত্রী।
পরিষদটি তাদের পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় ধর্মঘটের ডাক দেয়। দিন শেষে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
সকাল থেকে দূরপাল্লার একটি বাসও সিলেট ছেড়ে যায়নি বা প্রবেশ করেনি এবং শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়ায় আন্তঃজেলা পরিবহনও চলাচল করেনি। এতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবীরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েন।
এরই মধ্যে এ আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছে পরিবহন শ্রমিকদের নিবন্ধিত ছয়টি সংগঠন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, তাদের পাঁচ দফা দাবি আদায় না হলে তারা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে তারা ন্যায্য পাঁচটি দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। আমাদের একটি দাবিও আজ পর্যন্ত মানা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবির স্মারকলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সিলেট প্রশাসনের সব মহলের কাছে পাঠিয়েছি। তারপরও আমাদের কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবহন শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিআরটিসি বাস চলাচলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধা
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহমেদ জানান, তাদের পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ।
জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইলেকট্রিক রিকশা বিক্রি ও পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবিও জানিয়েছে ইউনিয়নগুলো।
আরও পড়ুন: সিলেটে মঙ্গলবার থেকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে ছয়টি নিবন্ধিত সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
কয়েকদিন ধরেই পাঁচ দফা দাবিতে নগরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনটি। দাবি পুরণ না হলে কর্মবিরতিরও হুমকি দিয়ে আসছেন সংগঠনের নেতারা। নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হওয়া মঙ্গলবার থেকে সিলেট জেলায় ও বুধবার থেকে সিলেট বিভাগে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে এই সংগঠন।
এব্যাপারে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ন্যায্য পাঁচটি দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। আমাদের একটি দাবিও আজ পর্যন্ত মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট
তিনি বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর আমরা এই দাবিগুলো জানিয়ে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে মানববন্ধন করেছি এবং গত সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় আমরা এ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
মঙ্গলবার ভোর থেকে সিলেট জেলার রাস্তায় কোনো চালক গাড়ি নিয়ে বের হবেন না জানিয়ে রাজন বলেন, বুধবার থেকে পুরো সিলেট বিভাগে কোনো গাড়ি চলবে না। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবহন শ্রমিকরাও। ফলে বুধবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ জানান, তাদের পাঁচটি দাবি হলো। ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, রেকারিং বাণিজ্য ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা আদায় বন্ধ, মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার ও অতিরিক্ত উপকমিশনারকে প্রত্যাহার; গাড়ি ফিটনেস মামলা সঠিকভাবে করা, সিলেট শ্রম আদালতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে হয়রানি বন্ধ এবং আদালত থেকে শ্রমিক প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার; হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে; সিলেটের সব ভাঙা সড়ক সংস্কার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ডাম্পিং করা গাড়ি এবং অন্য জেলা থেকে আগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সারাদিন দুর্ভোগ শেষে সিলেটে রাতে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
এদিকে, কর্মবিরতির ঘোষণা জানিয়ে সোমবার সিলেটে মাইকিংও করেন পরিবহন শ্রমিকরা।