কর্মচারী
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সুন্দরবনের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার জসিম বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের নিয়ামুলের ছেলে এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদের সমর্থক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
জানা যায়, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলা বাজারে সুন্দরবন বিভাগের স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বন বিভাগের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ৩ জন আহত হন।
আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান এবং স্প্রীডবোর্ড চালক সিরাজুল ইসলাম। এদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া সাইফুল ইসলাম রুবেল, মাকসুদুর রহমান রনি ও আমির হাসান চয়নের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা সবাই আসাদের সমর্থক। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরণখোলা বাজারে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ঠেকাতে এসে আরও তিনজন গ্রামবাসী আহত হয়। বন বিভাগের পক্ষ্য থেকে একরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় অটোরিকশাচালক নিহত, আহত ভাই-ভাতিজা
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরতে না দেওয়ায় আসাদ তার লোকজন নিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগীত) আসাদ জানান, দুই বছর ধরে সে সুন্দরবনে মাছ ধরার ব্যবসা করে। বন বিভাগ থেকে সরকারি অনুমতি (পাশ) নিয়ে তার জেলেরা সুন্দরবনে মাছ আহরণ করে। সুন্দরবনের ধানসি এবং দুধরাজ এলাকায় তার জেলেরা মাছ ধরছিল। এসময় অন্য জেলেরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দিয়েছে। বিষয়টি বন বিভাগের স্টাফদের কাছে জানতে চেয়ে ছিল। এনিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তার দাবি, অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে তার জেলেরা অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে ব্যাধা দেওয়ার অভিযোগে থানা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে তাকে বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন প্রকল্প চালু : অর্থ মন্ত্রণালয়
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, সংবিধিবদ্ধ এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (ইউপিএস) -এর অধীনে ‘প্রত্যয়’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করেছে সরকার।
বুধবার(২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) অনুযায়ী সকল স্বা-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী যারা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং পরে যোগদান করেছেন তারা নতুন স্কিমের আওতায় আসার যোগ্য হবেন।
এছাড়া এসআরও'র মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেশন স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন: এ কে আজাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'প্রত্যয়' স্কিম প্রবর্তনের ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/গ্র্যাচুইটি সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।’
তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি বাকি আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই বছরের ১ জুলাই এবং তার পরে নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কারণ তারা অবসরকালীন মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।’
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ কর্মচারী গ্র্যাচুইটি এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাভুক্ত। সেই ব্যবস্থায়, কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে সামান্য পরিমাণ অঙ্কের অধিকারী, তবে কোনও মাসিক পেনশন নেই।
ফলে অবসর পরবর্তী জীবনে তারা প্রায়ই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। অবসর পরবর্তী জীবনে কর্মীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার 'প্রত্যয়' প্রকল্প চালু করেছে।
'প্রত্যয়' স্কিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যেটি কম, কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্কীমে অংশগ্রহণের জন্য প্রদান করা হবে।
এরপর উভয় অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর নামে অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
যেমন, সংশ্লিষ্ট ইন্সিটিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর প্রতি মাসে ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা পেনশন পাবেন।
এক্ষেত্রে ৩০ বছর মেয়াদে কর্মচারীর নিজস্ব বেতন থেকে পরিশোধিত মোট জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা (প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা জমা) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার মোট পরিমাণ ৯ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য মোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। উপকারভোগী ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে ওই ব্যক্তি ১৫ বছরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি পেনশন পাবেন, যা কর্মচারীর নিজস্ব আমানতের ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
কর্মঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক, নার্স-কর্মচারী উপস্থিত থাকে না বলে নানা সময় অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে দায়িত্ব পাওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকার পরও কেউ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কতটি বেড ভর্তি বা কতটি খালি আছে তা জানা থাকে। কিন্তু জরুরি বিভাগে কতজন রোগী আসবে তা ঠিক থাকে না। আর আমাদের হাসপাতালগুলোতে কোনো রোগী এলে তাদের ফিরিয়েও দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার সরকারি হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায় সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে যত বেড আছে, রোগী তার থেকে অনেক বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সময় রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। তাদেরও চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দেন। কিন্তু এসব অতিরিক্ত রোগীর সেবার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ কর্মচারী কেউই অতিরিক্ত বেতন-ভাতা পায় না।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা সবসময় তাদের দায়িত্ববোধ থেকেই সব রোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। আমরা যদি তাদের মূল্যায়ন করি, তাহলে যারা নিয়মিত কাজ করে না, তারা সবাই অন্যদের দেখে আগ্রহ পাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এখনও অফিস শুরু করতে পারিনি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে আজকের ডিসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।
