আনিসুল হক
রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন অস্তিত্ব সংকটে থাকে, তখনই তারা আবোল-তাবোল বলে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: এআই নিয়ে নতুন একটি আইনের খসড়া করা হবে: আইনমন্ত্রী
ভারতের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক অস্তিত্বের সংকটে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে, তা আমলে নেওয়ার কিছু নেই।
পরে তিনি উপজেলা অডিটোরিয়ামে ৮০ জন নারী উদ্যোক্তার মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
জেলা প্রশাসন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর (হার পাওয়ার) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভুইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তার।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুল রহমান এম আহমেদ আল গৌদেরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাহরাইনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হলো, আমাদের দুই লাখের বেশি বাঙালি বাহরাইনে চাকরি করছেন।
তিনি বলেন, আজকের আলাপ-আলোচনার সময় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, করোনার সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন বাহরাইনের বাদশাহ তার দেশের নাগরিকের সঙ্গে বাঙালিদের কোনও বৈষম্য করেননি। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সমান সেবা দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এআই নিয়ে নতুন একটি আইনের খসড়া করা হবে: আইনমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। স্থায়ী মুক্তি মানে বুঝলাম না। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? আজ ফাইল হাতে পেয়েছি। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) কী অনুরোধ করেছে, তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আগামীকালের মধ্যে তা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে আমি আইনে বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তারপরও প্রতিবারই দেখছি তারা প্রথমে যেভাবে আবেদন করেছিল সেভাবেই আবেদন করছে।’
তিনি আরও বলেন, তার বিদেশ যেতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না এটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। আমরা বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকদের তার চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’
সরকার প্রধানের ইচ্ছায় খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনের বাইরে গিয়ে মানবিকতা দেখাতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবার আগে মানবিকতা দেখিয়েছেন। মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।’
এর আগে রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজার মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
অবৈধ মজুত করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
অবৈধ মজুত করে কেউ যদি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তাহলে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সেসব প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন।
মামলা জট নিরসনের জন্য ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিশিয়ালের কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যের প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে।’
মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টকরণ করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি- আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
বাজার ব্যবস্থায় যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা মজুদ করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন- সে বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার বার অগ্নিকাণ্ড ঘটার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়, এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিল কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কসবা উপজেলার কায়েমপুরে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার গার্ডার সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত। ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, মানুষ মারা- বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না, তারা চায় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটুক। তারা চায় ক্ষমতা, চায় পকেটের উন্নয়ন, চায় দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে এবং বাংলা ভাই তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সে জন্য প্রন্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার সম্পন্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরা হবে। হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, যে যে পদক্ষেপ সরকারের নেওয়া উচিত সেটা সরকার নেবে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে র্যাব ব্যর্থ কি না এবং এই তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব তদন্তে ব্যর্থ সেটা বলব না। তবে তদন্তের কাজের পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটাও করব। ঘটনা যেমনভাবে ঘটেছে যেকোনো সংস্থার জন্য এটা একটু কঠিন তদন্ত শেষ করা।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
১২ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনির মৃত্যুবার্ষিকী কিন্তু বিচার না হওয়ায় পরিবারের হতাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের হতাশাও ছিল কারণ হত্যার পরে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচারকার্য শেষ করেছেন। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করেছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন আর নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অহেতুক গ্রেপ্তার বা কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তবে আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে রায় দেবেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া এটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সংসদে এমপিদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংকট কি কেটে গেছে- এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলব একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। সেসব সমস্যা ও আইনের যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, ‘আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মামলাজটের কারণে জনগণ অনেক সময় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের নানারকম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি) তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্রাক করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর ‘ইন্টিমেশন’ তাড়াতাড়ি করতে হবে। হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’, যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়/সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটি যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল/নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫ থেকে ৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেটি গত নির্বাচনে জনমতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া উপজেলা) আসন থেকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আইনজীবী আনিসুল হক।
আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের শাহীন খান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। দুই উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী