প্রেস উইং
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের জন্য রক্তের সংকট নেই: প্রেস উইং
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের জন্য রক্তের (সব ব্লাড গ্রুপ) সংকট নেই বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে এক বার্তায় প্রেস উইং জানায়, স্বেচ্ছা রক্তদানে আগ্রহী অসংখ্য ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ, নাম ও ফোন নম্বর তালিকাভুক্ত করা আছে। যেহেতু দগ্ধ রোগীদের ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা দেওয়া হয়, তাই আগে থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে না।
এতে বলা হয়, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞরা তালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত সংগ্রহ করবেন। এমতাবস্থায় কোনো ব্লাড গ্রুপেরই রক্তের সংকট নেই, এমনকি সে ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।
পড়ুন: চক্রান্তের আভাস দেখছেন ড. ইউনূস, দৃশ্যমান ঐক্যের আহ্বান
ওই বার্তায় বলা হয়- সবাইকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হচ্ছে এবং কেউ এ ধরনের যেকোনো গ্রুপের রক্তের প্রয়োজনে ফোকাল পারসন ঢাকার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সরকার ফারহানা কবিরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ হয়েছে।
যোগাযোগের নাম্বার- ০১৭৯২৭৪৪৩২৫
১৩৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজ তাক বাংলায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদেরকে প্রধান উপদেষ্টার পদক প্রদানের ছবিকে গোপন ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ ও চরম নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্মকে পাকিস্তানের জেনারেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রয়েছে রয়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়।
মূলত গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ লাইন্সে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ৬২ জন সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন না হলে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
তাদের মধ্যে এই ছবিতে রয়েছেন, তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও ছিবগাত উল্লাহ এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কাজী ফজলুল করিম। তারা প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন।
এটি কোন গোপন ছবি নয়। এই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিলো। আজ তাক বাংলার এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জড়িয়েও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এগুলো সবই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ এবং চরম নিন্দনীয়।
২১৫ দিন আগে
ড. ইউনূসকে নিয়ে মুফতি আলাউদ্দিনের বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট: প্রেস উইং
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলকে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন এমন তথ্য দিয়ে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর দেওয়া বক্তব্যটি বানোয়াট, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (২০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেক এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী নামের একজন বক্তা সম্প্রতি কোনো এক বয়ানে দাবি করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এই বক্তব্যটির প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্রেস উইং আরও বলেছে, এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা মূলত অধ্যাপক ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে চলমান সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অংশ।
স্বতন্ত্র ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক ইসরায়েলকে ১ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সর্বপ্রথম ২০২৩ সালের অক্টোবর বাংলা ইনসাইডার নামক একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তা আরও কিছু অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই দাবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।
আরও পড়ুন: সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামলার ভয়াবহতা শুরু হয়, সে সময়ই বাংলাদেশে প্রচার হতে শুরু করে, ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সাইট হিসেবে পরিচিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডারের সে বছরের ১৩ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদন থেকে আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে।
ওই প্রতিবেদনে দাবিটির পক্ষে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতির বিষয়ে বলা হলেও ওই মন্ত্রণালয় থেকে সে সময়ে প্রকাশিত কোনো বিবৃতিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওই দাবি সংবলিত কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও রিউমার স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়। তা ছাড়া ইসরায়েলের সাংবাদিক এবং ফ্যাক্ট চেকারও এমন কোনো সহায়তার বিষয়ে অবগত নন বলে রিউমার স্ক্যানারকে জানান। একই সঙ্গে ইউনূস সেন্টারও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে।
এমতাবস্থায় দেশের সকল আলেম ওলামা ও দায়িত্বশীল নাগরিকদের বিভ্রান্ত না হয়ে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টায় থাকা ব্যক্তিদের অপপ্রচার রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
২২৮ দিন আগে
‘জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের নজরে আনবে’
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ১৩ থেকে ১৬ মার্চ নির্ধারিত সফর রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান খুঁজে বের করতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর এই সংকটকে বৈশ্বিক নজর কাড়তে সহায়তা করবে। 'আমরা আশা করি জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে একটি ভালো বার্তা দেবেন।’
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সংকট যাতে আবার বিশ্বের নজরে আসে—তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, বৈশ্বিক নজর সেখানেই রয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান চায়, যাতে তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। ‘এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
আলম বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার(১৩ মার্চ) বিকাল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ একসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য কক্সবাজারে যাওয়ার আগে শুক্রবার(১৫ মার্চ) সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে কমেছে। আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, এই সফরটির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের কিছু উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা তহবিল সহায়তায় কোনো বিঘ্ন দেখতে চাই না। আমরা তাদের পুষ্টি চাহিদার ঘাটতি করতে চাই না।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, জরুরি ভিত্তিতে নতুন তহবিল ছাড়া, মাসিক রেশন মাথাপিছু ১২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে মাথাপিছু ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে তাদের জরুরি প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমের জন্য তহবিলের গুরুতর ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য সহায়তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
