শুনানি
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় বাদীর উপস্থিতি চেয়ে সমন জারি
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য বাদীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি চেয়ে সমন জারি করেছেন আদালত। আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দীন এ আদেশ দেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, নিহত আলিফের পিতা ও মামলার বাদী বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে আদালত বাদীর বরাবরে সমন ইস্যু করে ২৫ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যা মামলা: চিন্ময় দাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
গত ১ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট ৪২ জন আসামি রয়েছে, এদের মধ্যে চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে ২০ জন গ্রেপ্তার ও ১৮ জন পলাতক।
২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর সনাতনী সম্প্রদায়ের বড় সমাবেশের সময় সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা শুরু হয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ বিভিন্ন আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। মামলার এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
১১৬ দিন আগে
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন, শুনানি দুপুরে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশান থানার ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম এ আবেদন করেন।
এ রিমান্ড আবেদনের ওপর দুপুর দুইটার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেইলি রোড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। পরে তাকে রমনা থানা থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলন করছিলেন বৈষম্যবিরোধীরা। এসময় পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর গুলি চালান। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার।
২১৮ দিন আগে
সাগর-রুনির হত্যা: তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় পেল টাস্কফোর্স
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশের পর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়
এদিকে তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাস সময় শেষ হয় ৬ এপ্রিল। পরে তদন্ত চলমান ও অগ্রগতি আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর আদেশের জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া এক আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে র্যাবের কাছে মামলাটির তদন্তে আদেশ পাঠানোর সংশোধন চেয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এর শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার) বিষয়টি আদেশের জন্য ওঠে।
এর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন।
প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছিল র্যাব।
২২৬ দিন আগে
বাদী পক্ষে লড়তে আদালতে এআই-উকিল!
আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারকরা এক ব্যক্তির আপিলের শুনানি শুরু করলেন। বাদী পক্ষের উকিল হাজির হলেন ভিডিওতে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই উকিলের কোনো পেশাগত ডিগ্রি নেই। এর চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হলো বাস্তবেই তার কোনো অস্তিত্ব নেই, তিনি কোনো মানুষই নয়!
তিনি মূলত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় তৈরি করা এক এভাটার (কোনো মানুষের প্রতিকৃতি)।
এমনই চমকপ্রদ একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। স্থানীয় সময় গেল ২৬ মার্চ জেরোমি ডিওয়াল্ড নামে এক ব্যক্তির চাকরি সংক্রান্ত একটি আপিল শুনানিকালে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
নিজের পক্ষে কোনো উকিল না থাকায় তিনি এআইয়ের সহায়তায় একটি এভাটার বানিয়ে তাকেই আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তার চালাকি ধরে ফেলেন বিচারকরা।
আপিলের শুনানির সময় নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি ভিডিও উপস্থাপন করার অনুমতি চেয়েছিলেন ডিওয়াল্ড। শুনানির দিন বিচারক স্যালি মানজানেট ডানিয়েল বলেন, ‘আপিলকারী তার বক্তব্য উপস্থাপনের একটি ভিডিও দিয়েছেন, ভিডিও এখন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
ভিডিওটি চালু হলে স্ক্রিনে (পর্দায়) বেশ গোছালো ও পরিপাটি পোশাক পরিহিত এক সুদর্শন যুবককে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আদালতের সদয় বিবেচনার জন্য জানাচ্ছি, আমি বিচারকদের সামনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাদীর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে উপস্থিত হয়েছি।’
সঙ্গেই সঙ্গেই তাকে থামিয়ে দিয়ে বিচারক জানতে চান, ‘এই ব্যক্তি মামলার কোনো আইনজীবী কিনা? বাদী ডিওয়াল্ড জানান, ‘ভিডিওর ব্যক্তি আসলে মানুষ নন, এআইয়ের সহায়তায় একে তিনি তৈরি করেছেন আাদলতে তার পক্ষে কথা বলার জন্য।’
এ কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে বিচারক বললেন, ‘আমি প্রতারিত হতে পছন্দ করি না।’ ডিওয়াল্ডকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন আবেদন করেছেন, এই বিষয়ে তখনই আদালতকে অবগত করা প্রয়োজন ছিল।’
এরপরে বিচারকদের কাছে ক্ষমা চান মামলার বাদী ডিওয়াল্ড। তিনি জানান, ‘কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেননি। তার আইনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কোনো আইনজীবী পাননি। এ কারণে তার আইনি বক্তব্য তুলে ধরতে এই এভাটার বানিয়েছেন তিনি।’
ডিওয়াল্ড সাধারণত কথা বলার সময় তোতলান, তার উচ্চারণে অস্পষ্টতা রয়েছে। তিনি আশা করেছিলেন এ ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আদালতে কথা বলতে পারবে ওই এভাটার। তবে তার আশার গুড়ে বালি পড়তে লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। বিচারক ধরে ফেলেন ভিডিওর ব্যক্তি আসল নন।
বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক খবরে বলা হয়েছে, সান ফ্রান্সিসকোর এক টেক কোম্পানি থেকে একটি এআই টুল কিনে ওই এভাটার তৈরি করেছিলেন ডিওয়াল্ড। তিনি তার চেহারার অনুরূপ করেই ওই এভাটার বানাতে চেয়েছিলেন। তবে শুনানির আগে তা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু তিনি কোনো উকিল পাননি, তাই তার নিজেকেই এই বক্তব্য উপস্থাপন করতে হত। এ কারণেই ঠিকঠাকভাবে কথা বলার জন্য তিনি এআইয়ের দিয়ে ওই ভিডিও তৈরি করে আদালতে পাঠান। তবে যে উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেছিলেন সেক্ষেত্রে সফল তো হননি, বরং আদালতে রীতিমতো বিচারকের ঝাড়ি খেয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ওপেনএআই কিনতে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার প্রস্তাব মাস্কের
তবে বিচারিক কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কিন্তু প্রথম নয়, খোদ আইনজীবীরাই এর ব্যবহার করে সমস্যায় পড়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে একটি মামলায় এআইয়ের ব্যবহার করে ৫ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল নিউ ইয়র্কের দুই আইনজীবীকে। তারা এআইয়েরর সহায়তা নিয়ে কয়েকটি মামলার উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন, তবে বাস্তবে ওই ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্বই ছিল না।
জরিমানা দেওয়া ওই দুই আইনজীবী জানান, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কৃত্তিম মামলার বিবরণ তৈরি করবে এটি তারা বুঝতেই পারেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন। ভুল মামলার তথ্য দিয়েছিল এআই।
তবে ডিওয়াল্ড ভুলে এই এভাটার ব্যবহার করলেও অ্যারিজনার সুপ্রিমকোর্ট কিন্তু বিভিন্ন আদালতের বিধিনিষেধগুলো সাধারণ জনগণকে জানানোর জন্য অনেকটা একই রকম এভাটার ব্যবহার করে থাকে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কতদ্রুত এগিয়ে চলছে তারই জ্বলন্ত প্রমাণ এসব ঘটনা।
ডিওয়াল্ডের মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে।
২৪২ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এপ্রিলে
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি হবে হাইকোর্টের অবকাশকালীন ও ঈদের ছুটির পর। এই ছুটি চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল শুনানির জন্য গত ১৯ মার্চ উপস্থাপন করা হলে হাইকোর্ট বিষয়টি অবকাশকালীন ছুটি শেষে (১৯ এপ্রিলের পর) শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রামে চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চিন্ময়সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।
২৫৬ দিন আগে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে শুনানি, চার আসামি রিমান্ডে
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৯ মার্চ) মধ্যরাতে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন এ আদেশ দেন।
মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখের সাত দিন, বোনের স্বামী, শাশ্বড়ি ও ভাইয়ের প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব হোসেন জানান, ধর্ষণে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রবিবার মাগুরা আদালত ঘেরাও ও চত্বরের সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করেন। এতে নিরাপত্তা শঙ্কায় আসামিদের আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার চার আসামি আগেই কারাগারে ছিলেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চার আসামি হলেন- শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগম (৪০)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আদালত চত্বর ঘেরাও ছাত্র-জনতার
গেল শনিবার (৮ মার্চ) দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ করেননি।
২৭০ দিন আগে
সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি আগামীকাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল ৩ মার্চ।
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বিষয়টি আগামীকাল শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি রেজাউল হক আবেদনটির ওপর ২ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী বিষয়টি আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আজকের পরিবর্তে বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল শুনানি করতে চান। এরপর আদালত আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়া মেনেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা হয়েছিল: উপদেষ্টা
২০২৩ সালের ১৪ জুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল।
ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিতরা হাইকোর্টে রিট করেন।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।
২৭৭ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের শুনানির জন্য সোমবার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২ মার্চ) বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, আইনজীবী জাকির হোসেন, আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিন আপিলের শুনানির জন্য ২ মার্চ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর সোমবার শুনানি হবে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
গত ৩ নভেম্বর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই।
২৭৮ দিন আগে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের শুনানির তারিখ ধার্য
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানির তারিখ ২৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আদালতের ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। সহযোগী ছিলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার
আপিলের বিপরীতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় একই রায় বহাল রাখেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন আজহার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক-নির্যাতন, গুরুতর জখম এবং শত শত ঘরবাড়ি লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের মধ্যে একটি বাদে বাকি ৫টি অভিযোগে আজাহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইবুনাল।
৩৩০ দিন আগে
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন, তখনই শুনানির সিদ্ধান্ত
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন করা হবে, তখনই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা জজ আদালতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ‘জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগপন্থী কোনো আইনজীবী এসময় ছিলেন না।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
৪৮৫ দিন আগে