কর্মচারী
ভাতার দাবিতে আন্দোলন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
সচিবালয় ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা ১৪ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন।
এ ছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীরা হলেন—স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মো. মহসিন আলী, রোমান গাজী ও আবু বেলাল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান সুমন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপুল রানা বিপ্লব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে হওয়া ওই আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের একটি দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
পরের দিনও আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মচারীকে সচিবালয় এলাকা থেকেই আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠান।
সরকার দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
৩ দিন আগে
কর্মচারীদের দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করার বিষয়ে কর্মচারীদের দাবি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করা হবে। তার কাছে দাবিগুলো তুলে ধরবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বুধবার (২৮ মে) সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিল করার বিষয়ে কর্মচারীদের দাবিগুলো তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ কয়েকজন সচিব।
এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে কর্মচারীরা অধ্যাদেশটি সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মচারীদের দাবিসহ গতকালের আলোচনার বিষয়টি জানিয়েছি। এখন এ বিষয়ে তার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়সহ সারা দেশে মঙ্গলবার বিক্ষোভের ডাক
স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টা ৫মিনিটে চার দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ৩১ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সালেহ আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি তার কাছে তুলে ধরবেন।’
এদিকে, গতকাল ভূমি সচিবের সঙ্গে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেন কর্মচারীরা। চলমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান জানাতে আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনও ডেকেছেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা।গত রবিবার (২৫ মে) চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে—এমন বিধান রেখে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি করে সরকার।
তবে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
২০৬ দিন আগে
সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। সোমবার (২৬ মে) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের এই প্রাণকেন্দ্র।
এদিন বেলা পৌনে ১১টা দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।
পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের অপর অংশও যুক্ত হয়।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ ফেলে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনে প্রশাসনে অচলাবস্থা
এর আগে, রবিবার (২৫ মে) চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে— এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (২৪ মে) থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবারও সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার
২০৮ দিন আগে
অধ্যক্ষ নিয়োগে জটিলতায় কলেজের বেতন বন্ধ, বিপদে শিক্ষক-কর্মচারীরা
অধ্যক্ষ নিয়োগের জটিলতার কারণে প্রায় দুই মাস ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিচন নিয়ে কলেজের ৫২ শিক্ষক, ৮ অফিস স্টাফ ও ১৮ জন মাস্টার রোলের কর্মচারী পড়েছেন বিপদে।
এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম, বিরূপ প্রভাব পড়ছে সেখানে ভর্তি প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ওপরও।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হলে সাময়িকভাবে রুটিনমাফিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যক্ষের পদে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও এখনও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি।
আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদটি পূরণ হোক। কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ সময় কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক স্বপন কুমার বনিক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. শওকত আলী, শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আব্দুল হাই, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক পলাশ রঞ্জন কর, অর্থনীতির প্রভাষক মো. মোতাসিম বিল্লাহসহ অনেকেই তাদের অসুবিধার কথা জানান।
প্রধান অফিস সহকারী এনামুল হক বলেন, ‘বেতন বন্ধ থাকায় আমরা খুবই অসুবিধায় আছি। দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: দশম গ্রেডের বেতন স্কেল দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের
ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘দুই মাস বেতন বন্ধ। গত মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা ঋণ করতে হয়েছে। রমজান ও ঈদ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আহম্মদ আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘শিক্ষকতা মহান পেশা হলেও বেতন বন্ধ থাকায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ ও ভর্তির টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শূন্য পদটি দ্রুত পূরণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এটি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিষয়। আশা করছি, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২৯১ দিন আগে
সচিবালয়ের কর্মচারীদের ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত
৯ দফা দাবিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ের কর্মচারীদের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ভূমি সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে-কমিশন গঠনের আগে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদনাম পরিবর্তন ও পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সাংবাদিকদের বাদিউল কবির বলেন, জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন। দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমরা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতির দাবিতে একট্টা হচ্ছেন সচিবালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তারা
