আধিপত্য বিস্তার
বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
বাগেরহাটে মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিজুল চৌধুরী নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিঙ্গাধি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুল চৌধুরী (৪০) মোল্লাহাট উপজেলা সিংগাতি গ্রামের মোশারফ চৌধুরীর ছেলে। আহতদের মোল্লাহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সিঙ্গাধি গ্রামের এরশাদ চৌধুরী ও তার ভাইয়ের ছেলে মাসুম চৌধুরীর মধ্যে জমিজমা ও আধিপত্য নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আজিজুল চৌধুরী মারা যান।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার: সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
নিহত আজিজুল এরশাদ চৌধুরীর পক্ষের লোক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওসি জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতির শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানোর কথা বলেন তিনি।
১৮০ দিন আগে
আধিপত্য বিস্তার: সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কালনীচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খালিদ মিয়া (৪৪) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালিদ মিয়া উত্তর কালনীচর গ্রামের তেরা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ছানু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত হামিদ উল্যাহর ছেলে জুনাইদ, মৃত রুকুম উল্যাহর ছেলে আকাইদ মিয়া ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কালনীচর বাজারসহ কয়েকটি সম্পত্তি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত ১ মার্চ দুই পক্ষের বিরুদ্ধে পৃথক এ্যাসল্ট মামলা করেছে পুলিশ। মামলা ও অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বেশ কয়েকজন জামিনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: আসামিদের ধরলেও রহস্য উদঘাটন হবে কবে
বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত ১৯ এপ্রিল উপজেলা বিএনপি, গ্রামপ্রবাসী ও স্থানীয় প্রবীণদের সমন্বয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তবে শনিবার দুপুরে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আলী হোসেন জগন্নাথপুর অংশে গরু চড়াতে গেলে আব্দুল হক ছানু মিয়ার অনুসারীরা তাকে মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় অস্ত্রবিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত খালিদ মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম মিয়া ও জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
২০১৭ সালের উপজেলা নির্বাচনের সময়ও একই এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে দুই জন নিহত হন।
১৮৭ দিন আগে
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (১৭) ও রাহাত (২২) নামে ২ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে উপজেলার নজরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া রাহাত একই এলাকার রবিউল্লাহর ছেলে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে রায়পুরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নজরপুর গ্রামে আলোচিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রুবেল অনুসারী ও বাছেদ মেম্বরের অনুসারীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক তৈরি করে।
এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই রুবেলের পক্ষের সাইফুল ইসলামকে গুলি ও পরবর্তীতে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত রাহাত (২২) নামে আরেক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত হয়েছেন। পরে লোকমুখে জানতে পেরেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। লাশ ফেরত এলে নিশ্চিত হতে পারব। গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
২১৩ দিন আগে
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে মোশাররফ হোসেন (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ছয়জন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে তার বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। নিহত মোশাররফ হোসেন দিঘীরপাড় গ্রামের শমসের মোল্লার ছেলে।
আহতরা হলেন— আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাহিদ। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহম্মদ আলী বলেন, ‘দিঘীরপাড় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ শিকদার ও আবু সাঈদের দুইটি সামাজিক দল ছিল। গ্রাম পার্যায়ে তারা আলিমুদ্দীন ও আহম্মদ আলীর অনুসারী হিসেবে বিভক্ত হয়। সরকারের পতনের পর উভয় পক্ষের সামাজিক দলের সদস্যরা যুবদল নেতা শাহাবুল ও বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের দলে ভিড়ে যায় ও সামাজিক বিরোধে লিপ্ত হয়।’
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘পুরোনো বিরোধের জেরে গত ২৮ এপ্রিল একদফা মারামারি হয় ও রেজওয়ান বিশ্বাসের সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। ঘটনার দিন আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারীসহ পাঁচজনকে আহত করে।’
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে এলাকায় পুলিশ আসার খবরে আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। কিন্তু সুযোগ বুঝে আহাম্মদ আলীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আলিমুদ্ধীন পক্ষের সদস্য মোশাররফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সাতজনকে গুরুতর জখম করে।’
এর মধ্যে মোশাররফ হোসেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় খবর পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ দিঘীরপাড় গ্রাম পরির্দশ করেছেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
২১৮ দিন আগে
সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ইফতারের আগমুহূর্তে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শ্রীনাথপুর গ্রামের এলকাছ মিয়া, ইদ্রিছ মিয়া গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের মো. মুরছালিন মিয়া, মনছুর উদ্দিন ও ইয়াস উদ্দিনসহ চার গোষ্ঠীর লোকজনের (মড়লবাড়ী) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে আপস হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়নি। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৫০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৭৫ দিন আগে
ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খাইরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্যের জেরে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলছিল।
গত ২৫ জানুয়ারি ঘারুয়া ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। সমাবেশে খারদিয়া গ্রাম থেকে কৃষক দলের একটি মিছিল বের করলে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আনোয়ারের লোকজন বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উভয় দলের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে।
গতকাল (শনিবার) ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়ন খাঁ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইয়াদ আলী মীর, মন্নু ও ইউনিয়ন যুবলীগে যুগ্ম সম্পাদক চান মিয়াকে নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেন আনোয়ার।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে আনোয়ার গ্রুপের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রথমে রবিবার সকালে শরিফাবাদ বাজারে মহড়া দেয়। তখন করিম মোল্লার লোকজন ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে চলে যায়। পরে তারা কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লার বাড়ির দিকে হামলা করতে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
তখন করিম মোল্লা গ্রুপের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয় দলে চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। পরে টেটা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এ সময় উভয় দলের নারীসহ অন্তত ২২ জন আহত হন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লা বলেন, ৫ আগস্টের পরে বিএনপি নেতা আনোয়ার আওয়ামী লীগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের অত্যাচার করে। গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দল ভারি করে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে, তখন ইজ্জত বাঁচাতে তাদের ধাওয়া করা হয়।
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, নিক্সন চৌধুরীর এক নম্বর সমর্থক নিরু খলিফার লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩০৫ দিন আগে
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলী আহমদ (২৩), আলমগীর হোসেন আলম (১৯) এবং অজ্ঞাত আরেক জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ৪
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জাকির হাসান রাতুল সমর্থিত দুইজন ও আশরাফুল ইসলামের সমর্থিত একজন নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘দু’পক্ষ বাঁশগাড়িতে ঝগড়া শেষে এখন আবার মির্জাচর দিকে যাচ্ছে— এমনটা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।’
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘বাঁশগাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ইজতেমায় সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪, আহত ৪০
৩১৩ দিন আগে
ফরিদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১০
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামবাসীর সঙ্গে নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সলিথা মাদরাসায় শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামবাসীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ঘটনা ঘটে।
৩২১ দিন আগে
চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫০
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বউবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
বিষয়টি মীমাংসার কথা থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৩৫ জন চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জরুরি বিভাগ জানায়।
আহতদের দাবি, চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপি দুই শতাধিক মানুষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অনেককে বেদম পিটিয়ে ও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
সংঘর্ষে আহত চাঁদপুর পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলম খান বলেন, স্থানীয় রব মিজি ও তার ছেলে রানা মিজি এক নিরীহ ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে তাকে মারধর করেন। এ সময় এলাকার এক যুবক বাধা দিতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকার গণ্যমান্যরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রব মিজি ও তার সহযোগীরা অস্ত্র নিয়ে আমাদের এলাকার দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ৫০ জনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি ইউএনবিকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরানবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়েপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই বংশের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫৫
৪৫৩ দিন আগে
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২০
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ঘাটবিলা এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: থানায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি, চাঁদপুরে নিহত ১
নিহত দুইজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নিহতরা হলেন- জেলার মোল্লাহাট উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামের শেখ মোশারেফ হোসেন (৭৩) ও মাফিজুর রহমান (৫৫)।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষ সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাফিজুর রহমান এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোশারেফ হোসেন মারা গেছেন।’
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা
৪৮৫ দিন আগে