বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সরকার।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শায়রুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি নেতাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনকেও কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১২২ দিন আগে
‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান ফখরুলের, সংস্কারে ঐকমত্যকে স্বাগত
১২ দফা মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভালো কিছু ঘটছে। আমি আজ (মঙ্গলবার) পত্রিকায় দেখেছি, সব রাজনৈতিক দল ১২ দফা সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’
তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ ও তার দলের কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা করেন, যারা সংস্কার ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে কাছাকাছি আনতে কাজ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—সংস্কারগুলো বিলম্ব না করে সম্পন্ন করুন এবং অবিলম্বে (জুলাই জাতীয়) সনদ ঘোষণা করুন। দয়া করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যে তারিখে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই অনুযায়ী নির্বাচন দিন। জাতি সেখানে আশার আলো দেখেছে, অনুপ্রেরণা পেয়েছে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে দিন।’
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, অনেকে বিএনপিকে সমালোচনা করে বলেন, দলটি নাকি সংস্কার চায় না। ‘কিন্তু সংস্কারের ধারণা আমাদের কাছ থেকেই এসেছে—আমরাই এটা শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন এবং গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, যা ছিল তার রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ।
অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রুদ্ধ ও ব্যর্থ অর্থনৈতিক মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন, যার ফলে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও প্রবর্তন করেন এবং নারী ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন করেন।
‘তাই বিএনপি কখনো সংস্কারকে ভয় পায়নি—আমরা সবসময় সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছি,’ বলেন ফখরুল।
১২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্য গঠনে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে কিছু প্রস্তাব নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে, যেমন—আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি। এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে অপরিচিত।’
আরও পড়ুন: জনগণের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্র সংস্কারের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘সংসদের নিম্নকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মতো প্রস্তাব এসেছে—যা আমাদের জনগণ বোঝে না। তারা এখনো ইভিএম ভোটিং নিয়ে বিভ্রান্ত—তাহলে পিআর পদ্ধতি কীভাবে বুঝবে?’
কিছু রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার শর্ত দেওয়ায় ফখরুল সমালোচনা করে বলেন, ‘এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। জনগণকে এমন একটি ভোটিং ব্যবস্থা দিতে হবে, যা তারা বোঝে এবং যা তাদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিদেশি ধারণা দিয়ে দেশের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত নয়।
১২৮ দিন আগে
হাসিনা কখনোই ক্ষমা পাবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও বর্বরতার জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমা পাবেন না।
তাকে ‘মানবতার এবং সব মায়েদের প্রতি লজ্জা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা, চিরসবুজ স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ যৌথভাবে শের-ই-বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে এই কর্মসূচি আয়োজন করে, যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নিম গাছের চারা রোপণ করা হয়।
একজন শোকাহত মায়ের কান্নার কথা স্মরণ করে আন্দোলনে তার ছেলেকে হারানোর কথা উল্লেখ করে আবেগঘন ভাষণে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, ‘ওই মা তার ছেলের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তার ছেলেকে প্রথমে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে গুলি করে অন্যদের সঙ্গে তাকে ভ্যানে করে ফেলে দেওয়া হয়—সে জীবিত নাকি মৃত, তাও পরীক্ষা করা হয়নি। পরবর্তীতে আগুন দিয়ে এসব মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাবুন তো—আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে গেলেন ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল
বিএনপি নেতা বলেন, তারা ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন।
‘এই দেশের পুলিশ ও প্রশাসন, যারা জনগণকে রক্ষা করার কথা ছিল, যাদের বেতন করদাতাদের টাকায় দেওয়া হয়, তারা আমাদের সন্তানদের পুড়িয়ে ও হত্যা করেছে। এর চেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর কিছু হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো তাদের বিচারের মুখোমুখি আনা। দ্বিতীয়ত, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছেন এবং চোখ হারিয়েছেন, তাদের যথাযথ চিকিৎসা ও সহায়তা দিতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।’
ফখরুল আরও জানান, বিএনপি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য একটি তহবিল গঠন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (শনিবার) বলেছি, আজও বলছি—নির্বাচন হবে। ক্ষমতা পাওয়া যাবে কি না তা আলাদা বিষয়। আমরা আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে একটি তহবিল গড়ে তুলব, এবং এই তহবিল থেকে আমরা যতটা সম্ভব এই পরিবারগুলোকে সহায়তা করব।’
ফখরুল বলেন, তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তহবিল গঠনের বিষয়ে কথা বলবেন। যদিও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ মাধ্যমে ইতিমধ্যে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে আসছেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, তাদের দল শহীদদের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি সত্যিকারের লিবারেল গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
আরও পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি সত্যিকারের লিবারেল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা দুর্নীতি চাই না। আমরা ঘুষ চাই না। আমরা হত্যা চাই না। আমরা নির্যাতন চাই না। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে মানুষ নিরাপদে, স্বাধীনভাবে ও শান্তিতে থাকতে পারে।’
১৩৭ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের চীন সফরের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাদের আন্তরিক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে বিএনপির নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে পাঁচ দিনের সফরে চীন গিয়েছিল।