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মচারি আছেন দুই হাজারের ওপরে। দীর্ঘদিন তারা বেতন ও পদোন্নতি-বঞ্চিত ছিলেন। তাদের ৯ দফা যে দাবি, সেগুলোর কোনোটিই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদী।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, সচিবালয়ের কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে তাদের এসব দাবি পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
৯ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (পিও)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি পূরণ না হলে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন: হামলার গুজবে সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৩৮৪ দিন আগে
চানাচুর কোম্পানির ভেতরে কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা
যশোরে রানী চানাচুর কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে এক কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শহরের বকচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
মিলন মণিরামপুরের ঝালঝাড়া খালকান্দা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির ভেতরে গরুর খামারে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৭
সোমবার সকালে কোম্পানির কর্মচারীরা মিলনের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে যায়। সেখানে মিলনের গলা কাটা লাশ দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
মিলনের সহকর্মী তরিকুল ইসলাম বলেন, ওইদিন রাত ১১টা পর্যন্ত মিলন এক নাইটগার্ডের সঙ্গে ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন। পরে ঘুমাতে যান। সকালে এসে দেখি তিনি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
নিহতের বাবা আসমত বলেন, মিলন সেখানে একাই থাকত। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থকে। ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
রানি চানাচুর কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর ধরে তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। মিলন নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, মিলন হত্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
৪৩২ দিন আগে
সব কর্মচারীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব
সব কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব জমাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে 'সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, ১৯৭৯' এর আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এবার যেহেতু আমরা নতুন বছর পাইনি, ভাঙা বছর পেয়েছি, এজন্য এ বছরেরটা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সচিব হলেন মোখলেসুর রহমান
সিনিয়র সচিব বলেন, 'সম্পদের হিসাব সিলগালা করা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। সম্পদ বিবরণীতে ভুল তথ্য কিংবা গোপন এমন কোনো তথ্য থাকে যা মিসলিড করে, এটি হবে ১৯৭৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।'
'এই অনুশাসন মালা সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারিভাবে কর্মচারী বলা হয়।'
মোখলেস উর রহমান জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদর্শ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সম্পদ বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ অংশ বিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়। সম্পদ বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে 'তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯' প্রযোজ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে কী হবে- অনেকে জানতে চেয়েছিলেন? জমা না দিলে অনেক কিছু হয়।'
'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮' এর ৪(৫)(গ) উপবিধি অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর জন্য লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিরস্কার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ আদায়, বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হচ্ছে লঘুদণ্ড।
অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা নিয়ে প্রয়োজনে আইন পাস করা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
৪৫৪ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন হাইকোর্ট
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
রুলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা- ১৯৭৯ এর ১৩ বিধি অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ করতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটি গাইডলাইন তৈরির কেন নিদের্দশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আদেশের আগে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়; তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতে হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর।
আদালত বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়, সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।
এর আগে, সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৫৩৬ দিন আগে
ময়মনসিংহের ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে কর্মশালা আয়োজন ইউএসএইড’র
ময়মনসিংহের প্রায় ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে ইউএসএইডের ফিড দ্যা ফিউচার এর ‘বাংলাদেশে মাছ ও মুরগির খাদ্য ভ্যালুর নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন’ বিষয়ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত ফুসকা, ফাস্টফুড ও খাবার হোটেল মালিক, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, চূড়খাই, সুতিয়াখালী এবং মুক্তাগাছা থেকে প্রায় ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটির বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, যে খাবার আপনি নিজের পরিবারকে খাওয়াতে চান না সেই খাবারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কাউকে খাওয়াবেন না। খাবার তৈরি ও পরিবেশনকারীদের অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
৫৭৪ দিন আগে
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
সিটি করপোরেশনের বাসা বরাদ্দ দেওয়া দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ডিএসসিসির আপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেব না।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
৫৯২ দিন আগে