পরিবার
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে ছুটি শেষে যে পরিমাণ ভিড় বা গাড়ির চাপ থাকার কথা তেমন নেই। তবে সোমবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।
তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি পার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
সকালে দীর্ঘক্ষণ দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, মহাসড়কের কোথাও তেমন কোনো চাপ নেই। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি দেখা যায়।
এদিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমান কেটাইপ ফেরি কপোতি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি বাস, দুইটি পণ্যবাহী ট্রাক, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি ছোট গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
৭ নম্বর ঘাটে রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক মো. রাশেদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষে অন্তত আজকের দিন যানজট হতে পারে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি সব ফাঁকা।
পরিবহনটির ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগের আর বর্তমান দৌলতদিয়া ঘাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেতু চালুর আগে ঈদের ছুটি শেষে নদী পাড়ি দিতে আসা গাড়িতে ঘাট এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার যানজট হতো। ভোগান্তিতে পড়তেন হাজারো মানুষ। এখন যানজট নেই, ভোগান্তিও নেই। সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
এদিকে সোমবার সকালে ফেরি ঘাটের পরিবর্তে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল রবিবার বিকাল থেকে ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ রয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এবং একটি লঞ্চ ঘাট সচল রয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৫২১টি বাস, ২৯২টি ট্রাক, ১ হাজার ৬১৭টি ছোট গাড়ি ও ১ হাজার ৫১৪টি মোটরসাইকেল নদী পাড়ি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্বাবধায়ক মো. শিমুল ইসলাম বলেন, এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। রবিবার বিকাল থেকে কর্মমূখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে যে চাপ থাকত তার অর্ধেকটাও নেই। যে কারণে সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ১৮টি ফেরি থাকলেও গাড়ির চাপ না থাকায় ৮-১০টি ফেরি যানবাহন পার করছে। গাড়ির চাপ বুঝে অন্যান্য ফেরি পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে। তবে মনে হচ্ছে সোমবার বিকাল থেকে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
সিএনজি বিস্ফোরণ: চালকের পরিবারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিএনজি উপহার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিএনজি বিস্ফোরণে নিহত চালক আবদুস সবুরের পরিবারকে একটি নতুন সিএনজি উপহার দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতিমা ও ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ নিহতের স্ত্রী রুমি আকতারের হাতে সিএনজির চাবি তুলে দেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সিএনজি চালক সবুরের জীবন্ত দগ্ধের খবর দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি চিন্তা করেন নিহতের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন প্রয়োজন, আর সেজন্য একটি নতুন সিএনজি কিনে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের এলাকা রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশার সবুরের দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। পরিবারটি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। সেজন্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, সাতকানিয়া উপজেলার ৯ নম্বর পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন ও নিহতের মা ও দুই শিশু সন্তান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের মাজার পয়েন্ট সেতু এলাকায় সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভেতরেই দগ্ধ হয়ে আবদুস সবুর নিহত হন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: গরু চুরি করে নিতে না পারায় গরুকে কুপিয়ে জখম, হাতবোমা বিস্ফোরণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাতে র্যাব সদস্যরা মধ্যস্থতার মাধ্যমে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাজমুল নাহার জানান, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: অপহৃত সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি কেএনএফের
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্র। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে তারা।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে বিছিন্নবাদীরা।
আরও পড়ুন: ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন সরোয়ার নামে এক যুবক। মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলায় তার ঠিকানা জানাতে পারছেন না তিনি। তার পরিবারের লোকজনের খোঁজ করছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ৮টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট দুবাই বিমানযোগে সৌদি আরব থেকে দেশে পৌঁছান সরোয়ার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
সেখানে জেলে ছিলেন সরোয়ার। দেশে ফেরে কিছুই বলতে পারছেন না। সরোয়ার সবসময় চুপচাপ থাকছেন। তার সঙ্গে থাকা বোর্ডিং পাস ও জেলখানার কাগজ থেকে জানা যায়, তার বাবার নাম আব্দুল বাশার।
ফ্লাইটে আসা অন্য প্রবাসী কর্মীরা সরোয়ারকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অফিসে দিয়ে যান।
তারা জানান, সরোয়ারের বাড়ি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার। এছাড়া আর কোনো তথ্য তারাও জানেন না। সারোয়ার নিজেও কিছুই বলতে পারছেন না।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ার সরোয়ারের পরিবার খুঁজে তাকে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য রাতেই ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন।
বর্তমানে তিনি আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আছেন।
সরোয়ারের স্বজনের খোঁজে সবার সহযোগিতা কামনা করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। কেউ এই মানুষটাকে চিনলে বা কোনো তথ্য পেলে তাদের জানানোর অনুরোধ করেছেন।
প্রয়োজনে আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়নের সঙ্গে ০১৭১২১৯৭৮৫৪১ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চরমোনাই মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান ইউএনও। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে সাগরিকার বাড়ি। তাদের বাড়ির খুবই জনাজীর্ণ। তাই নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথাও হয়েছে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য।
নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুইটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও টিউবওয়েল।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে সানিয়ার পরিবার।
শোয়েব তার নববিবাহিতা স্ত্রী পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার একদিন পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
সানিয়া ও শোয়েব ২০১০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
মির্জা পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সানিয়া সবসময় তার ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। তবে আজ তার প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব এবং তার কয়েক মাস হলো বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে।’ শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি।
সানিয়া যখন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য বক্সে মগ্ন, তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে ব্যস্ত শোয়েব।
তাদের ছেলে সানিয়ার সঙ্গেই থাকে।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে জুলহাস নামের একজনের আধাপাকা ঘরে তালা দিয়ে পেট্রোল ছুঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে জুলহাস, ২ শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্বার করেন।
দোহার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে দোহার থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
কারওয়ান বাজারে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ২
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৪ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে নারীসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ৪ জন হলেন- সুলতান মিয়া, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার, ছেলে নবী হোসেন ও আলী মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, কয়েকদিন আগে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করা পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রাম থেকে শনিবার রাতে বাসায় ফিরে রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে লাইটার ব্যবহার করতেই বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘরের ভেতর থাকা ৪ জন দগ্ধ হন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
পুলিশ আরও জানায়, এ সময় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের জাতীয় হটলাইন নম্বরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বিস্ফোরণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন স্থানীয়ভাবেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তদন্তের পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।
এ ব্যপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থেল পৌঁছে দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে সাহিদা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা হ্নীলা মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনার পানিরছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেয়াল ধসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে প্রাণ গেল চারজনের
নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার আনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে তাদের মাটির তৈরি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, পুলিশ টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু