বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
আইন প্রয়োগকারীদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাখতে হবে: নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিটি আইনে এমন কঠোর বিধান থাকতে হবে, যাতে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বা আইন লঙ্ঘন করলে, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রতিটি আইনে একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত—যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন প্রয়োগে ভুল করেন বা অন্যায়ভাবে আইন লঙ্ঘন করে জনগণকে নিপীড়ন করেন, তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।
তিনি বলেন, ‘যখন প্রভাবশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা আইন ভঙ্গ করেন বা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন, তখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ও শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক।’
নজরুল বলেন, ‘শুধু কাগজে আইন লেখা বা ভাষাকে সুন্দর করলেই হয় না। যারা আইন প্রয়োগ করবেন, তারা যদি সেই আইনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করেন, আর তাদের বিচার করার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে সেই আইনের কোনো বাস্তব মূল্য থাকে না।’
বিএনপি এই নেতা সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন আনা হলেও এই আইন এখনো জনগণের প্রয়োজন পূরণে ব্যর্থ।
তিনি দেশের শ্রম আইন বাস্তবায়নের দুর্বলতা নিয়েও সমালোচনা করেন। নজরুল বলেন, ২০০৬ সালে শ্রম আইন ও শ্রম আদালত আইন একীভূত করার আগে দেশে অনেক শ্রম আইন ছিল। ‘আপনি যদি আইনটি পড়েন, তাহলে মনে হবে এটি একটি চমৎকার আইন। কিন্তু আপনি যদি এর বাস্তবায়ন দেখেন, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক এখনো নিয়োগপত্র পান না। তাদের চাকরির শর্তও স্পষ্ট নয়। তাদের বার্ধক্যভাতা নেই, ছুটি নেই, এবং আইনে যেসব সুবিধা লেখা আছে, তার কিছুই তারা পান না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষিশ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যারা কম মজুরি দেয়, তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, দেশে অনেক আইন অস্পষ্ট, আর এই অস্পষ্টতা অনেক সময় কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রয়োগকারীরা জনসাধারণকে হয়রানির জন্য কাজে লাগান।
নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী, যুবক, শিশু ও শ্রমিকদের জন্য অনেক আইন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই এসব আইন সম্পর্কে জানেন না। যাদের জন্য এই আইনগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে, তারাই তা বোঝেন না বা এর সুফল পান না।’
তিনি সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা জনগণের মধ্যে আইনি সচেতনতা সৃষ্টি করেন, জনগণকে তাদের অধিকার বোঝান, বিদ্যমান আইনের ত্রুটিগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং সেই ত্রুটিগুলো সংশোধনের কাজে জনগণকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করেন।
নজরুল জোর দিয়ে বলেন, জনগণ যেন আইনে থাকা অধিকারগুলো ভোগ করতে পারেন এবং যেসব অধিকার থেকে তারা এখনও বঞ্চিত, তা অর্জনের জন্য লড়াই করতে পারেন—এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
১৫৩ দিন আগে
হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে ছাত্র হত্যার বিচার করুন: হাফিজ উদ্দিন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দমনে গণহত্যার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
নিকটতম প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আহত আবু বক্করের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন
ছাত্র হত্যাকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ায় শেখ হাসিনার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় খুনি। এমন কোনো অন্যায় বা অপকর্ম নেই, যা তিনি করেননি। তার কারণে অনেক মা তাদের সন্তান হারিয়েছেন। আমি তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
শুক্রবার ভাইস চেয়ারম্যান থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া হাফিজ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনার পরিণতি ইতালির মুসোলিনির মতো হবে।
হাফিজ বলেন, ‘ভারতের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে, তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও মামলা হবে।’
‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা’র নামে নামকরণ করা বরিশাল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তনের দাবিও জানান হাফিজ।
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে ছাত্রদের সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রক্তপিপাসু আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী ভারতের আজ্ঞাবহ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে পুলিশ বাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে, তা বিশ্বের নিকৃষ্টতম ছিল।
হাফিজ বলেন, ‘অনেক পুলিশ সদস্য এখনও পালিয়ে রয়েছেন এবং একটি ঘটনায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শিক্ষার্থী বা আমরা কেউই এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। তারা (পুলিশ) স্থানীয় জনগণের রোষের মুখে পড়েছে। তাদের মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগই দায়ী।’
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর ভেতরের খুনি ও খারাপ সদস্যরা হয় পালিয়ে গেছে অথবা নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বাহিনী দরকার। তাই আমরা একে একটি জনবান্ধব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাই। যারা বর্তমানে যুক্ত আছেন, তাদের সম্পৃক্ত করতে চাই। আপনাদেরও এই রূপান্তরে সমর্থন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
৪৭৪ দিন আগে
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশবাসী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই রায় কার্যকর করব, রক্ত ও জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সরকার রাজধানীতে ‘হরতাল’ জারি করেছে, যখন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা সমাবেশের দিকে আসা মানুষের ঢেউ ঠেকাতে ‘অস্ত্র নিয়ে’ পিকেটিং করছে, কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন এবং জনতা সমাবেশস্থলের চারপাশের কয়েক বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: অতি উৎসাহী পুলিশ ও আ.লীগ ‘ক্যাডারদের’ তালিকা করতে বললেন বিএনপি নেতা খসরু
পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
১০৯১ দিন আগে
বাবা-মার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার মওদুদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী মওদুদ আহমদের দাফন শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে।
১৭২১ দিন আগে
মওদুদের মরদেহ ঢাকায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী মওদুদ আহমদের মরদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়েছে।
১৭২২ দিন আগে
মওদুদের মরদেহ দেশে আসবে বৃহস্পতিবার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী মওদুদ আহমদের মরদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
১৭২৪ দিন আগে
‘পুলিশের গুলিতে ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ
দেশে ‘পুলিশের গুলিতে ক্রমবর্ধমান নিহতের ঘটনা’ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
১৯৪৩ দিন আগে