১৪৯ দিন আগে
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র ও জুলাই বিপ্লববিরোধী: ফখরুল
যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাচ্ছেন, নিশ্চিতভাবেই তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি কিংবা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সমর্থক না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, তারা নিশ্চয়ই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কার কমিশনের সংস্কার বিষয়ে বিএনপি কোন কোন বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে সেটিরও একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে প্রথম যে প্রস্তাব ছিল, আমরা আমাদের মতামত দিয়ে দিয়েছি, এটা বহু আগে দিয়েছি। তারপরে তো সরকার বলেছে তারা দায়িত্ব নিয়েছে তারা করবে। এখন পর্যন্ত তারা কিছু আনেনি।’
‘আমরা যেকোনো সময়ে যেকোনো ব্যাপারে আলোচনায় সব সময় ছিলাম, এখনো আছি। এই ব্যাপারে আমাদের কোনো সমস্যা নেই,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মিডিয়ার কিছু অংশ ও কিছু ব্যক্তি তারা বিএনপির সংস্কার সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কথা বলছেন, যেগুলো সঠিক নয়। বিএনপির কমিটমেন্ট টু রিফর্মস, এটা কোয়েশ্চেন করবার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যে, ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ তিনি সংস্কারের কথা বলেছিলেন। তারপরে বিএনপি ’২২ সালে ২৭ দফা এবং অন্যান্য দলের সাথে আলোচনা করে ’২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি আমরা দিয়েছি।
‘এটাতে আমরা আন্তরিক বলেই কিন্তু ৩১ দফা নিয়ে সারা দেশে অসংখ্য প্রোগ্রাম করেছি, জনগণের কাছে যাওয়া হয়েছে, সুধী সমাজ, সুশীল সমাজের কাছে যাওয়া হয়েছে। আজকে একটা মহল, একটা চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলে প্রচার করবার একটা অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে, মব মোকাবিলায় সচেষ্ট সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে বিএনপির শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কত কর্মসূচি, কত সমাবেশ, কত লাঠিপেটা আপনারা দেখেছেন, আপনারা কাভার করেছেন। এখন বিএনপিকে নিয়ে এই প্রশ্নটা কেন করে? এটাকে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ছাড়া আমি কী বলব?
‘বিএনপিকে মেলাইন করা, তাকে ভুলভাবে চিত্রিত করতে এটা একটা গোষ্ঠীর প্রচেষ্টা চালানো মাত্র। কোনো একজন ব্যক্তি বা কয়েকজন ব্যক্তি বা কয়েকটি গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা সমানে করে যাবেন আর সেটাতে তারা মনে করবেন জনগণ খুব সাড়া দিচ্ছে। জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। জনগণ বলতে গুটিকতক শহুরে লোক নয়, জনগণ বলতে সারা বাংলাদেশ।’
বিএনপির নীতি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি প্রমাণ করেছে, এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সংস্কার আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমান করেছেন। বাক স্বাধীনতা, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, সংগঠন করবার স্বাধীনতা, সংসদীয় গণতন্ত্র, এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিন তিনটা নির্বাচন সব কিছুই বিএনপি। সব কিছুই সংস্কারের মাধ্যমে বিএনপি করেছে।’
বিএনপির অবদান নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির পাঁয়তারা করে কোনো লাভ হবে বলে সতর্ক করেছেন ফখরুল।
সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন হতে পারে না, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে কী না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা মনে করি যে, জনগণ নির্বাচন চায়, যেটা আলোচনা হয়েছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের।
সেই লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যেতে চায়। আমরা কোনো বিপ্লবের মাধ্যমে বা অন্য কিছুর মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি একটা মাত্র উদ্দেশ্যে যে আমরা গণতন্ত্রের ফিরে যেতে চাই।
১৫১ দিন আগে
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গণতন্ত্রবিরোধী, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থী: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়, বরং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনারও বিপরীতমুখী।
রবিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ চায় অবিলম্বে নির্বাচন। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি—যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তারা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক শক্তি হতে পারে না, তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবেরও সমর্থক নয়।’
ফখরুল বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং তারেক রহমানের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, বিএনপি বিশ্বাস করে তার ভিত্তিতেই দেশে নির্বাচনের পথ তৈরি হবে।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিকে ঘিরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
তার ভাষ্যে, ‘কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিএনপিকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে চায়। কিন্তু জনগণ এর প্রতি সাড়া দিচ্ছে না। দেশের মানুষ বিএনপিকে জানে। তারা জানে— বিএনপি কীভাবে এদেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের অধিকারের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, বিএনপি একটি পরীক্ষিত উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়েই জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাই। বিপ্লব বা অন্য কোনো পন্থায় আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমাদের অবস্থান নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আমরা ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি।’
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম ও ব্যক্তি বিএনপির সংস্কারসংক্রান্ত অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। অথচ ২০১৬ সাল থেকেই বিএনপি সংস্কার নিয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’-এর মাধ্যমে প্রথম সংস্কারের কথা বলেন। এরপর আমরা ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব এবং পরবর্তীতে ৩১ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করি।
‘সংস্কারের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা থেকে দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণ ও নাগরিক সমাজের সামনে আমরা এসব প্রস্তাব তুলে ধরেছি।’
‘এরপরও একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার।’
ফখরুল বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপি শুধু টিকে থাকেনি, বরং আরও শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়েছে।’
