অর্থদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেককে অর্থদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘটিত দুটি পৃথক হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. আকবর আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের পুলিশি প্রহরায় কোর্ট হেফাজতে নেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে জমির উদ্দীন (৫০), আলমডাঙ্গা উপজেলার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৪০) এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (৩৮)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
আদালত সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা গ্রামের কামাল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের সালাউদ্দীনের গংদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ২০২২ সালের ৯ মে রাতে স্বাধীন আলীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন কামালকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়।
পরে স্ত্রী সেলিনা আক্তার তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কামাল নিজেই হামলাকারীদের নাম বলে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দুদিন পর, ১১ মে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও অজ্ঞাতদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরামুল হোসাইন সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অপর পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
অপর মামলায় ২০২২ সালের ১৬ জুন সকালে জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ফজলুর চায়ের দোকানের সামনে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে বাবলু রহমানকে একা পেয়ে কোদাল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের জমির উদ্দীন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় জমির উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈকত পারে তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন এবং অভিযুক্ত জমির উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
সরকারি পিপি অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, ‘দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
১৪১ দিন আগে
ফরিদপুর-২ আসন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে অর্থদণ্ড
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সময়ের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণা চালনার অভিযোগে ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সালথার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সালথা বাজার এলাকায় রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে মাইকিং করায় মো. আক্কাছ মাতুব্বর ও মো. বাদল মাতুব্বর নামের ওই দুই ব্যক্তিকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সালথা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে- প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে লাবু চৌধুরী
৭১১ দিন আগে
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরিশালে ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বরিশালে ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল থেকে কয়েক দফায় এই জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে ছিলেন- এম রকিবুল হাসান, আবি আব্দুল্লাহ, মঈন উদ্দিন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত কাউন্সিলরদের নাম তাৎক্ষণিক প্রকাশ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে যে অর্থদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলুকে পাঁচ হাজার, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ আনোয়ার হোসেনকে ২০ হাজার টাকা, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শাহিদ খান আজাদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও তিন প্রার্থীকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন জানান, আগে থেকেই প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
৯৩৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে টিকটক ভিডিও করার জন্য এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গড়াইটুপিতে স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু ছাত্রীর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ঐ যুবক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
যুবক সতিনাথ কর্মকার (৩০) সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, বৃহস্পতিবার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু স্কুল ছাত্রীর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সতিনাথ কর্মকার নামে এক যুবক।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় বিষয়টি নানামুখী গুঞ্জন সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। ঘটনা জানার পর আমাদের দর্শনা থানাধীন তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইদ্রীস আলী দুপুরের দিকে সতিনাথ কর্মকারকে আটক করেন।
পরে অভিযুক্ত সতিনাথ কর্মকারকে বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
১০৬৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে এক ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. নুরুন্নবী নজরুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
এস.এম. নুরুন্নবী জানান, শহরের নতুন হাটখোলায় খান ডেন্টালে ভুয়া এক দন্ত চিকিৎসক দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালায়। এসময় আটক করা হয় নজরুল ইসলামকে।
তিনি বলেন, নিজের দোষ স্বীকার করায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, সে এসএসসি পাশ ও আগে একটি কারখানার স্টোর কিপারের কাজ করতো।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
১১০১ দিন আগে
কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। ২০২০ সালে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বালুয়াখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৩৭), মকবুল আহমেদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজ এলাকায় একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো.আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার থেকে পাঁচ জন দৌড়ে পালায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯০০ নগদ টাকাস ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দু’জন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনাস্থলে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
১১১৪ দিন আগে
হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান মানিক।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জুলহাস উপজেলার কালচোঁ ইউনিয়নের সিদলা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে এবং মনির হোসেন একই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় বাগেরহাটে ১৫ জনকে অর্থদণ্ড
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজার থেকে তাদের দুইজনকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম ও সঙ্গীয় ফোর্স।
উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম বলেন, তারা দু’জন শনিবার রাতে শিয়ালটি ধরে জবাই করে। ওই গোস্ত রবিবার বাজারে বিক্রি করতে আনলে দুপুরে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, ঘটনা সত্য।
তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে ও মুচলেকাও নেয়া হয়েছে যেনো ভবিষ্যতে এই ধরনের জনস্বাস্থ্য বিরোধী ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত না হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
১১১৭ দিন আগে
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেয়া এক কোটি ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে এম সরোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং দেড় কোটি টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তার দশ বছর সাজা ভোগ শেষ হয়েছে। এখন জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হলো। এ প্রেক্ষিতে এ মামলায় তার কারামুক্তি পেতে কোন বাধা নেই। তবে ডেসটিনি ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না। তবে এ মামলায় তার জামিনের আবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমিন।
মামলা দুটির মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার শেষ হয়েছে গত ১২ মে। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনসহ ৪৬ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, কোম্পানি প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে কারামুক্তি পান, অনেকে কারামুক্তির পথে। এছাড়া ৩৯ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির এমডি’র আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
১১২২ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থান কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী এবং তার কর্মচারী ফয়সাল।
এছাড়া এই মামলায় সোলেমান মিয়া ও আলী হোসেন নামে দুই আসামির অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করে একই এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে সেলিম পাওনা টাকা ফেরত চাইলে ২০১৯ সালে ৩১ মার্চ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়।
এ ঘটনায় সেলিম নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। নিখোঁজের আট দিন পর ৯ এপ্রিল পুলিশ মোহাম্মদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাটি খুঁড়ে সেলিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় দিয়েছেন।
তবে আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
১২৬৩ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা আদালত।
মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ ছাড়াও তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের মুক্তি খাতুন (২২) ও তার প্রেমিক সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহজাদপুর উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের জেলহক প্রামাণিকের ছেলে মনিরুল হকের সঙ্গে মুক্তি খাতুনের বিয়ে হলেও মুক্তি বিয়ের আগের প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। একসময় প্রেমিক তুষারের সঙ্গে মিলে স্বামী মনিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে মুক্তি। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তি তার স্বামী মনিরুলকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ জুন দাদার বাড়ি শক্তিপুরে নিয়ে যায়। সেখানে রাতে মনিরুলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলাটিপে হত্যা করে তারা।
এ ঘটনায় মামলা করেন পরিবারের সদস্যরা। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান (পিপি) ও আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট গোলাম হায়দার মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
১২৯৭ দিন আগে