রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ মার্চ) রাতে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ঘটনায় তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, বহিরাগত।
ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক সাত্তার এ কথা বলেন।
ভিসি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির সময় শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির জানান যে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের গুলি করতে বলেনি।’
ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার রাতে একদল যুবক রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপার আব্দুল করিম জানান, এদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কাছে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে আগুন দেয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
শনিবার স্থানীয়রা ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে এবং ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে স্লোগান দেন, বিচারের দাবি জানান।
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও পুলিশের হামলার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত করা এবং আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এসব দাবির মধ্যে ছিল।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
রামেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে রাবি প্রশাসন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকালে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক পান্ডে বলেন যে রাবি শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর কারণ তদন্তে কর্তৃপক্ষ একদিনের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলবে।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে বিলম্বের অভিযোগ করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। পরে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয় ও আনসার সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বুধবার রাতে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার মারা যায় বলে অভিযোগ উঠে।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘অধ্যাপক নওশাদ আলীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি শাহরিয়ারের মৃত্যু এবং চিকিৎসকদের দায়িত্বে কোনো ত্রুটি বা অবহেলা ছিল কিনা তা তদন্ত করবে।’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রাজশাহীর দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ছাদ থেকে শাহরিয়ার পড়ে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
ঘটনাস্থলে থাকা জাহাঙ্গীর নামে এক শিক্ষার্থী ইউএনবিকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিল না। সেখানে শুধু একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন।
এদিকে চিকিৎসক যথাসময়ে না আসায় শাহরিয়ারের সহপাঠীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। এতে শিক্ষার্থী ও মেডিকেল ইন্টার্ন এর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে রাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হামলার প্রতিবাদে ইন্টার্নরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে।
অন্যদিকে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা। রাত ২টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাসে হাসপাতাল ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাফাত নাঈম নাফিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- এনআর ছাত্রাবাসের মালিক নাজমুল এবং একই ছাত্রাবাসের দুই ছাত্র লোবান ও শরিফুল। লোবান ও শরিফুল ভর্তি পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নাফির বন্ধু শরীফ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত: দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মামলার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মেসে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
এর আগে বুধবার রাতে এনআর ছাত্রাবাস নামের একটি হোস্টেলে রাবি শিক্ষার্থী সাফাত নাঈম নাফিকে ছুরিকাঘাত করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত: দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
রাজশাহীতে এনআর ছাত্রবাস নামের একটি হোস্টেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে জেলার আমজাদার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ২০১৯-২০ সেশনের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাফাত নাঈম নাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।বেলা সোয়া ১১টায় উপাচার্যের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
তবে আগামী রবিবারের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আবার কর্মসূচি শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
একই বিভাগের ছাত্র ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম হোসেন জানান, রাবি ছাত্র শরীফ ও ছাত্রাবাসে থাকা কয়েকজন ভর্তিপ্রার্থীর মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য গতরাতে তারা এনআর হোস্টেলে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে কয়েকজন ছাত্র হোস্টেলের গেটে এসে অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নাফিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, তিনি শুনেছেন যে নামাজ না পড়ায় নাফির বন্ধু শরিফের সঙ্গে ঝগড়া করে মেসে থাকা কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থী। বিষয়টি মীমাংসা করতে নাফিসহ কয়েকজন সেখানে যান। রাতে হোস্টেলে একটি মিটিংও হয়েছিল, তখন মেস মালিকও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে, নিয়োগ জুলাইতে
নাফিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করব।
রাবিতে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মহানগর ও জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের তদারকি করার দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু প্রশাসন সেই দিকে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। ফলে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ছাত্র হিমেল মারা গেছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
মহানগর শাখার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান রাকিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রচার-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বিজন সিকদার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আহবায়ক লামিয়া সাইমন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার সদস্য কাজল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাওলাদার, জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য জহুরা রেখা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
রাবিতে ভর্তির সময় বৃদ্ধি, ক্লাস শুরু ২১ ডিসেম্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি প্রক্রিয়া ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে একাডেমিক কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
ডেপুটি রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম বলেন, সম্প্রতি বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এখন বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পেয়ে তারা নিয়মিত ভর্তি বাতিল করছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে তাই ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ২১ ডিসেম্বর থেকে প্রথম বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন
একুশে পদকপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার হাসান আজিজুল হক আর নেই। সোমবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা বিহাসে নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
হাসান আজিজুল হকের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসান মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তপু জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হাসান আজিজুল হকের মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হবে এবং দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু, আটক ৩
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন হাসান আজিজুল হক। কিছুদিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হয়। পরে আবার রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজে থেকে দর্শন-এ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন।
দেশের অন্যতম বিশিষ্ট লেখক হাসান আজিজুল হক সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়।
পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু: স্বামী কারাগারে
ফের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে পরিবার