তার দায়িত্বপালনে অগ্রাধিকার কী থাকবে জানতে চাইলে ডা. রোকেয়া বলেন, আমি গুণগত এবং মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ থাকবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দিকে সবাইকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও চিকিৎসক হিসেবে ৩৩ বছর চাকরি করেছি। আমি জানি, আমাদের চেষ্টা থাকে কতটা। তবে, এখন সময় এসেছে আমাদের অন্যান্য সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো একযোগে সমাধান করা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি ফুটবল বা ক্রিকেট টিমের মতো এক হয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করলে স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি সমস্যা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা ত্যাগ কাদেরের
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজবাড়ীতে ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ৫ মাস ধরে বেতন বন্ধ!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের ২৫জন শিক্ষক-কর্মচারী জুলাই মাস থেকে বেতন বঞ্চিত রয়েছেন। বেতন ছাড় করতে প্রধান শিক্ষক এক মাসের টাকা দাবি করেন।
প্রতিকার চেয়ে ইউএনও, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ২ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ ১৭০ জন চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীর
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ. লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৬ জুলাই পদত্যাগ করেন।
শিক্ষকরা ইউএনও’র মাধ্যমে জানতে পারেন সভাপতির পদত্যাগপত্র শিক্ষাবোর্ডে গৃহীত হয়নি, পূর্বের কমিটি বহাল রয়েছে।
এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফকীর আব্দুল কাদেরের কাছে বেতন-ভাতার বিলে সইয়ের অনুরোধ করলে তিনি সভা ডেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে এক মাসের বেতন (প্রায় ৬ লক্ষ) দাবি করেন এবং এরপর তিনি বেতন বিলে স্বাক্ষর করবেন বলে প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবে শিক্ষকরা অস্বীকৃতি জানালে প্রধান শিক্ষক বেতন-ভাতার বিলে সই করেনি। ফলে বিদ্যালয়ের সাধারণ ও ভোকেশনাল শাখার ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫ মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে, গত ১৬ নভেম্বর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষককে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বেতন-বিলে সই করেননি।
এসময় শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, জাত-পাত তুলে গালমন্দ, গায়ে হাত তোলা, নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের আয়ের সমুদয় অর্থ নয়ছয় করাসহ নানা অভিযোগ তোলেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার সাহা বলেন, তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। অর্থাভাবে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারছেননা, সংসারের চাহিদাও মেটাতে পারছেননা। বাজারের দোকানীরা বাকি দিতে চাচ্ছেননা।
তিনি আরও বলেন, মনোকষ্টে যেকোনো সময় স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। প্রধান শিক্ষক যেনতেন কারণে তাদের জাত-পাত তুলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে গায়ে হাত তোলেন। তার দুর্ব্যবহারের কারণে কিছুদিন আগে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। নিঃসন্তান বলে অসহায় স্ত্রীর কথা ভেবে আত্মহত্যা করিনি।
দীপালী রায় নামের আরেক শিক্ষক জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই এই স্কুলে কর্মরত। তাদের বড় ছেলেটা রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়ালেখা করছে। বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের পাশাপাশি ছেলেটাও নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। যে কারণে নিরুপায় হয়ে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতরভাবে দিন পার করছেন। ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির পদত্যাগপত্র বোর্ডে যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও আমাকে ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকায় তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আসলে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকীর আব্দুল কাদের বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদত্যাগপত্র বোর্ডে জমা পড়ায় জটিলতা দেখা দেয়। ফকীর আব্দুল জব্বার সভাপতি বহাল থাকার কাগজপত্র বোর্ড থেকে হাতে পেলেই বেতনবিলে সই করব। শিক্ষকদের কাছে এক মাসের বেতনের টাকা চাওয়ার অভিযোগ সত্য না।
ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষকদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেই শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন, আইডিয়াল হাইস্কুলের সভাপতির পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়নি।
তিনি বলেন, তিনি স্বপদে বহাল আছেন এবং বেতন বিলে সই করতে পারবেন। বিষয়টি সভাপতিকে জানানোর পর তিনি বেতন বিলে সই করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতার কারণে সমাধান হয়নি। শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছে। এলাকায় ফিরলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাভারে পুলিশ-পোশাকশ্রমিক সংঘর্ষে আহত ১৫
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন
তিন দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’- এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
দাবিগুলো হলো- চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টায় অনশনস্থলে এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্মচারি পরিষদের সভাপতি ও আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাদেক আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের সভাপতি সুরুজ মিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
এসময় তাদের সঙ্গে শাবিপ্রবি কর্মচারি পরিষদ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, তিন দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ৩ দফা দাবিতে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর চৌহাট্টা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে গিয়ে মৌন মিছিলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।
আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটে ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
তিনিও শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দাবিগুলো হলো- নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। প্রায় এক বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারিরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পিএমও কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল পরিচালনা পর্ষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।
এসময় নবগঠিত পর্ষদের সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবীদের সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল যদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একত্রিত হয়, তাহলে সরকারের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুইটি সম্পূর্ণ হাস্যকর জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, তারা আবার স্বপ্ন দেখছে একইভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন ডিসি, এসপিদের বদলি, নতুন পদায়ন এবং প্রশাসনে হাজার হাজার লোকদের পদোন্নতির খবর।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করে আবারও নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার চিন্তায় তারা এসব করছে। এটা আর হবে না।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, প্রশাসনে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ও বিচার বিভাগে যারা আছেন সংবিধান ও আচরণবিধির মেনে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। বরং জনগণের পক্ষে অবস্থান নিন।
এ ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য হারানো অধিকারের জন্য বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের ‘নির্দেশিত’ রায়ের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে পেশাজীবী পরিষদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
চট্টগ্রামে কর্মচারীদের আন্দোলনে ৮ ডেমুর যাত্রা বাতিল
চট্টগ্রামে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন আন্দোলনের কারণে চালক সংকটে পড়েছে রেলওয়ে। এ কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার থেকে মাইলেজ ভাতা পেনশনের সঙ্গে যোগ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছে সংগঠনটি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। তবে রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে মাইলেজ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফের পদ ২ হাজার ২০০টি। কাজ করেন মাত্র ৯০০ জন। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত কাজ করেই ট্রেন চলাচল সচল রেখেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের মজুরি না পেলে একজন শ্রমিক কেন কাজ করবেন? তাই রবিবার থেকে রানিং স্টাফরা নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন না করলে রেলওয়ের নির্ধারিত ট্রেনসূচি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে বড় ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের নাজিরহাট ও দোহাজারী রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াত করা শত শত যাত্রী।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, লোকাল রুটে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হলেও আন্তঃনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে ভাতার ৭৫ শতাংশ ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে ধরে পেনশনে যোগ হতো। ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানায়, মাইলেজ ভাতা পেনশনে যোগ হবে না। ভাতার পরিমাণ মাসিক মূল বেতনের বেশিও হতে পারবে না।
এরপর থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা।
আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন। সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বৈশাখী রেস্তোরাঁ’র ভেতর থেকে নজরদারি করা ভিডিওতে কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে শিশুসহ লোকজনকে দেখা যায়, যারা খাবারের জন্য বসে অপেক্ষা করছিলেন। একজন বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর তারা রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে পালিয়ে যান।
রেস্তোরাঁর মালিক আবু তাহের সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁর ভেতরে অনেক গ্রাহক ছিল। প্রথমবার গুলি ছোঁড়ার পর সে কিছুটা সরে যায়, তারপর সে আমার কাউন্টারের পেছনে গিয়ে আমার একজন কর্মচারীকে গুলি করে।’
তাহেরের মতে, মাস্ক ও লাল হুডযুক্ত সোয়েটশার্ট পরা বন্দুকধারী তিনটি গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (হামলাকারী) কিছু বলেননি, এসে শুধু গুলি করে পালিয়ে যান।’
তার ছোঁড়া তিনটি গুলির মধ্যে একটি রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর উরুর উপরের অংশে লাগে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
যদিও হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সূত্র জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে ওই বন্দুকধারী দোকানের একজন কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ভাঙা কাঁচ, বুলেটের ছিদ্র এবং অর্ধ-খাওয়া খাবার ফেলে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলবে।
তাহের সিবিএসকে বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীত। আপনারা জানেন, আমার ব্যবসাটি খুব ছোট।’
তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট ব্যবসা চালাতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আসলে এটি (নিউইয়র্ক সিটি) নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ নই। আমাদের জীবন নিরাপদ নয়।’
বৈশাখী রেস্তোরাঁ ৩৬নং এভিনিউ ও ২৯নং স্ট্রিটের পাশের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। এর আগে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবারের জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এটির সম্পর্কে ফিচার প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সেবামূলক পরিষেবার জন্য রেস্তোরাঁটি ‘স্পেশাল কংগ্রেসনাল রিকগনিশন’ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