সকল রোহিঙ্গা সহায়তার রশিদ পায় যার মাধ্যমে ক্যাম্পে নির্ধারিত খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে তাদের পছন্দমতো খাবার নিতে পারে। পূর্ণ রেশন বজায় রাখতে ডব্লিউএফপির জরুরি ভিত্তিতে এপ্রিলের জন্য দেড় কোটি ডলার এবং ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আলম বলেন, এই সফর সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সামনে রেখে বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও এই আয়োজনের কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছে।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় পৌঁছালেও প্রধানত শুক্র ও শনিবার দুটি কর্মদিবস থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা আশা করছেন এক লাখ রোহিঙ্গা জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে একসঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।
মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি হিসেবে গুতেরেস ও ড. ইউনূস শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও গুতেরেস সকালে (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
বার্ষিক রমজান সফরের অংশ হিসেবে গুতেরেস সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
২৬৭ দিন আগে
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সোমবার (১০ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ উদ্দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
উপপ্রেস সচিব আজাদ আরও জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘কমার লেবেল ৩ থেকে ৫’ এ উন্নীত হয়েছে। সিএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ সকালে প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। শ্বাসরোধের অপচেষ্টার কারণে অক্সিজেন লেভেল কমে মস্তিষ্কে পানি জমেছে। যা এখনও অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল তা অপসারণ করা গেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
রবিবার দিবাগত রাতে মাগুরা আদালতে অভিযুক্তদের রিমান্ড শুনানি হয়। বিচারক আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুলী গ্রামের ভুক্তভোগীর বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ(৫০), বড় বোনের শ্বাশুরী জায়েদা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে সজিব ও রাতুল শেখ।
২৬৯ দিন আগে
গুলশানে বাসায় তল্লাশি-ভাঙচুরে উসকানিদাতা সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় উসকানি দিয়েছে ওই বাসারই সাবেক কেয়ারটেকার।
বুধবার (৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(৪ মার্চ) মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ‘তল্লাশির’ নামে ২০ থেকে ২৫ জন লোক ঢুকে পড়ে। তল্লাশির অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করে বাসাটি তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করা হয়।
৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে গুলশান জোনের ডিসি, গুলশান থানার ওসি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে তিন জন আটক করা হয় ও তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
আটকরা হলেন— জুয়েল খন্দকার ( ৪৮) ও তার ছেলে শাকিল খন্দকার (২৪), শাকিল আহমেদ (২৮)।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ (২৮) একসময় বাসাটিতে কেয়ারটেকারের কাজ করতো। সেই মূলত জনতাকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে—এমন তথ্য দিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালালোর জন্য উসকানি দেয়।
এর আগে গত পরশুদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানায়, এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় সতর্ক করে দিয়েছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে নিকটবর্তী থানাকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়েছে।
২৭৪ দিন আগে
সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
ভারতের নয়াদিল্লির ‘দ্য ট্রিবিউন’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে ‘খাঁটি কল্পকাহিনী’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ফ্যাক্ট-চেকিং উইং ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’।
শনিবার (১ মার্চ) প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘দ্য ট্রিবিউন’ পত্রিকায় সেই খবরের শিরোনাম ছিল ‘আসাম সীমান্তের কাছে উলফা ক্যাম্প পুনরুজ্জীবিত করতে আইএসআই ও বাংলাদেশি সক্রিয় সংগঠনগুলো জড়ো হচ্ছে’। তবে প্রতিবেদনটি সংবাদমমাধ্যমটির একেবারেই কল্পনাপ্রসূত বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও নৃশংস শাসনকে বাংলাদেশিরা উৎখাত করার পর থেকে এই ধরনের অন্যান্য গালগল্পের মতো এটিও আরেকটি গল্প, যেখানে কোনো প্রমাণ কিংবা কোনও নামধারী উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
মূলত, খবরটিতে এক উৎস হিসেবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া তার আগের জঙ্গি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার কোনো ইচ্ছা রয়েছে।
ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে যে, বড়ুয়াকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হতে পারে’। তবে বাস্তবে তিনি পলাতক এবং চীনে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, পত্রিকাটি বাংলাদেশের ‘আরবি, উর্দু ও বাংলা’ মাধ্যমের যোগাযোগে আড়ি পেতেছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এই গল্পটি খাঁটি কল্পকাহিনী এবং ট্রিবিউনের কাছে ‘বিশেষ’; কারণ এটির অস্তিত্ব কেবল তার কর্মীদের কল্পনায়।
২৭৮ দিন আগে
জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য অংশীজনদের অভিমত নিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সংলাপ পরবর্তী কর্মপন্থা হিসাবে গণুভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজন থেকে অভিমত নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
চিঠি মারফত এই অভিমত গ্রহণ করছে সরকার। নাগরিকরা তাদের সুচিন্তিত অভিমত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরারবর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি মারফত পাঠাতে পারবেন।
আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত অভিমত জানাতে পারবেন নাগরিকরা।
পরে অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে বলে জানায় প্রেস উইং।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
৩২১ দিন আগে
গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনের সুপারিশে নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্যকে বরখাস্তের বিষয়ে প্রেস উইংয়ের বক্তব্য
দেশে বলপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কোনো কর্মকর্তা ও সদস্যকে বরখাস্ত করেনি।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল এ বিষয় নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করছে।’
গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “এমন কোনো সুপারিশ কমিটি থেকে করা হয়নি। কমিশন প্রধান বলেন, ‘আমাদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে-তথ্যটি মিথ্যা। এটি একটি ভুয়া খবর।’ আমরা আশা করি টিভি চ্যানেলগুলো তথ্যটি সংশোধন করে প্রচার করবে।”
৩৭৫ দিন আগে
ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চুক্তির খবররের ভিত্তিহীন দাবিগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ভারতীয় প্রকাশনা দ্য সানডে গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নতুন করে আলোচনার কারণে ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাফাল চুক্তি চূড়ান্ত করতে চায় ফ্রান্স।’
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরেই প্রতিক্রিয়া জানায় প্রেস উইং।
আরও পড়ুন: অনলাইনে আয়কর পরিশোধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের কোনো চুক্তির বিষয়ে অবগত নয়।’ ‘আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য বাংলাদেশ এখনো ফ্রান্সের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।’
২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের অধীনে সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়েছিল। পরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও পড়ুন: আবারও আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
৪০২ দিন আগে