‘শত শত শহিদের রক্ত, গুম-হত্যার শিকার সহকর্মীদের ত্যাগ আর লাখ লাখ নেতা-কর্মীর সীমাহীন কষ্ট—সব মিলিয়ে বিএনপির ঐক্য আজ আরও সুদৃঢ়।’
এই ঐক্য, জনগণের ব্যাপক সমর্থন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা নিয়েই বিএনপি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা কর্তৃত্ববাদ ও ফ্যাসিবাদের উত্থান রুখতে সক্রিয় রয়েছি। যেমন ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক অতিরিক্ত ক্ষমতা ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করে, তেমনি নির্বাচিত সরকার ও সংসদের ক্ষমতা খর্ব করাও রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে তোলে।’
দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে রক্ত দিয়ে কেনা এই পরিবর্তনের সুযোগকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে এ সময় সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চলুন, আমরা যেন ব্যর্থ না হই। মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের চেতনায় একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব পালন করি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
১৫১ দিন আগে
বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে ও এ দেশের সরকারকে চাপে রাখতেই সীমান্ত দিয়ে অব্যাহত পুশইন করছে ভারত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজের কালিবাড়িস্থ বাসভবনে জেলার আলেম-ওলামাদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন একটি কঠিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভারত নিয়মিত পুশইন করে যাচ্ছে। জনগণকে ধরে নিয়ে এসে জোর করে আমাদের দেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
‘ন্যায্য পানির হিস্যা ভারত আমাদের দেয়নি। তার ওপর তারা আমাদের বর্ডারে পাখির মতো মানুষ মারে ও অবৈধ পুশইন করে। এতদিন এগুলো তারা করেনি, যেহেতু আওয়ামী সরকারকে এদেশ থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা এসব শুরু করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। র্যাবের লোকদের মাধ্যমে জঙ্গি মতবাদ দিয়ে মাদ্রাসার এতিম ছেলেদেরকে নিয়ে গিয়ে তাদের হাতে লিফলেট ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এসব ঘটনা বিগত আওয়ামী সরকার একটা না হাজারটা ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আশা বাড়ছে: ডা. জাহিদ
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকার যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, এরকম হত্যাকান্ড তারা আগেও একটি ঘটিয়েছিল। সেটি হলো—শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড। রাতের অন্ধকারে মেশিনগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা।’
‘যেসব ছেলেরা অভ্যুত্থানের সময় বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, সেসব ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে সাধারণ জনগণের রক্তের বিনিময়ে আমরা সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের সময় উঠে এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাস সে সময় হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সঠিক দেশ নেতাকে বেছে নেওয়ার অধিকার ফিরে পাবো।’
এসময় আরও ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ জেলার আলেম-ওলামারা।
১৬৬ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছিল: মির্জা ফখরুল
দেশে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচনেই মুক্ত হবে গণতন্ত্র। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে চেপে বসেছিল।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন বলেন, সংস্কৃতি বলেন, ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গণতন্ত্র প্রয়োজন। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
‘গত ১৫ বছর আমরা ভয়ঙ্কর সময় পার করেছি। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে ছিল। তারা দানবের মতো দেশের সব প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের খেলার মাঠগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ফুটবল-ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত বছর ছাত্র-জনতার হাত ধরে ভূমিকম্প হয়ে গেল। তাদের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশের সৃষ্টি। একটি রাজনৈতিক দল আজ সারা দেশে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে।’
আরও পড়ুন: আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বিরসহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়া প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছিল। ফলে ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়মুক্ত করতে চাই। আর তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় এ ব্যাপারে কাজ করছি।’
২৯১ দিন আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
সাভার সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুই ঘণ্টার বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুপুর ২টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সাভার সিএমএইচে
তিনি বলেন, ‘সাভার সিএমএইচে ওনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টগুলোর ফলাফল ভালো। সিএমএইচের চিকিৎসকরা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি মহাসচিবকে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।’
এদিন সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে সেখানেই বসে পড়েন ফখরুল। একপর্যায়ে মাটিতে শুয়েও পড়েন তিনি। পরে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।
৩৫৩ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ এবারও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত ‘এ ডেমোক্রেটিক ফিউচার ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় ফখরুল বলেন, আমরা এ দেশের সব রাজনৈতিক দল এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কারণ আমরা এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন চাই।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়নের জন্য সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জাতি এখন সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন দলের চরম প্রতিহিংসার কারণে সুচিকিৎসার অভাবে এখন গুরুতর অসুস্থ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে। আমাদের ৪৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলার মুখোমুখি করা হয়েছে। আমাদের অনেককে নির্বাচনের আগে সাজা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।’
তিনি বলেন, সরকার দেশে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যেখানে একমাত্র আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং বিরোধী দলগুলোকে ভোটদান থেকে দূরে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বিএনপির একমাত্র পরিকল্পনা ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, রাজপথ দখল নয়: ফখরুল
৭৭৩ দিন আগে